স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর উন্নয়ন ও সরাইল-ধরখার-আখাউড়া বন্দর পর্যন্ত চার লেনের মহাসড়ক প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। সোমবার(২৪জুলাই) দুপুরে প্রকল্প পরিদর্শনে এসে প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, ‘প্রকল্পটি আমাদের দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে যোগাযোগব্যবস্থা আরও সহজ করবে। অর্থনৈতিক দিক থেকেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, ’আজ এখানে এসেছি ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের মাধ্যমে চার লেনের জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের কাজের গতিবিধি কেমন চলছে দেখার জন্য। প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করতে আমাদের আরও কি করণীয়, এই পরিদর্শনে সহজে বুঝতে পারব। সামনের দিনগুলোতে আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সে বিবেচনায় আমরা চেষ্টা করছি প্রকল্পের কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে।’ তিনি আরও বলেন, ’আমি খুবই খুশি, এখানকার সাধারণ মানুষজন খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা করেছেন; যেন আমরা প্রকল্পের কাজ সুন্দরভাবে শেষ করতে পারি।’ প্রকল্প পরিদর্শনের সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরীর নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।এর আগে দুপুরে ভারতীয় হাইকমিশনার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর হয়ে সড়কপথে আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছান। এ সময় আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা ও স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।
এ ছাড়া ভারত, শ্রীলংকা, নাইজেরিয়া, কেনিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে এদের কার্যক্রম প্রসারিত করে প্রতারণা করেছে। ওইসব দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও ব্যাপকভাবে প্রতারিত হয়েছেন। তারা রেমিট্যান্সের অর্থের একটি অংশ এমটিএফইতে বিনিয়োগ করে এখন তা তুলতে পারছেন না। সংশ্লিষ্টদের ধারণা- করোনার পর অনেক কর্মী বিদেশে গেলেও দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে না। এমটিএফইতে বিনিয়োগ করার কারণেই দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইতোমধ্যে বিভিন্ন উৎস থেকে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৪০০ সিইওর নাম সংগ্রহ করেছে। এখন তাদের অবস্থান ও ঠিকানা সংগ্রহ করার কাজ চলছে। শনাক্ত করা হলে গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তাদেরকে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে হস্তান্তর করা হবে। তখন বিএফআইইউ থেকেও এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে। এদিকে বিএফআইইউ বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সরেজমিনের পাশাপাশি ফেসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে।
এদিকে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের এপ্রিলে একটি পোস্টে এমটিএফই দাবি করেছে, তারা এখন পর্যন্ত ২০ হাজার কোটি ডলার লেনদেন করেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২২ লাখ কোটি টাকা। তবে দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ তাদের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কুয়েত প্রবাসী এক ব্যক্তি প্রথম এমটিএফই-এর স্কিমের কথা কয়েকজনকে জানান। তার একজন আত্মীয়কে গ্রামে প্রতিনিধিও নিযুক্ত করেন। সেই প্রতিনিধির মাধ্যমে পরের কয়েক মাসে গ্রামের আড়াইশর বেশি মানুষ এতে বিনিয়োগ করে প্রতারিত হন। কুয়েতের ওই প্রবাসীও এতে মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করেন। এছাড়া কুয়েতে আরও অনেক প্রবাসী এতে বিনিয়োগ করেছেন বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।
ভারত, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, কেনিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীরাও এতে বিনিয়োগ করেছেন বলে তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তারা এতে বিনিয়োগ করায় দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। এ ছাড়া এমটিএফই-এর মাধ্যমে হুন্ডিতে দেশে রেমিট্যান্সের অর্থও পাঠাত। ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমেছে। দেশের মানুষকে প্রভাবিত করতে এটি ইসলামি শরিয়তসম্মত একটা ব্যবসা বলেও প্রচার চালাত। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এটি দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হলেও ওয়েবসাইটে কানাডার অন্টারিওর একটি ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই ঠিকানায় এই প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো অফিস পাওয়া যায়নি। এই বছরের জুলাইয়ে একটি ওয়েবসাইট চালু করা হলেও এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা দুবাই প্রবাসী বাংলাদেশি মাসুদ আল ইসলামের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এমটিএফই-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দাবিদার মাসুদ আল ইসলামের ফেসবুক প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, তিনি এর আগে পিএলসি আলটিমার সদস্য সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। এটি ছিল আরেকটি এমএলএম ধরনের প্রতিষ্ঠান। এই পিএলসি আলটিমার বাংলাদেশে বেশকিছু গ্রাহক রয়েছে বলে গোয়েন্দা জানতে পেরেছে।
এমটিএফই-এর হিসাব ডলারে করা হলেও বিভিন্ন দেশ থেকে স্থানীয় মুদ্রায় হুন্ডিতে টাকা নেওয়া হতো। একটি পর্যায়ে তা মোবাইল ব্যাংকিং বা ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর করা হতো।
নিউজ ডেস্ক : ভারতে জি-২০ সম্মেলন শেষে দুই দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। রোববার রাত ৮টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এ সময় বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ৩৩ বছরের মধ্যে কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্টের এটি প্রথম ঢাকা সফর। জানা গেছে, ম্যাক্রোঁর এ সফরে ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে দুটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হবে।
