স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যায় মোবারক মিয়া ওরফে কানাই মিয়া (৫০) নামের একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কানাই মিয়া সরাইল উপজেলার পশ্চিম কুট্রাপাড়ার নিবু মিয়ার ছেলে।বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম এ রায় দেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদার উল আলম জানান, রায় ঘোষণার সময় আদালতে কানাই মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সংগঠনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠায় বিপ্লবকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো। এছাড়া তাকে কেন সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করা হবে না, আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে দফতর সেলে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেলা শহরের মৌলভীপাড়ায় বিএস ফিটনেস ক্লাবে গোপনে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের প্রতিবাদ করায় আটকে রেখে গৃহবধূসহ দুজনকে মারধর করার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ জিমের পরিচালক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লব, জিমের ফিটনেস ট্রেইনার মিতু আক্তার ও সাইমকে গ্রেফতার করে। ঘটনার দিন রাতেই ওই গৃহবধূর ভাসুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের এপিপি মাসুদুর রহমান (সোহাগ) গ্রেফতার তিনজনসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/৯ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আদর্শপরিপন্থি কার্যকলাপের অভিযোগ পাওয়ায় জেলা ছাত্রলীগের এক জরুরি সভায় বিপ্লবকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া ব্যক্তির দায়, দল বা সংগঠন নেবে না উল্লেখ করে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য বিপ্লবকে শোকজ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ২২ বছরের এক তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার(২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই তরুণী হলো শান্তা আক্তার। সে তার মা মাজেদা বেগমের নিজ বাড়ি উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামে বসবাস করতেন। তার পিতা ফারুক মিয়া জেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিয়াল্লিশহর এলাকার বাসিন্দা।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত শান্তার মা মাজেদা বেগম গত ৫ বছর আগে প্রতিবেশী নাসির মিয়ার সাথে পরকিয়ার প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। তারপর মাজেদা বেগম শান্তার পিতা ফারুক মিয়াকে ফেন্সিডিল দিয়ে পুলিশের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে কিছুদিন পর ফারুক মিয়াকে তালাক দেয়। পরে প্রতিবেশী নাসির মিয়ার সাথে সংসার শুরু করেন। মায়ের এ অপকর্ম মেনে নিতে পারেনি বাক প্রতিবন্ধী শান্তা। এ নিয়ে প্রায় সময় প্রতিবাদ করতেন।এর জেরে গত সোমবার সন্ধায়ও নিহত শান্তকে শারিরীক নির্যাতন করা হয়। প্রতিবেশীরা আরও জানান মঙ্গলবার সকালে শিকল দিয়ে বেঁধে টেনেহিঁচড়ে রাস্তা থেকে বাড়িতে নিয়ে যায়। এর কিছু সময় পর প্রতিবেশীরা জানতে পারে শান্তা আক্তার গলায় ফাঁস দিয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া কিন্ডারগার্টেন উন্নয়ন পরিষদের আয়োজনে আলোচনা সভা, মেধাবৃত্তি, সনদ বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২ মার্চ) সকাল ১০ টায় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সরোদ মঞ্চে এড. লোকমান হোসেন এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা. মো. আবু সাঈদ।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব এম এ এইচ মাহবুব আলম, চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, সত্ব্যাধিকারী এম, আর টেক্সটাইল ঢাকা। এবং মো. আবু কাউছার, চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আদিত্ব্য কামাল, সম্পাদক জনতার খবর।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সংগঠন এর সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন রতন, ও শুভেচ্ছা ব্যক্তব্য রাখেন সংগঠন এর সভাপতি ফারহানা ববি। সহ-সভাপতি কোহিনূর আক্তার প্রিয়া, প্রধান শিক্ষক ও পরিচালক ক্ষুদে পণ্ডিতদের পাঠশালা। সহ-সভাপতি পারভীন বেগম, সহ-সভাপতি শরীফ আহমেদ।
অন্যান্যদের মধ্যে ব্যক্তব্য রাখেন, সংগঠন উপদেষ্টা জাবেদ ওমর, গাজি আবু আসাদ, জামাল উদ্দিন নাগর, জিল্লুর রহমান, মো জাহাঙ্গীর।
জাতীয় সংগীত পরিবেশের অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। অতিথিদেরকে ফুল ও উত্তরীয় পড়িয়ে বরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে ২৪৭ জন বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ৬৪ জন ট্যালেন্টপুল ও ১৮৩ জন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পরিক্ষায় উত্তির্ন হওয়ায় তাদের মাঝে ক্রেস্ট, সনদ, নগদ অর্থ সম্মানি প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, আবদুল মতিন শিপন।
মোঃ জুয়েল মিয়া
চতুর্থ ধাপে আগামী ৫ই জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় আলোচিত ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীর একজন জেলা স্বেছাসেবক লীগ সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন (কাপ-পিরিচ) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। আনুষ্ঠানিকভাবে লোকমান হোসেন নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর ফলে এই উপজেলার নির্বাচনের দৃশ্যপটের পরিবর্তন শুরু হয়েছে।এখন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন (ঘোড়া) এর সঙ্গেই জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদৎ হোসেন শোভন (আনারস) এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।হেলাল উদ্দিন জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখনের ছোট ভাই। এই পরিচয়কে সামনে রেখে এবং আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় নিজের অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। দলের নেতাদেরও তার পক্ষে নামানোর চেষ্টা করছেন। এদিকে সময় যত ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী মাঠে শোভনের অবস্থান তত ভালো হচ্ছে। নির্বাচন ঘিরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শোভনের পক্ষে সর্বত্র সক্রিয় রয়েছেন। রমজানে ভর্তুকিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিক্রির ব্যবস্থা করে দৃষ্টি কাড়েন শোভন। এছাড়া ঈদুল ফিতরে বিভিন্ন স্তরের মানুষের মাঝে উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।চেয়ারম্যান পদে লোকমান হোসেন ছাড়াও আরও ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে অন্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন, কাজী সেলিম রেজা (দোয়াত-কলম) ও আব্দুল কারীম (মোটরসাইকেল)। তারাও ভোটারদের মন জয় করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তফাজ্জল সিকদার (উড়োজাহাজ), মোস্তাক আহমেদ খোকন (বই), মো. আজহারুল ইসলাম (তালা), মো. আনিছ খান (টিউবওয়েল), মো. ইলিয়াছ চৌধুরী (আইসক্রিম), রবিউল আলম (চশমা) ও শফিকুল ইসলাম (মাইক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উম্মে হানি সেতু (কলস), আফরিন ফাতেমা জুঁই (ফুটবল), নাসিমা আক্তার (প্রজাপতি) ও শামীমা আক্তার (পদ্ম ফুল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।গতকাল শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় ঘোষিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে লোকমান হোসেন উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে এবং দলীয় ঐক্যকে সুসংহত করার লক্ষ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই জন্য আমি আমার নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণ, ভোটার, সমর্থক ও শুভাকাঙ্খির কাছে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং যত দিন বেঁচে থাকবো সুখে দুঃখে আপনাদের পাশে থাকার অঙ্গিকার ব্যক্ত করছি।’তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক ও সমাজকর্মী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে সচেষ্ট থাকব। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আমার রাজনৈতিক অভিভাবক। তার প্রতি পূর্ণ আনুগত্য পোষণ করে আগামীর পথচলার অঙ্গীকার করছি।’