স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসকের ভিজিট চাওয়ায় এক কর্মচারীকে অপহরণ করে তুলে নেওয়ার সময় প্রতিবাদ করলে জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পালের ওপর হামলা করেছেন দুর্বৃত্তরা। এসময় দুর্বৃত্তের হামলায় সাংবাদিক বিশ্বজিৎসহ তিনজনসহ আহত হন। শুক্রবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার রাধানগরের দাসপাড়ায় অবস্থিত একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।আহত সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল উপজেলার রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দৈনিক কালেরকন্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। এসময় সাংবাদিক বিশ্বজিৎকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন তার দুই চাচাতো ভাই আনন্দ পাল (২৮) ও প্রসেনজিৎ পাল (২৮)। উপজেলার দেবগ্রামের মাহফুজ ভূঁইয়ার ছেলে সুমন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সাংবাদিক বিশ্বজিতের ওপর হামলা চালানো হয়।স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা সাড়ে পাঁচটার দিকে দেবগ্রামের বাসিন্দা সুমন ভূঁইয়া স্ত্রীসহ ছয় মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসক দেখাতে চিকিৎসক দেখাতে রাধানগরের দাসপাড়ার দি কমফোর্ট এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। ওই ক্লিনিকে থাকা চিকিৎসক কাজী মাজহারুল ইসলামের কাছে শিশু সন্তানকে নিয়ে যান সুমন।চিকিৎসক থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে চেম্বার থেকে বের হন সুমন। সেসময় ক্লিনিকের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে সালমা আক্তার সুমনের কাছে চিকিৎসকের ৪০০ টাকা ভিজিট চান। এতে ক্ষিপ্ত হন সুমন। এক পর্যায়ে সালমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা শুরু করে সুমন। পরে ঘটনাস্থলে এগিয়ে ক্লিনিকের একজন আশিষ সাহার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।চিকিৎসক দেখানের ভিজিট না দিয়েই ক্লিনিকের মালিককে ভয় ও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান সুমন। বিকেলে ছয়টার দিকে ওই ক্লিনিকে চিকিৎসক দেখাতে যান সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল। বিকেল সাড়ে ছয়টার দিকে সুমন সঙ্গে ২০-২৫জন লোক নিয়ে ওই ক্লিনিকে যান। সুমনের নেতৃত্বে লোকজন ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক সালমা তুলে নিতে এগিয়ে যায়। তখন ঘটনার প্রতিবাদ করে বাঁধা দিতে গেলে সুমনের নেতৃত্বে লোকজন সাংবাদিক বিশ্বজিতের ওপর হামলা চালায়।সাংবাদিক বিশ্বজিৎকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে শান্ত পাল ও আনন্দ পালকে তারা মারধর করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। হামলায় বিশ্বজিৎ মাথাসহ সারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা পৌনে আটটার দিকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।আহত সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বলেন, ক্লিনিক থেকে একটি মেয়েকে তারা তুলে নিতে আসে। আমি তখন নিজেকে ওই মেয়ের অভিভাবক হিসেবে পরিচয় দেই। তারা আমাকে তখন বলে তুই গার্ডিয়ান, দাঁড়া। এই বলে তারা আমার ওপর হামলা করে। রাধানগর মোড়ে থাকা আমার দুই ভাই ঘটনা শুনে আমাকে বাঁচাতে আসে। তাদের ওপরও সন্ত্রাসী কায়দায় তারা হামলা চালিয়েছে।আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখে এসেছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের তিনটি টহল দল বের হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, সকালের দিকে এক ব্যক্তি অতিথি হোটেল থেকে খাবার নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই খাবার মাংসে পঁচা দুর্গন্ধ পান। ওই ব্যক্তি বিষয়টি জানিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে হোটেলে অভিযান চালিয়ে ফ্রিজের ভিতরে পঁচা মাংস ও ইদুর পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় হোটেল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছে। বুধবার বিকালে পৌর শহরের সড়ক বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পৌর কাউন্সিলর সুজন মিয়ার নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে দাবী করেছেন আওয়ামীলীগ সভাপতির ছোট ভাই ফারুক মিয়া।ঘটনার পর তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পৌর কাউন্সিলর সুজনসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী (৬৭) পৌর এলাকা রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা।আটক কাউন্সিলর রাধাগরের বনিক পাড়ার বাসিন্দা ও পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। আওয়ামিলীগ সভাপতিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় নেয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সড়ক বাজারের দরদী ফার্মেসীর ভিতরে চেয়ারে বসাছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী । এসময় এক যুবক সেখানে এসে আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে তর্ক বিতর্ক করেন। এরই মাঝে কাউন্সিলর সুজন মিয়ার ভাই কয়েকজনের দলবল নিয়ে সেখানে এসে আওয়ামী লীগ নেতাকে টেনি হিচড়ে রাস্তায় ফেলে কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়েএসে আওয়ামী লীগ নেতাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।এর আগে গত ২৯ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে নাশকতার অভিযোগ এনে আখাউড়া থানা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুণ অর রশিদ মামলা দায়ের করেন। যদিও সুজনকে দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সামনের সারিতে দেখা গেছে।