স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম জানান, বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় আদালতের মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সেই কর্মকর্তাকে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
জুয়েল মিয়া
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিএনপি নেতা যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরকে সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিচার ও জামিনের বিষয়ে একমাত্র আদালত কথা বলতে পারবে।’
বিএনপি নির্বাচনে এলে সব নেতাদের মুক্তি দেওয়া হবে, কৃষি মন্ত্রীর দেওয়া এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিমন্ত্রী যা বলেছেন সেটি তার ব্যক্তিগত অভিমত। এটা দলের অভিমত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে বিএনপি যখন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করে স্বৈরশাসন চালাচ্ছিল, তখন বিচার বিভাগকে করাপ্ট করা হয়েছে। এখন সে অবস্থা নেই। বর্তমানে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার সড়ক বাজার এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, বিগত দশ বছরে কসবা-আখাউড়ায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। জনগণের ভালবাসায় আগামীতেও এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখা হবে। এ সময় আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ দিকে মন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। পরে তিনি আখাউড়ার কল্লা শহীদ মাজার জিয়ারত করেন।
আদিত্য কামাল
মোঃ হাবিব মিয়া (৫০) নামে মানসিক ভারসাম্যহীন একজন ব্যক্তি গত বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর (এলহামপাড়া) নিজ বাড়ি থেকে সবার অগোচরে বের হয়ে যায় এবং অদ্য পর্যন্ত আর ফিরে আসেনি। তাহার পরিবার আত্নীয়-স্বজনের বাড়িতে ও সম্ভাব্য সকল স্থানে খুঁজাখুঁজি করিয়াও তাহার সন্ধান পায়নি।
হারানোর সময় তার পরনে ছিল লাল খয়েরি শার্ট, লুঙ্গী পরিহিত এবং তাহার গলায় একটি লুঙ্গী সবসময় ঝুলানো থাকে, গায়ের রং শ্যামবর্ণ, শরীরের গড়ন পাতলা, মাতার চুল কালো ছোট, মুখমণ্ডল গোলাকার, মুখমন্ডলে সামান্য দাড়ি আছে, উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটা জিডি করা হয়েছে। জিডি নং – ৯২৯ । যদি কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি তার সন্ধান পান তাহলে নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
যোগাযোগের ঠিকানা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা অথবা তাহার বড় ভাই মোঃ মিয়াচান মিয়া, পিতা মৃত মোতালিব মিয়া, গ্রাম: ভাদুঘর (এলহামপাড়া), থানা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া। মোবাইল : ০১৭৫৩১৭৬৮৬১
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। রবিবার ( ৭ এপ্রিল) রাত ১১ ঘটিকার সময় গোগন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলেন জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর গ্রামের নছর উদ্দিনের ছেলে ফয়সাল (২৭), একই গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম (২২), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাটপারা গ্রামের মৃত ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মোফাজ্জল হোসেন (২৭) এবং একই গ্রামের মলাই মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান(২১)। এসময় তাদের নিকট হইতে দেশীয় তৈরি এসএস পাইপের চাইনিজ কুড়াল ও রামদা উদ্ধার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সূত্র জানায়, এসআই (নিঃ) জুলফিকার, এসআই ইসমাইল হোসেন, এসআই রেজাউল করিম সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বড় হরণ এর বাসিন্দা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জগত বাজারের মেসার্স আল মদিনা বাণিজ্যালয় এর স্বত্বাধিকারী মোঃ আশিকুল ইসলাম (৩৪) ও মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া (৪০) বাড়ি ফেরার সময় ব্যবসায়িক টাকা ভর্তি ব্যাগ ডাকাতি করার জন্য সদর থানার বড় হরণ গ্রামের ফাঁকা ব্রিজের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হয়ে অপেক্ষমান থাকা অবস্থায় ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের সহযোগী আশুগঞ্জ উপজেলার মধুরহাটি গ্রামের নাছির মিয়ার ছেলে রাজীব (২৩) এবং একই এলাকার কাওছার (২৫) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফজাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ডাকাত দলের নতুন সদস্য। ডাকাত দলের সর্দার লালপুর এলাকার কাওছার পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেছে। ডাকাত দলের সর্দার কাওছারের নামে ডাকাতির মামলা আছে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আদিত্ব্য কামাল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকার ভাদুঘরে ৭ জনকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছেন ‘নারী বিদ্বেষী’ এক যুবক। এ সময় ১ নারী নিহত হয়েছেন। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় ঘাতক সিহাব মিয়াকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আহত নয়ন মণি জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে আমরা বাড়ি থেকে বের হয়ে পুকুর পাড়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় আমাকে দা দিয়ে মাথায় আঘাত করলে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। তবে আমার সঙ্গের কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে যায়।
নয়ন মণীর ভাই জুনায়েদ বলেন, ‘সিহাব গত এক মাস আগে জেল থেকে বের হয়েছেন। সে প্রায়ই রাস্তাঘাটে মানুষকে বিরক্ত করতো’।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত সিহাব ‘নারী বিদ্বেষী’ ছিলেন। প্রতিনিয়ত নারীদের রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতো বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। তবে আহত ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
মাদকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলেছেন। সেভাবেই আমরা কাজ করছি। মাছ গিয়ে মাদক আসাটা অনাকাঙ্ক্ষিত। বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান বন্দর পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন। সীমান্ত হত্যা সম্পর্কে তিনি বলেন কোন একটা জীবন মেরে ফেলুক এটা কারোরই কাঙ্ক্ষিত না। তারাও (বিএসএফ) চায় না, আমরাও চাই না। সবাই চায় সীমান্ত হত্যা কতটা নীচে নামিয়ে আনা যায়।তিনি আরো বলেন ডিজি লেভেলের সম্মেলনে আমরা অনেক ধরনের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি। সেই আলোচনায় আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করছি। এগুলো (সীমান্ত হত্যা) আরো বেশি হতে পারতো। এগুলো আমরা কমিয়ে নিয়ে আসছি। তবে আমাদের চেস্টা থাকবে সীমান্ত হত্যা আরও কতটা নিচে নামিয়ে নিয়ে আসতে পারি।বিএসএফ এর বাঁধায় আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবন এবং কসবা রেলওয়ে স্টেশন এবং সালদা নদী সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন ইমিগ্রেশন ভবনের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। কসবা স্টেশন এবং সালদা নদী সেতুর বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেস্টা করছি। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর বিএসএফের সাথে যোগাযোগ করেছি। আশা করছি খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে। পরিদর্শন শেষে তিনি কসবায় যান।