স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পের অর্থায়ন নিশ্চিত করতে দেশীয় উৎসের তহবিলের পাশাপাশি বৈদেশিক তহবিল সংগ্রহের উপর গুরুত্ব দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বৈদেশিক অর্থায়নপুষ্ট প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়নের প্রবণতা বৃদ্ধি পেলে বিদেশী ঋণ বিতরণ বাড়বে, যা প্রকৃতপক্ষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতি সমৃদ্ধ করবে। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সভাকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী সভায় সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), এনবিআর এবং অর্থ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়নের ক্ষেত্রে আরও বেশি বৈদেশিক তহবিল এবং বৈদেশিক ঋণ ব্যবহৃত হয়, তা নিশ্চিত করতে বলেছেন। মান্নান বলেন, উন্নয়ন সহযোগি যেমন বিশ্বব্যাংক, এডিবি এবং জাইকা বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তাসহ অন্যান্য সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু সরকার কেবলমাত্র তার প্রয়োজন মোতাবেক ও সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তা নেবে। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানান, ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও অধিক বৈদেশিক সহায়তা বর্তমানে পাইপলাইনে রয়েছে
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, আজ একনেক সভায় মোট ১৬টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়, যার বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৩৬২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১২ হাজার ৮৭৩ কোটি ১১ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ১১ হাজার ৪৭২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। অনুমোদন পাওয়া ১৬ প্রকল্পের মধ্যে ৮টি নতুন এবং ৮টি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে। একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর আরও কিছু নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষকে মূল্যস্ফীতির ভোগান্তি থেকে রেহায় দিতে প্রধানমন্ত্রী মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের আরও বেশি মনোযোগি হওয়ার কথা বলেছেন। সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে সেচ কার্যক্রম পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কৃষি সেচের পুরোটা পর্যায়ক্রমে সৌরচালিত পাম্পের মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে। সে বিষয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন তিনি। সৌর প্যানেলের উচ্চতা বাড়ানোর নির্দেশ প্রদান করে শেখ হাসিনা বলেন, যেন সৌর প্যানেলের নীচের জমিতে পেঁয়াজ, আদা, হলুদ, মাছ চাষসহ সবজি চাষ করা যায়। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাত সোলার প্যানেল স্থাপনে এগিয়ে এলে, সরকার কর সুবিধাদিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে। বর্ষাকালে হাওর অঞ্চলে বজ্রপাতে প্রায়ই মানুষের মৃত্যু হয় উল্লেখ করে মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী হাওর এলাকায় কিছু শেড নির্মাণের জন্য কৃষি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বিসিএস কর একাডেমির অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে কম জমি ব্যবহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী বাস্তবায়নকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নির্দেশ প্রদান করেন । সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বাজারে একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা থাকা উচিত। সরকার সবর্তোভাবে সে বিষয়ে সচেতন। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, দেশীয় উৎসের তুলনায় বিদেশী ঋণের সুদহার কম হওয়ায় বিদেশী অর্থায়ন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সরকার তার সক্ষমতার সর্বোচ্চটুকু করতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিদেশী ঋণ ও জিডিপি অনুপাত এখনও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম, যেকারণে আমরা আরও বেশি বিদেশী ঋণ নিতে পারি। একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড সফর সফল হওয়ায় অভিনন্দন জানানো হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২২ জরিপের ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করা হয়। তিনি গড় আয়ু, স্বাক্ষরতার হার, নিরাপদ পানি পানের সুযোগ বৃদ্ধিসহ প্রকাশিত ফলাফলের বিষয়ে প্রশংসা করেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প দেশের গৃহহীন মানুষকে অনেক সাহায্য করেছে, যা দেশে দারিদ্রতা কমাতে সহায়তা করছে। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, গরীব মানুষ উপকৃত হয় এমন প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশন অগ্রাধিকার দেবে। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির বিষয়ে মান্নান বলেন, বর্তমান সময়ে রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে। একইসাথে আমদানি-রপ্তানি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। প্রধান খাদ্যপণ্য চালের দাম স্থিতিশীল থাকায় আগামী দিনে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, বিদেশি ঋণের মূল অর্থ ও সুদ পরিশোধে বাংলাদেশ কখনোই খেলাপি হয়নি। একনেক সভায় ৬ হাজার ৩৪৫ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ইমপ্রুভিং আরবান গর্ভন্যান্স অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার (আইইউজিআইপি)’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। ৮টি বিভাগের ৪৮টি জেলার আওতাধীন ৮৭টি উপজেলার প্রায় ৮৮টি পৌরসভায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। সভায় অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হলো- বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে