স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া
ছাত্রদল করায় চাকরি থেকে ‘ছাঁটাই’ করার অভিযোগ তুলেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার নাসিরপুর গ্রামের যুবক মামুন। রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসন ভবনের সামনে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ব্যানার হাতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তিনি। দুই মাস ধরে চাকরিস্থলে যেতে না দেওয়া, এর আগের দুই মাসের বেতন না দেওয়ার প্রতিবাদ ও চাকরিতে যোগদানের দাবিতে এ কর্মসূচী পালন করেন তিনি। ন্যাশনাল সার্ভিসের আওতাধীন প্রকল্পের কর্মী হিসেবে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে চাকরি করতেন মামুন। দুই বছর ওই প্রকল্প থেকে মাসে ছয় হাজার টাকা বেতন পেতেন।বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অধ্যয়নরত এবং নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তিনি।মামুন জানান, ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি অস্থায়ী ভিত্তিতে দুই বছরের জন্য কাজে যোগ দেন। সম্প্রতি ছাত্রদলের সাবেক নেতা নাসির উদ্দিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তিনি হাসপাতালে নিয়ে যান। এ-সংক্রান্ত ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই তাকে চাকরি ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। অন্যথায় তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।মামুন আরও জানান, এপ্রিল ও মে মাসে তার বেতন দেওয়া হয়নি। জুন থেকে অফিসে আসতে নিষেধ করা হয়। তবে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ বিধায় এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। এখন অফিসে যেতে পারছেনা এবং দুই মাসের বেতনও বুঝে পাননি।মামুন বলেন, এ প্রকল্পের চাকরিবিধিতে কোনো রাজনৈতিক দল করা যাবে না এমন উল্লেখ না থাকলেও আমার সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। আমি চাকরি ফিরে পেতে চাই।এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নূরে আলম বলেন, মামুন কোন রাজনৈতিক দল করে না করে সেটা কোনো বিষয় না। তবে সে নিয়মিত ও সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করতো না। তাকে এ বিষয়ে বললেও কর্ণপাত করেনি। তাকে অফিসে আসতে না করা হয়েছে এমন কোনো ডকুমেন্ট থাকলে দেখাক।
নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘মার্কিন কর্মকর্তাদের আগমন তাদের সাথে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হওয়ার বার্তাই বহন করে। এই আগমনকে আমরা স্বাগত জানাই।তিনি আজ দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা প্রায়ই আসছেন এবং চলতি মাসে সে দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দলের আসার কথা রয়েছে -এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কর্মকর্তা এসেছেন এবং সহসাই আরো বেশ কয়েকজন আসবেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। তাদের সাথে আমাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সহযোগিতা রয়েছে এবং বিশ্বাঙ্গণেও বহুমাত্রিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা কাজ করি। বাংলাদেশের উন্নয়নেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিরাট ভূমিকা রাখছে। বিএনপির মহাসচিব ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের বলেছেন, ‘কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না’ এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশের মালিক জনগণ। রাষ্ট্র ক্ষমতায় কারা যাবে সেটি নির্ধারণ করার মালিক হচ্ছে জনগণ। বিএনপির যদি কোনো নালিশ থাকে তা দিতে হবে জনগণের কাছে, বিদেশিদের কাছে নয়। জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে এবং যুক্তরাজ্যে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেখানে যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তারাই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে আমাদের দেশেও ঠিক একইভাবে নির্বাচন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নালিশ তারা করতে পারে কিন্তু আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো নালিশ জনগণের কাছে করার জন্য, বিদেশিদের হাতে-পায়ে না ধরার জন্য।বিএনপির সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন চট্টগ্রাম থেকে শুরু হবে এমন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে নিহত হয়েছিলেন অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে। চট্টগ্রাম খুব তাৎপর্যপূর্ণ। তারা তো মাঝে মধ্যেই এক দফার আন্দোলনের ঘোষণা দেন। তো এক দফা আন্দোলন চট্টগ্রামেই মারা যায় কি না, সেটিই দেখার বিষয়।’ ভূ-রাজনীতির কোনো চাপ সরকারের ওপরে আছে কি না এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো চাপে নাই। ২০১৩-১৪-১৫ সালে বিএনপি আন্দোলনের নামে যে সহিংসতা করেছে, সেটি আমরা সামাল দিয়েছি। সেটি করার সামর্থ্য বিএনপির এখন নাই এবং ভূ-রাজনীতির কারণে আর এ ধরণের আন্দোলন করা তাদের পক্ষে সম্ভবপর নয়। আমরা জানি কখন কি করতে হবে।’তিনি বলেন, ‘বিএনপি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলো বর্জন করেছিলো এবং তাদের দলীয় কর্মী-সমর্থকদের এবং জনগণকেও বর্জন করার, ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার আহবান জানিয়েছিলো। তাদের এতো প্রচারণার মধ্যেও ৫০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। সুতরাং আগামী নির্বাচনেও জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করবে।’ ড. হাছান বলেন, ‘গণতন্ত্রের মূল বিষয় জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে কি না। বিএনপি’র অংশগ্রহণ আমরা অবশ্যই স্বাগত জানাই। তবে তারা যদি নাও আসে, আগামী নির্বাচনে জনগণ থাকবে। এর আগে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) থেকে প্রকাশিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি: সংবাদপত্রে প্রতিফলন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, পরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, গ্রন্থকার গবেষক পপি দেবী থাপা প্রমুখ মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন। সূত্রঃ বাসস
নিজস্ব প্রতিবেদক
কয়লাচালিত মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি আগামী ২৯ জুলাই পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। এই ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৬০০ মেগাওয়াট। কর্মকর্তারা আগামী ডিসেম্বর নাগাদ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুরোপুরি চালুর আশা করছেন। প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘২৯ জুলাই দু’টি ইউনিটের মধ্যে প্রথমটি (মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্টের) পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে।’তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বছরের ডিসেম্বরে ইউনিটটি নিয়মিত উৎপাদন প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্রকল্প পরিচালক আরো বলেন, প্ল্যান্টের সম্মিলিত উৎপাদন ক্ষমতা ১২শ’ মেগাওয়াট, আগামী মার্চ বা এপ্রিল মাসে পুরোদমে উৎপাদনের যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এটি পুরোপুরি চালুর পূর্ব পরিকল্পনা ছিল।সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর অন্যতম মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি জাপানের সহায়তার মোট প্রায় ৫১,৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এবং এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, পুরো প্ল্যান্টে প্রতিদিন ১০ হাজার টন ও প্রতিটি ইউনিটে ৫ হাজার টন কয়লা প্রয়োজন হবে। এখন পর্যন্ত ২ লাখ টন কয়লা সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং ৬৫ হাজার টন আগামী ৭ আগস্ট উৎপাদন এলাকায় পৌঁছাবে।প্রকল্প পরিচালক জানান, জাহাজ থেকে সরাসরি ট্যাঙ্কে কয়লা আনলোড করার জন্য প্রকল্প এলাকায় দুটি জেটির পাশাপাশি ১.৭ মিলিয়ন টন স্টোরেজ ক্ষমতার চারটি ট্যাঙ্ক ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে।ট্যাঙ্কগুলোর ৬০ দিনের জন্য কয়লা সংরক্ষণের সক্ষমতা রয়েছে। জাহাজ থেকে কয়লা আনলোড করতে দেড় থেকে দুই দিন সময় লাগবে।সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, কয়লা খালাস করা পরিবেশবান্ধব হবে, কারণ, কয়লা সরাসরি জেটি থেকে ট্যাঙ্কে অফলোড করা হবে।কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়নে ১ হাজার ৬০৮ একর জমির ওপর স্থাপিত হচ্ছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিএল) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের স্থান পরিদর্শনকালে দেখতে পান, কয়লা উত্তোলনের জন্য দুটি জেটি এবং কয়লা সংরক্ষণের জন্য চারটি ট্যাংক নির্মাণসহ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে।মাতারবাড়ি গভীর বন্দর ও মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র সাইটের কাছে এলএনজি ও এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে।বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৫ বছরের জন্য আজীবন ছাই সংরক্ষণের জন্য দুটি পৃথক ছাই পুকুর রাখা হয়। একটির আয়তন ৯০ একর ও অন্যটির ৬০০ একর জুড়ে বিস্তৃত। কয়লা সংরক্ষণের জন্য ৮০ একর জমিতে কোল ইয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে।বাংলাদেশ সরকার এবং জাইকার মধ্যে ১৬ জুন, ২০১৪ তারিখে একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে জাইকা ৪৩,৯২১ কোটি টাকা এবং অবশিষ্ট ৭,৯৩৩ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার ও পিসপিজিসিবিএল-এর নিজস্ব তহবিল থেকে প্রদান করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের দু’টি অংশ আছে-যার একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও অন্যটি বন্দর। সূত্র বাসস
নিজস্ব প্রতিবেদক
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০ জন মারা গেছেন।এরমধ্যে রাজধানীতে ৬ জন এবং ঢাকা মহানগরীর বাইরে ৪ জন রয়েছে।ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ১৩৪ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৭৮৫ জন এবং ঢাকা মহানগরীর বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ৩৪৯ জন ভর্তি হয়েছেন।আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৭ হাজার ৫৮২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৫৩২ জন এবং ঢাকার বাইরে অন্যান্য বিভাগে ভর্তি রয়েছে ৪ হাজার ৫০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।