স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জনি মিয়া ও আওয়াল মিয়া রাতে তালশহর বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাজার সংলগ্ন সেতু অতিক্রম করতেই কয়েকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করে। এসময় ছুরিকাঘাতে জনি মিয়ার পায়ের রগ কেটে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পায়। এসময় আওয়ালকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় প্রেরণ করেন। তারা ঢাকায় যাওয়ার পথে রাত ২টার দিকে নরসিংদীতে জনি মিয়া মারা যান।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ জানান, পায়ে ও পেটে ছুরির আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কারণে জনির মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের লিখিত অভিযোগের প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায় অনতি বিলম্বে গ্যাস সরবরাহের দাবিতে শ্রমিক-কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছেন । রোববার (২৩ জুলাই) সকালে এএফসিসিএল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের আয়োজনে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচী পালিত হয়। আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি তৈমুর রহমান, সাবেক সভাপতি সোহরাব হোসেন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহিদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উৎপাদন চালু থাকলে আশুগঞ্জ সার কারখানা থেকে প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করা হয়। এই সার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। তারা আরও বলেন,একটি ইঞ্জিন দীর্ঘদিন চলার পর যখন কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে তখন যন্ত্রাংশ খুলে পরিষ্কার, মেরামত ও পরিবর্তন করে পুনঃসংযোগ করাকে ওভারহলিং বলে। গত ১ মার্চ থেকে ওভারহলিংয়ের জন্য আশুগঞ্জ সার কারখানায় দুই মাস উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়। ওভারহলিং শেষে মে মাস থেকে কারখানা চালু করতে চাইলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ। তাই প্রায় পাঁচ মাস ধরে কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকায় যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত গ্যাস সরবরাহ না করা গেলে কারখানাটি পুনরায় চালু রাখা সম্ভব হবে না। তাই কারখানা বাঁচাতে শ্রমিক-কর্মচারীরা আন্দোলনে নেমেছেন এবং তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। কর্মসূচির মধ্যে ২৪ জুলাই ও ২৫ জুলাই কারখানায় গেটে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে। তিনদিনের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ না করা হলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় খাল ভরাট করে দখলের পর এবার ব্রিজ ভেঙ্গে ফেলছে একটি প্রভাবশালী মহল। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের অন্তর্গত বনগজ মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ সংলগ্ন লতিফ খন্দকার ও রমজান মিয়ার বাড়ির পাশের খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে।উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি না নিয়েই ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলছে তারা। ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আলিমকেও পাওয়া যায়। বনগজ গ্রামের মৃত ছেলু মিয়ার ছেলে সফিকুল ইসলাম সফিক এবং শাহেদ মিয়ার ছেলে কালন মিয়ার নেতৃত্বে ও তত্বাবধানে ব্রিজটি ভাঙ্গা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়। ব্রিজটি ভাঙ্গার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা হলেন ছাদেক হোসেন ও মিজান মিয়া। তাদেরকে সফিক ও কালন মিয়া ব্রিজ ভাঙ্গার এই কাজে নিযুক্ত করেছেন বলে তারা জানান। ব্রিজের জায়গায় গণমাধ্যমের উপস্থিতি টের পেয়ে কালন ও সফিক আত্মগোপনে চলে যান। পরে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে তখনকার স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট শাহ আলমের আমলে খালটির ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। খালটির দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াত ও যোগাযোগের সুবিধার জন্য ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন ধরে খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটির দুইপাশের একটি বৃহৎ অংশ মাটি ফেলে ভরাট করে দখল করে ফেলেছে। এতে খালটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। এখন ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলে খালের পুরো অংশ ভরাট করে দখল করার পায়তারা চালাচ্ছে ওই প্রভাবশালী মহলটি। আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের সার্ভেয়ার জহুরুল ব্রিজ ভাঙ্গার মৌখিক অনুমতি দিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্রিজ ভাঙ্গার বিষয়ে আমার নামে এমন একটি কথা আমিও শুনেছি। তবে এটি সত্য নয়। ব্রিজ ভাঙ্গতে হলে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়।ব্রিজ ভাঙ্গার বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার বলেন,‘ আসলে এই বিষয়টি আমি আপনাদের (সংবাদকর্মীদের) মাধ্যমে প্রথম অবগত হয়েছি।আমরা পরবর্তীতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।খালটির দুইপাশে ভরাটের বিষয়টিও অবগত হলাম, আমরা পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেব। ব্রিজটি ভাঙ্গার জন্য কোনো ধরনের অনুমতি চাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।’আখাউড়া তন্তর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা এবিএম ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি(এসিল্যান্ড)স্যার আমাকে পাঠাইছে। ব্রিজটি যে ভাঙ্গতেছে এটা দেখার জন্য আমি সরজমিনে আসছি।স্থানীয় মেম্বার বলছে তিনি ব্রিজ ভাঙ্গার বিষয়ে জানেন না।যারা ব্রিজ ভাঙ্গার কাজ করছে তারা কালন ও সফিকের নাম বলছে। ওনারা ভাঙ্গাইতাছে। ধরখার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলেছি। চেয়ারম্যান বলতাছে প্রাইমারি স্কুলের উন্নয়নের কাজ হইতেছে। সরকারী কাজের মালামাল এখান দিয়ে যাবে। ব্রিজটি থাকলে মালামাল নিতে সমস্যা হয়ে যায়।’এবিএম ফরিদ উদ্দিন আরও বলেন,‘ আমার ধারণা সম্ভবত এখানে একটি খাল ছিল। খালটি তো দেখা যায় এখন ভরাট করে ফেলছে।এখন স্কুলের মালামাল নেওয়ার জন্য ব্রিজটি ভাঙ্গতেছে। আমি কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলে গেছি এবং চেয়ারম্যান সাহেবকে বলে গেছি এসিল্যান্ড স্যারের সাথে কথা বলার জন্য। উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি না নিয়ে ব্রিজ ভাঙ্গতো পারেনা। সরকারি ব্রিজ ভাঙ্গতে গেলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।’
দিনটি পালনে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের আনন্দময়ী কালিবাড়ি থেকে একটি বর্ণ্যাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। এতে বিভিন্ন বয়সী নারী,পুরুষ, শিশুসহ বিপুল সংখ্যক পূণ্যার্থীরা অংশগ্রহন করেন।
এ সময় ভক্তবৃন্দরা ঢাক-ঢোল আর কাসার তালে তালে শ্রী কৃষ্ণের বন্দনা করে কীর্তন করেন। এছাড়া নানা সাজে সজ্জিত হয়ে মহাবতার শ্রী কৃষ্ণের বিভিন্ন লীলা বিলাসের নাট্যপ্রদর্শন করেন। বর্ণ্যাঢ্য আয়োজনে পুরো শহর মূখরিত হয়ে উঠে।
শোভাযাত্রাটি লোকনাথ টেংকের পাড় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফের আনন্দময়ী কালিবাড়িতে এসে শেষ হয়। এছাড়াও দিনটি পালনে গীতা পাঠসহ নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেলেনা পারভীন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা পূজা উদযান পরিষদের আহবায়ক এডঃ প্রণব কুমার দাস উত্তম, সদস্য সচিব সঞ্জীব চন্দ্র সাহা বাপ্পি, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক উপ দপ্তর সম্পাদক স্বপন রায় প্রমূখ।
প্রসঙ্গত, হিন্দু পুরান মতে আজ থেকে ৫ হাজার ২শ বছরেরও আগে দ্বাপর যুগে অধর্মের নাশ করে ধর্ম স্থাপনায় ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ এই ধরাধামে অবতার গ্রহন করেন।