স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
রবিবার (২৭ আগস্ট) রাতে শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরামুল্লাহ।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বি.এমের সভাপতি ডা. এফ. জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বি. এমের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের আর. এম. ও ডা. ফাইজুর রহমান ফায়েজ। স্কয়ার ফার্মার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস প্রোডাক্ট এক্সসিকিউটিভ মহিবুল ইসলাম, প্রোডাক্ট ম্যানেজার মো.আহসান হাবীব, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মো. খাইরুল ইসলাম প্রমুখ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএমএর আয়োজনে ও স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালের সহযোগিতায় আয়োজিত সায়েন্টিফিক সেশনে ডা. মারুফ হাসান ডেঙ্গুর আধুনিক চিকিৎসার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, স্কয়ারের ঔষধ খুবই গুণগতমানসম্পন্ন। স্কয়ারের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক আমরা এ কামনা করি। ডেঙ্গুজ্বর থেকে সচেতন থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা। এ সময় জ্বর হলে দ্রুত টেস্ট করা ও ডাক্তারদের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন বক্তারা।বাড়ির আঙিনা পরিষ্কারের পাশাপাশি কোথাও পানি যাতে না জমে সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান বক্তারা।
এমন একটি সেমিনারের জন্য স্কয়ারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় জেলায় কর্মরত ১৬০ জন ডাক্তার উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, সকালের দিকে এক ব্যক্তি অতিথি হোটেল থেকে খাবার নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই খাবার মাংসে পঁচা দুর্গন্ধ পান। ওই ব্যক্তি বিষয়টি জানিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে হোটেলে অভিযান চালিয়ে ফ্রিজের ভিতরে পঁচা মাংস ও ইদুর পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় হোটেল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছে। বুধবার বিকালে পৌর শহরের সড়ক বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পৌর কাউন্সিলর সুজন মিয়ার নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে দাবী করেছেন আওয়ামীলীগ সভাপতির ছোট ভাই ফারুক মিয়া।ঘটনার পর তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পৌর কাউন্সিলর সুজনসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী (৬৭) পৌর এলাকা রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা।আটক কাউন্সিলর রাধাগরের বনিক পাড়ার বাসিন্দা ও পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। আওয়ামিলীগ সভাপতিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় নেয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সড়ক বাজারের দরদী ফার্মেসীর ভিতরে চেয়ারে বসাছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী । এসময় এক যুবক সেখানে এসে আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে তর্ক বিতর্ক করেন। এরই মাঝে কাউন্সিলর সুজন মিয়ার ভাই কয়েকজনের দলবল নিয়ে সেখানে এসে আওয়ামী লীগ নেতাকে টেনি হিচড়ে রাস্তায় ফেলে কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়েএসে আওয়ামী লীগ নেতাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।এর আগে গত ২৯ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে নাশকতার অভিযোগ এনে আখাউড়া থানা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুণ অর রশিদ মামলা দায়ের করেন। যদিও সুজনকে দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সামনের সারিতে দেখা গেছে।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী উষা বেগম (৬২) জানান, বুধবার বিকেলে কাউন্সিলরসহ ৪-৫জন লোকজন বাড়িতে ফটকে আঘাত করতে থাকেন। ফটক খুলতেই তারা ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করে এবং তার স্বামীকে খোঁজ করেন। না পেয়ে উষা বেগমকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে তারা।আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, আমি অসুস্থ। এখন কথা বলতে পারব না। পরে কথা বলব।গ্রেপ্তারের আগে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কাউন্সিলর সুজন জানিয়েছেন, একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। মূলত উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার সঙ্গে বিরোধের জের ধরে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আরেক নেতাও এখন এতে যোগ দিয়েছে। আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, পৌর শহরের মসজিদপাড়া থেকে কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপির একটি নাশকতার মামলায় তিনি এজহারভূক্ত আসামী। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যায় মোবারক মিয়া ওরফে কানাই মিয়া (৫০) নামের একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কানাই মিয়া সরাইল উপজেলার পশ্চিম কুট্রাপাড়ার নিবু মিয়ার ছেলে।বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম এ রায় দেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদার উল আলম জানান, রায় ঘোষণার সময় আদালতে কানাই মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
