স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর ডিআইজি (প্রশাসন) মোঃ মাহবুবুর রহমান ভূইয়া (বিপিএম, বার)। গত ১৮ জানুয়ারি তিনি আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন, রেলওয়ে থানা, আখাউড়া রেলওয়ে সার্কেল অফিস পরিদর্শন করে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। আখাউড়া রেলওয়ে থানায় উপস্থিত হয়ে তিনি পরিদর্শন সালামী গ্রহণ ও পুলিশ সদস্যদের সাথে মত বিনিময় ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়ে ও আলোচনা করেন। ডিআইজি (প্রশাসন) মোঃ মাহবুবুর রহমান ভূইয়া ষ্টেশনের অভ্যন্তরে যাত্রীদের নিরাপত্তায় পুলিশ বক্স, রেলওয়ে সাইনবোর্ড স্থাপন, বিশ্ব এজতেমায় যাত্রী পরিবহনে নিরাপত্তা বিধান, থানা হাজতখানা, নারী ও শিশু বয়স্ক প্রতিবন্ধীদের জন্য হেল্পডেস্ক রক্ষণাবেক্ষণ, আখাউড়া রেলওয়ে সার্কেল অফিস নিরাপত্তার জন্য কাটাতারের বেড়া স্থাপনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন। স্টেশন মাস্টারের সহিত মতবিনিময়ের সময় তিনি সিসি ক্যামরার তথ্য অনুসন্ধান করেন এবং যাত্রীদের সাথে ও মতবিনিমিয় করেন। এছাড়া ব্যবহার অযোগ্য ভবনগুলি মেরামত সাপেক্ষে অফিসার ও ফোর্সদের থাকার জন্য ব্যবহারে উপযোগী করে ব্যবহারের নির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় সিলেট রেলওয়ে পুলিশ সুপার শেখ শরীফুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ ইকবাল হোসেন, আখাউড়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ফজলুল হক, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নূরে আলম, আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন খন্দকার, আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টার মোঃ নুরনবীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বাসস : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই কেবল দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই কেবল জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য এবং জনগণের সেবা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটাই আওয়ামী লীগের মূলমন্ত্র।আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে জনগণ সুবিধা পায় এবং জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়, এটা প্রমাণিত সত্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ নৌকায় ভোট দিয়েছে বলেই, আজ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা সম্ভব হয়েছে।বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে না দেয়া হবে না বলে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “আমি জানি অনেক চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ও শফিউল আলম নাদেল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. ডাঃ রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বেগম আক্তার জাহান, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, ঢাকা উত্তর মহানগর সভাপতি বজলুর রহমান প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
১৯৪৯ সালের এই দিনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠিত হয়, যা পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হয়। শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে পরিবর্তন কখনোই আসত না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি গৃহহীন ব্যক্তিকে একটি বাড়ি দেওয়ার লক্ষ্যে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “বাংলাদেশে কেউ ভূমিহীন থাকবে না, কেউ গৃহহীন থাকবে না। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, তার সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ দিচ্ছে। এমনকি বিনামূল্যে ইনসুলিনও দেওয়া শুরু হয়েছে। “তার মানে, আমরা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান এবং শিক্ষার মতো মানুষের প্রতিটি মৌলিক চাহিদা পূরণ করছি। আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছি।উৎপাদন বাড়ানোর প্রয়াস অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, “সাক্ষরতার হার বৃদ্ধির ধারাবাহিকতার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।কোভিড-১৯, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, “(দেশের মানুষ) একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, আমি এটা জানি। মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি।শেখ হাসিনা দেশের ধনী ব্যক্তিদের আশেপাশে বসবাসতারী যারা একটু দরিদ্র তাদের প্রতি খেয়াল রাখার আহ্বান জানান।তিনি বলেন, “কেউ যেন অস্বাস্থ্যকরভাবে জীবনযাপন না করে। আমরা প্রত্যেককে একটি সুন্দর বাড়ি এবং একটি সুন্দর জীবন দেব।” এটি হবে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের অঙ্গীকার। একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য ২০২৬ সালের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন,জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা অনেক দূর এগিয়ে এসেছি এবং আমরা এটি বাস্তবায়ন করব। