স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুষ্ঠরোগ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে দিনব্যাপী সচেতনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহযোগিতায় দি লেপ্রোসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (প্রয়াস) এর উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে কুষ্ঠরোগ বিষয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক ডাক্তার মফিজুর রহমান ফিরোজ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, দি লেপ্রোসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (প্রয়াস) এর টেকনিক্যাল সাপোর্ট অফিসার জুয়েল খিয়াং প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় তারা আরও বলেন, সার্বিক বিবেচনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুষ্ঠরোগের তেমন বিস্তার নেই। আর যাদের শনাক্ত করা হয়েছিল তারাও চিকিৎসার মাধ্যমে এখন অনেকটা সুস্থ। এক সময় কুষ্ঠরোগীকে সমাজে বহু বঞ্চনার শিকার হতে হলেও এখন সে চিত্র পাল্টেছে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে কুষ্ঠরোগ থেকে শতভাগ নিরাময় সম্ভব। এছাড়া কুষ্ঠরোগ ব্যাকটেরিয়াজণিত ছোঁয়াচে রোগ হলেও চিকিৎসার আওতায় এলে ছোঁয়াচের মাধ্যমে অপর ব্যক্তি আক্রান্ত হওয়ার মাত্রাও বহুলাংশে কমে যায়। বক্তারা কুষ্ঠরোগ বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।কর্মশালায় তারা আরও জানান, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৬ জন কুষ্ঠ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে গত ৪ বছরে জেলায় ১৬৯ জন কুষ্ঠ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এ নিয়ে চার বছর ছয় মাসে ১৮৫ জন কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পুকুরে বৈদ্যুতিক লাইট ঝুলাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেহেদী হাসান রনি (৩৭) নামে এক যুবক মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মেহেদী হাসান রনি ওই এলাকার আব্দুল মান্নান শাহর ছেলে। নিহত রনি উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা ছিলেন । রনির মৃত্যুতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আখাউড়া পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সহ অসংখ্য মানুষ শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান৷ শুক্রবার সকাল ১১টায় নুরপুর গ্রামে স্কুল মাঠে তার যানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। মারা যাওয়া রনির শ্যালক হাসান মাহমুদ পারভেজ বলেন, আমার একমাত্র ভগ্নিপতি মেহেদী হাসান রনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুকুরের খুঁটি পুঁতে বৈদ্যুতিক লাইট ঝুলাতে যান। এ সময় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পানিতে পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।পারভেজ আরও বলেন, রনির ভাই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। আগস্টে তার দেশে আসার কথা। ভাইয়ের সঙ্গে একমাস পর দুলাভাইয়েরও প্রবাসে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। আমার বোনটি একা হয়ে গেলো।আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু সাধারণ মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির কথাই ভাবেননি; ভেবেছেন মানুষের
অর্থনৈতিক মুক্তির কথাও। আর তাই ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই তিনি বীমা খাত সংস্কারে হাত দেন।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। এরকম একটি খাত হল বীমা শিল্প, যা তার নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখেছিল। বাংলাদেশি জনগণের মঙ্গল ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য তার গভীর দৃষ্টিভঙ্গি এবং নিষ্ঠা বীমা খাতের অগ্রগতি ও বিবর্তনে একটি অমোঘ চিহ্ন রেখে গেছে। তার রূপান্তরমূলক উদ্যোগ এবং অটল প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে, বঙ্গবন্ধু বীমা শিল্পকে গঠন ও অগ্রসর করার পথে অগ্রসর হন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় এবং সকল নাগরিকের জন্য অপরিহার্য আর্থিক নিরাপত্তা প্রদানে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়ে আমরা যখন বীমা শিল্পের উপর বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিভঙ্গির গভীর প্রভাবের দিকে তাকাই, তখন এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে তার স্থায়ী উত্তরাধিকার এই অত্যাবশ্যক খাতকে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করে চলেছে, নিশ্চিত করে যে তার দূরদর্শী নীতিগুলি এর বিবর্তনের দিকনির্দেশনা চালিয়ে যাচ্ছে।
