স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক :
মনোয়ার হোসেন ডিপজল একজন জনপ্রিয় অভিনেতা। পাশাপাশি প্রযোজক, লেখক, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। যিনি খল অভিনেতা থেকে শুরু করে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে হৃদয়ে জায়গা করেছেন কোটি ভক্তের।ভক্তরা ভালোবেসে কত কিছুই উপহার দেন অভিনেতাদের। তবে এবার এক ভক্ত ব্যতিক্রমী উপহার দিতে চান ডিপজলকে।সেই ভক্ত হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের মীরহাটি এলাকার ফার্নিচার ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া।২০০৮ সালে ডিপজল অভিনীত ‘দাদিমা’ সিনেমা দেখার মাধ্যমে এই অভিনেতার প্রতি ভালোবাসা জাগে তার হৃদয়ে। এর পর থেকেই নিয়মিত ডিপজলের সিনেমা দেখা শুরু করেন তিনি। একসময় নিজের অজান্তেই ডিপজলের একজন ভক্ত হয়ে যান মীরহাটি এলাকার আবদুর সাত্তার মিয়ার ছেলে এই দুলাল মিয়া। সেই ভালোবাসা থেকে ডিপজলের জন্য বানালেন ২৫ লাখ টাকার নান্দনিক কারুকার্য খচিত একটি রাজকীয় খাট। ডিপজলের এই ভক্তের খাট তৈরির খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক মানুষ তার দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন।জানা যায়, ডিপজলকে ভালোবাসে তাকে উপহার দিতে তিন বছর ৮ মাসে নিজ হাতে সুনিপুণ কৌশলে তৈরি করেছেন এই বিশাল খাট। খাটটির দৈর্ঘ্য সাড়ে ৮ ফুট এবং প্রস্থ সাড়ে ৬ ফুট। এটি তৈরি করতে আসল আকাশি কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া নকশায় ব্যবহার করতে হয়েছে ৩৮৭টি গোলাপ ফুলের ডিজাইন ও বিভিন্ন অংশ সংযোগ করতে ব্যবহার করা হয় ৮০টি নাট। প্রতিদিনই অসংখ্য উৎসুক মানুষ আসছেন দুলালের তৈরি করা খাট দেখার জন্য। দুলালের ইচ্ছা— চলচ্চিত্র অভিনেতা ডিপজল এ খাট উপহার হিসেবে গ্রহণ করবেন।দুলালের বড়ভাই মোহাম্মদ হুমায়ুন বলেন, আমার ছোটভাই দীর্ঘ তিন বছর ৮ মাসে এ খাট ডিপজলের জন্য তৈরি করেছেন। সে খাটটি অনেক শখ করে বানিয়েছেন। এ খাটের উছিলায় যেন ডিপজলের সঙ্গে দুলালের দেখা হয় এবং খাটটি যেন তিনি উপহার হিসেবে গ্রহণ করেন।এ বিষয়ে ফার্নিচার ব্যবসায়ী দুলাল জানান, অভিনেতা ডিপজলের সঙ্গে সরাসরি কোনো দিন কথা না হলেও তার প্রতি ভালোবাসা থেকে ডিপজলকে মামা নামে ডাকেন।তিনি বলেন, ডিপজল মামার প্রতি ভালোবাসার কারণে উনাকে নিজের হাতে বানিয়ে ভিন্ন কিছু উপহার দেওয়ার ইচ্ছা হয়। পরে তিন বছর ৮ মাসে তাজমহলের ডিজাইনে খাট তৈরি করেছি। যদি ডিপজল মামা আমার বানানো এই ক্ষুদ্র উপহারটি গ্রহণ করেন এবং দেখা করার সুযোগ করে দেন, তা হলে জীবন ধন্য হয়ে যাবে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থেকে ১০৭ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ একটি ট্রাক ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে বিজিবি। সোমবার (১৩ মার্চ) ভোর রাতে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সেজামুড়া দক্ষিণপাড়ার মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের বাড়ির সামনে থেকে অভিযান চালিয়ে এসব জব্দ করা হয়। এসময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ আরমান আরিফ এবং মুকুন্দপুর বিজিবি ক্যাম্পের নায়ক মোহাম্মদ ইউছুফ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির বিশেষ টহল দল বিজয়নগর উপজেলার সেজামুড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে। এসময় মাদক বহনকারী একটি ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। মাদক চোরাচালান রোধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।
আদিত্ব্য কামাল,জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :
জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধরাণ সম্পাদক, দৈনিক জনকণ্ঠ ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার খবর এর উপদেষ্টা রিয়াজ উদ্দিন জামি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।সোমবার (০৬ মার্চ) বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১১টায় ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তার ভাগিনা সাংবাদিক আশেক মান্নান হিমেল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গেল ফেব্রুয়ারি মাসের শেষার্ধে তিনি ফলোআপ চিকিৎসার জন্য যান রিয়াজ উদ্দিন জামি। সেখানে ফলোআপ চিকিৎসা গ্রহণকালেই তিনি এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।প্রসঙ্গত, গত ২৯ আগস্ট জামি রাজধানী ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বিভাগীয় প্রধান ও ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউসুফ আলী ও মেজর নাসিফ এর তত্বাবধানে তার চিকিৎসা কার্যক্রম চলে। এ সময় সিএমএইচ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার সকল শারীরিক পরীক্ষা-নীরিক্ষা রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন এবং জামিকে ১০টি রেডিওথেরাপী দেয়ার পরামর্শ দেন।চিকিৎসার প্রথম পর্যায়ে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনকালে তার ৫টি এমআরআই, ব্রেইন টেস্টসহ সিটি স্ক্যান, পিঠ, কোমড়, বক্ষ, কোমর ও মাথায় নানা ধরণের পরীক্ষা নীরিক্ষা চালানো হয়। এছাড়াও তার কোমড় ও লাঞ্চ থেকে লালা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।পরে সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের টাটা হাসপাতালে যান রিয়াজ উদ্দিন জামি। সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেন তিনি। পরবর্তীতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে তিনি ফলোআপ চিকিৎসার জন্য আবারও সেখানে যান রিয়াজ উদ্দিন জামি।