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছি আজকের বাংলাদেশে মানুষ নুন ভাতের বদলে ভাত মাংস খেতে চায়। অন্তত, আমরা এই উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের পরিকল্পিত উন্নয়ন ঘটাতে শুরু করে। তিনি দেশের বিভিন্ন খাতে ও সামাজিক সূচকে তার সরকারের অর্জন এবং বিএনপি শাসনামল ও আওয়ামী লীগের বর্তমান শাসনামলের মধ্যে তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটের আকার ২০০৬ সালের মাত্র ৬১,০০০ কোটি টাকা থেকে ৭৬১,৭৮৫ কোটি টাকা, জিডিপির আকার মাত্র ৪.১৫ লাখ কোটি টাকা থেকে এখন ৫০.৩১ লাখ কোটি টাকা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ২০০৬ সালের ৫.৪০ শতাংশ থেকে ৭.২৫ শতাংশে (গড় ৬%) এডিপির আকার ২১,৫০০ কোটি টাকা থেকে ২৭৪,৬৭৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।শেখ হাসিনা বলেন, মাথাপিছু আয় ২০০৬ সালে ছিল মাত্র ৫৪৩ মার্কিন ডলার তা থেকে ২,৮২৫ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। যদিও এখন তা ২,৭৬৫ মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাড়িয়েছিল যা বিএনপি শাসনামলে ছিল মাত্র ০.৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখনও ৩০.৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রিজার্ভ রয়েছে। তিনি বলেন, রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ২০০৬ সালের ১০.০৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ৫২.৯৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বার্ষিক রেমিট্যান্স প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ২৪.০৩ বিলিয়ন ডলার যা বিএনপির আমলে ছিল ৪.৮ বিলিয়ন ডলার। রাজস্ব সংগ্রহ ৩৭,৮৭০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫০০,০০০ কোটি টাকার উপরে দাঁড়িয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যের হার বিএনপি শাসনামলে ছিল ৪১.৫১ শতাংশ থেকে থেকে কমে এখন ১৮.৭ শতাংশে, চরম দারিদ্র্যের হার ২৫.১ শতাংশ থেকে ৫.৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার ৪৯ শতাংশ থেকে ১৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।তিনি বলেন, গড় আয়ু ৫৯ বছর থেকে ৭৩ বছর, বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩,০৭৮ মেগাওয়াট থেকে ২৫,২২৭ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে এবং ২০০৬ সালে মাত্র ২৮ শতাংশ থেকে জনসংখ্যার ১০০ শতাংশ বিদ্যুৎ কভারেজের সুবিধাভোগী, স্যানিটারি ল্যাট্রিন কভারেজ ৯৭.৩২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।তিনি আরো বলেন, ৪৩.২৮ শতাংশ থেকে পানীয় জলের সুবিধাভোগী ৫৫ শতাংশ থেকে ৯৮.৮ শতাংশে, সামাজিক নিরাপদ কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ ২,১০৫ কোটি (৪ শতাংশ) থেকে ১২৬,২৭২ কোটি টাকা (বাজেটের ১৬.৫৮ শতাংশ) এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা বিএনপি শাসনামলের ২১,৪৯,৩৫৭ থেকে ১,৮,১২৩,৫৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, সাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫,৬৭২ থেকে ১১৮,৮৯১টি, খাদ্য উৎপাদন ২.৬১ কোটি মেট্রিক টন থেকে ৯.৮০ কোটি মেট্রিক টন, খাদ্যশস্য উৎপাদন ১.৮০ কোটি মেট্রিক টন থেকে ৪.৯২ কোটি মেট্রিক টনেদাঁড়িয়েছে। তিনি আরো বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ০.২৩ শতাংশ থেকে ৭৩.৫ শতাংশ, মোবাইল সিম সাবস্ক্রিপশনের সংখ্যা ১৯ মিলিয়ন থেকে ১৮৩ মিলিয়নে, ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ২০০ থেকে ৬৭০,০০০ জন, ডিজিটাল পরিষেবার সংখ্যা মুষ্টিমেয় কয়েকজন থেকে ২,১৮০ জনে উন্নীত হয়েছে। সরকারি ওয়েবসাইটের সংখ্যা মাত্র ৯৮টি থেকে ৫১,৬৭৮টি হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি আমলে গ্রামীণ সড়ক ৩ হাজার ১৩৩ কিলোমিটার থেকে ৮৯ হাজার ৮৭৪ কিলোমিটার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এর মানে আমরা বাংলাদেশে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছি।
মোঃ জুয়েল মিয়া
