স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
পবিত্র ঈদুল আযহা মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পালিত হয় এ উৎসব। ঈদুল আযহা কোরবানির ঈদ হিসেবেও পরিচিত। কোরবানি শব্দটির অর্থ ত্যাগ ও নৈকট্য। মহান স্রষ্টার সন্তুষ্টি ও মানবকল্যাণে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করাই মূলত ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদের তাৎপর্য।কোরবানির ইতিহাস সুপ্রাচীন। প্রায় চার হাজার বছর আগে হজরত ইব্রাহিম (আ) স্বপ্নে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানি করার জন্য মহান আল্লাহতায়ালার নির্দেশ পেয়েছিলেন। হজরত ইব্রাহিম (আ)-এর জীবনে সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন তার পুত্র হজরত ইসমাইল (আ)। আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের জন্য তিনি তার প্রিয়তম পুত্রকেই কোরবানি করার প্রস্তুতি নেন। তিনি পুত্রকে মহান আল্লাহর নির্দেশের কথা জানান এবং পুত্র সানন্দে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে সম্মত হন। পরম করুণাময়ের অপার কুদরতে হজরত ইসমাইল (আ)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। এ ঘটনার অন্তর্নিহিত বাণী স্রষ্টার প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য ও ত্যাগ স্বীকারের মধ্যেই ঈদুল আযহার এই আনন্দ নিহিত। তাই ঈদুল আজহা ত্যাগের মহিমায় ক্ষুদ্রতা ভুলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে মিলিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়।এরই সূত্র ধরে গোটা মুসলিম জাহানে আজও চলে আসছে কোরবানির এই ধারা। এর ভেতর দিয়ে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের দিকে অগ্রসর হয় মুসলিম জাতি।কোরবানি মুসলিম উম্মাহর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যাঁদের ওপর জাকাত ওয়াজিব, তাঁদের ওপর কোরবানিও ওয়াজিব।পশু কোরবানির মাধ্যমে গরিব-দুঃখী ও পাড়া-প্রতিবেশীর আপ্যায়নের ব্যবস্থা হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য স্বার্থত্যাগ, আত্মত্যাগ ও সম্পদত্যাগই হলো কোরবানি। কোরবানি শুধু একটি আনন্দ-উৎসব নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষা ও দর্শন। ঈদুল আযহা আত্মত্যাগের প্রেরণায় উজ্জীবিত এক অনন্য আনন্দ উৎসব। যে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণ মূর্ত হয় মানুষের জীবনে, তার জন্য চরম ত্যাগ স্বীকারের এক প্রতীকী আচার এই কোরবানি।ঈদুল আযহার প্রকৃত উদ্দেশ্য নিজের অহমিকা ও উচ্চাভিলাষ উৎসর্গ করা। পশু কোরবানির ভেতর দিয়ে মানুষের ভেতরে থাকা পশুশক্তি, কাম-ক্রোধ, লোভ, মোহ, পরনিন্দা, পরশ্রীকাতরতা ইত্যাদি রিপুকেই ত্যাগ করতে হয়। তাই শুধু পশু নয়, প্রয়োজন পশুত্বের কোরবানি। কোরবানিদাতা শুধু পশুর গলায় ছুরি চালান না, তিনি তাঁর সব কুপ্রবৃত্তির ওপরও ছুরি চালিয়ে তাকে নির্মূল করেন। এটাই হলো কোরবানির মূল শিক্ষা। পশু কোরবানির ক্ষেত্রে এ অনুভূতি অবশ্যই প্রয়োজন।এমন একসময়ে ঈদুল আযহা উদযাপিত হতে যাচ্ছে, যখন সমাজ ক্রমেই অস্থিরতা ও নিষ্ঠুরতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। এই সংঘাত-সংঘর্ষের মনোবৃত্তি ত্যাগ করে মানুষে মানুষে সৌভ্রাতৃত্ব তৈরি করতে হবে। সব ক্ষেত্রে ত্যাগের মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।রাজধানী’সহ সারা দেশে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু। দেশের বিভিন্ন এলাকায় মানুষ বন্যাপীড়িত। অনেক ঈদগাহ হয়তো পানির নিচে তলিয়ে আছে। ওই সব এলাকার মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা স্মরণ করে মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া ও ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরির অঙ্গীকার করতে হবে।বিত্তবৈভবের প্রতিযোগিতা ও মহড়া না দেখিয়ে দুস্থ ও দুর্গত মানবতার পাশে দাঁড়ানো এ সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় সেবার মানসিকতা নিয়ে দাঁড়াতে হবে দুস্থ ও আর্তমানুষের পাশে।
জুয়েল মিয়া
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর উন্নয়ন ও সরাইল-ধরখার-আখাউড়া বন্দর পর্যন্ত চার লেনের মহাসড়ক প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। সোমবার(২৪জুলাই) দুপুরে প্রকল্প পরিদর্শনে এসে প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, ‘প্রকল্পটি আমাদের দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে যোগাযোগব্যবস্থা আরও সহজ করবে। অর্থনৈতিক দিক থেকেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, ’আজ এখানে এসেছি ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের মাধ্যমে চার লেনের জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের কাজের গতিবিধি কেমন চলছে দেখার জন্য। প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করতে আমাদের আরও কি করণীয়, এই পরিদর্শনে সহজে বুঝতে পারব। সামনের দিনগুলোতে আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সে বিবেচনায় আমরা চেষ্টা করছি প্রকল্পের কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে।’ তিনি আরও বলেন, ’আমি খুবই খুশি, এখানকার সাধারণ মানুষজন খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা করেছেন; যেন আমরা প্রকল্পের কাজ সুন্দরভাবে শেষ করতে পারি।’ প্রকল্প পরিদর্শনের সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরীর নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।