এতে বলা হয়,এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এ পর্যন্ত ৯৯ হাজার ৯৯৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৪৮ হাজার ৪৫৬ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫১ হাজার ৫৩৮ জন। এদিকে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে এ পর্যন্ত ৪৭৬ জন মারা গেছেন।অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৯১ হাজার ৯৩৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৪৪ হাজার ৫৬৭ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে সুস্থ হয়েছেন ৪৭ হাজার ৩৬৯ জন।গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ৪৩৭ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৩৮ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে সুস্থ হয়েছেন ১৪৯৯ জন। সূত্রঃ বাসস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বহুল প্রতীক্ষিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশের যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করবেন।ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আক্তার আজকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল বিকেল সাড়ে ৩ টায় শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এক্সপ্রেসওয়েটির উদ্বোধন করবেন।উদ্বোধনের পরের দিন বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।তিনি বলেন, এই অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। বোর্ডিংয়ের জন্য ১৫টি র্যাম্প রয়েছে। এর মধ্যে বনানী ও মহাখালীতে দু’টি র্যাম্প আপাতত বন্ধ থাকবে। এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার। থ্রি হুইলার, সাইকেল এবং পথচারীদের এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করতে দেওয়া হবে না। মোটরবাইক এখনই চলতে পারবে না।এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশের টোল রেট ৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করে।ক্যাটাগরি ১-এর অধীনে যে কোনো স্থান থেকে বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ অতিক্রম করার জন্য গাড়ি, ট্যাক্সি, জীপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের নিচে) এবং হালকা ট্রাক (৩ টনের নিচে) টোল রেট ৮০ টাকা।মাঝারি ট্রাকের জন্য (ছয় চাকা পর্যন্ত) যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য টোল রেট ক্যাটাগরি-২ এর অধীনে ৩২০ টাকা ক্যাটাগরি ৩-এর অধীনে যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য ট্রাকের (ছয় চাকার বেশি) টোল রেট ৪০০ টাকা। যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য যে কোনো বাসের (১৬ সীটের বা তার বেশি) টোল রেট ৪-ক্যাটাগরির অধীনে ১৬০ টাকা।ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।প্রাথমিকভাবে এক্সপ্রেসওয়েতে গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার এবং এইচএসআইএ থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে যানবাহনের সময় লাগবে ১০ মিনিট।১১.৫ কিমি মেইনলাইন এবং ১১ কিমি র্যাম্পসহ, অংশটির দৈর্ঘ্য হবে ২২.৫ কিমি। প্রাথমিকভাবে এই অংশের ১৫টির মধ্যে ১৩টি র্যাম্প খোলা হবে। বনানী ও মহাখালীর র্যাম্প নির্মাণ শেষ হলেই খুলে দেওয়া হবে।প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮,৯৪০ কোটি টাকা, এতে ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং (ভিজিএফ) তহবিল ২,৪১৩ কোটি টাকা, যা বাংলাদেশ সরকার প্রদান করবে।ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড বিনিয়োগকারী কোম্পানি। এতে ইতালীয় থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার রয়েছে ৫১ শতাংশ, চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের (সিএসআই) শেয়ার ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেডের ১৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।প্রকল্প অনুযায়ী, প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯ জানুয়ারি ২০১১ এবং পর্যালোচনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩ এবং প্রকল্প সমাপ্তির সময়কাল ছিল জুলাই ২০১১ থেকে জুন ২০২৪।বনানী রেলওয়ে স্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে বেশ কিছু অবকাঠামো প্রকল্প শুরু হয়েছে। আকার, বাজেট এবং অর্থনৈতিক প্রভাব বিবেচনা করে এই প্রকল্পগুলোর অনেকগুলোকে মেগা-প্রকল্প বলা হয়েছে।সরকার তাদের কয়েকটিকে ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে পদ্মা বহুমুখী সেতু, বাংলাদেশের প্্রথম মেট্রোরেল প্রকল্প এমআরটি লাইন-৬ এবং চন্দ্রা-এলেঙ্গা চার লেন মহাসড়ক সম্পন্ন হয়েছে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এবং দীর্ঘতম আন্ডারওয়াটার রোড টানেল, শীঘ্রই যান চলাচলের জন্য খৃুলে দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।অন্যান্য প্রকল্প-পদ্মা সেতু রেল সংযোগ, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল সংযোগ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলওয়ে সেতু। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং তাই সরকারের মূল ফোকাস এখন তাদের সময় মতো সম্পন্ন করা।আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের যোগাযোগ, পরিবহন ও বিদ্যুৎ অবকাঠামোর রূপান্তরের লক্ষে বেশ কিছু স্মারক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা ঢাকা মেট্রোরেল আংশিক চালু করেছে এবং পদ্মা বহুমুখী সেতুসহ অন্যান্য মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে। সূত্রঃ বাসস