স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের ২৪ নম্বর কূপ থেকে দীর্ঘ ২ বছর বন্ধ থাকার পর ফের গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। এতে করে শুক্রবার থেকে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানী লিঃ-এর ব্যবস্থাপক (উন্নয়ন) মোঃ মাহমুদুল নবাব জানান, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড তিতাস গ্যাস ফিল্ডের মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপখনন প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সালে তিতাস কূপ ২৪ খনন সম্পন্ন করে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। পরবর্তীতে কারিগরি ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের ২ জানুয়ারী আলোচিত কূপটি বন্ধ হয়ে যায়। চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড হাইড্রোকার্বন ডেভেলপমেন্ট ফান্ড-এর অর্থায়নে বাপেক্স-এর কারিগরি সহায়তায় ২৪ নম্বর কূপটির ওয়ার্কওভার শুরু হয়। মাত্র ৪৫ দিন ওয়ার্কওভার অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনা করে পুণরায় ওই কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। কূপটির ওয়ার্কওভারে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যায় হয়েছে। যার মধ্যে বাপেক্সের অংশ প্রায় ৪৭ কোটি টাকা। তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের সি ৫ থেকে সি ১০ পর্যন্ত বিভিন্ন গ্যাস জোনে মোট ১.৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ রয়ে
আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তিন নেতার বাড়িতে হামলা করেছে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) সকালে শহরের কান্দিপাড়ায় জেলা কৃষক দলের আহবায়ক আবু শামীম মো. আরিফ (ভিপি শামীম) এর বাড়িতে হামলা করে পদবঞ্চিত বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। একই দিন বিকেলে কান্দিপাড়ায় জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির আহবায়ক শাহীনুর ইসলাম শাহীন ওরফে ইব্রাহিম হোসেন শাহীন ও কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক কাউসার কাউন্সিলরের বাসভবনে হামলা করে তারা।এর আগে, বিকেলে পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতাকর্মী কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা ছাত্রদলের ৭ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে আহবায়ক শাহীনুর রহমান ও সদস্য সচিব সমীর চক্রবর্তীকে করা হয়। নবগঠিত কমিটির আহবায়ক শাহীন, সদস্য সচিব সমীর, যুগ্ম আহবায়ক এলভীন লস্কর ও আব্দুল গাফফার রিমন (শুক্রবার) সকালে জেলা কৃষকদলের আহবায়ক আবু শামীম মো. ভিপি শামিমের কান্দিপাড়ার বাসায় যান। সেখানে সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্যদের শুভেচ্ছা দেওয়া হচ্ছে বলে জানতে পারেন পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। জেলা ছাত্রদলের বিদায়ী কমিটির আহবায়ক রুবেল চৌধুরী, সদস্য সচিব মহসিন মিয়া ও যুগ্ম আহবায়ক সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা কৃষক দলের আহ্বায়কের কান্দিপাড়ার বাড়িতে দা ও লাটিশোটা নিয়ে হামলা হামলা চালায়। এসময় আবু শামীমের বাড়ির পেছন দিয়ে সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্যরা পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন। পরে স্থানীয় লোকজন ও যুবদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের বুঝালে ছাত্রদলের বিদায়ী কমিটির সদস্যরা সেখানে থেকে চলে আসেন।এরপর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা শহরের টিএ রোড ও পাওয়ার হাউস রোডে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে তারা কান্দিপাড়ায় জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির আহবায়ক শাহীনুর রহমান ও কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক কাউসার কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর চালায়। এসময় ভাংচুর করা হয় ঘরের দরজস জানালা, গেইট ও একটি মোটরসাইকেল। তবে এসময় শাহীনুর রহমানের বাড়িতে কেউ ছিল না।
