স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ১০৪ কেজি গাঁজা ও ১টি কাভার্ডভ্যানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজা এলাকা থেকে গাঁজা সহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম জিয়াউর রহমান (৩৮)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার দেলি উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত খেলু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানার এসআই মোঃ কবির হোসেন বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন। আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ বলেন, মাদক উদ্ধারের অভিযানের সময় একটি কাভার্ডভ্যানে তল্লাশি করে ১০৪ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। এই ঘটনায় এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে।গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারিকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরও জানান, আশগুঞ্জ থানার অপরাধ দমন, আসামি গ্রেফতার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন মহোদয়ের নির্দেশে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার তেরকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সরাইল সদর ইউনিয়নের নিজ সরাইল গ্রামের লোকমান মিয়া (২৯), আমজাদ হোসেন (১৮) ও শরীফ মিয়া (১৬)। সরাইল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, তেরকান্দা গ্রামের একটি বাড়িতে বাউন্ডারির দেওয়াল নির্মাণ চলছিল। এ সময় নির্মাণকাজে ব্যবহৃত লোহার রড অসাবধানতাবশত বিদ্যুতের তারে স্পর্শ করে। এতে তারা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন।
তিনি আরও বলেন, তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও বলেন, নিহতদের পরিবার লাশগুলো কাউকে কিছু না বলে বাড়িতে নিয়ে গেছে। লাশ ফিরিয়ে এনে হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
আদিত্ব্য কামাল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকার ভাদুঘরে ৭ জনকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছেন ‘নারী বিদ্বেষী’ এক যুবক। এ সময় ১ নারী নিহত হয়েছেন। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় ঘাতক সিহাব মিয়াকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আহত নয়ন মণি জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে আমরা বাড়ি থেকে বের হয়ে পুকুর পাড়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় আমাকে দা দিয়ে মাথায় আঘাত করলে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। তবে আমার সঙ্গের কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে যায়।
নয়ন মণীর ভাই জুনায়েদ বলেন, ‘সিহাব গত এক মাস আগে জেল থেকে বের হয়েছেন। সে প্রায়ই রাস্তাঘাটে মানুষকে বিরক্ত করতো’।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত সিহাব ‘নারী বিদ্বেষী’ ছিলেন। প্রতিনিয়ত নারীদের রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতো বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। তবে আহত ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকাল ৮টায় উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরমানন্দপুর গ্রামের নুর আলী-আইয়ুব গ্রুপ ও মতি-জাফর গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে আজ সকালে সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে নুরআলী-আইয়ুব গ্রুপের লোকজন মতি-জাফর গ্রুপের লোকজনকে ডাকাডাকি শুরু করে। পরে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আ.স.ম আতিকুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সংঘর্ষে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ( সদর- বিজয়নগর) আসনটিতে মোট ভোটার ৫ লাখ ৬০ হাজার ৩৮৪ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’র অনুচ্ছেদ ১২’র দফা (৩ক) (ক) এর বিধান অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দাখিল করা আবশ্যক। এই শর্তে এ আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধতার জন্য প্রায় ছয় হাজার ভোটারের সমর্থন সম্বলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দাখিল করা প্রয়োজন। এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান শর্ত পূরন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তার সমর্থনকারী শতকরা একভাগ ভোটারের স্বাক্ষরপত্র থেকে দৈবচয়নের মাধ্যমে যে ১০ জন চিহ্নিত করা হয় তাদের মধ্যে মীর বাইজিদ নামের একজনের স্বাক্ষর দৈবচয়নের স্বাক্ষরের সঙ্গে মিল না পাওয়ার কারন উল্লেখ করে তার মনোনয়ন বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে ওলিওর অভিযোগ তার সমর্থনকারীদেরকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে স্বাক্ষর জটিলতা সৃষ্টি করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। নিরপেক্ষ আচরণ না করার কারনে ওলিওর ছেলে সুলতানপুর ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেওয়ার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।ফিরোজুর রহমানের সমর্থনকারী ও স্থানীয়রা বলছেন, ওলিও সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪১ হাজারের চেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান হয়েছেন৷ মোট ভোটারের ১% সর্বোচ্চ ৬ হাজার ভোটারের সমর্থনের স্বাক্ষরের মধ্যে ভুল দেখিয়ে প্রার্থীতা বাতিল রহস্যজনক।
ভোটযোদ্ধের আগেই নির্বাচনী মাঠ থেকে তাকে বাদ দিয়ে দেওয়ার অপকৌশল মনে হচ্ছে। কারন তিনি এই আসনের একজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। আশা করছি নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থীতা ফেরত দিবেন ।উল্লেখ,পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০১৯ এ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও নিকটতম আ.লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীকে ৪১ হাজার ৩শত ২৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান আনারস প্রতীকে ৬৮ হাজার ২শত ৩৩ ভোট পান। অন্যদিকে মো: জাহাংগীর আলম নৌকা প্রতীকে ২৬ হাজার ৯শত ৭ ভোট পান। ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী কাউছার মোল্লা মিনার প্রতীকে ৩ হাজার ৮৬ ভোট পান। তিনি ( ওলিও) সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নে পাঁচ বার একটানা ২৬ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য সম্প্রতি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেন।এবিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া – ৩ ( সদর – বিজয়নগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছি। দেখা যাক কি হয়।’