এর আগে দুপুরে ভারতীয় হাইকমিশনার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর হয়ে সড়কপথে আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছান। এ সময় আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা ও স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষে লন্ডন থেকে আজ ঢাকায় পৌঁছেছেন।প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট (বিজি-২০৮) আজ বেলা ১২টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পথে প্রধানমন্ত্রী বিমানের প্রতিটি কোনায় ঘোরাফেরা করেন। তিনি যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের সঙ্গে ছবিও তোলেন।প্রধানমন্ত্রী যাত্রীদের সঙ্গে বেশকিছু সময় কাটান। এই সময় কয়েকজনকে প্রধানমন্ত্রীকে পাশে পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং তাঁর সাথে সেলফি তোলেন। কয়েকজন নারী যাত্রীকে প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরতেও দেখা গেছে।এর আগে বিমানটি লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে (লন্ডন সময়) যাত্রা করে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছান।লন্ডনে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত শেখ হাসিনা বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে দেয়া এক সংবর্ধনায় যোগদেন এবং বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা বিষয়ে গঠিত এপিপিজি’র সভাপতি এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী রুশনারা আলী এমপি’র নেতৃত্বে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) একটি প্রতিনিধিদলসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্টজন তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ১৭-২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশন এবং এর ফাঁকে অন্যান্য উচ্চ-পর্যায়ের ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ হাসিনা ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন। সুত্রঃ বাসস
জুয়েল মিয়া
যারা বাংলাদেশের আদালত দ্বারা সাজাপ্রাপ্ত এবং অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ করে যারা সাজাপ্রাপ্ত তাদের সকলকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিব। উদ্যোগ যেটা আছে সেটাকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করবো।’ তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিবে কিনা-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে এসব কথা বলেন। ড. মোহাম্মদ ইউনূছের মামলায় আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে, ১২ জন মার্কিন সিনেটরদের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যতদূর এই মামলার কাগজপত্র দেখেছি। সেখান থেকে আমি বলতে পারবো বিচারিক আদালতে প্রচলিত আইনের যে ধারা আছে সে ধারা অনুযায়ী বিচার হয়েছে। আমি এর থেকে কিছু বলবো না। তার কারণ হচ্ছে, যিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি নিশ্চয় আপিল করবেন। সেখানে কোন প্রভাব করুক সেটা আমি চাই না।’ সরকার পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এমন মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আনিসুল হক এক কথায় বলেন, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। নিজ নির্বাচনি এলাকা কসবা ও আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক গণসংবর্ধনাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুদিনের সফরে সকালে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে আখাউড়ায় আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এসময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগসহ অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে মন্ত্রীকে স্বাগত জানায়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাসেদুল কাওছার জীবন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া প্রমুখ।উল্লেখ্য, কসবা-আখাউড়া সংসদীয় এলাকা থেকে টানা তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এবং টানা তিন বার আইনমন্ত্রী হওয়ায় শনিবার বিকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে আনিসুল হককে গণ সংবর্ধনা দিবে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘মার্কিন কর্মকর্তাদের আগমন তাদের সাথে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হওয়ার বার্তাই বহন করে। এই আগমনকে আমরা স্বাগত জানাই।তিনি আজ দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা প্রায়ই আসছেন এবং চলতি মাসে সে দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দলের আসার কথা রয়েছে -এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কর্মকর্তা এসেছেন এবং সহসাই আরো বেশ কয়েকজন আসবেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। তাদের সাথে আমাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সহযোগিতা রয়েছে এবং বিশ্বাঙ্গণেও বহুমাত্রিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা কাজ করি। বাংলাদেশের উন্নয়নেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিরাট ভূমিকা রাখছে। বিএনপির মহাসচিব ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের বলেছেন, ‘কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না’ এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশের মালিক জনগণ। রাষ্ট্র ক্ষমতায় কারা যাবে সেটি নির্ধারণ করার মালিক হচ্ছে জনগণ। বিএনপির যদি কোনো নালিশ থাকে তা দিতে হবে জনগণের কাছে, বিদেশিদের কাছে নয়। জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে এবং যুক্তরাজ্যে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেখানে যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তারাই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে আমাদের দেশেও ঠিক একইভাবে নির্বাচন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নালিশ তারা করতে পারে কিন্তু আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো নালিশ জনগণের কাছে করার জন্য, বিদেশিদের হাতে-পায়ে না ধরার জন্য।