স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বেমালিয়া নদীর পাশের মাইল্লা বিল থেকে নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর ফরিদ মিয়া (৬৫) নামের এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার ঘুজিয়াখাইল এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ফরিদ মিয়া সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিন বিকেলে মেঘনা ও বেমালিয়া নদীতে রিং জাল দিয়ে মাছ শিকার করতে যেতেন ফরিদ মিয়া। সারারাত মাছ ধরে সকালে বাজারে নিয়ে বিক্রির পর বাড়িতে ফিরতেন তিনি। সকালে মাছ বিক্রি করে নির্দিষ্ট সময়ে বাড়িতে না আসার কারণে পরিবারের লোকেরা তার খোঁজ করতে থাকেন। পরে আজ সোমবার দুপুরে বেমাললিয়া নদীতে ফরিদ মিয়ার মরদেহ ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয় লোকজন ও স্বজনেরা তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লহ সরকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ স্বাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ( সদর- বিজয়নগর) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে সালমার প্রত্যাহারের দাবি করা হয়েছে। শুক্রবার ওই সরকারি কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শেখ ওমর ফারুক।এছাড়া সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেও একই অভিযোগ করেছেন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শেখ ওমর ফারুক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর পরেও অতিউৎসাহী সরকারি কর্মকর্তা উম্মে সালমা পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন। যার ফলে নিরপেক্ষতা দারুণভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে সালমা সরকারি অফিস ব্যবহার করে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরকে প্রভাবিত করছে। এসবের ছবি তাদের সংরক্ষণে রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা এবং লিফলেট বিতরণ করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে সালমা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর স্ত্রী, মাউশির সদ্য সাবেক মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুনের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজন উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, এই কর্মকর্তা আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে অথবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া কর্মস্থলে অবস্থান করলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরকে প্রভাবিত করে সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে। ফলে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে এই কর্মকর্তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযোগকারী শেখ ওমর ফারুক বলেন, ওই কর্মকর্তা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন৷ নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার কিছু স্থিরচিত্র অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। এসব যাচাই-বাছাই করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে সালমা দৈনিক পত্রিকা প্রতিবেদককে বলেন, ‘এটা কি সম্ভব, আমি সরকারি চাকরি করি, আমি কোথাও কোনো প্রচারণায় অংশগ্রহণ করিনাই। লিফলেট আমি দেখিইনাই, বিতরণ করবো কোথায়।’
অভিযোগের বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান দৈনিক পত্রিকা প্রতিবেদককে বলেন, ‘অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেষ্ঠ প্রতিবেদক-আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবীদের চলমান আদালত বর্জন কর্মসূচি শিগগির তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সার্কিট হাউসে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সমিতির নেতাদের বৈঠকের পর এই তথ্য জানানো হয়।
বৈঠক শেষে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. তানবীর ভূঞা সাংবাদিকদের বলেন, সমিতির সাধারণ সভার পর আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হবে।
আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আইনজীবীদের বৈঠকে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার, জেলা জজ বেগম শারমিন নিগার, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক রবিউল হাসান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নজরুল ইসলাম ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল আমিন উপস্থিতি ছিলেন।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. তানবীর ভূঞা, সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল, সাবেক সভাপতি শফিউল আলম লিটন ও মো. নাজমুল হোসেন, আইনজীবী মাহবুব আলম খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি, টেলিভিশন জার্লালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর এবং দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার রিয়াজ উদ্দিন জামির মৃত্যুতে তিনদিনের শোক কর্মসূচী ঘোষণা করেছে প্রেসক্লাব। কর্মসূচীর মধ্যে মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাব ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন। সংবাদকর্মীদের কালো ব্যাচ ধারন।৩ দিনের শোক শেষে ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার বাদ আসর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। ১০ই মার্চ শুক্রবার বাদ জুম্মা সংবাদকর্মীদের উদ্দ্যেগে শহরের প্রত্যেক মসজিদে দোয়ার আয়োজন।
রিয়াজ উদ্দিন জামির মৃত্যুতে সুধীজনদের অনুভুতি প্রকাশের জন্য শোক বই খোলা হয়েছে। উল্লেখ্য, সোমবার (০৬ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভারতের মুম্বাই টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। তিনি দুই ছেলে, স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।উল্লেখ্য, সাংবাদিক নেতা রিয়াজ উদ্দিন জামি দীর্ঘ ছয় মাস ধরে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।তার ছোট ভাই শিহাব উদ্দিন বিপু জানান, মরদেহ ভারত থেকে আসার পর পারিবারিক সিদ্ধান্তে নামাজের জানাযা সময় নির্ধারণ করা হবে। এ দিকে রিয়াজ উদ্দিন জামির মৃত্যুর সংবাদ শুনে তাঁর বাসায় সহকর্মী সাংবাদিকবৃন্দ, আত্মীয়স্বজনসহ শোকার্ত মানুষের ঢল নামে। তাঁর মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাব ৫ দিনের শোক কর্মসূচী ঘোষণা করে কালো ব্যাচ ধারন করেন। তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের উদ্যোগে কোরআন খতম কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করে সম্মানিত সকল সাংবাদিকদের নিজ নিজ মহল্লার মসজিদে মঙ্গলবার বাদ এশা দোয়ার আয়োজন করার জন্য বিনীত অনুরোধ করেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন বেলাল।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকাল ৮টায় উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরমানন্দপুর গ্রামের নুর আলী-আইয়ুব গ্রুপ ও মতি-জাফর গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে আজ সকালে সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে নুরআলী-আইয়ুব গ্রুপের লোকজন মতি-জাফর গ্রুপের লোকজনকে ডাকাডাকি শুরু করে। পরে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আ.স.ম আতিকুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সংঘর্ষে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।