বীমা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর সুস্পষ্ট দৃষ্টি ছিল। তিনি সমাজের সকল স্তরের কাছে পৌঁছানোর জন্য বীমা পরিষেবাগুলির আধুনিকীকরণ, নিয়ন্ত্রণ এবং সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তার দৃষ্টিভঙ্গি শুধুমাত্র অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর নয় বরং সামাজিক কল্যাণের দিকেও মনোযোগী ছিল, যার লক্ষ্য ছিল প্রয়োজনের সময়ে নাগরিকদের জন্য একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রদান করা। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর দেশ গঠনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির অন্যান্য কর্মকাণ্ডের সাথে সাথে বীমা খাতের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি বীমা পেশার মাধ্যমে তার সংগ্রামী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। তাই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীমা খাতের বিশেষ অবদান রয়েছে। বঙ্গবন্ধু প্রথম উপলব্ধি করেন, দেশের উন্নয়ন করতে হলে বীমার উন্নয়ন করতে হবে।একটি দেশের বীমা খাত যতো শক্তিশালী সে দেশের অর্থনীতি ততো শক্তিশালী –এটা প্রথম বুঝতে পেরেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর তাই তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বীমা খাতের উন্নয়নে সংস্কারে আর সুশাসনে হাত দেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বীমা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কিছু নতুন পদক্ষেপ গ্রহন করেন। বাংলাদেশ সরকার ২৯টি পাকিস্তানি কোম্পানিকে তদারকি করার জন্য ১৯৭২ সালের ৩ জানুয়ারি The Banglades (Taking over of control and management industrial and commercial concern) Order,1972 নামে একটি অধ্যাদেশ জারী করে উক্ত অধ্যাদেশের ২(১) এর বিধান মোতাবেক প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়।
১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ Bangladesh Insurance ( Emergency Provision) Order,1972 জারি করা হয়। এ Act এর বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের বীমা আইন হিসাবে ১৯৩৮ সালের বীমা আইনটিকে মূলভিত্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের ৮ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশ নং(৯৫) অনুযায়ী দেশের বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয়করণ করা হয়। উক্ত আদেশে দেশের ৭৫টি বীমা প্রতিষ্ঠানকে প্রথমে ৫টি সংস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অতপর ১৯৭৩ সালের ১৪ মে বীমা কর্পোরেশন অধ্যাদেশ ১৯৭৩ (Insurance Corporation Ordinance 1973) মাধ্যমে উক্ত পাচঁটি বীমা সংস্থাকে দুটি সংস্থার অধীনে আনা হয়। একটি হলো জীবন বীমা কর্পোরেশন এবং অন্যটি হলো সাধারন বীমা কর্পোরেশন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীমা পেশার আড়ালে স্বাধীনতা সংগ্রামের কাজ করে গেছেন। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুই প্রথম বীমা খাতের সংস্কারে হাত দেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার বীমা খাতের উন্নয়নে যুগান্তকারি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বীমা খাতের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বর্তমান সরকার বীমা আইন পাস করেছে, বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করেছে। এছাড়াও বীমা খাতের উন্নয়নে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দেশের বীমা খাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর এই অবদান জাতীয় পর্যায়ে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ‘জাতীয় বীমা দিবস’ পালনের উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সুপারিশক্রমে প্রতিবছর ১ মার্চ কে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করে সরকার। বীমা খাতে বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর ১ মার্চ ‘জাতীয় বীমা দিবস’ পালন করে আসছে সরকার। কারণ ১৯৬০ সালের এই দিনটিতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলফা ইন্স্যুরেন্সে যোগদান করেন। আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫২ সালে, পাকিস্তানের করাচিতে। ঢাকায় এর শাখা স্থাপন করে ১৯৫৯ সালের অক্টোবরে। আলফা ইন্স্যুরেন্সে যোগদানের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতাদের কোম্পানিটির বিভিন্ন শাখায় ম্যানেজার পদে চাকরি দেন। বীমা পেশার আড়ালে বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে বীমার গুরুত্ব অনেক।
