স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া,নিজস্ব প্রতিনিধি
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে অতীতে বিএনপি ও তাদের হোতারা তামাশা করেছে। আওয়ামী লীগ কোনো দিন নির্বাচন নিয়ে তামাশা করে নাই এবং ভবিষ্যতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সঠিকভাবে করে দেবে মঙ্গলবার(২৭ জুন)সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে এসব কথা বলেন তিনি।
গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সরকার তামাশা করছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের করা এমন মন্তব্যের জবাবে আনিসুল হক বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভ্যাস হচ্ছে উদ্ভট উদ্ভট কথা বলা। আর নির্বাচন নিয়ে বিএনপি এবং বিএনপির যারা হোতা তারাই তামাশা করছেন অতীতে।এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, , সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খান, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ শাপলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ঢাকা থেকে আন্তনগর মহানগর প্রভাতি ট্রেনযোগে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন পৌঁছালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নিজের পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। কসবা ও আখাউড়ায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে মন্ত্রীর।
মনোজ কুমার সাহা
আগামীকাল মঙ্গলাবার শোকাবহ আগস্ট মাস শুরু হচ্ছে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আগস্টের প্রথম দিনের প্রত্যুষে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। বুকে ধারণ করা হবে শোকের চিহ্ন কালো ব্যাজ। এদিন সকাল থেকে মাসব্যাপী সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে কোরানখানীর আয়োজন করা হয়েছে।মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শোকাবহ আগস্টের শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি মো. আতিয়ার রহমান, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রশাসন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সগযোগি সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, এ্যাসেনসিয়াল ড্রাগস্, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক. সমাজিক, সাংস্কৃতিক শ্রমজিবি ও পেশাজিবি সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শোকের মাসের বিন¤্র শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এরপর মাসব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক. সমাজিক, সাংস্কৃতিক শ্রমজিবি ও পেশাজিবি সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পালা চলবে।টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ বলেন, আগস্টে বাঙ্গালী জাতি তার শ্রেষ্ঠ সন্তান শতাব্দীর মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছে। তাই এ মাস আমাদের কাছে বেদনার অশ্রু মিশ্রিত শোকার্ত মাস। শোকের মাস পালন উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কালোব্যাজ ধারণ, শোক র্যালি, আলোচনাসভা, দোয়া-মোনাজাত, কোরানখানী,বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণের আয়োজন করেছে। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মামুন বলেন, শোকবহ আগস্টের প্রথম দিনে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনসহ সব দপ্তরের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শোকাবহ আগস্টের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। আগস্টের প্রথম দিনেই ধারণ করা হবে কালো ব্যাজ ।বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের সহকারী কিউরেটর মো. নূরুল ইসলাম বলেন, শোকের মাসের প্রথম দিন সকালে সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স্রে কর্মরতরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন। এরপর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে কালো পতাকা টাঙ্গানো হবে। জাতীয় পতাকা অর্ধ নমিত রাখা হবে। শোকের মাসের জাতীয় সব কর্মসূচিও এখানে পালন করা হবে।টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব আলহাজ মাওলা মু. নওয়াব আলী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, সুলতানা কামাল, পারভীন জামাল রোজীসহ ৭৫ এর ১৫ই আগস্টের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় সমাধিসৌধে মাসব্যাপী কোরআন তেলাওয়াত করা হবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে আমার নেতৃত্বে কোরআন তেলওয়াত শুরু হবে। এছাড়া প্রতিদিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান ও মাতার নাম শেখ সায়েরা খাতুন। বঙ্গবন্ধু আন্দোলন সংগ্রাম করে বাঙ্গালী জাতিকে পারধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত করেছেন। ৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট একদল বিপথগামী সেনা সদস্য এই মহান নেতাকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরের দিন টুঙ্গিপাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে বা-বাবার পাশে বঙ্গবন্ধুর মরদেহ গ্রামের মানুষের সহায়তায় দাফন করে সেনাসদস্যরা। বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধকে ঘিরে পশ্চাদপদ টুঙ্গিপাড়া এখন নব আলোকে উদ্ভাসিত। টুঙ্গিপাড়া এখন বঙ্গালীর তীর্থস্থান। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ এখানে আসেন। তারা বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয়া মোনাজাত করেন। ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ডের কথা স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুর আনাসারীরা তাঁর জন্য কাঁদেন। এ বছরও যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শোকাবহ আগস্টের পুরো মাসজুড়ে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি মানুষ শ্রদ্ধাবনত চিত্তে পুস্পার্ঘ নিবেদন করবেন। বাঙ্গালী জাতির মুক্তির দূত বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শোকের মাস জুড়ে শোকার্ত মানুষের ঢল নামবে। সূত্র বাসস
জুয়েল মিয়া
যারা সংবিধান মানে না তাদের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা অনেক কিছুই বলবে। আমরা সংবিধান মেনে চলি। সংবিধান অনুযায়ি হবে নির্বাচন। আর যারা সংবিধান মানে না তারা বাংলাদেশি নাগরিক দাবি করা আমার মনে হয় ঠিক না। আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমাদেরকে কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ি আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। আনিসুল হক আরও বলেন, বিএনপি নেতারা অনেক কথা বলতে পারে। আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১৮ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছে। আমরা বাংলাদেশের সংবিধান মেনে চলি। তার কারণ হচ্ছে, ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সংবিধান দিয়েছেন। আমরা সেই সংবিধান মেনেই নির্বাচন করব।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার আখাউড়া রেলওয়ে সার্কেল মো. ফজলুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুল ইসলাম,আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন-আহবায়ক মনির হোসেন বাবুল, আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুল ,আখাউড়া উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বগ শাপলু,সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমূখ।এর আগে মন্ত্রী মহানগর প্রভাতী ট্রেনে করে আখাউড়ায় আসেন। আজ দিনভর তিনি কসবা-আখাউড়ায় পূর্ব নির্ধারিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর ডিআইজি (প্রশাসন) মোঃ মাহবুবুর রহমান ভূইয়া (বিপিএম, বার)। গত ১৮ জানুয়ারি তিনি আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন, রেলওয়ে থানা, আখাউড়া রেলওয়ে সার্কেল অফিস পরিদর্শন করে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। আখাউড়া রেলওয়ে থানায় উপস্থিত হয়ে তিনি পরিদর্শন সালামী গ্রহণ ও পুলিশ সদস্যদের সাথে মত বিনিময় ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়ে ও আলোচনা করেন। ডিআইজি (প্রশাসন) মোঃ মাহবুবুর রহমান ভূইয়া ষ্টেশনের অভ্যন্তরে যাত্রীদের নিরাপত্তায় পুলিশ বক্স, রেলওয়ে সাইনবোর্ড স্থাপন, বিশ্ব এজতেমায় যাত্রী পরিবহনে নিরাপত্তা বিধান, থানা হাজতখানা, নারী ও শিশু বয়স্ক প্রতিবন্ধীদের জন্য হেল্পডেস্ক রক্ষণাবেক্ষণ, আখাউড়া রেলওয়ে সার্কেল অফিস নিরাপত্তার জন্য কাটাতারের বেড়া