স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিহত জাকির হোসেন উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের সোনামোড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে।
শনিবার বিকাল ৫টার সময় তার আপন ছোট দুই ভাই আক্তার হোসেন (৩৭) ও মুক্তার হোসেন (৩৪) ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে জমি নিয়ে তাদের ভাইদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জেরে ছোট দুই ভাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে জাকির অজ্ঞান হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ডা. তাবরুজ নাঈম সিয়াম যুগান্তরকে জানান, নিহত জাকির হোসেনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
বিজয়নগর থানার ওসি মো. রাজু আহম্মেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ভাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থেকে নারায়ণ চন্দ্র দাস (৬০) নামে এক নৈশপ্রহরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। আজ ভোররাতে উলজেলার রুপসদী ইউনিয়নের বাল্লাকান্দি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নারায়ণ চন্দ্র দাস উপজেলার রুপসদী ইউনিয়নের আশ্রাফপুর গ্রামের দক্ষিণ দাস পাড়ার মৃত দেবেন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নুরে আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নারায়ণ গত দুই বছর যাবত রূপসদী ইউনিয়নের বাল্লাকান্দি বাজারের নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন করছিল। প্রতিদিনের মত গতকাল রাতে ডিউটিতে থাকা অবস্থায় একটি দোকানের ভারি কাঁচযুক্ত কাঠের রেক নারায়ণের উপর চাপা পড়িয়া ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করি। এব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা ছাড়া) হত্যাকান্ডের পর তিনি চরম প্রতিকূল পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হওয়া প্রতিটি মিছিল-সমাবেশে অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
১৯৭৮ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা ও ১৯৮৯ সালে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। স্বৈরাচারি এরশাদ সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা শারিরিকভাবে তৎকালীন সরকারের ক্যাডার বাহিনীর দ্বার বিভিন্নভাবে নাজেহাল হন।
তিনি ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলেন। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও জেলা তথ্য অফিস ভাংচুর ও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছবি ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করলে তাঁকে প্রধান আসামী করে দ্রুত বিচার আইনে দুটি মামলা হয়।
ওয়ান ইলেভেনের সময় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। বড় ছেলে আশিকুল আলম বাবলু (প্রয়াত) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের ভিপি ছিলেন। এছাড়াও বাবলু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
মিনারা বেগম ২০২৩ সালে জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় “সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী” ক্যাটাগরিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জয়িতা সম্মানে ভ‚ষিত হন। তিনি বর্তমানে জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যনের দায়িত্ব পালন করছেন।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেন বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন এমপি। এ হুমকি দেওয়ায় তাঁকে তলব করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) এমপি ফরহাদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ বা শোকজ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পাঁচটায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখা দিতে হবে ফরহাদকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ সহকারি জজ ও অনুসন্ধান কমিটির প্রধান মোহাম্মদ রেজাউল হক স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয়,উপর্যুক্ত বিষয়ের আলোকে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, বিগত ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ইং তারিখে প্রকাশিত দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে “চেয়ারম্যানের নাম মুছতে চান এমপি, হাত ভাঙার হুমকি আ.লীগ নেতার” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যা এই কমিটির গোচরীভূত হয়েছে। উক্ত সংবাদ প্রতিবেদনের ভাষ্যমতে, আপনি জনাব বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন (আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ২৪৩ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০১) বিগত ২২/১২/২০২৩ইং তারিখে রোজ শুক্রবার বিকালে নাসিরনগরের কুণ্ডা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত নির্বাচনি জনসভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি প্রদান করেছেন যার ফলে এই ঘটনার পর থেকে নাসির উদ্দিন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মর্মে প্রতিবেদককে জানান। আপনার উত্তরুপ প্রদত্ত বক্তব্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৭৭(১) অনুচ্ছেদ ও সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ১১ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন মর্মে অত্র কমিটির নিকট প্রতীয়মান হয়। এমতাবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন নির্বাচন কমিশনকে সুপারিশ করা হবে না তৎমর্মে আগামী ২৫/১২/২০২৩ইং তারিখ বিকাল ৫:০০ ঘটিকার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৯১এ (৫) (এ) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে আপনাকে নির্দেশ প্রদান করা হল।