স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে ফের দু’গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি এবং ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটেছে।শনিববার (১০ জুন) রাত পৌন ১০ টার দিকে শহরের কান্দীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের কমিটি ঘোষনার প্রতিবাদে শুক্রবার বিক্ষোভ এবং নেতাদের বাড়িতে হামলা চালায় ছাত্রদলের পদ বঞ্চিত নেতা কর্মীরা। এ সময় কৃষকদলের আহবায়ক ভিপি শামীম ও নতুন কমিটির আহবায়ক শাহীনসহ কয়েকজন নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে। এরপর শহরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। আজ শনিবার রাতে ফের পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা আবার তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তাদের পক্ষের নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে দু,পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: এমরানুল ইসলাম জানান, ছাত্রদলের নতুন কমিটি নিয়ে দুই দিন ধরে পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা হামলা করছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ-সদস্য বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ও তার স্ত্রীর নগদ অর্থ বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে শেয়ারহোল্ডার ও শেয়ার। শূন্য থেকে ৬৫ লাখ টাকার মালিক সংগ্রামের স্ত্রী, স্বর্ণ রয়েছে ১০০ তোলা। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন সংগ্রাম।২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামা অনুযায়ী ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৭৩ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮৯ টাকা। তার স্ত্রীর কোনো নগদ টাকা ছিল না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় সংগ্রাম উল্লেখ করেছেন, তার নগদ ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫৫০ টাকা আছে এবং তার স্ত্রীর আছে ৬৫ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা।২০১৮ সালে সংগ্রামের বন্ড ও ঋণপত্রের শেয়ার ছিল এক কোটি ৪৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৮৯ টাকা এবং তার স্ত্রীর নামে ছিল দেড় লাখ টাকার শেয়ার। কিন্তু এবারের হলফনামা অনুযায়ী সংগ্রামের শেয়ারহোল্ডিং চার কোটি ও শেয়ার এক কোটি ৪২ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৭ টাকা হয়েছে। তার স্ত্রীর শেয়ারহোল্ডিং দেড় লাখের স্থলে গত পাঁচ বছরে দাঁড়িয়েছে মোট এক কোটি ৩০ লাখ টাকায়। এছাড়া ২০১৮ সালে সংগ্রামের স্ত্রীর কোনো স্বর্ণালংকার না থাকলেও গত পাঁচ বছরে ১০০ তোলা স্বর্ণালংকারের মালিক হয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় সংগ্রামের অন্য বিনিয়োগ ছিল ৯ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টাকা।এবারের হলফনামায় তার অন্য মূলধন ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৯ টাকা ও অন্য বিনিয়োগ ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টাকা। এছাড়া ২০১৮ সালে সংসদ-সদস্য বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের দায় ছিল ৭৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮১৮ টাকা। এবার নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় তার মার্জিন লোন ২২ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৭ টাকা এবং অফিস ভাড়া বাবদ দায় ৩৭ লাখ ৪২ হাজার ৮৯৮ টাকা।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন,মূলত বেকারত্বের হাত ধরেই আমাদের যুবশক্তি হতাশা এবং নিরাশায় ডুবে যাচ্ছে। যুবকদের উদ্যোগী করে তুলতে সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে। আমরা অতীতের অর্জন নিয়ে কথা বলছি, ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে কথা বলছি। কিন্তু বর্তমানের দুঃস্বপ্ন দ্রব্যমূল্য, মূল্যস্ফীতি, অপসংস্কৃতির ছোবল, সাম্প্রদায়িক মৌলবাদের আক্রমণ, সেখানে দাঁড়িয়ে বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলতে পারিনা। বাজেটে তরুণদের কর্মসংস্থানের কথা বলা হলেও সেই অঙ্কে রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁক। সেখানে কর্মসংস্থানের কোন সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা আমরা পাই না। কারণ বেসরকারী খাতে যখন বিনিয়োগ কমে যায় তখন কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়না।
