স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিদেশী পিস্তলসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে অস্ত্র আইনে মামলা করে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ওই যুবক পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর জেলার রায়পুরা উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের বরকত উল্লাহর ছেলে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় কেদারখোলা গ্রাম থেকে মামুন (২৭) নামের ওই যুবককে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। জানা যায়,উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের কেদারখোলা গ্রামে অপরিচিত এক যুবকের অস্বাভাবিক ঘুরাফেরা সন্দেহ হলে স্থানীয় যুবকরা তাকে অস্ত্রসহ আটক করে নবীনগর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহবুব আলম জানান,খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় কেদারখোলা গ্রামের নদীর পাড় থেকে পিস্তলসহ ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত যুবকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে নবীনগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণ অধিকার পরিষদের আলোচনা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪টার সময় জেলাশহরের কাউতলীতে অবস্থিত নওমী চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ অনুষ্ঠান হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে উক্ত অনুষ্ঠানে জেলা ছাত্র, যুব, শ্রমিক এবং প্রবাসী অধিকার পরিষদ সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সদস্য সচিব মোহাম্মদ আতাউল্লাহ। জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি কাজী রাজীউর রহমান তানভীরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহিল আহমেদ এর সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য আশরাফুল হাসান তপু, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফোরকান বিন ফরিদ, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.জুয়েল মিয়া, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফোরকান উদ্দিন মুন্না, জেলা ছাত্র অধিকারের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আহমেদ, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাবেক সদস্য সচিব মো.সুজন আকবর, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান উবায়দুল্লাহ, শ্রমিক অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন,শাহাদাত নুর লিটন, সবুজ খান জয়, ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ইব্রাহিম সহ অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী। এসময় বক্তারা মাহে রমজানের তাৎপর্য ও দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেন।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। রবিবার ( ৭ এপ্রিল) রাত ১১ ঘটিকার সময় গোগন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলেন জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর গ্রামের নছর উদ্দিনের ছেলে ফয়সাল (২৭), একই গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম (২২), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাটপারা গ্রামের মৃত ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মোফাজ্জল হোসেন (২৭) এবং একই গ্রামের মলাই মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান(২১)। এসময় তাদের নিকট হইতে দেশীয় তৈরি এসএস পাইপের চাইনিজ কুড়াল ও রামদা উদ্ধার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সূত্র জানায়, এসআই (নিঃ) জুলফিকার, এসআই ইসমাইল হোসেন, এসআই রেজাউল করিম সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বড় হরণ এর বাসিন্দা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জগত বাজারের মেসার্স আল মদিনা বাণিজ্যালয় এর স্বত্বাধিকারী মোঃ আশিকুল ইসলাম (৩৪) ও মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া (৪০) বাড়ি ফেরার সময় ব্যবসায়িক টাকা ভর্তি ব্যাগ ডাকাতি করার জন্য সদর থানার বড় হরণ গ্রামের ফাঁকা ব্রিজের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হয়ে অপেক্ষমান থাকা অবস্থায় ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের সহযোগী আশুগঞ্জ উপজেলার মধুরহাটি গ্রামের নাছির মিয়ার ছেলে রাজীব (২৩) এবং একই এলাকার কাওছার (২৫) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফজাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ডাকাত দলের নতুন সদস্য। ডাকাত দলের সর্দার লালপুর এলাকার কাওছার পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেছে। ডাকাত দলের সর্দার কাওছারের নামে ডাকাতির মামলা আছে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার তেরকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সরাইল সদর ইউনিয়নের নিজ সরাইল গ্রামের লোকমান মিয়া (২৯), আমজাদ হোসেন (১৮) ও শরীফ মিয়া (১৬)। সরাইল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, তেরকান্দা গ্রামের একটি বাড়িতে বাউন্ডারির দেওয়াল নির্মাণ চলছিল। এ সময় নির্মাণকাজে ব্যবহৃত লোহার রড অসাবধানতাবশত বিদ্যুতের তারে স্পর্শ করে। এতে তারা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন।
তিনি আরও বলেন, তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও বলেন, নিহতদের পরিবার লাশগুলো কাউকে কিছু না বলে বাড়িতে নিয়ে গেছে। লাশ ফিরিয়ে এনে হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
এনিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মামলার বাদি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের এপিপি মাসুদুর রহমান (সোহাগ)। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর কোন উপায় না দেখে আমি ৯৯৯: এ কল দিলে পুলিশ আসে। পরে সেখান থেকে আসামীদের আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমি উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বলেছি, যেহেতু ঘটনার সূত্রপাত মোবাইলে ছবি-ভিডিও ধারণ করা নিয়ে তাই আসামীর মোবাইল জব্দ করুন। কিন্তু তারা আমার কথায় কর্ণপাত করেননি। শুধু বলছিলেন, সাথে কোন নারী পুলিশ সদস্য নেই। একটি মোবাইল জব্দ করতে নারী পুলিশ সদস্যের প্রয়োজন কি হয়! রাতে আমি থানায় লিখিত এজহারে বিস্তারিত উল্লেখ করে জমা দিয়েছি। সেখানে মোবাইলে ভিডিও ধারণের কথা বলা হয়েছে। সেই এজহারেই মামলাটি নথিভুক্ত করলেন। কিন্তু এফআইআরের প্রাথমিক তথ্য বিবরনীতে মোবাইলের ভিডিও ধারণের কোন বিষয় উল্লেখ নেই। আসামীদের বিরুদ্ধে শুধু মারধোর ও চুরির ধারা যুক্ত করে মামলাটি এফআইআর করা হয়েছে। আদালতে সেই বিষয়টি নজরে এসেছে।
এই বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার পরিদর্শক সুমন চন্দ্র বনিক বলেন, ‘মোবাইলটিতে কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই সেই ধারা যুক্ত করা হয়নি। তাই মোবাইলটি জব্দ করা হয়নি।’ মোবাইল থেকে তো কেটেও ফেলা যায়। লিখিত এজহারে যেহেতু মোবাইলে ভিডিও করার অভিযোগ আনা হয়েছে, সেই অনুযায়ী মোবাইলটি জব্দ হওয়ার কথা৷ তা ফরেনসিকে পাঠানোর কথা। এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোবাইলটি আমাদের এক সদস্যের কাছে। তা প্রয়োজনে জব্দ করা হবে।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পুকুরে বৈদ্যুতিক লাইট ঝুলাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেহেদী হাসান রনি (৩৭) নামে এক যুবক মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মেহেদী হাসান রনি ওই এলাকার আব্দুল মান্নান শাহর ছেলে। নিহত রনি উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা ছিলেন । রনির মৃত্যুতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আখাউড়া পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সহ অসংখ্য মানুষ শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান৷ শুক্রবার সকাল ১১টায় নুরপুর গ্রামে স্কুল মাঠে তার যানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। মারা যাওয়া রনির শ্যালক হাসান মাহমুদ পারভেজ বলেন, আমার একমাত্র ভগ্নিপতি মেহেদী হাসান রনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুকুরের খুঁটি পুঁতে বৈদ্যুতিক লাইট ঝুলাতে যান। এ সময় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পানিতে পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।পারভেজ আরও বলেন, রনির ভাই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। আগস্টে তার দেশে আসার কথা। ভাইয়ের সঙ্গে একমাস পর দুলাভাইয়েরও প্রবাসে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। আমার বোনটি একা হয়ে গেলো।আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।