শুরু থেকেই বীমা খাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিল। বাংলাদেশে বীমা শিল্পের অগ্রগতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান উল্লেখযোগ্য এবং স্থায়ী। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব, নিয়ন্ত্রক কাঠামো এবং জনসচেতনতার প্রচার বীমা খাত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তার উদ্যোগের উত্তরাধিকার জাতিকে উপকৃত করে চলেছে, নিশ্চিত করে যে নাগরিকদের বীমা পরিষেবার মাধ্যমে আর্থিক সুরক্ষার গুরুত্ব রয়েছে। সালমান হোসাইন,ইউনিট ম্যানেজার সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড।
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আরও চার ইউএনও বদলি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) বদলি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আরও ৪টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিভিন্ন জায়গায় বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ শামীম আলম সই করা এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরওয়ার উদ্দীনকে নোয়াখালী জেলার কবিরহাটে বদলি করা হয়েছে। তার স্থলে বদলি করা হয়েছে নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের ইউএনও মেজবা উল আলম ভূইয়াকে। আখাউড়া ইউএনও অংগ্যজাই মারমাকে রাউজানে বদলী করা হয়েছে, তার স্থলে বদলি করা হয়েছে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার ইউএনও রাবেয়া আক্তারকে। নাসিরনগরের ইউএনও ফখরুল ইসলামকে কক্সবাজারের চকরিয়ায় বদলি করা হয়েছে, তার স্থলে বদলি করা হয়েছে নোয়াখালীর চাটখিলের ইউএনও মোহাম্মদ ইমরানুল হককে। বাঞ্ছারামপুরের ইউএনও একি মিত্র চাকমাকে চাঁদপুরের মতলব উত্তরে বদলি করা হয়েছে,তার স্থলে বদলি করা হয়েছে বান্দরবান পার্বত্য জেলার থানচি উপজেলার ইউএনও মুহা.আবুল মনসুরকে।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর এক আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদকে রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে এবং খাগড়াছড়ির পানছড়ির নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবাইয়া আফরোজকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বদলি করা ।
আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে একটি গোয়াল ঘর থেকে গরু চুরি করার সময় চোরকে ধরতে গিয়ে চোরের ছুরিকাঘাতে পারভেজ (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের চরকাকরিয়া এলাকায় মেঘনার পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পারভেজ মিয়া উপজেলার ওই ইউনিয়নের চরকাকরিয়া গ্রামের উবায়েদ উল্লাহর ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।গ্রামবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে একটি চোর দল নিহতের বড় ভাই হুমায়ুনের গোয়াল ঘর থেকে ২টি গরু চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় মেঘনার পাড়ে জেলেদের চোখে পড়ে। জেলেরা হুমায়ুনকে খবর দেয়। খবর পেয়ে হুমায়ুন তার ছোট ভাই পারভেজকে নিয়ে গরু চোরকে ধরতে গ্রাম থেকে প্রায় এক কিলোমটার দূরে মেঘনার পাড়ে গিয়ে দেখে চোরচক্র আরো কয়েকজন জেলেকে মারধর করে বেঁধে ফেলে রেখেছে।পারভেজ ও হুমায়ুন একটু সামনে যেতেই চোরচক্রের ৪/৫ জন লোক অন্ধকারের মধ্যে পারভেজকে ধরে টেনেহেছড়ে মেঘনার পাড়ে নিয়ে যায়। ছোট ভাইকে বাঁচাতে বড় ভাই হুমায়ুন সামনে যেতে চাইলে তাকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয় তারা। চোরচক্র পারভেজকে মেঘনার পাড়ে নিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে ও গরুগুলো ফেলে রেখে নৌকায় করে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে স্বজন ও গ্রামবাসীরা পারভেজকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।সরাইল থানার এসআই নুরুল করিম বলেন, গরু চুরির সময় চোর চক্রটির হাতে এক যুবক নিহত হয়েছে বলে শুনতে পেরেছি। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।