শনিবার (৩জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে জেলা যুব মৈত্রীর ৬ষ্ঠ জেলা সম্মেলণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে। তবে তরুণদের স্মার্টভাবে গড়ে তুলতে না পারলে সেই স্মার্ট বাংলাদেশ কি করে সম্ভব। স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট প্রশাসন ও স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে তরুণ সমাজকে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে তুলতে হবে। কেবল বাজেটে নয়, সামগ্রিক ক্ষেত্রে তরুণদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে।
এর আগে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সভাপতি তৌহিদুর রহমান। এতে জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক এডঃ মোঃ নাসিরের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পুলিটব্যুরো সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, যুব মৈত্রীর চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ রুবেল, বিজয়নগর ওয়ার্কার পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রমূখ।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিএনপি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে না। কারণ নির্বাচন দিলেই তারা বলে নির্বাচনে যাবে না। গত নির্বাচনে বিএনপি প্রতিটি আসনে ৩/৪ জন প্রার্থী দিয়েছে। তারপরে বলে নির্বাচন করবে না। বিএনপি নির্বাচন করবে না, নির্বাচন নষ্ট করবে। মানুষকে বাসে পুড়িয়ে মারবে। সুদখুররা যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের ব্যাপারেও সতর্ক থাকবেন। বাংলার মানুষ, বাংলার ছাত্রছাত্রীরা শেখ হাসিনার সাথে আছে। ষড়যন্ত্র করে পার পাবে না। ষড়যন্ত্র করলে জনগণ উচিত শিক্ষা দিয়ে দিবে।’
শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মোগড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বাজেট দিয়েছে ৭ লক্ষ ৬১ হাজার কোটি টাকা। ২০০৬ সালে বিএনপির শেষ সময়ে বাজেট দিয়েছিল ৬৩ হাজার কোটি টাকা। বিএনপি দাতা দেশের পরামর্শে বাজেট দিত। মিটিং হতো প্যারিসে। বড় বড় রাষ্ট্রগুলো থেকে টাকা নিয়ে বাজেট দিত। বাজেটে লিখা থাকতো শতকরা ৮০ টাকা আসবে বিদেশ থেকে আর বাকী টাকা দিবে দেশের জনগণ। সেই চিত্র এখন পাল্টে গেছে। আজকে এত বিপুল পরিমাণ টাকার বাজেট দেওয়ার পরও শতকরা ৮৩ টাকা দিবে বাংলাদেশের জনগণ। আর বাকী টাকা আসবে বিদেশ থেকে।’
মোগড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক এমরামুল বারী শিশির সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন। মোগড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক আশিকুজ্জামান নূর রিফাতের সভাপতিত্বে এসময় জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বারের পিপি মাহবুবুল আলম খোকন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধাারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের ২৪ নম্বর কূপ থেকে দীর্ঘ ২ বছর বন্ধ থাকার পর ফের গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। এতে করে শুক্রবার থেকে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানী লিঃ-এর ব্যবস্থাপক (উন্নয়ন) মোঃ মাহমুদুল নবাব জানান, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড তিতাস গ্যাস ফিল্ডের মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপখনন প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সালে তিতাস কূপ ২৪ খনন সম্পন্ন করে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। পরবর্তীতে কারিগরি ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের ২ জানুয়ারী আলোচিত কূপটি বন্ধ হয়ে যায়। চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড হাইড্রোকার্বন ডেভেলপমেন্ট ফান্ড-এর অর্থায়নে বাপেক্স-এর কারিগরি সহায়তায় ২৪ নম্বর কূপটির ওয়ার্কওভার শুরু হয়। মাত্র ৪৫ দিন ওয়ার্কওভার অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনা করে পুণরায় ওই কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। কূপটির ওয়ার্কওভারে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যায় হয়েছে। যার মধ্যে বাপেক্সের অংশ প্রায় ৪৭ কোটি টাকা। তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের সি ৫ থেকে সি ১০ পর্যন্ত বিভিন্ন গ্যাস জোনে মোট ১.৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ রয়ে