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক এপিএস ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবনের ভরাডুবি হয়েছে। এছাড়া আখাউড়া উপজেলা আ.লীগের ‘ঐক্যের প্রার্থী’ মুরাদ হোসেন এর ও ভরাডুবি হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে দ্বিগুণ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলেন ছাইদুর রহমান স্বপন ও মোঃ মনির হোসেন।কসবা উপজেলায় ছাইদুর রহমান স্বপন কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৮৫ হাজার ৯৩০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই, কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও কুটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৭ ভোট।উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৬ হাজার ৫৫৬ ভোট পেয়ে চশমা প্রতিক নিয়ে বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কসবা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন তালা প্রতীকে ৪৯ হাজার ১৯১ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া নির্বাচিত হয়েছেন। কসবা উপজেলায় মোট ২ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৬ জন ভোটারের মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার ২০২ টি ভোট পড়েছে যা মোট ভোটার সংখ্যার ৪৬.২৭ শতাংশ। ২য় ধাপে এ উপজেলার ৮৩ টি ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোঃ মনির হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ও মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মুরাদ হোসেন ভূইয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৭৩ ভোট। মুরাদ হোসেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল এর আস্থাভাজন ছিলেন। তাকে উপজেলা আওয়ামীলীগ ‘ঐক্যের প্রার্থী ’ বলে ঘোষণা দিয়েছিল। আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, মোগড়া ইউপি চেয়ারম্যান এমএ মতিন ও দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন মুরাদ হোসেনকে বিজয়ী করার জন্য বিতর্কিত নানান কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। এর মধ্যে পৌর মেয়র কাজল ও মোগড়া ইউপি চেয়ারম্যান মতিনকে অশালীন বক্তব্য দেওয়ায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শোকজ করেছিল এবং দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন কে ভোটের আগের দিন ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া ভোটকেন্দ্রে অনৈতিক কাজ ও প্রভাব বিস্তারের কারনে ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন ও এমএ মতিন সাধারণ ভোটার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী-সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েন।উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাইক প্রতীকে ১৫ হাজার ৫৩ ভোট পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জুয়েল রানা টিউবওয়েল প্রতীকে ১১ হাজার ৮৫১ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীকে ২০ হাজার ২০৫ ভোট পেয়ে রোকসানা আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক পিয়ারা বেগম পিওনা হাঁস প্রতীকে ১১ হাজার ৫৪০ ভোট পেয়েছেন।আখাউড়া উপজেলায় মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ৮৭০ ভোটারের মধ্যে ৪৪ হাজার ১১৬ টি ভোট পড়েছে যা মোট ভোটার সংখ্যার ৩৪.৫০ শতাংশ। ২য় ধাপে এ উপজেলার ৪৬ টি ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গড়ে এই দুই উপজেলায় ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১০-১২ বছরের মধ্যে এমন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট এই দুই উপজেলায় তেমন হয়নি। প্রশাসন, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে এমন ভোট গ্রহণ সম্ভব হয়েছে বলে ভোটাররা মনে করছেন। একনায়কতন্ত্রের উপজেলা হিসেবে পরিচিত এক শাসকের দীর্ঘদিনের অপশাসন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের জবাব নীরব ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে আখাউড়া উপজেলার ভোটাররা দিয়েছেন বলে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। ভোটের ফলাফল পেয়ে উচ্ছসিত সাধারণ ভোটার ও জনগণ। এছাড়া কসবায় আইনমন্ত্রীর ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমান স্বপন চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় তার প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী জীবন শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছেন। এর ফলে কসবা ও আখাউড়া উপজেলার রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের সূচনা হবে বলে সুশীল সমাজের লোকজন ধারণা করছেন। ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান ও তাদের সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। অবৈধভাবে জোরপূর্বক ভোট ছাপানোর সুযোগ দেওয়া হয়নি। জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি কেউ। যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রকৃত ভোটাররা ভোট দিয়েছে। গতকাল ২১ মে নির্বাচন পরিদর্শনে এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন,‘ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপে কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা হয়েছে। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে আসে সেই অবস্থা তৈরি করা হয়েছে। আমরা আশাবাদী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য আমরা যে অঙ্গীকারাবদ্ধ নির্বাচন কমিশনের যেই নির্দেশনা সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পারব। এবং এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অবাধ হবে।’ এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আজ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার মহান স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে দিবসটি পালন করবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-সূর্য উদয় ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে সংগঠনের সকল স্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন, মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল এবং টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, ঘাতকরা একে একে প্রাণ নিয়েছে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্ত:স্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। সেই সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
মূলত, ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট থেকেই বাংলাদেশে এক বিপরীত ধারার যাত্রা শুরু হয়। বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে সামরিক শাসনের অনাচারি ইতিহাস রচিত হতে থাকে। সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদ বিচারের হাত থেকে খুনীদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে আইন হিসেবে অনুমোদন করে।
এমন বিধান রেখে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি আইনটির রিপোর্ট সংসদে উপস্থাপন করেছে। এ ছাড়াও বিলের ৩২ নম্বর ধারা বাদ দেওয়াসহ কয়েকটি ধারায় শব্দগত পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
রোববার জাতীয় সংসদে সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। এর আগে গত বৃহস্পতিবার কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব সুপারিশ চূড়ান্ত করে কমিটি।
বিলে নতুন একটি ধারা যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এই আইনের অন্য কোনো ধারার অধীন মামলা বা অভিযোগ দায়ের করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ না জেনেও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান, তাহলে তা হবে একটি অপরাধ। এই অপরাধে মামলা বা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ দায়ের করিয়েছেন ওই ব্যক্তি মূল অপরাধটির জন্য যে দণ্ড নির্ধারিত রয়েছে সে দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
যদি এ আইনের একাধিক ধারায় কোনো মামলা বা অভিযোগ করেন, তাহলে ওই ধারায় বর্ণিত অপরাধগুলোর মধ্যে মূল অপরাধের জন্য যে দণ্ডের পরিমাণ বেশি হয় সেটাই দণ্ডের পরিমাণ হিসাবে নির্ধারণ করা যাবে।
বিলে আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল এই অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও মামলার বিচার করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে। ৫ সেপ্টেম্বর সাইবার নিরাপত্তা বিল সংসদে তোলা হয়। এরপর বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলের ২১ ধারায় শব্দগত পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রপাগান্ডা ও প্রচারণা সংক্রান্ত অপরাধের কথা বলা আছে। এখানে ‘পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রপাগান্ডা’-এর স্থলে ‘পতাকা সম্পর্কে বিদ্বেষ, বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক’ শব্দ প্রতিস্থাপন করা হবে।
বিলের ৩২ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ধারায় অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট যুক্ত করা হয়েছিল। ডিজিটাল মাধ্যমে কেউ অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টভুক্ত অপরাধ করলে তার সাজার বিধান করতে এটি যুক্ত করা হয়েছিল।
বিলের ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া আছে পুলিশকে। এখানে সংশোধনী এনে বলা হচ্ছে, এই ধারায় সাব-ইন্সপেক্টর পর্যায়ের কর্মকর্তার জায়গায় পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) পর্যায়ের কর্মকর্তা বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতার করতে পারবেন।
বিলের ৮ ধারায়ও সংশোধনী আনা হচ্ছে। ডিজিটাল মাধ্যম থেকে তথ্য-উপাত্ত অপসারণ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এই ধারায়। এখানে আগে বলা ছিল যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘প্রতীয়মান’ হয় ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের বা এর কোনো অংশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন করে বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণার সঞ্চার করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই তথ্য-উপাত্ত অপসারণ করার জন্য মহাপরিচালকের মাধ্যমে বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে।
এখানে ‘প্রতীয়মান’ শব্দের জায়গায় ‘তথ্য-উপাত্ত বিশেষণ সাপেক্ষে, বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে’ প্রতিস্থাপন করা হবে।