নিজস্ব প্রতিবেদক, মোঃ জুয়েল মিয়া
চলন্ত অবস্থায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেসের দুই বগি বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ট্রেনটি আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন পার হওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে। মেরামত শেষে বেলা পৌনে ১২টার দিকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন সূত্র জানায়, ট্রেনের ১৩১০ ও ১৩০৫ নম্বর বগি চলন্ত অবস্থায় আলাদা হয়ে যায়। পেছনের দিকের ওই দুটি বগির সংযোগস্থলের যন্ত্র ভেঙে খসে পড়লে এ ঘটনা ঘটে। আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের টিএক্সআর কার্যালয়ে দায়িত্বরতরা বগি দুটি সংযোগ করলে ট্রেনটি ঢাকা উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ বিষয়ে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (হেড টিএক্সআর) মো. শামীম আহমেদ জানান, ট্রেনের দুই বগির মাঝখানের বাফার শেঙ্ক ভেঙে যায়। মেরামত করতে ২০ মিনিটের মতো সময় লাগে বলে জানান তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক : সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা পেলেন মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন এর সহ-সভাপতি সাংবাদিক এইচ এম জাকারিয়া জাকির।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকাল ৫ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া গভ: মডেল গার্লস হাই স্কুল হলরুমে কবি ও কবিতা বিষয় সংগঠন ‘কবির কলম’ এর ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে তাকে এ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন, কবি জয়দুল হোসেন, সভাপতি সাহিত্য একাডেমী ব্রাহ্মণবাড়িয়া। প্রধান আলোচক ছিলেন, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক। বিশেষ আলোচক ছিলেন, কথা সাহিত্যিক আমির হোসেন, সভাপতি চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আবদুর রহিম, রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ও শিক্ষক। ফজিলাতুন নাহার সভাপতি, বাংলাদেশ নারী মুক্তি সংসদ। এড হুমায়ুন কবির, সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়াস্থ সমিতি। কেষ্ট কবি ইসমোনাক। জাকারিয়া জাকির সাংবাদিক ও সমাজ সেবক। কবি মাশরিকি শিপার। কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস। ফারুক আহমেদ ভুইয়া সিনিয়র সহ-সভাপতি উদিচি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা। মোস্তাক আহমেদ খোকন, সাধারণ সম্পাদক জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা। শফিকুল ইসলাম তৌছির বিশিষ্ট সমাজ সেবক। ফিরোজ মিয়া কলেজের প্রভাষক হানিফ, অংকুর শিশুকিশোর সংগঠন এর প্রতিষ্ঠাতা আনিসুর রহমান রিপন, কবি সৌমিক সাত্তার। কণ্ঠ শিল্পী সোহেল আহমেদ। সঙ্গীত শিল্পী ফরিদ আহমেদ সাগর। সংগীত শিল্পী সানজিদা শারমিন ফ্লোরা। সংগীত শিল্পী সাথি ইসলাম। জাকির হোসেন রাজা তবলা বাদক। আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রশিক্ষক সোহেল মিয়া। তরুন সংগঠক নাইমুর রহমান। জুয়েনা বিনোদীনি।
এছাড়াও সংগঠন এর সহ-সভাপতি আদিত্ব্য কামাল, সহ-সভাপতি কোহিনূর আক্তার প্রিয়া, ফাহিম মুনতাসীর, ইফতেখারুল ইসলাম সোহান, অন্তর। সদস্য মুরাদ আল হাসান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আবৃত্তি পরিবেশনে ছিলেন, সোনালি সকাল। নৃত্য পরিবেশনে ছিলেন, নৃত্যশিল্পী চন্দ্রিমা বনিক, নৃত্যশিল্পী অবন্তিকা সূত্রধর।
অনুষ্ঠানে গুঞ্জন পাঠাগার নবীনগর, এস এম নাজমুন কবির ইকবাল (ইসমোনাক) সরাইল, সাংবাদিক এইচ এম জাকারিয়া জাকির, শফিকুল ইসলাম তৌছির কে সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়।
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহতিকরন ও কর্মপরিকল্পনা ২০২৩ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।১১ নভেম্বর সোমবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ একরামুল্লাহ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক বাহার মোল্লা ছাড়াও জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা এতে উপস্থিত ছিলেন।সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডাঃএকরামুল্লাহ জানান, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন এর আওতায় আগামী ১২ ডিসেম্বর জেলার ৯ উপজেলার ৩০৬ টি ওয়ার্ডে ২ হাজার ৪৩৩ টি কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কার্যক্রম চলবে। এর মধ্যে ৬ -১১ মাস বয়সী ৫৫ হাজার ২৬৫ জন শিশুকে ১ টি করে নীল এবং ১২- ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯ শিশুকে ১টি করে লাল টিকা খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ।উল্লেখ্য অন্ধত্ব প্রতিরোধ সহ স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বছরে ২ বার এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।