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেন সেখানকার সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজ্জান মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। গত শুক্রবার বিকেলে নাসিরনগরের কুণ্ডা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওই নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ঘটনার পর থেকে নাসির উদ্দিন নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন বলে জানান। জনসভায় এমপি ফরহাদ হোসেন বক্তব্যে বলেন, “নাম বলতেও আমার লজ্জা লাগে। নিজেকেই আমার প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করে, আমি কি মানুষ এত কম চিনলাম। নাম ধরেই বলছি- নাসির (ইউপি চেয়ারম্যান) আপনাদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আমি খুব অবাক হয়ে গেছি। আগেরদিন আমার সঙ্গে সে মিছিল করেছে নৌকার। হঠাৎ কী হলো? এত কথা, কাজের অমিল। কিন্তু তুমি মনে রেখো, তুমি খালি কুণ্ডাবাসী নও, এই নাসিরনগর থেকে তোমার নাম মুছে যাবে। আমি আজকে বলে দিয়ে গেলাম। নড়চড় মানুষকে কেউ পছন্দ করে না। আমি তো তোমাকে ডাকিনি, তুমিই এসেছিলে। তুমি স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করছিলে ভালো কথা। আমি বলেছিলাম, তুমি কাজ করো। তোমাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এর মানে এই নয় যে, তুমি নৌকায় উঠে নৌকার পিঠে ছুরি মারবা। তাহলে তুমি বোকার স্বর্গে বাস করছো।’
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাহফিল থেকে ফেরার পথে বক্তার ওপর হামলাকারীদের মধ্যে ৪ জনকে আটক করেছে র্যাব-৯। বুধবার (৮মার্চ)জেলা শহরের পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন র্যাব-৯-এর অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।আটককৃতরা হলেন বিজয়নগর থানার শ্রীপুর গ্রামের জাকির হোসেন জাক্কু (৪৮), মাহবুবুল আল শিমুল(৩৩), চাওড়া গ্রামের সুমন (৩৫) ও কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার বিংলা বাড়ি গ্রামের মোঃ আমিরুল ইসলাম রিমন(২০)। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে র্যাব-৯-এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মুমিনুল হক বলেন, গত ৫ মার্চ রোববার রাত সোয়া বারোটার দিকে হযরত মাওলানা মুফতি শরীফুল ইসলাম নূরী বিজয়নগরের দৌলতবাড়ি দরবার শরীফের মাহফিল শেষ করে তার পরিচিত একজনসহ মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের রামধননগর রেল ক্রসিংয়ের উত্তর পাশে ফাঁকা রাস্তার পাশে পৌঁছামাত্র অজ্ঞাতনামা কয়েকজন তাকে হামলা করে তার জিহ্বা কেটে ফেলে। এ ঘটনায় আহতের চাচা মোঃ আব্দুল বাছির ভূঁইয়া (৫৫) বাদী হয়ে এজহার নামীয় ২ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৫ থেকে ৭ জনের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। র্যাবের ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে র্যাব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাবের একাধিক আভিযানিক দল ৭ মার্চ হত্যা চেষ্টার সাথে জড়িত ১ জন এজহারভুক্ত আসামীসহ ৪ জনকে আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ইসলামী বক্তা মাওলানা শরীফুল ইসলাম নূরীর দৌলত বাড়ি মাহফিলে বক্তব্যের কিছু অংশ আসামীদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয় নাই এবং সেই বক্তব্যে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। ভিকটিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। যার ফলশ্রুতিতে ফেরার পথে আসামিরা ভিকটিমের উপর অতর্কিত হামলা করে জিহ্বা কেটে ফেলে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অন্তর্গত আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ মতবিনিময় সভা করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের এমপি ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে দল গোছানোর পাশাপাশি নির্বাচনমুখি নানা কর্মকান্ড পরিচালনা করছে দলটি। দলের সাংগঠনিক অবস্থা তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আখাউড়া পৌরসভা ভবনের তৃতীয় তলায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল লিখিত বক্তব্যে বলেন, দলকে শক্তিশালী করতে নবীন প্রবীনের সমন্বয়ে পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নের মেয়াদোত্তীর্ণ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগসহ সহযোগি সংগঠনগুলোর নতুন কমিটি গঠনের কাজ চলছে। এতে তৃনমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে আখাউড়ায় আওয়ামীলীগ অনেক বেশি শক্তিশালী। আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে আখাউড়ায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শহর থেকে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। সমাজের দর্পন হিসেবে সরকারের এসব উন্নয়ন গণমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান তিনি। আখাউড়ায় আওয়ামীলীগে কোন গ্রুপিং বা বিভেদ নাই। দলের নবীন-প্রবীণ সকল নেতাকর্মীকে মূল্যায়ন করেই জাতীয় নির্বানকে সামনে রেখে দলীয় কর্মকান্ড চলছে। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূইয়া, মোঃ মনির হোসেন বাবুল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আব্দুল মমিন বাবুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।