এ বিষয়ে জেলা কৃষক দলের আহবায়ক আবু শামীম মো. আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, কান্দিপাড়ার দক্ষিণদিকের পুকুর পাড় থেকে একদল ছেলে এসে আমার বাড়ির ফটকে হামলা চালায়। তারা ফটক ভাঙার চেষ্টা করেন। তারা কেন এমন করল বুঝতে পারছি না।এই বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক আহবায়ক ফুজায়েল চৌধুরী বলেন, যারা দীর্ঘদিন সরকার বিরোধী আন্দোলনে চালিয়ে যাচ্ছেন এবং হয়রানিমূলক মামলা খেয়েছেন তাদেরকে বাদ দিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কবির আহমেদের অনুসারীদের দিয়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে। কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে। যে নিজের নাম একেক জায়গায় একেক নাম ব্যবহার করেন। অথচ মাঠের কর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। তাই পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলন শুরু করেছে।জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, কান্দিপাড়ার বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলার বিষয়ে জানতে পেরেছি। এগুলো তাদের রাজনৈতিক অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এসব বিষয়ে তারা আমাদের সহযোগিতা চায়নি।
এতে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল হক সাইদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সিরাজুল ইসলাম সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এতে বক্তব্য দ্রত সরকারকে পদত্যাগ আহবান জানান।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন,মূলত বেকারত্বের হাত ধরেই আমাদের যুবশক্তি হতাশা এবং নিরাশায় ডুবে যাচ্ছে। যুবকদের উদ্যোগী করে তুলতে সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে। আমরা অতীতের অর্জন নিয়ে কথা বলছি, ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে কথা বলছি। কিন্তু বর্তমানের দুঃস্বপ্ন দ্রব্যমূল্য, মূল্যস্ফীতি, অপসংস্কৃতির ছোবল, সাম্প্রদায়িক মৌলবাদের আক্রমণ, সেখানে দাঁড়িয়ে বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলতে পারিনা। বাজেটে তরুণদের কর্মসংস্থানের কথা বলা হলেও সেই অঙ্কে রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁক। সেখানে কর্মসংস্থানের কোন সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা আমরা পাই না। কারণ বেসরকারী খাতে যখন বিনিয়োগ কমে যায় তখন কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়না।
শনিবার (৩জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে জেলা যুব মৈত্রীর ৬ষ্ঠ জেলা সম্মেলণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে। তবে তরুণদের স্মার্টভাবে গড়ে তুলতে না পারলে সেই স্মার্ট বাংলাদেশ কি করে সম্ভব। স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট প্রশাসন ও স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে তরুণ সমাজকে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে তুলতে হবে। কেবল বাজেটে নয়, সামগ্রিক ক্ষেত্রে তরুণদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে।
এর আগে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সভাপতি তৌহিদুর রহমান। এতে জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক এডঃ মোঃ নাসিরের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পুলিটব্যুরো সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, যুব মৈত্রীর চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ রুবেল, বিজয়নগর ওয়ার্কার পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রমূখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ-সদস্য বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ও তার স্ত্রীর নগদ অর্থ বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে শেয়ারহোল্ডার ও শেয়ার। শূন্য থেকে ৬৫ লাখ টাকার মালিক সংগ্রামের স্ত্রী, স্বর্ণ রয়েছে ১০০ তোলা। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন সংগ্রাম।২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামা অনুযায়ী ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৭৩ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮৯ টাকা। তার স্ত্রীর কোনো নগদ টাকা ছিল না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় সংগ্রাম উল্লেখ করেছেন, তার নগদ ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫৫০ টাকা আছে এবং তার স্ত্রীর আছে ৬৫ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা।২০১৮ সালে সংগ্রামের বন্ড ও ঋণপত্রের শেয়ার ছিল এক কোটি ৪৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৮৯ টাকা এবং তার স্ত্রীর নামে ছিল দেড় লাখ টাকার শেয়ার। কিন্তু এবারের হলফনামা অনুযায়ী সংগ্রামের শেয়ারহোল্ডিং চার কোটি ও শেয়ার এক কোটি ৪২ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৭ টাকা হয়েছে। তার স্ত্রীর শেয়ারহোল্ডিং দেড় লাখের স্থলে গত পাঁচ বছরে দাঁড়িয়েছে মোট এক কোটি ৩০ লাখ টাকায়। এছাড়া ২০১৮ সালে সংগ্রামের স্ত্রীর কোনো স্বর্ণালংকার না থাকলেও গত পাঁচ বছরে ১০০ তোলা স্বর্ণালংকারের মালিক হয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় সংগ্রামের অন্য বিনিয়োগ ছিল ৯ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টাকা।এবারের হলফনামায় তার অন্য মূলধন ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৯ টাকা ও অন্য বিনিয়োগ ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টাকা। এছাড়া ২০১৮ সালে সংসদ-সদস্য বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের দায় ছিল ৭৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮১৮ টাকা। এবার নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় তার মার্জিন লোন ২২ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৭ টাকা এবং অফিস ভাড়া বাবদ দায় ৩৭ লাখ ৪২ হাজার ৮৯৮ টাকা।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জোরপূর্বক জমি দখল এবং স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রাতের অন্ধকারে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত রফিউদ্দিন খার ছেলে জহিরুল হক এই অভিযোগ করেন৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের নিকট লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর বুধবার ( ৩১মে) ডিবি অভিযোগের তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে যায়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২১মে সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকায় জহিরুল হক বাড়ী থেকে প্রতিবেশী নুরুল ইসলামের বাড়ীর সামনে পৌঁছালে মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত আবু জামালের ছেলে মজিব (৫৫),মজিবের ছেলে সোহাগ( ২২) এবং ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে কামরুল (২৭) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২জন লোক জহিরুলের উপর হামলা করে। তারা আগে থেকে উৎপেতে ছিল৷ হামলাকারীরা গরু জবাই করার ছুরি জহিরুলের গলা বরাবর ধরে রাখে এবং গামছা দিয়ে মুখ বেধে ফেলে। জহিরুলের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। এর আগে ২০১৬ইং সালে মজিবের ছেলেকে ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রবাসে নেয় জহিরুল। মাত্র ২ লক্ষ টাকা জহিরুল কে দিয়েছিল মজিব। বাকী দশ লক্ষ টাকা দেম দিচ্ছি বলে তালবাহানা শুরু করে এখনো ফেরত দেয়নি। এছাড়া জহিরুলের মালিকানাধীন ৪১ শতক নাল ভূমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে মজিব৷ অভিযোগকারী জহিরুল বলেন, মোবাইলে-প্রকাশ্যে হুমকি ধমকি দিচ্ছে জমিটা তাকে( মজিবকে) দলিল করে দিয়ে দিতাম। তা না হলে গুম করে হলেও জমিটা আমার কাছ থেকে দলিল করে নিবে৷ মজিবের ছেলেকে প্রবাসে নিয়ে যাওয়া উপলক্ষে পাওনা ১০লাখ টাকা এখনো ফেরত দেয়নি। এবিষয়ে অভিযুক্ত মজিব বলেন, সাত বছর আগে আমি জমিটা ভরাট করে বাড়ি বানাইছি। আমার নামে বিদুৎ এর খুঁটি আনছি, মিটারও আনছি। এখানে আমার ঘর আছে, বাড়ি আছে। সে বলতেছে আমার ছেলের কাছে দশ লাখ টাকা পাবে৷ যদি টাকা পাওনা থাকে আমি দিমু। তাকে পাঁচ লাখ টাকা দিছি এবং মাটি ভরাট করতে লাগছে ৭লাখ ৮০হাজার। দলিল করে দেয়নি, তার সাথে ২০বছর ধরে চলাফেরা। পাঁচ লাখ টাকার যায়গা স্ট্যাম্প করতে হবে? অভিযোগের তদন্তকারী এসআই সোলায়মান এই বিষয়ে বলেন, কালকে গেছিলাম আমি। তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে মজিব মেম্বার যে রাতের বেলায় জহিরুলকে আটকাইছে এইটুকুর সত্যতা পাওয়া গেছে। মজিব মেম্বার ৪১ শতক জমি জহিরুলের কাছ থেকে ক্রয়ের স্বপক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। রবিবারে দুইপক্ষের স্বাক্ষীপ্রমাণসহ আমার এখানে আসার জন্য ডাকাইছি।