স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর চেক উপহার পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৪জন সাংবাদিক। আজ সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই উপহারের চেক গুলো তুলে দেওয়া হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
এসময় জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম তার বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের কল্যাণে গঠন করা হয়েছে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট। সেই ট্রাস্টের মাধ্যমে করোনা কালীন সময়ে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। এছাড়াও অসচ্ছল ও অসুস্থ সাংবাদিকদের চিকিৎসার জন্যে পাশে দাঁড়াচ্ছে সরকার। তিনি যে কোন প্রয়োজনে সাংবাদিকদের পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পির সভাপতিত্বে এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পি বলেন, করোনাকালীন সময়ে কয়েক ধাপে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকরা আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। যারা বাদ পড়েছেন তাদেরও দেওয়া হয়েছে। কল্যাণ ট্রাস্টে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তার করার পর যে টাকা ছিল, তা ঈদ উপহার হিসেবে সাংবাদিকদের দেওয়া হয়েছে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির জন্যে কাজ করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকাল ৮টায় উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরমানন্দপুর গ্রামের নুর আলী-আইয়ুব গ্রুপ ও মতি-জাফর গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে আজ সকালে সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে নুরআলী-আইয়ুব গ্রুপের লোকজন মতি-জাফর গ্রুপের লোকজনকে ডাকাডাকি শুরু করে। পরে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আ.স.ম আতিকুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সংঘর্ষে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আদিত্ব্য কামাল: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ শতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের অসহায়-দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মো. মুসলেখ উদ্দিন, সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, মো. রায়হান উদ্দিন, সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ড।
ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি এইচ এম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক নিয়াজ মো. বিটুর সঞ্চালনায় এতে বক্তৃতা রাখেন- প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ এনায়েত হোসেন মিঠু প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় ফাউন্ডেশনের কার্য্যক্রমের ভুয়শী প্রশংসা করে বলেন- মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন আজকে মানবিকতার যে দর্শন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তা সবার জন্যে অনুপ্রেরনা দায়ক। টাকা পয়সা অনেকে রোজগার করেন। কিন্তু মানবিক কাজে অর্থ ব্যয় করার মানসিকতা সকলের থাকেনা। ফাউন্ডেশনটির কর্নধার আমেরিকা প্রবাসী মনির হোসেন হিটুর মতো সবাই এভাবে এগিয়ে আসলে অসহায়-দরিদ্র মানুষ আরো নানাভাবে উপকৃত হতেন।
মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন ২০১১ সাল থেকে সমাজের অসহায়-দরিদ্র মানুষকে নানাভাবে সহায়তা দিয়ে আসছে। এছাড়াও সেলাই মেশিন, ঈদ-সামগ্রী, চিকিৎসা সহায়তা ছাড়াও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়ে থাকে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসকের ভিজিট চাওয়ায় এক কর্মচারীকে অপহরণ করে তুলে নেওয়ার সময় প্রতিবাদ করলে জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পালের ওপর হামলা করেছেন দুর্বৃত্তরা। এসময় দুর্বৃত্তের হামলায় সাংবাদিক বিশ্বজিৎসহ তিনজনসহ আহত হন। শুক্রবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার রাধানগরের দাসপাড়ায় অবস্থিত একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।আহত সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল উপজেলার রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দৈনিক কালেরকন্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। এসময় সাংবাদিক বিশ্বজিৎকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন তার দুই চাচাতো ভাই আনন্দ পাল (২৮) ও প্রসেনজিৎ পাল (২৮)। উপজেলার দেবগ্রামের মাহফুজ ভূঁইয়ার ছেলে সুমন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সাংবাদিক বিশ্বজিতের ওপর হামলা চালানো হয়।স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা সাড়ে পাঁচটার দিকে দেবগ্রামের বাসিন্দা সুমন ভূঁইয়া স্ত্রীসহ ছয় মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসক দেখাতে চিকিৎসক দেখাতে রাধানগরের দাসপাড়ার দি কমফোর্ট এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। ওই ক্লিনিকে থাকা চিকিৎসক কাজী মাজহারুল ইসলামের কাছে শিশু সন্তানকে নিয়ে যান সুমন।চিকিৎসক থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে চেম্বার থেকে বের হন সুমন। সেসময় ক্লিনিকের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে সালমা আক্তার সুমনের কাছে চিকিৎসকের ৪০০ টাকা ভিজিট চান। এতে ক্ষিপ্ত হন সুমন। এক পর্যায়ে সালমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা শুরু করে সুমন। পরে ঘটনাস্থলে এগিয়ে ক্লিনিকের একজন আশিষ সাহার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।চিকিৎসক দেখানের ভিজিট না দিয়েই ক্লিনিকের মালিককে ভয় ও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান সুমন। বিকেলে ছয়টার দিকে ওই ক্লিনিকে চিকিৎসক দেখাতে যান সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল। বিকেল সাড়ে ছয়টার দিকে সুমন সঙ্গে ২০-২৫জন লোক নিয়ে ওই ক্লিনিকে যান। সুমনের নেতৃত্বে লোকজন ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক সালমা তুলে নিতে এগিয়ে যায়। তখন ঘটনার প্রতিবাদ করে বাঁধা দিতে গেলে সুমনের নেতৃত্বে লোকজন সাংবাদিক বিশ্বজিতের ওপর হামলা চালায়।সাংবাদিক বিশ্বজিৎকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে শান্ত পাল ও আনন্দ পালকে তারা মারধর করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। হামলায় বিশ্বজিৎ মাথাসহ সারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা পৌনে আটটার দিকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।আহত সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বলেন, ক্লিনিক থেকে একটি মেয়েকে তারা তুলে নিতে আসে। আমি তখন নিজেকে ওই মেয়ের অভিভাবক হিসেবে পরিচয় দেই। তারা আমাকে তখন বলে তুই গার্ডিয়ান, দাঁড়া। এই বলে তারা আমার ওপর হামলা করে। রাধানগর মোড়ে থাকা আমার দুই ভাই ঘটনা শুনে আমাকে বাঁচাতে আসে। তাদের ওপরও সন্ত্রাসী কায়দায় তারা হামলা চালিয়েছে।আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখে এসেছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের তিনটি টহল দল বের হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের ঈশাননগর চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে এলাকাবাসী এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। স্থানীয় যমুনা গ্রামের বাসিন্দা এসএম শামীম আকতারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- ভুক্তভোগী ময়নাল হোসেন, কাদির মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, মনির হোসেন, মমিনুল ইসলাম পারভেজ ও সুমন সরকার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মেহারী ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন ও ওয়ারিশ সনদ নিতে গেলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে এক থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। এ ব্যাপারে এলাকার মানুষ জানতে চাইলে প্রশাসনের লোককে ম্যানেজ করতে টাকা নেন বলে অজুহাত দেখান ইউপি চেয়ারম্যান মুর্শিদ। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব দেখান বলে এলাকার সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুর্শিদ বলেন, অভিযোগকারীরা ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে তার বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ করেছেন। সেবা নিতে কোন অতিরিক্ত অর্থ নেয়া হয় না। তবে পরিষদের উদ্যোক্তার ব্যাপারে অভিযোগ ওঠায় আমি তাকে বহিষ্কার করেছি।
এদিকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর আনীত অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জিয়াউল হক মীর জানান, দায়িত্ব পেয়ে ইতোমধ্যেই সরেজমিনে একদিন গিয়ে এ বিষয়ে তদন্ত করেছি। তদন্ত কাজ আরো কিছুটা বাকি আছে। খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।