স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
অপহৃত টেম্পু বেপারী জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা বেপারীপাড়ার মো. আবদুস সালাম বেপারীর ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করে ট্রেনসহ বিভিন্ন এলাকায় হকারি করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কসবা উপজেলার বাদৈর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে মো. ফারুক মিয়া-(৪৫), একই উপজেলার কুইয়াপানিয়া গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে জাহের মিয়া ওরফে বোচন-(৫৫) ও খিদিরপুর গ্রামের হান্নান মিয়ার ছেলে মাহবুবুর রহমান-(২৬)। পুলিশ জানায়, গত ১৭ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০ টার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী ব্রীজের উপর থেকে টেম্পু বেপারীকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে অপহরণকারীরা টেম্পু বেপারীর পরিবারের সদস্যদের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করেন। মুক্তিপনের টাকা না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। অপহরণকারীদের কথামতো টেম্পু মিয়ার পরিবারের সদস্যরা বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা মুক্তিপন পাঠায় ও বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে।
পরে পুলিশ গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার গভীর রাতে কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে টেম্পু মিয়াকে উদ্ধার সহ তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় টেম্পু মিয়ার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে নেয়া মুক্তিপনের ১ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাদক কারবারির ছুরিকাঘাতে খাইরুল ইসলাম নামে পুলিশ কনস্টেবল আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।শনিবার (৬ মে) আখাউড়া থানার উপপরিদর্শক নুপুর কুমার দাস বাদী হয়ে ৫৪ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় শুক্রবার (৫ মে) রাত থেকে রোববার (৭ মে) পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে শীর্ষ মাদককারবারিসহ ৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া মাদক কারবারিদের রোববার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, পুলিশ কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আমরা তিন দিনের সাড়াশি অভিযান চালিয়ে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীসহ ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের প্রত্যকের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল, ৭০ বোতল বিয়ার, চার কেজি গাঁজাসহ দেশীয় অনেক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই সব মাদককারবারি এলাকা ছেড়ে দিয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভুল চিকিৎসায় শাহিদা আক্তার খুকি (২৩) নামের এক প্রসূতি মা ও তার নবজাতক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।শুক্রবার (৫ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নর্মাল ডেলিভারির সময় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকালের দিকে প্রসূতির প্রসব ব্যথা হলে নরমাল ডেলিভারির জন্য আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করানো হয়।চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকসহ মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে নিহত প্রসূতি পরিবারের স্বজনেরা এই অভিযোগ করেন। ঘটনাটি টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। নিহত প্রসূতি পৌরসভা মসজিদপাড়ার বাদিন্দা ও কসবা উপজেলার ধর্জয়নগর এলাকার কুয়েত প্রবাসী শাহীন মিয়ার স্ত্রী।নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মিডওয়াইফ আমেনা আক্তার সুমনার মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। নবজাতক জন্মের পর প্রচুর ব্লিডিং হয় এবং ব্লিডিং বন্ধ না হওয়ায় ও নবজাতকের শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট হওয়ায় কর্তব্যরত মেডিক্যাল অফিসার গোলাম মোস্তাফা উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে রেফার করেন। পরে আত্মীয়-স্বজন প্রসূতি ও নবজাতক শিশুটিকে সদর হাসপাতাল না নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবজাতক হাসপাতালে নিয়ে যান। নবজাতক হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার হাসপাতালে ভর্তির পূর্বেই প্রসূতিকে দেখেই মৃত্যুবরণ করেছে বলে জানান। পরবর্তীতে তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে যান। সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে দুপুর একটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহতের বোন মাহমুদা বেগম জানান, ডাক্তার ও চিকিৎসকের অবহেলার কারণে আমার বোন ও বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে। আমরা তাদের বিচার চাই।আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. হিমেল খান জানান, আমি চিকিৎসকের সাথে কথা বলে জেনেছি রোগীর অবস্থা ভালোই ছিলো এবং আমরা স্ববাবিক ভাবেই নরমাল ডেলিভারি করেছি এক পর্যায়ে তার ব্লেডিং শুরু হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেফার করা হয়।চিকিৎসকের অবহেলায় মারা যায়নি বলে অস্বিকার করে বলেন, তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদরে রেফার করেছি কিন্তু তারা প্রাইভেট একটি হাসপাতালে ভর্তি নেন। তারপরও চিকিৎসকের যদি কোন ভুল থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে নিয়েছেন জাকের পার্টির প্রার্থীরা। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।জেলার ছয় আসনের মধ্যে পাঁচজন প্রার্থী উপস্থিত থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একজন দেশের বাইরে থাকায় অনলাইনের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে প্রত্যাহার করেন।প্রত্যাহার করা প্রার্থীরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে জাকির হোসেন চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন জহিরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে সেলিম কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন থেকে জাহাঙ্গীর আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসন থেকে জামসেদ মিয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে আব্দুল আজির।জেলা জাকের পার্টির সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা প্রার্থী জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমরা পাঁচজন প্রার্থী উপস্থিত হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। বাকি একজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের প্রার্থী দেশের বাইরে থাকায় অনলাইনে আবেদন করে প্রত্যাহার করেছেন তিনি।তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা আছে কিনা তা বুঝতেই পারছেন। আমরা কোনো সমঝোতার নির্বাচনে অংশ নিবো না।