ঢাকায় পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। সোমবার সকালে তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠকে অংশ নেবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। এরপর দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই শেষে উভয় নেতা একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরকালে তার সঙ্গে থাকছেন ফ্রান্সের ইউরোপ ও পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রী কেথেরিন কলোন্না। বাংলাদেশ ও ফ্রান্স সরকারের আশা, ম্যাক্রোঁর এ সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো বিস্তৃত হবে ও নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে ২০২১ সালের নভেম্বরে ফ্রান্স সফর করেন।
১৯৯০ সালের ২২ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট মিত্রান্দের বাংলাদেশ সফরের পর ম্যাক্রোঁই প্রথম নেতা যিনি বাংলাদেশ সফর করছেন। মিত্রান্দের ওই সফরের পর থেকে উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে মোট বাণিজ্য ২১০ মিলিয়ন ইউরো থেকে ৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ইউরোতে উন্নীত হয়েছে ও ফ্রান্স রপ্তানির ক্ষেত্রে পঞ্চম দেশ। ফরাসি কোম্পানিগুলো এখন বাংলাদেশের প্রকৌশল, জ্বালানি, মহাকাশ ও পানিসহ বিভিন্ন খাতের সঙ্গে জড়িত।
নিজস্ব প্রতিবেদক
এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮টি গবাদিপশু কোরবানি দেওয়া হয়েছে। গত বছর সারাদেশে কোরবানিকৃত গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি। গত বছরের তুলনায় এবার ৩ লাখ ৬৭ হাজার ১০৬টি গবাদিপশু বেশি কোরবানি দেওয়া হয়েছে।এ বছর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে।
মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে ২৫ লাখ ২৯ হাজার ১৮২টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫৭ হাজার ৫২০টি, রাজশাহী বিভাগে ২৪ লাখ ২৬ হাজার ১১১টি, খুলনা বিভাগে ১০ লাখ ৮ হাজার ৮৫৫টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৪৩৮টি, সিলেট বিভাগে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৪২টি, রংপুর বিভাগে ১১ লাখ ৭২ হাজার ৫৫৩টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৫১৭টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে।
কোরবানি হওয়া গবাদিপশুর মধ্যে ৪৭ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫৯টি গরু, ১ লাখ ১২ হাজার ৯১৮টি মহিষ, ৫০ লাখ ৫৬ হাজার ৭১৯টি ছাগল, ৪ লাখ ৭১ হাজার ১৪৯টি ভেড়া এবং ১ হাজার ২৭৩টি অন্যান্য পশু।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯৫৪টি গরু, ৬ হাজার ৪৬৫টি মহিষ, ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭২টি ছাগল, ৮৯ হাজার ৯১টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮শ’টি পশু, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ লাখ ১৭ হাজার ৭৪৭টি গরু, ৯১ হাজার ৮১০টি মহিষ, ৬ লাখ ৫২ হাজার ১৩০টি ছাগল, ৯৫ হাজার ৪৮৩টি ভেড়া ও অন্যান্য ৩৫০টি পশু।
রাজশাহী বিভাগে ৭ লাখ ২০ হাজার ৪৭২টি গরু, ৯ হাজার ৫৬৮টি মহিষ, ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৪৮৬টি ছাগল ও ১ লাখ ১২ হাজার ৫৭৭টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৮টি, খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৭৯ হাজার ৯৬৭টি গরু, ১ হাজার ৫০৬টি মহিষ, ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৭৩৫টি ছাগল, ৫৭ হাজার ৫৫৯টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮৮টি পশু। বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৮০ হাজার ৩৭৭টি গরু, ১ হাজার ১টি মহিষ, ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৬৩টি ছাগল ও ২০ হাজার ১৯০টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৭টি। সিলেট বিভাগে ২ লাখ ১ হাজার ১৪৩টি গরু, ১ হাজার ৩৫৮টি মহিষ, ১ লাখ ৭৩ হাজার ২২৩টি ছাগল ও ১৮ হাজার ১৪টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৪টি। রংপুর বিভাগে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৪ টি গরু, ৩০৪টি মহিষ, ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৬১৬টি ছাগল, ৬০ হাজার ২২৮টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ১১টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৯০ হাজার ৮০৫টি গরু, ৯০৬টি মহিষ, ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৯৪টি ছাগল ও ১৮ হাজার ৭টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৫টি কোরবানি দেওয়া হয়েছে। সূত্র বাসস
নিজস্ব প্রতিবেদক
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে ঢাকায় ৫ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫ জন। আজ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ১ হাজার ১২২ এবং ঢাকা মহানগরীর বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ২৩৯ জন ভর্তি হয়েছে।আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৮ হাজার ৪৬৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৪ হাজার ৮০৯ এবং ঢাকার বাইরে অন্যান্য বিভাগে ভর্তি রয়েছে ৩ হাজার ৬৫৮ জন রোগী।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে এ পর্যন্ত ৪২ হাজার ৭০২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ২৪ হাজার ৭৯৮ এবং ঢাকার বাইরে ১৭ হাজার ৯০৪ জন। এদিকে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে এ পর্যন্ত ২২৫ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৩৪ হাজার ১০ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১৯ হাজার ৮১২ এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ১৯৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ৭৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৬৮ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫ জন। সূত্র বাসস