থেমে যাবে না, তোমার পড়ালেখা’ শ্লোগান কে সামনে রেখে সরাইলে ইঞ্জিনিয়ার আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার পলাশের নিজস্ব অর্থায়নে কালিকচ্ছ ও নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ১১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরিদ্র ও মেধাবী ২৭ জন শিক্ষার্থীকে (৩ হাজার টাকা) শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।ইঞ্জিনিয়ার আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার (পলাশ) এর উদ্যোগে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের দত্তপাড়ায় তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী বিল্লাল এর বাড়ি প্রাঙ্গণে এ শিক্ষা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।সরাইল পাইলট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো.আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত “প্রকৌশলী আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার (পলাশ) শিক্ষা বৃত্তি- ২০২৩ ” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সরাইল সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মান বদ্ধর্ন পাল, এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ইঞ্জিনিয়ার আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার পলাশ।এছাড়াও সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বদর উদ্দিন বদু, কালীকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম (মানিক), কালীকচ্ছ এম এ বাশার আইডিয়াল ইনষ্টিটিউট এর শিক্ষিকা নাজমা বেগম, নোয়াগাও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. অহিদ হোসেন, গুনারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেওয়ান রওশন আরা লাকী প্রমুখ। উক্ত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সরাইল উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুজ্জামান লস্কর অপু।স্বাগত বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার পলাশ বলেন- আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের কন্যাণে কাজ করতে পারি।ইঞ্জিনিয়ার আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার (পলাশ) তার নিজস্ব অর্থায়নে শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি চালু করায় বক্তারা তার প্রশংসা করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড়ুরা মৌজার পশ্চিম মেড্ডা (পুলিশ লাইনস্) এলাকায় চলাচলের রাস্তায় রাতের আধাঁরে বালি দিয়ে ভরাট করে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আবু মিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
এতে দুর্ভোগে পড়েছে ওই এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবার। বর্তমানে তারা অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসকের বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মেডুরা মৌজার পশ্চিম মেড্ডা (পুলিশ লাইন্স) হাইওয়ে রোডের পশ্চিম পাশের স্থায়ী বাসিন্দা গণ স্ব স্ব জায়গায় পৌরসভার নিয়মনীতি মেনে শান্তি পূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে, রাস্তাটি হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবাত্তর সম্পত্তি হওয়ার তৎকালীন দেবতার পক্ষের সেবায়েতগণের অনুমতি সাপেক্ষে সংস্কার করিয়া যাতায়াত করে আসছে।
অতিসম্প্রতি জনাব আবু মিয়া নামের একজন এই দেবোত্তর পরিত্যাক্ত ভূমি/নালটি এবং চলাচলের ১৫ ফুট রাস্তাটি বালু দিয়ে ভরাট করার বিষয়ে জানতে চায়লে তিনি সেবায়েত গণের পক্ষে মন্দির হবে বলে তাদেরকে আশ্বস্থ করেন এবং বলেন প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তার অনুমতিক্রমেই এ কাজ করছেন। আবার পরক্ষনে বলেন ভূমি নাকি ক্রয় করেছে। একেক সময় একেক কথা বলেন।
চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দিলে অভিযোগকারীগণ এই বলে বাধা দেয় যে রাস্তা বন্ধ করলে এলাকাবাসী কিভাবে চলাচল করবে। তখন জনাব আবু মিয়া তাদেরকে এই বলে আশ্বস্থ করেন যে চলাচলের কোনো অসুবিধা হবে না, কিন্তু রাতের আধারে অনেক শ্রমিক দিয়ে কাজ করে রাস্তা বন্ধ করে পুরোপুরি ঘর নিমার্ণ করে চলাচলা প্রতিবন্ধকতা ফেলে। বর্তমানে অবরুদ্ধ এলাকাবাসী অনেক কষ্ট করে অন্যদিক দিয়ে যাতায়াত করছেন।
এ বিষয়ে জনাব আবু মিয়া’র সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।