বিএনপির সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন চট্টগ্রাম থেকে শুরু হবে এমন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে নিহত হয়েছিলেন অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে। চট্টগ্রাম খুব তাৎপর্যপূর্ণ। তারা তো মাঝে মধ্যেই এক দফার আন্দোলনের ঘোষণা দেন। তো এক দফা আন্দোলন চট্টগ্রামেই মারা যায় কি না, সেটিই দেখার বিষয়।’ ভূ-রাজনীতির কোনো চাপ সরকারের ওপরে আছে কি না এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো চাপে নাই। ২০১৩-১৪-১৫ সালে বিএনপি আন্দোলনের নামে যে সহিংসতা করেছে, সেটি আমরা সামাল দিয়েছি। সেটি করার সামর্থ্য বিএনপির এখন নাই এবং ভূ-রাজনীতির কারণে আর এ ধরণের আন্দোলন করা তাদের পক্ষে সম্ভবপর নয়। আমরা জানি কখন কি করতে হবে।’তিনি বলেন, ‘বিএনপি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলো বর্জন করেছিলো এবং তাদের দলীয় কর্মী-সমর্থকদের এবং জনগণকেও বর্জন করার, ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার আহবান জানিয়েছিলো। তাদের এতো প্রচারণার মধ্যেও ৫০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। সুতরাং আগামী নির্বাচনেও জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করবে।’ ড. হাছান বলেন, ‘গণতন্ত্রের মূল বিষয় জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে কি না। বিএনপি’র অংশগ্রহণ আমরা অবশ্যই স্বাগত জানাই। তবে তারা যদি নাও আসে, আগামী নির্বাচনে জনগণ থাকবে। এর আগে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) থেকে প্রকাশিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি: সংবাদপত্রে প্রতিফলন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, পরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, গ্রন্থকার গবেষক পপি দেবী থাপা প্রমুখ মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন। সূত্রঃ বাসস
আশরাফুল ইসলাম সুমন।
আগামীকাল ১ ফ্রেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপ-নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এই আসনে দু’বারের সাবেক সাংসদ অ্যাড. জিয়াউল হক মৃধা সরে দাঁড়ানোয় মূলত প্রতিদ্বন্দ্বী এখন চারজন। বিএনপি থেকে গতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া এই আসনে ৫ বারের সাংসদ স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া (কলারছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী আ.হামিদ ভাসানী (লাঙ্গল প্রতীক), আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ (মোটরগাড়ি প্রতীক), জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল (গোলাপ ফুল প্রতীক) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি দুই উপজেলার (সরাইল-আশুগঞ্জ) ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এর মাঝে সরাইলে ৯টি এবং আশুগঞ্জে ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩১৩ জন। সরাইল উপজেলায় ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯টি। অপরদিকে আশুগঞ্জ উপজেলার ভোটার ১ লাখ ৩২ হাজার। দুই উপজেলায় মোট কেন্দ্র ১৩২টি। সরাইলে ৮৪টি কেন্দ্র এবং আশুগঞ্জে ৪৮টি কেন্দ্র রয়েছে। এদিকে প্রশাসন শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। নির্বাচনে সংসদীয় আসনে অফিসারসহ ১ হাজার ১’শ পুলিশ মোতায়েন করার কথা রয়েছে। এছাড়া র্যাবের ৯টি টিম, ৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম ও ৪টি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে ৩ জন পুলিশ, ২ জন অস্ত্রধারী আনসার, লাঠিধারী ১০ জন আনসার, ২ জন গ্রাম পুলিশ, ১৭ ইউনিয়নে ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এব্যাপারে জেলা নির্বাচন অফিসার ও উপ-নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং অফিসার জিল্লুর রহমান বলেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে’। নির্বাচনের বিষয়ে পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না। কেও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’। উল্লেখ্য এই আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী না দিয়ে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, জেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ এবং সরাইল উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শিউলী আজাদ, জেলা আ.লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মঈনউদ্দিন মঈনসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তারের (কলার ছড়ি প্রতীক) পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন।