স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বহুল প্রতীক্ষিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশের যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করবেন।ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আক্তার আজকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল বিকেল সাড়ে ৩ টায় শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এক্সপ্রেসওয়েটির উদ্বোধন করবেন।উদ্বোধনের পরের দিন বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।তিনি বলেন, এই অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। বোর্ডিংয়ের জন্য ১৫টি র্যাম্প রয়েছে। এর মধ্যে বনানী ও মহাখালীতে দু’টি র্যাম্প আপাতত বন্ধ থাকবে। এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার। থ্রি হুইলার, সাইকেল এবং পথচারীদের এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করতে দেওয়া হবে না। মোটরবাইক এখনই চলতে পারবে না।এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশের টোল রেট ৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করে।ক্যাটাগরি ১-এর অধীনে যে কোনো স্থান থেকে বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ অতিক্রম করার জন্য গাড়ি, ট্যাক্সি, জীপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের নিচে) এবং হালকা ট্রাক (৩ টনের নিচে) টোল রেট ৮০ টাকা।মাঝারি ট্রাকের জন্য (ছয় চাকা পর্যন্ত) যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য টোল রেট ক্যাটাগরি-২ এর অধীনে ৩২০ টাকা ক্যাটাগরি ৩-এর অধীনে যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য ট্রাকের (ছয় চাকার বেশি) টোল রেট ৪০০ টাকা। যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য যে কোনো বাসের (১৬ সীটের বা তার বেশি) টোল রেট ৪-ক্যাটাগরির অধীনে ১৬০ টাকা।ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।প্রাথমিকভাবে এক্সপ্রেসওয়েতে গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার এবং এইচএসআইএ থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে যানবাহনের সময় লাগবে ১০ মিনিট।১১.৫ কিমি মেইনলাইন এবং ১১ কিমি র্যাম্পসহ, অংশটির দৈর্ঘ্য হবে ২২.৫ কিমি। প্রাথমিকভাবে এই অংশের ১৫টির মধ্যে ১৩টি র্যাম্প খোলা হবে। বনানী ও মহাখালীর র্যাম্প নির্মাণ শেষ হলেই খুলে দেওয়া হবে।প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮,৯৪০ কোটি টাকা, এতে ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং (ভিজিএফ) তহবিল ২,৪১৩ কোটি টাকা, যা বাংলাদেশ সরকার প্রদান করবে।ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড বিনিয়োগকারী কোম্পানি। এতে ইতালীয় থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার রয়েছে ৫১ শতাংশ, চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের (সিএসআই) শেয়ার ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেডের ১৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।প্রকল্প অনুযায়ী, প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯ জানুয়ারি ২০১১ এবং পর্যালোচনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩ এবং প্রকল্প সমাপ্তির সময়কাল ছিল জুলাই ২০১১ থেকে জুন ২০২৪।বনানী রেলওয়ে স্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে বেশ কিছু অবকাঠামো প্রকল্প শুরু হয়েছে। আকার, বাজেট এবং অর্থনৈতিক প্রভাব বিবেচনা করে এই প্রকল্পগুলোর অনেকগুলোকে মেগা-প্রকল্প বলা হয়েছে।সরকার তাদের কয়েকটিকে ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে পদ্মা বহুমুখী সেতু, বাংলাদেশের প্্রথম মেট্রোরেল প্রকল্প এমআরটি লাইন-৬ এবং চন্দ্রা-এলেঙ্গা চার লেন মহাসড়ক সম্পন্ন হয়েছে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এবং দীর্ঘতম আন্ডারওয়াটার রোড টানেল, শীঘ্রই যান চলাচলের জন্য খৃুলে দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।অন্যান্য প্রকল্প-পদ্মা সেতু রেল সংযোগ, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল সংযোগ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলওয়ে সেতু। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং তাই সরকারের মূল ফোকাস এখন তাদের সময় মতো সম্পন্ন করা।আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের যোগাযোগ, পরিবহন ও বিদ্যুৎ অবকাঠামোর রূপান্তরের লক্ষে বেশ কিছু স্মারক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা ঢাকা মেট্রোরেল আংশিক চালু করেছে এবং পদ্মা বহুমুখী সেতুসহ অন্যান্য মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে। সূত্রঃ বাসস
জুয়েল মিয়া