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী উষা বেগম (৬২) জানান, বুধবার বিকেলে কাউন্সিলরসহ ৪-৫জন লোকজন বাড়িতে ফটকে আঘাত করতে থাকেন। ফটক খুলতেই তারা ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করে এবং তার স্বামীকে খোঁজ করেন। না পেয়ে উষা বেগমকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে তারা।আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, আমি অসুস্থ। এখন কথা বলতে পারব না। পরে কথা বলব।গ্রেপ্তারের আগে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কাউন্সিলর সুজন জানিয়েছেন, একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। মূলত উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার সঙ্গে বিরোধের জের ধরে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আরেক নেতাও এখন এতে যোগ দিয়েছে। আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, পৌর শহরের মসজিদপাড়া থেকে কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপির একটি নাশকতার মামলায় তিনি এজহারভূক্ত আসামী। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রার্থিতা ফিরে পেলেন সেই ওলিও। এক শতাংশ ভোটারের সাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিওকে তার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।কমিশনে করা আপিলের শুনানি শেষে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে তার মনোনয়নপত্রটি বৈধ ঘোষণা করা হয়। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে মদ ব্যবসাকে হালাল বলে মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি।ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।ফিরোজুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। তিনি সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। সর্বশেষ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার জন্য তিনি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন।এর আগে ফিরোজুর রহমানের সমর্থনকারী এক শতাংশ ভোটারের মধ্যে দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে নির্বাচিত ১০ জন ভোটারের একজন সাক্ষর করেননি মর্মে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন। এর ফলে গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে ফিরোজুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম। পরবর্তীতে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন ফিরোরজুর রহমান ওলিও।প্রার্থিতা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ফিরোজুর রহমান ওলিও বলেন, ‘আপিলে আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সবাই আমার পাশে থাকায় সবাইকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘ফিরোজুর রহমানের করা আপিলের রায়ের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠাবে নির্বাচন কমিশন। বৈধ প্রার্থীদের তালিকায় তার নাম যুক্ত হবে। প্রতীক বরাদ্দের দিন তাকেও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।
শাহাদাত হোসেন সোহেল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি এলাকায় রবি টাওয়ারের নিচ থেকে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকালে আবু লাল ভুঞা (৬০) নামের এ বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ । নিহত বৃদ্ধ উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বুধন্তি গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার ভূইয়ার ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীর জানায়, বুধন্তি এলাকায় রবি টাওয়ারে মধ্যরাতে চুরি সংঘটিত হয়েছে। এসময় টাওয়ারের নাইট গার্ড আবু লাল ডিউটিতে ছিলো। ধারনা করা হচ্ছে চোররা সহজে চুরি সংঘটিত করতে গিয়ে তাকে মেরে টাওয়ারের যন্ত্রপাতি নিয়ে যায়। সকালে টাওয়ারের পাশে লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে বিজয়নগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) রাজু আহমেদ জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছি। ধারণা করা হচ্ছে রবি টাওয়ারে চুরি করার সময় চুরের দল নাইট গার্ড আবু লালকে মেরে ফেলেছে।তবে নিহতের শরীরে তেমন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে জসিম মিয়া (২২) নামক এক যুবককে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের আশ্রাফবাদ মাদ্রাসা মাঠে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত জসিম মিয়া উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের আশ্রাফবাদ গ্রামের শিরন মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের আশ্রাফবাদ মাদ্রাসা মাঠে আশ্রাফবাদ গ্রামের শিরন মিয়ার ছেলে জসিম মিয়া একই গ্রামের রওশন মিয়ার ছেলে ইমন মিয়াসহ কয়েকজন ক্রিকেট খেলছিলো। এসময় দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপ্রর্যায়ে ইমন মিয়া তার হাতে থাকা ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে জসিমকে এলোপাথাড়ি পেটায়। এসময় জসিম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত জসিমের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী জানান, ক্রিকেট খেলার সময় হঠাৎ করে ইমন আমার ভাইকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটাতে থাকে। সে গরুতর আহত হলে হাসপাতালে আনার পর ডাক্তার বলেছে আমার ভাই মারা গেছে। আমি এর কঠিন বিচার চাই।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাহমত উল্লাহ পাভেল বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম জানান, ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে জসিমকে পেটায় ইমন। হাসপাতালে আনার পর জসিম মারা যায়। ঘাতক ইমনকে ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে।