স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
শাহাদাত হোসেন সোহেল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : বিগত ২০২২ – ২০২৩ অর্থ বছরের সার্বিক বিশ্লেষণে “সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা” গড়ার প্রত্যয়ে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কর্মদক্ষতায় জেলার পেশাগত জ্ঞান, দক্ষতা, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ সহ ০৭ টি ক্যাটাগরিতে বিচার বিবেচনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হওয়ায় বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ কে বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান হয়।
২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ ঘটিকার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর নেতৃবৃন্দ সম্মাননা স্মারক প্রদান কালে ইউএনও কে বলেন, আপনার এই কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি সুফল ভোগ করব আমরা বিজয়নগরবাসী। আমরা দেখছি আপনি বিজয়নগর যোগদানের পর থেকে নিষ্ঠা ও সততার সাথে প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজের গতি ফিরে আসছে। পাশাপাশি ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, মাদকদ্রব্য উদ্ধার ভূমিকা, বাল্য বিবাহ নিয়ন্ত্রণ, ভূমিদস্যু বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান, অবহেলিত মানুষের প্রশাসনিক হয়রানি বন্ধের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছেন। আপনার কর্মগুনে চির দিন বিজয়নগরবাসী আপনাকে মনে রাখবে।
এসময় বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ খাঁন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক, বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাব এর সভাপতি এস এম কামরুল হাসান শান্ত, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক শাহনেওয়াজ শাহ, সহ-সম্পাদক মোঃ আব্দুল হামিদ, জিয়াউর রহমান, মোঃ সাইমন মিয়া, সদস্য সুজন মিয়া, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ উপস্হিত ছিলেন ।
নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর চেক উপহার পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৪জন সাংবাদিক। আজ সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই উপহারের চেক গুলো তুলে দেওয়া হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
এসময় জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম তার বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের কল্যাণে গঠন করা হয়েছে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট। সেই ট্রাস্টের মাধ্যমে করোনা কালীন সময়ে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। এছাড়াও অসচ্ছল ও অসুস্থ সাংবাদিকদের চিকিৎসার জন্যে পাশে দাঁড়াচ্ছে সরকার। তিনি যে কোন প্রয়োজনে সাংবাদিকদের পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পির সভাপতিত্বে এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পি বলেন, করোনাকালীন সময়ে কয়েক ধাপে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকরা আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। যারা বাদ পড়েছেন তাদেরও দেওয়া হয়েছে। কল্যাণ ট্রাস্টে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তার করার পর যে টাকা ছিল, তা ঈদ উপহার হিসেবে সাংবাদিকদের দেওয়া হয়েছে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির জন্যে কাজ করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান।
আদিত্ব্য কামাল,জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ঈদ আনন্দ হউক সবার’ এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নানা শ্রেণী পেশার ৫’শ দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ৬ লক্ষ টাকার ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে মজিদ নাহার ফাউন্ডেশন।বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বিকেল ৪ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ছিলো চাউল ৫ কেজি, আটা ২ কেজি, তেল ১ লিটার, দুধ, চিনি, সেমাই, ট্যাংসহ ১০ ধরণের খাদ্য সামগ্রী।মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি এইচ এম জাকারিয়া জাকিরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: শাহগীর আলম।বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো: জসীম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আল আমিন শাহিনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ এনায়েত হোসেন মিঠু। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, যারা সামর্থ্যবান ব্যাক্তিবর্গ আছেন তারা মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশনের মতো এগিয়ে আসলে আরো ব্যাপকভাবে অসহায় দরিদ্র মানুষ উপকৃত হবেন।মজিদ নাহার ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি সাংবাদিক জাকারিয়া জাকির সভাপতির বক্তব্যে বলেন, মজিদ নাহার ফাউন্ডেশন বরাবরি মানবসেবায় কাজ করে যাচ্ছে শুধুমাত্র পুণ্যলাভের আশায়। তিনি আরো বলেন, সমাজের বিত্তবানরা যদি অসহায়দের পাশে দাড়ায় তাহলে সমাজ আরো সুন্দর ও সুশ্রী হবে।আমেরিকা প্রবাসী মনির হোসেন হিটু তার পিতা-মাতার নামে প্রতিষ্ঠিত এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ২০১০ সাল থেকে অসহায়-দরিদ্র মানুষকে সহায়তা করছেন। প্রতিবছর ঈদ খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা ছাড়াও সেলাই মেশিন, শীতবস্ত্র ও নগদ অর্থ বিতরন করে আসছে এই ফাউন্ডেশন।
জুয়েল মিয়া
সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় ভারত থেকে সম্মাননা পেলেন কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবু। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের জনপ্রিয় টেলিভিশন ভুবনেশ্বরী টেলিভিশনের (বিটিভি) পক্ষ থেকে এর স্বত্বাধিকারি মনীষা পাল চৌধুরী তার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। টেলিভিশন চ্যানেলটির কার্যালয়ের এ অনানুষ্ঠানিক আয়োজনে চ্যানেলের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।টেলিভিশন চ্যানেলটির ২২ বছর পুর্তি উপলক্ষে বিশ্বজিৎ পালসহ সে দেশের ২৩জন সাংবাদিককে সম্মাননা দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে গত ১৫ ও ১৬ জুলাই ত্রিপুরার রাজ্যের রাজধানী আগরতলার রবীন্দ্রভবনে দু’দিনব্যাপি অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।সেখানেই বিশ্বজিৎ পাল বাবুকে সম্মাননা তুলে দেওয়ার কথা জানানো হয়। তবে সময়মতো ভিসা না পাওয়ায় বিশ্বজিৎ পাল বাবু ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি। বিশ্বজিৎ পাল বাবু’র এমন প্রাপ্তিতে সুশীল সমাজসহ সাংবাদিকবৃন্দ তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিটিভির এ আয়োজনে খেলাঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি ডা. মো. আবু সাঈদ, সাধারন সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার ও ভোরের কাগজের আখাউড়া প্রতিনিধি জুটন বনিককেও সম্মাননা দেওয়া হয়।
আদিত্ব্য কামাল: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ শতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের অসহায়-দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মো. মুসলেখ উদ্দিন, সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, মো. রায়হান উদ্দিন, সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ড।
ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি এইচ এম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক নিয়াজ মো. বিটুর সঞ্চালনায় এতে বক্তৃতা রাখেন- প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ এনায়েত হোসেন মিঠু প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় ফাউন্ডেশনের কার্য্যক্রমের ভুয়শী প্রশংসা করে বলেন- মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন আজকে মানবিকতার যে দর্শন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তা সবার জন্যে অনুপ্রেরনা দায়ক। টাকা পয়সা অনেকে রোজগার করেন। কিন্তু মানবিক কাজে অর্থ ব্যয় করার মানসিকতা সকলের থাকেনা। ফাউন্ডেশনটির কর্নধার আমেরিকা প্রবাসী মনির হোসেন হিটুর মতো সবাই এভাবে এগিয়ে আসলে অসহায়-দরিদ্র মানুষ আরো নানাভাবে উপকৃত হতেন।
মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন ২০১১ সাল থেকে সমাজের অসহায়-দরিদ্র মানুষকে নানাভাবে সহায়তা দিয়ে আসছে। এছাড়াও সেলাই মেশিন, ঈদ-সামগ্রী, চিকিৎসা সহায়তা ছাড়াও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়ে থাকে।
৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মুক্ত ঘোষণা করে।জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলাকে হানাদারমুক্ত করার পর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ ও মিত্রবাহিনীর ৫৭তম মাউন্টের ডিভিশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দিকে অগ্রসর হয়। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সদস্যরা চারপাশে শক্ত অবস্থানে থাকায় হানাদার বাহিনী পিছু হটতে থাকে। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর রাজাকারদের সহায়তায় নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় পাক হানাদার বাহিনী। পরে ৮ ডিসেম্বর বিনাযুদ্ধেই মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে প্রবেশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মুক্ত ঘোষণা করে।এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে নানা কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের কাউতলীস্থ শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পরে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে সংসদ সদস্য র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণশেষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে শহরের আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে মুক্ত দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।