যারা বাংলাদেশের আদালত দ্বারা সাজাপ্রাপ্ত এবং অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ করে যারা সাজাপ্রাপ্ত তাদের সকলকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিব। উদ্যোগ যেটা আছে সেটাকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করবো।’ তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিবে কিনা-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে এসব কথা বলেন। ড. মোহাম্মদ ইউনূছের মামলায় আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে, ১২ জন মার্কিন সিনেটরদের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যতদূর এই মামলার কাগজপত্র দেখেছি। সেখান থেকে আমি বলতে পারবো বিচারিক আদালতে প্রচলিত আইনের যে ধারা আছে সে ধারা অনুযায়ী বিচার হয়েছে। আমি এর থেকে কিছু বলবো না। তার কারণ হচ্ছে, যিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি নিশ্চয় আপিল করবেন। সেখানে কোন প্রভাব করুক সেটা আমি চাই না।’ সরকার পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এমন মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আনিসুল হক এক কথায় বলেন, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। নিজ নির্বাচনি এলাকা কসবা ও আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক গণসংবর্ধনাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুদিনের সফরে সকালে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে আখাউড়ায় আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এসময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগসহ অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে মন্ত্রীকে স্বাগত জানায়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাসেদুল কাওছার জীবন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া প্রমুখ।উল্লেখ্য, কসবা-আখাউড়া সংসদীয় এলাকা থেকে টানা তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এবং টানা তিন বার আইনমন্ত্রী হওয়ায় শনিবার বিকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে আনিসুল হককে গণ সংবর্ধনা দিবে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের জঘন্য হামলার বিরুদ্ধে নীরব থাকায় বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, ফিলিস্তিনের ওপর বারবার হামলা আর সহ্য করা যায় না।তিনি বলেন, ‘আমি দেখি অনকেই (বিএনপি) চুপ থাকেন। কারণ যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা যদি আবার নাখোশ হয়। তাই যারা নির্যাতিত তাদের কথা বলার সাহস নাই। আর তারা আন্দোলন করে পদত্যাগের ডাক দেয়। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয়।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ সড়ক ভবনে সারাদেশের ৮টি বিভাগের ৩৯টি জেলায় একযোগে নবনির্মিত দেড়শ’ সেতু এবং ১৪টি ওভারপাস উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধের বিরুদ্ধে, আমরা শান্তি চাই। কারণ যুদ্ধের ভয়াবহতা আমরা জীবন দিয়ে দেখেছি। ইসরাইল যেভাবে ফিলিস্তিনের ওপর হামলা করে বিশেষ করে হাসপাতালে হামলা করে শিশু, নারী এবং মানুষ হত্যা করেছে আমরা তার নিন্দা জানিয়েছি । আমাদের কথা হচ্ছে দ্রুত এই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। আর ফিলিস্তিনবাসী তাদের ভূমি যেন তারা ফেরত পায়। যে জায়গাগুলো দখল হয়ে গেছে সেগুলো তাদের ফেরত দিতে হবে।শেখ হাসিনা বলেন, বোমা মেরে মানুষ-শিশু হত্যা করা হল, রক্তাক্ত শিশুদের সেই চেহারা সহ্য করা যায়না। সেজন্য আগামী শুক্রবার আমি সকলকে অনুরোধ করবো জুম্মার পর দেশের প্রতিটি মসজিদে এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেন দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়। কেননা শুধু মুসলিম নয়,হতাহতদের মধ্যে অন্য ধর্মবলম্বীরাও রয়েছে। আর শনিবার আমরা শোকদিবস ঘোষণা করেছি, সেদিন আমাদের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। পাশাপাশি ফিলিস্তিনের যেসব নারী ও শিশুসহ জনগণ এখন কষ্ট পাচ্ছে তাদের জন্য আমরা ওষুধসহ শুকনো খাবার এবং শিশু ও নারীদেও জন্য কিছু প্রয়োজনীয় পণ্য আমরা পাঠাব। কারণ আমাদের যেটুকুই সম্পদ তা নিয়ে আমরা সবসময় দুর্গত মানুষের পাশে আছি। যতটুকু পারি সাহায্য আমরা করবো। এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং তাঁর কার্যালয় থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেছেন বলেও জানান তিনি।ওআইসি ভ’ক্ত দেশের রাষ্ট্রদূত এবং চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে গতকালও বৈঠক করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সকলে এক হয়ে ফিলিস্তিনের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের পাশে আছি। এভাবে তাদের ওপর বার বার আঘাত হানা এটা কখনো মেনে নেয়া যায়না, আমরা মানতে পারিনা।যুদ্ধ ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করে সে অর্থ বিশ্বের শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করার আহবান পুণর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এই অস্ত্র প্রতিযোগিতা এবং যুদ্ধ বন্ধ করে যে টাকা অস্ত্র বানানোর এবং ধ্বংসাত্মক কাজে ব্যয় হয় তা যদি বিশ্বের শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের জন্য ব্যয় করা হয় তাহলে সব শিশুই উন্নত জীবন পেতে পারে, সেটাই আমাদের দাবি, আমি সবসময় একথা বলে আসছি।
আজকে দেড়শ’ সেতু এবং এরআগে গত বছরের ৭ নভেম্বর ও ২১ ডিসেম্বর সারাদেশে ১শ’ সেতু ও ১শ’ সড়ক-মহাসড়ক উদ্বোধনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে অনেক সেতু ও সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ করেছি। সেগুলো মানুষের যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহনে সুবিধা দেবে।তিনি সড়ক ভবন চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি সুদৃশ্য ম্যুরাল ‘তৃতীয় নেত্র’ উদ্বোধন করেন।তিনি একইসঙ্গে অনুষ্ঠানে ডিটিসিএ ভবন, বিআরটিএ’র স্বয়ংক্রিয় মোটরযান ফিটনেস পরীক্ষা কেন্দ্র এবং বিআরটিসির বাস ডিপো ।
সূত্রঃ বাসস
এ ছাড়া ভারত, শ্রীলংকা, নাইজেরিয়া, কেনিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে এদের কার্যক্রম প্রসারিত করে প্রতারণা করেছে। ওইসব দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও ব্যাপকভাবে প্রতারিত হয়েছেন। তারা রেমিট্যান্সের অর্থের একটি অংশ এমটিএফইতে বিনিয়োগ করে এখন তা তুলতে পারছেন না। সংশ্লিষ্টদের ধারণা- করোনার পর অনেক কর্মী বিদেশে গেলেও দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে না। এমটিএফইতে বিনিয়োগ করার কারণেই দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইতোমধ্যে বিভিন্ন উৎস থেকে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৪০০ সিইওর নাম সংগ্রহ করেছে। এখন তাদের অবস্থান ও ঠিকানা সংগ্রহ করার কাজ চলছে। শনাক্ত করা হলে গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তাদেরকে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে হস্তান্তর করা হবে। তখন বিএফআইইউ থেকেও এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে। এদিকে বিএফআইইউ বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সরেজমিনের পাশাপাশি ফেসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে।
এদিকে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের এপ্রিলে একটি পোস্টে এমটিএফই দাবি করেছে, তারা এখন পর্যন্ত ২০ হাজার কোটি ডলার লেনদেন করেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২২ লাখ কোটি টাকা। তবে দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ তাদের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কুয়েত প্রবাসী এক ব্যক্তি প্রথম এমটিএফই-এর স্কিমের কথা কয়েকজনকে জানান। তার একজন আত্মীয়কে গ্রামে প্রতিনিধিও নিযুক্ত করেন। সেই প্রতিনিধির মাধ্যমে পরের কয়েক মাসে গ্রামের আড়াইশর বেশি মানুষ এতে বিনিয়োগ করে প্রতারিত হন। কুয়েতের ওই প্রবাসীও এতে মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করেন। এছাড়া কুয়েতে আরও অনেক প্রবাসী এতে বিনিয়োগ করেছেন বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।
ভারত, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, কেনিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীরাও এতে বিনিয়োগ করেছেন বলে তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তারা এতে বিনিয়োগ করায় দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। এ ছাড়া এমটিএফই-এর মাধ্যমে হুন্ডিতে দেশে রেমিট্যান্সের অর্থও পাঠাত। ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমেছে। দেশের মানুষকে প্রভাবিত করতে এটি ইসলামি শরিয়তসম্মত একটা ব্যবসা বলেও প্রচার চালাত। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এটি দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হলেও ওয়েবসাইটে কানাডার অন্টারিওর একটি ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই ঠিকানায় এই প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো অফিস পাওয়া যায়নি। এই বছরের জুলাইয়ে একটি ওয়েবসাইট চালু করা হলেও এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা দুবাই প্রবাসী বাংলাদেশি মাসুদ আল ইসলামের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এমটিএফই-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দাবিদার মাসুদ আল ইসলামের ফেসবুক প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, তিনি এর আগে পিএলসি আলটিমার সদস্য সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। এটি ছিল আরেকটি এমএলএম ধরনের প্রতিষ্ঠান। এই পিএলসি আলটিমার বাংলাদেশে বেশকিছু গ্রাহক রয়েছে বলে গোয়েন্দা জানতে পেরেছে।
এমটিএফই-এর হিসাব ডলারে করা হলেও বিভিন্ন দেশ থেকে স্থানীয় মুদ্রায় হুন্ডিতে টাকা নেওয়া হতো। একটি পর্যায়ে তা মোবাইল ব্যাংকিং বা ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর করা হতো।
মনোজ কুমার সাহা
আগামীকাল মঙ্গলাবার শোকাবহ আগস্ট মাস শুরু হচ্ছে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আগস্টের প্রথম দিনের প্রত্যুষে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। বুকে ধারণ করা হবে শোকের চিহ্ন কালো ব্যাজ। এদিন সকাল থেকে মাসব্যাপী সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে কোরানখানীর আয়োজন করা হয়েছে।মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শোকাবহ আগস্টের শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি মো. আতিয়ার রহমান, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রশাসন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সগযোগি সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, এ্যাসেনসিয়াল ড্রাগস্, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক. সমাজিক, সাংস্কৃতিক শ্রমজিবি ও পেশাজিবি সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শোকের মাসের বিন¤্র শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এরপর মাসব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক. সমাজিক, সাংস্কৃতিক শ্রমজিবি ও পেশাজিবি সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পালা চলবে।টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ বলেন, আগস্টে বাঙ্গালী জাতি তার শ্রেষ্ঠ সন্তান শতাব্দীর মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছে। তাই এ মাস আমাদের কাছে বেদনার অশ্রু মিশ্রিত শোকার্ত মাস। শোকের মাস পালন উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কালোব্যাজ ধারণ, শোক র্যালি, আলোচনাসভা, দোয়া-মোনাজাত, কোরানখানী,বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণের আয়োজন করেছে। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মামুন বলেন, শোকবহ আগস্টের প্রথম দিনে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনসহ সব দপ্তরের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শোকাবহ আগস্টের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। আগস্টের প্রথম দিনেই ধারণ করা হবে কালো ব্যাজ ।বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের সহকারী কিউরেটর মো. নূরুল ইসলাম বলেন, শোকের মাসের প্রথম দিন সকালে সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স্রে কর্মরতরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন। এরপর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে কালো পতাকা টাঙ্গানো হবে। জাতীয় পতাকা অর্ধ নমিত রাখা হবে। শোকের মাসের জাতীয় সব কর্মসূচিও এখানে পালন করা হবে।টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব আলহাজ মাওলা মু. নওয়াব আলী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, সুলতানা কামাল, পারভীন জামাল রোজীসহ ৭৫ এর ১৫ই আগস্টের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় সমাধিসৌধে মাসব্যাপী কোরআন তেলাওয়াত করা হবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে আমার নেতৃত্বে কোরআন তেলওয়াত শুরু হবে। এছাড়া প্রতিদিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান ও মাতার নাম শেখ সায়েরা খাতুন। বঙ্গবন্ধু আন্দোলন সংগ্রাম করে বাঙ্গালী জাতিকে পারধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত করেছেন। ৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট একদল বিপথগামী সেনা সদস্য এই মহান নেতাকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরের দিন টুঙ্গিপাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে বা-বাবার পাশে বঙ্গবন্ধুর মরদেহ গ্রামের মানুষের সহায়তায় দাফন করে সেনাসদস্যরা। বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধকে ঘিরে পশ্চাদপদ টুঙ্গিপাড়া এখন নব আলোকে উদ্ভাসিত। টুঙ্গিপাড়া এখন বঙ্গালীর তীর্থস্থান। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ এখানে আসেন। তারা বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয়া মোনাজাত করেন। ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ডের কথা স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুর আনাসারীরা তাঁর জন্য কাঁদেন। এ বছরও যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শোকাবহ আগস্টের পুরো মাসজুড়ে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি মানুষ শ্রদ্ধাবনত চিত্তে পুস্পার্ঘ নিবেদন করবেন। বাঙ্গালী জাতির মুক্তির দূত বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শোকের মাস জুড়ে শোকার্ত মানুষের ঢল নামবে। সূত্র বাসস