স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক : রেইনবো প্রি স্কুলের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উদযাপিত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কমিউনিটি সেন্টারে এক জমকালো আয়োজনে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
আবদুল মতিন শিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেন্টাল সার্জন ডা. মেজবাহ উদ্দিন, সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন ও হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সালমা বারী, দৈনিক কুরুলিয়া পত্রিকার সম্পাদক ইব্রাহিম খান সাদাত, পাইকপাড়া জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ কবির আখন্দ, এবং সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, শিশুদের মানসিক বিকাশ এবং মেধায় সৃজনশীলতা গঠনে রেইনবো প্রি স্কুল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তারা আরও বলেন, কর্মজীবী বাবা-মায়েরা প্রাথমিক স্তরে শিশুদের প্রস্তুত করতে অনেক সময় হিমশিম খেতে হয়, তবে রেইনবো প্রি স্কুল আনন্দের মাধ্যমে খেলার ছলে শিশুদের পাঠদান করে থাকে। বক্তারা স্কুলটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
অনুষ্ঠানটি শুরু হয় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেইনবো প্রি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক শারমিন আক্তার। অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মো. নূরল আমিন এবং আশামনি।
এ সময় স্কুলের শিক্ষার্থীরা নাচ, গান, আবৃত্তি, রাফেল ড্র এবং জাদু প্রদর্শনের মাধ্যমে অতিথিদের মুগ্ধ করেন। পুরনো শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা স্বরূপ ড্রেস, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট দেওয়া হয় এবং নতুন শিক্ষার্থীদের মেডেল পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়। এছাড়া, শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের ২০ জন শিক্ষকের সম্মাননা প্রদান করা হয়। বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় রেইনবো প্রি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শারমিন আক্তারের বাবা মো. দুলাল মিয়া ও মা জোসনা বেগমকে।
অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে বেকিং সুন্দরী খাদিজা আক্তারের স্পনসর করা একটি কেক কেটে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্ষুদে পণ্ডিতদের পাঠশালা’য় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পশ্চিম মেড্ডার আরামবাগে অবস্থিত স্কুল প্রাঙ্গণে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
ক্ষুদে পণ্ডিতদের পাঠশালা’র প্রধান শিক্ষিকা কোহিনূর আক্তার প্রিয়া’র সভাপতিত্বে ও আবদুল মতিন শিপনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নতুন মাত্রা’র সম্পাদক আল-আমিন শাহীন, জনতার খবর সম্পাদক আদিত্ব্য কামাল, জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি ফজিলাতুনাহার, বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক সামসুল আলম বাবু, পিসভিশন সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ খাঁন, কবি আজীজা সোপান, কবি গোলাম মোস্তফা, জেলা কিন্ডার গার্টেন উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ফারহানা ববি, কবির কলম এর সভাপতি তিতাস হুমায়ূন, সোনালি সকালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফাহিম মুনতাসির, সমন্বয়ক শাহআলম পালোয়ান।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অভিভাবক মোহাম্মদ আবদুল বাতেন, কেক সুন্দরী আখি নূর, কণ্ঠ শিল্পী সাজ্জাদ হোসেন হেলাল, ডিজিটাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পাদক আবদুল্লাহ্ আল নাঈম, ভিশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া টিভির সম্পাদক জানে আলম, প্রিয় পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা সাইফুর রহমান নাহিদ, জননী কিন্ডারগার্টেন এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক পারভিন বেগম, প্রাউড অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র এডমিন সোহাগ সরকার, শাহরিয়ার আহমেদ শুভ, আমরাই আগামীর চোখ সংগঠনে সভাপতি সৈয়দ রুম্মান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ফাতেমা ফিভা ও নুসরাত আক্তার।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা, সবশেষে কেক কেটে উপস্থিত সকালের মাঝে বিতরণ করা হয়।
নিহত জাকির হোসেন উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের সোনামোড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে।
শনিবার বিকাল ৫টার সময় তার আপন ছোট দুই ভাই আক্তার হোসেন (৩৭) ও মুক্তার হোসেন (৩৪) ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে জমি নিয়ে তাদের ভাইদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জেরে ছোট দুই ভাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে জাকির অজ্ঞান হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ডা. তাবরুজ নাঈম সিয়াম যুগান্তরকে জানান, নিহত জাকির হোসেনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
বিজয়নগর থানার ওসি মো. রাজু আহম্মেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ভাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাহফিল থেকে ফেরার পথে বক্তার ওপর হামলাকারীদের মধ্যে ৪ জনকে আটক করেছে র্যাব-৯। বুধবার (৮মার্চ)জেলা শহরের পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন র্যাব-৯-এর অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।আটককৃতরা হলেন বিজয়নগর থানার শ্রীপুর গ্রামের জাকির হোসেন জাক্কু (৪৮), মাহবুবুল আল শিমুল(৩৩), চাওড়া গ্রামের সুমন (৩৫) ও কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার বিংলা বাড়ি গ্রামের মোঃ আমিরুল ইসলাম রিমন(২০)। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে র্যাব-৯-এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মুমিনুল হক বলেন, গত ৫ মার্চ রোববার রাত সোয়া বারোটার দিকে হযরত মাওলানা মুফতি শরীফুল ইসলাম নূরী বিজয়নগরের দৌলতবাড়ি দরবার শরীফের মাহফিল শেষ করে তার পরিচিত একজনসহ মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের রামধননগর রেল ক্রসিংয়ের উত্তর পাশে ফাঁকা রাস্তার পাশে পৌঁছামাত্র অজ্ঞাতনামা কয়েকজন তাকে হামলা করে তার জিহ্বা কেটে ফেলে। এ ঘটনায় আহতের চাচা মোঃ আব্দুল বাছির ভূঁইয়া (৫৫) বাদী হয়ে এজহার নামীয় ২ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৫ থেকে ৭ জনের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। র্যাবের ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে র্যাব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাবের একাধিক আভিযানিক দল ৭ মার্চ হত্যা চেষ্টার সাথে জড়িত ১ জন এজহারভুক্ত আসামীসহ ৪ জনকে আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ইসলামী বক্তা মাওলানা শরীফুল ইসলাম নূরীর দৌলত বাড়ি মাহফিলে বক্তব্যের কিছু অংশ আসামীদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয় নাই এবং সেই বক্তব্যে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। ভিকটিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। যার ফলশ্রুতিতে ফেরার পথে আসামিরা ভিকটিমের উপর অতর্কিত হামলা করে জিহ্বা কেটে ফেলে।