স্থাপনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন। স্টেশন মাস্টারের সহিত মতবিনিময়ের সময় তিনি সিসি ক্যামরার তথ্য অনুসন্ধান করেন এবং যাত্রীদের সাথে ও মতবিনিমিয় করেন। এছাড়া ব্যবহার অযোগ্য ভবনগুলি মেরামত সাপেক্ষে অফিসার ও ফোর্সদের থাকার জন্য ব্যবহারে উপযোগী করে ব্যবহারের নির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় সিলেট রেলওয়ে পুলিশ সুপার শেখ শরীফুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ ইকবাল হোসেন, আখাউড়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ফজলুল হক, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নূরে আলম, আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন খন্দকার, আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টার মোঃ নুরনবীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মো. রুবেল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মাজেদা বেগমের তৈরি নানান রকমের শতাধিক রকমের ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খেতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছুটে আসছেন পিঠা প্রিয় মানুষজন। উপজেলার বাহেরচর বাজারের পিঠা দোকান কেন্দ্র করে কাস্টমারদের সমাগমে দৈনিক ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বিক্রি হয় তার দোকানে। মাসে প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার পিঠা বিক্রি হয় বলে জানান তিনি।মাজেদা বেগমের বয়স ৫০ ছুই ছুই, দীর্ঘ ৯বছর যাবৎ স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে চিতই পিঠা বানিয়ে সংসার চালান। অভাবে সংসারে ৫ মেয়ে ও দিনমজুর স্বামীকে নিয়ে কোনরকম দিন কাটে। প্রতিদিন ৮টি চুলায় ১ হাজারেরও বেশি চিতই পিঠা তৈরি করেন। প্রতিটি চিতই বিক্রি হয় ১০ টাকায়। তবে ডিম ও মসলাসহ স্পেশাল ডিম পিঠা বিক্রি হয় ৩০ টাকায়। পিঠার সঙ্গেই ১০০ পদের ভর্তা ফ্রি দেয়া হয়। যার যতবার খুশি ভর্তা নিতে পারবে। ১০০ পদের ভর্তা বানানোর জন্য ১২-১৩ রকমের শুঁটকি, বিভিন্ন রকমের মাছ, কয়েক রকমের ডাল, বাদাম, ধনেপাতা, মরিচ, মৌসুমি সবজি ব্যবহার করেন তিনি।অভিনব কায়দায় কাস্টমারদের পিঠার প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলার জন্য মাজেদা বেগম কাস্টমারদের দিকে পিঠা ছুড়ে মারে, সেই পিঠা কাস্টমাররা ক্যাচ নিয়ে সানন্দে বিভিন্ন পদের ভর্তা মিশিয়ে খেয়ে আনন্দ প্রকাশ করে। তার এই চিতই পিঠার দোকানকে কেন্দ্র করে প্রায়ই ৫০-১০০ জন মানুষের জটলা লেগে থাকে। আড়াইহাজার থেকে পিঠা খেতে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় চিতই পিঠা পাওয়া গেলেও ১০০ পদের ভর্তা পাওয়া যায় না। তাই আমরা নানান রকমের ভর্তার স্বাদ নিতেই আমরা এখানে আসছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাজেদা আপার পিঠা বানানো দেখে বন্ধুবান্ধবসহ এসেছি।পার্শ্ববর্তী নরসিংদী উপজেলা থেকে পিঠা খেতে আসা ইমরান হোসেন বলেন, আমরা পাঁচটি মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েকজন বন্ধু মিলে এখানে পিঠা খেতে এসেছি। বাঞ্ছারামপুরের ফেসবুক বন্ধুর পোস্টের মাধ্যমে ৯০ থেকে ১০০ পদের ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খাওয়ার বিষয়টি জানতে পারি। চিতই পিঠা দিয়ে টাটকা ভর্তার স্বাদ বেশ ভালই লেগেছে।মাজেদা বেগমের স্বামী মোঃ রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, আমার পাঁচ মেয়ে, নয় বছর যাবত পিঠা বানানোর ব্যবসা করে দুই মেয়ে বিয়ে দিয়েছি, তিন মেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে। আমাদের সংসার ভালই চলতেছে আমরা বেশ আনন্দে আছি। অনেক থানার মানুষ আমার এখানে পিঠা খেতে আসে। মানুষ আনন্দ পায় আমরাও বেশ সুখে আছি। মাজেদা বেগম বলেন, আগে পরিবারে অভাব-অনটন ছিল। এখনকার অবস্থা অনেক ভালো। ৩ বছর ধরে তার পিঠার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। তবে নয় বছর যাবৎ আমি পিঠা বিক্রি করছি। আমি প্রথমে ৫০০০ টাকা বুজি নিয়ে পিঠা বিক্রি শুরু করলেও এখন আমি বেশ ভালো আছি। নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ,হোমনা,দাউদকান্দিসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ পিঠা খেতে আসে। শুক্রবারে ভিড় থাকে বেশি। শুক্রবারের দ্বিগুণ চালের পিঠা বিক্রি হয়।