স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
আদিত্ব্য কামাল,জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার সামাজিক ও মানবিক সংগঠন ‘মানবতা’র ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।এ উপলক্ষে শনিবার (১০ জুন) বিকালে উপজেলার শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ‘মানবতার’ সমন্বয়ক ফারাবি রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট নারী সংগঠক ও সমাজসেবক কোহিনূর আক্তার প্রিয়া।আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব মো. শাহিদুল ইসলাম হিসাব রক্ষণ অফিসার শাহবাজপুর গ্রামীণ ব্যাংক শাখা। খন্দকার মনির হুসেন সভাপতি মানবতার আলোর ছোঁয়া সংগঠন, দেলোয়ার হুসেন সহ-সভাপতি আল-ফালা সংগঠন, ইকরাম হুসেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, কাজী জাহিদ কম্পিউটার অপারেটর গ্যাসফিল্ড, ইমাম হুসেন সাধারণ সম্পাদক রক্তের বন্ধন, মোহাম্মদ মুছা আহমেদ অর্থ সম্পাদক সেবা ঐক্য ফোরাম, বেলাল উদ্দিন শিক্ষক নূরে মদিনা মাদ্রাসা বুড্ডা, মো. আশরাফুল এডমিন সরাইল হেল্প লাইন প্রমুখ।বক্তাগণ মানবতার সংগঠনের বিগত ৩ বছরের সামাজিক ও মানবিক কাজের প্রশংসা করে ভিত্তবানদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান। সংগঠনটি অসহায় হতদরিদ্রদের বসতঘর উপহার ও মেরামত, টিউবওয়েল প্রদান, চিকিৎসা সহায়তা, খাদ্য সহায়তা সহ বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজ করে আসছেন।অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, সানিয়া ইসলাম। সামাজিক ও মানবিক কাজে বিশেষ অবদানের জন্য অনেককে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পরিশেষে সংগঠনের ৩য় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেককাটা হয়।
তোমার প্রয়াণে আমরা গভীর শোকাহত।
মহীয়সী মহা পুরুষ তুমি
বাংলার কৃতি সন্তান,
তোমায় দেখে ভীরু হয়ে যেত
পাকিস্তানি সকল মাস্তান।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কল্যানময়ী
মহা মানব তুমি,
তোমার জন্যে দেখতে পারছি
স্বাধীন বাংলার ছবি।
শ্রেষ্টত্তের শ্রেষ্টতম অধিকারী
কালজয়ী তুমি মহা মানব,
তোমার জন্য নিঃশেষ করতে পেরেছিল
বাংলা থেকে যত জন্তুু -দানব।
মহানায়ক মহিমান্বিত শ্রেষ্টত্তের
সর্বকালের এই বাংলার মাথা,
তাইত বাংলার যত বাঙ্গালী আছে
সবাই তোমায় ডাকে ওহে জাতির পিতা।
ওহে হিরণ্য কবি তুমি সবাইকে
উৎসাহ দেখিয়েছ মহিমায়,
আদর্শদের আদর্শ লাবণ্য ভাষা পাওয়া
যায় তোমার ৭ই মার্চের কবিতায়।
২৬শে মার্চের স্বাধীনতার ঘোষক তুমি
চিরচেনা শোভন এই বাংলায়,
সাম্প্রতিক হানাদারদের দাবায়ে রেখেছ
যে কত শত কায়দায়।
তোমার শত অবদান কালজয়ী
কভু ভুলে যাবার নয়,
তাইত ৯মাসে বাংলার মুক্তিযোদ্ধারা
ভয়কে করেছে জয়।
শেষ হাসিটা হেসেছি আমরা
পরিনায় নাই কোন হতাশায়,
১৬তারিখের ওই সাক্ষরটি আ
জো যে আমাদের হাসায়।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
সংবাদ প্রকাশের জেরে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায় সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২০জুন) বেলা ১১টায় উপজেলার সর্বস্তরের সাংবাদিকদের ব্যানারে পৌরশহরের সড়ক বাজার মুক্তমঞ্ছের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পরিষদের সদস্য বাংলা টিভির প্রতিনিধি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, যমুনা টেলিভিশন ও যুগান্তর পত্রিকার আখাউড়া প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মিশু, যায়যায়দিনের প্রতিনিধি কাজী হান্নান খাদেম, কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবু, দিনকাল পত্রিকার প্রতিনিধি আব্দুল জলিল, ভোরের কাগজ প্রতিনিধি জুটন বনিক, প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিনিধি রুবেল আহমেদ। এশিয়ান টেলিভিশনের আখাউড়া প্রতিনিধি অমিত হাসান আবিরের উপস্থাপনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন মানবজমিন পত্রিকার আখাউড়া প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন লিটন, সমকাল পত্রিকার আখাউড়া প্রতিনিধি নাসির উদ্দিন, আরটিভির আখাউড়া প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন, মোশাররফ হোসেন, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার আখাউড়া প্রতিনিধি ফজলে রাব্বি, এস টিভির আখাউড়া প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম সাগর, জি টিভির আখাউড়া প্রতিনিধি জুনায়েদ হোসেন পলক, দৈনিক আমাদের বাংলা পত্রিকার আখাউড়া প্রতিনিধি মো: ইসমাইল হোসেন, কালবেলা পত্রিকার আখাউড়া প্রতিনিধি মাশুকুর রহমান, স্বাধীন বাংলা পত্রিকার আখাউড়া প্রতিনিধি অমিত হাসান অপু, সফিকুল ইসলাম খান, শেখ মনির হোসেন নিজাম প্রমূখ।মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকরা গোলাম রব্বানি নাদিম হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সাথে সাংবাদিক সাগর-রনিসহ সারাদেশে বিভিন্ন সময়ে হত্যা কান্ডের শিকার জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। পরে মুক্তমঞ্ছ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মিছিলটি শহরের স্টেশন রোডসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
‘জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে?’ অমোঘ এই কথাটির ব্যাত্যয় কি আদৌ ঘটেছে? নাকি কদ্যপিও ঘটবে? মৃত্যুই জীবনের সত্যিকারের গন্তব্য।’মানুষ মরণশীল’ কথাটি একেবারেই রূঢ় বাস্তব। তথাপি কিছু মানুষ মরে যাবার পরও বেঁচে থাকেন তাঁর সুকর্মের মাধ্যমে। তাদেরকে গভীর শ্রদ্ধার সাথর স্মরণ করতেই হয়। তেমনিই একজন তিতাসপাড়ের জ্ঞানের পাঠাগার মুহম্মদ মুসা। ‘বই-বৃক্ষ-বিদ্যালয়’ তিন অনুষঙ্গে ছিলো যার আশ্রয়।
—
মুহম্মদ মুসা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলোকিত এক নাম, সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব-ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আকাশের দেদীপ্যমান এক নক্ষত্র। অকস্মাতই উজ্জ্বলতর আলোকবর্তিকাটি হয়ে গেলো নিষ্প্রভ। সকলের প্রিয়ভাজন মুসা স্যার আমাদের মাঝে নেই! ৭ সেপ্টেম্বর’২০১৯ শনিবার ভোররাত তিনটায় জেলা শহরের মৌড়াইলস্থ নিজস্ব বাসভবনে ৮৬ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি মৃত্যুকালে একমাত্র কন্যা-স্ত্রীসহ গোটা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবাসীকেই করে গেছেন শোকাহত।
—
ভাষা সৈনিক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, তিতাসপাড়ের জ্ঞানের পাঠাগার,বরেণ্য সাংবাদিক,গবেষক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুহম্মদ মুসা (মুসা স্যার) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিক্ষা সাহিত্য সংস্কৃতি সাংবাদিকতায় ছিলেন মহীরুহতুল্য ব্যক্তিত্ব। মুসা স্যারের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত হন সর্বশ্রেণীর মানুষ। বিশেষত আমাকে ‘সিরাজ মিয়া’ নামে সম্বোধন করার মতো পরম অভিভাবকটি আর রইলো না,চলেই গেলেন একেবারে চিরতরে। আমার প্রায় তিন দশকের সাংবাদিকতা জীবনের প্রত্যেকটি ছত্রে ছত্রে আষ্টেপিষ্ঠে জড়িয়ে আছেন প্রিয় মুসা স্যার।
—
‘একজন মুহম্মদ মুসা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ একে অন্যের পরিপূরক বললেও অত্যুক্তি হবে না। বই-বৃক্ষ-বিদ্যালয় এই তিন অনুসঙ্গ মুসা স্যারের জীবনের অবিচ্ছেদ্যাংশ। মুসা স্যারের কাছে ‘যদ্যপি আমি সিরাজ মিয়া’ হিসেবে সম্বোধিত হতেম, তেমনিভাবে এই শহরের বহু বিদ্যার্থীর নির্ভেজাল অভিভাবকও ছিলেন তিনি। অতিবাহিত হয়ে গেলো ম্যালা সময়, কেউই তো আমায় আর অমন করে আগলে রাখছে না! করছে না পড়তে উদ্বুদ্ধ। কদ্যপি আর কেউ করবে কি? জ্ঞানের এমনতর মহীরুহতুল্য ব্যক্তিত্বের সন্ধান কি এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া আর পাবে?
—
পরিশেষে পরম করুনাময় মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের দরবারে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা, স্যারকে ক্ষমা করে জান্নাত নসিব করুন। এই কামনার পাশাপাশি স্যারের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জ্ঞাপন করছি গভীর সমবেদনা।
® এইচ.এম. সিরাজ
নির্বাহী সম্পাদক- The Daily Prajabandhu
#গ্রন্থাগার_সম্পাদক- Brahmanbaria Pressclub