কৃষি সেচ’ প্রকল্প, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘বিসিএস (কর) একাডেমির ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম পর্যায়)’ প্রকল্প, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘জার্মানির বার্লিনে বাংলাদেশ চ্যানসেরি কমপ্লেক্স নির্মাণ’ প্রকল্প, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘সুনামগঞ্জ-মদনপুর-দিরাই-শাল্লা-জলসুখা-আজমিরিগঞ্জ-হবিগঞ্জ মহাসড়কের শাল্লা-জলসুখা সড়কাংশ নির্মাণ’ ও ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস’ প্রকল্প, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের ঈশ্বরদী-পার্বতীপুর সেকশনের স্টেশনগুলোর সিগনালিং ও ইন্টারলকিং ব্যবস্থার প্রতিস্থাপন ও আধুনিকীকরণ’ প্রকল্প, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ‘ইকোনমিক এক্সেলারেশন অ্যান্ড রেজিল্যান্স ফর এনইইটি (ইএআরএন)’ প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ’ প্রকল্প এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ‘গ্রামীণ মাটির রাস্তা টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ’ প্রকল্প। আর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ৭টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নীতকরণ (সেক্টর)’ প্রকল্প, ‘ইমপ্রভিং আরবান গর্ভন্যান্স অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার (আইইউজিআইপি)’ প্রকল্প, ‘রুর্যাল কানেকটিভিটি ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (আরসিআইপি)’ প্রকল্প, ‘চট্টগ্রাম বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প, ‘গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচপীর বাজার-চিলমারী উপজেলা সদর দপ্তরের সঙ্গে সংযোগকারী সড়কে তিস্তা নদীর উপর ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প, ‘রাজশাহী বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প এবং ‘নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প।
সূত্রঃ বাসস
নিজস্ব প্রতিবেদক
দাম নিয়ন্ত্রণে ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আপাতত ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বাসসকে জানান, যে চারটি কোম্পানিকে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তারা হলো মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং ও অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেড। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে মোট ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছেবাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ঠিক কবে ডিম আমদানি হবে তা চার প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। তবে তাদেরকে বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব ডিম আমদানি করতে হবে। তিনি বলেন, যেহেতু ঋণপত্র খুলে আমদানি করতে হবে, সেক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগতে পারে।তিনি জানান, কোন দেশ থেকে ডিম আমদানি করতে হবে, সেটিও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। আমদানিকারক ঠিক করবেন কোন দেশ থেকে ডিম আমদানি করবেন। তবে আমদানি করা ডিমের দাম কী হবে, তা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। বাণিজ্য সচিব বলেন, বাজারে যেহেতু ডিমের খুচরা মূল্য ১২ টাকা করে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, তাই আমদানি করা ডিমও প্রতিটি ১২ টাকার বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না।ডিম আমদানি করার ক্ষেত্রে চারটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। এর প্রথমটি হলো, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু মুক্ত দেশ থেকে ডিম আমদানি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে।এছাড়া নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না এবং সরকারের অন্যান্য বিধিবিধান প্রতিপালন করতে হবে। এমন দুটো শর্তের কথাও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছেপ্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, দেশে প্রতি দিন চার কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে। ডিমের চাহিদার বিবেচনায় এক দিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য শুরুতে সেই সংখ্যক ডিম আমদানি করা হবে। বাণিজ্য সচিব আরো বলেন, প্রয়োজন হলে আরও ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। ডিমের বাজারে সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। (সূত্র বাসস)
জুয়েল মিয়া,নিজস্ব প্রতিনিধি
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে অতীতে বিএনপি ও তাদের হোতারা তামাশা করেছে। আওয়ামী লীগ কোনো দিন নির্বাচন নিয়ে তামাশা করে নাই এবং ভবিষ্যতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সঠিকভাবে করে দেবে মঙ্গলবার(২৭ জুন)সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে এসব কথা বলেন তিনি।
গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সরকার তামাশা করছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের করা এমন মন্তব্যের জবাবে আনিসুল হক বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভ্যাস হচ্ছে উদ্ভট উদ্ভট কথা বলা। আর নির্বাচন নিয়ে বিএনপি এবং বিএনপির যারা হোতা তারাই তামাশা করছেন অতীতে।এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, , সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খান, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ শাপলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ঢাকা থেকে আন্তনগর মহানগর প্রভাতি ট্রেনযোগে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন পৌঁছালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নিজের পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। কসবা ও আখাউড়ায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে মন্ত্রীর।
নিউজ ডেস্ক : আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাদ পড়া ভোটারদের তালিকাভুক্ত করতে বিশেষ সুযোগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আবেদনের জন্য এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই আবেদন করতে হবে। এই সময়ে কেউ ভোটার হতে আবেদন করলে তিনি আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে ভোটার এলাকা পরিবর্তনের জন্যও আবেদন করা যাবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে ইসির এই সিদ্ধান্তের তথ্য জানান ইসির সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
সচিব জানান, ভোটার নিবন্ধন আইন অনুযায়ী- প্রতি বছর ২ মার্চ আগের বছরের হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের (২০২২) ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে চলতি বছরের ২ মার্চ।
জাহাংগীর বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। সেক্ষেত্রে এই মধ্যবর্তী সময়ে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি যারা ভোটারযোগ্য হয়েছিলেন, কিন্তু ভোটার হতে পারেননি বা বাদ পড়েছেন, তাদের ভোটার হওয়ার জন্য সুযোগ দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে কেউ যদি ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, সেজন্যও আবেদন করতে পারবেন। ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই আবেদন করতে হবে।’
আজ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার মহান স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে দিবসটি পালন করবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-সূর্য উদয় ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে সংগঠনের সকল স্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন, মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল এবং টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, ঘাতকরা একে একে প্রাণ নিয়েছে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্ত:স্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। সেই সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
মূলত, ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট থেকেই বাংলাদেশে এক বিপরীত ধারার যাত্রা শুরু হয়। বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে সামরিক শাসনের অনাচারি ইতিহাস রচিত হতে থাকে। সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদ বিচারের হাত থেকে খুনীদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে আইন হিসেবে অনুমোদন করে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮টি গবাদিপশু কোরবানি দেওয়া হয়েছে। গত বছর সারাদেশে কোরবানিকৃত গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি। গত বছরের তুলনায় এবার ৩ লাখ ৬৭ হাজার ১০৬টি গবাদিপশু বেশি কোরবানি দেওয়া হয়েছে।এ বছর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে।
মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে ২৫ লাখ ২৯ হাজার ১৮২টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫৭ হাজার ৫২০টি, রাজশাহী বিভাগে ২৪ লাখ ২৬ হাজার ১১১টি, খুলনা বিভাগে ১০ লাখ ৮ হাজার ৮৫৫টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৪৩৮টি, সিলেট বিভাগে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৪২টি, রংপুর বিভাগে ১১ লাখ ৭২ হাজার ৫৫৩টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৫১৭টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে।
কোরবানি হওয়া গবাদিপশুর মধ্যে ৪৭ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫৯টি গরু, ১ লাখ ১২ হাজার ৯১৮টি মহিষ, ৫০ লাখ ৫৬ হাজার ৭১৯টি ছাগল, ৪ লাখ ৭১ হাজার ১৪৯টি ভেড়া এবং ১ হাজার ২৭৩টি অন্যান্য পশু।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯৫৪টি গরু, ৬ হাজার ৪৬৫টি মহিষ, ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭২টি ছাগল, ৮৯ হাজার ৯১টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮শ’টি পশু, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ লাখ ১৭ হাজার ৭৪৭টি গরু, ৯১ হাজার ৮১০টি মহিষ, ৬ লাখ ৫২ হাজার ১৩০টি ছাগল, ৯৫ হাজার ৪৮৩টি ভেড়া ও অন্যান্য ৩৫০টি পশু।
রাজশাহী বিভাগে ৭ লাখ ২০ হাজার ৪৭২টি গরু, ৯ হাজার ৫৬৮টি মহিষ, ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৪৮৬টি ছাগল ও ১ লাখ ১২ হাজার ৫৭৭টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৮টি, খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৭৯ হাজার ৯৬৭টি গরু, ১ হাজার ৫০৬টি মহিষ, ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৭৩৫টি ছাগল, ৫৭ হাজার ৫৫৯টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮৮টি পশু। বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৮০ হাজার ৩৭৭টি গরু, ১ হাজার ১টি মহিষ, ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৬৩টি ছাগল ও ২০ হাজার ১৯০টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৭টি। সিলেট বিভাগে ২ লাখ ১ হাজার ১৪৩টি গরু, ১ হাজার ৩৫৮টি মহিষ, ১ লাখ ৭৩ হাজার ২২৩টি ছাগল ও ১৮ হাজার ১৪টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৪টি। রংপুর বিভাগে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৪ টি গরু, ৩০৪টি মহিষ, ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৬১৬টি ছাগল, ৬০ হাজার ২২৮টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ১১টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৯০ হাজার ৮০৫টি গরু, ৯০৬টি মহিষ, ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৯৪টি ছাগল ও ১৮ হাজার ৭টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৫টি কোরবানি দেওয়া হয়েছে। সূত্র বাসস