স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় ৭ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক তরুণীকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ( ২৭মে) জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার বগইড় এলাকার হোটেল সুরমা ইন এর সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় যাত্রাবাহী সিএনজি তল্লাশী করে ৭০০০ (সাত হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। সে ওই সিএনজির যাত্রী ছিলেন। আটককৃত তরুণীর নাম মোছা: অন্তরা প্রকাশ আকলিমা (২৫)। সে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার পঞ্চবটি বড় পুকুর পাড়ের মো: পূর্ন আহম্মেদ প্রকাশ মুন্নার স্ত্রী। বর্তমানে ভৈরব থানার পঞ্চবটি বৌ বাজার এলাকার জজ মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া। ওই তরুণীর বিরুদ্ধে আশুগঞ্জে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জোরপূর্বক জমি দখল এবং স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রাতের অন্ধকারে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত রফিউদ্দিন খার ছেলে জহিরুল হক এই অভিযোগ করেন৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের নিকট লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর বুধবার ( ৩১মে) ডিবি অভিযোগের তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে যায়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২১মে সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকায় জহিরুল হক বাড়ী থেকে প্রতিবেশী নুরুল ইসলামের বাড়ীর সামনে পৌঁছালে মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত আবু জামালের ছেলে মজিব (৫৫),মজিবের ছেলে সোহাগ( ২২) এবং ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে কামরুল (২৭) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২জন লোক জহিরুলের উপর হামলা করে। তারা আগে থেকে উৎপেতে ছিল৷ হামলাকারীরা গরু জবাই করার ছুরি জহিরুলের গলা বরাবর ধরে রাখে এবং গামছা দিয়ে মুখ বেধে ফেলে। জহিরুলের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। এর আগে ২০১৬ইং সালে মজিবের ছেলেকে ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রবাসে নেয় জহিরুল। মাত্র ২ লক্ষ টাকা জহিরুল কে দিয়েছিল মজিব। বাকী দশ লক্ষ টাকা দেম দিচ্ছি বলে তালবাহানা শুরু করে এখনো ফেরত দেয়নি। এছাড়া জহিরুলের মালিকানাধীন ৪১ শতক নাল ভূমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে মজিব৷ অভিযোগকারী জহিরুল বলেন, মোবাইলে-প্রকাশ্যে হুমকি ধমকি দিচ্ছে জমিটা তাকে( মজিবকে) দলিল করে দিয়ে দিতাম। তা না হলে গুম করে হলেও জমিটা আমার কাছ থেকে দলিল করে নিবে৷ মজিবের ছেলেকে প্রবাসে নিয়ে যাওয়া উপলক্ষে পাওনা ১০লাখ টাকা এখনো ফেরত দেয়নি। এবিষয়ে অভিযুক্ত মজিব বলেন, সাত বছর আগে আমি জমিটা ভরাট করে বাড়ি বানাইছি। আমার নামে বিদুৎ এর খুঁটি আনছি, মিটারও আনছি। এখানে আমার ঘর আছে, বাড়ি আছে। সে বলতেছে আমার ছেলের কাছে দশ লাখ টাকা পাবে৷ যদি টাকা পাওনা থাকে আমি দিমু। তাকে পাঁচ লাখ টাকা দিছি এবং মাটি ভরাট করতে লাগছে ৭লাখ ৮০হাজার। দলিল করে দেয়নি, তার সাথে ২০বছর ধরে চলাফেরা। পাঁচ লাখ টাকার যায়গা স্ট্যাম্প করতে হবে? অভিযোগের তদন্তকারী এসআই সোলায়মান এই বিষয়ে বলেন, কালকে গেছিলাম আমি। তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে মজিব মেম্বার যে রাতের বেলায় জহিরুলকে আটকাইছে এইটুকুর সত্যতা পাওয়া গেছে। মজিব মেম্বার ৪১ শতক জমি জহিরুলের কাছ থেকে ক্রয়ের স্বপক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। রবিবারে দুইপক্ষের স্বাক্ষীপ্রমাণসহ আমার এখানে আসার জন্য ডাকাইছি।
আদিত্ব্য কামাল,জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির আনন্দ মিছিলে পদবঞ্চিতরা হামলা করে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষ ও পালটাপালটি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের বিরাসার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।পুলিশ ও ছাত্রদল সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। পরে অনেকটা আকস্মিকভাবে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এ নিয়ে সদ্য সাবেক আহ্বায়ক ফোজায়েল চৌধুরীর অনুসারীরা ও পদবঞ্চিতরা কমিটি মেনে নিতে পারেননি। কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। শুক্র ও শনিবার এ ঘটনায় নতুন কমিটির আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক ভিপি শামিমসহ কয়েকজন নেতার বাড়িতে পদবঞ্চিতরা হামলা ও ভাঙচুর চালান।সোমবার লোকনাথ ট্যাংক এলাকায় দুই গ্রুপ আলাদা কর্মসূচির ডাক দেয়। এতে কোনো পক্ষই পুলিশের অনুমতি পায়নি। তাই নতুন আহ্বায়ক কমিটি স্থান পরিবর্তন করে নেতৃবৃন্দদের নিয়ে আনন্দ মিছিল করার জন্য বিরাসার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে সদ্য সাবেক কমিটির আহ্বায়ক ফোজায়েল চৌধুরী ও পদবঞ্চিতরা একই স্থানে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পালটাপালটি ধাওয়া এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়ারশেল ও লাঠিপেটা করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, কমিটি নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েক দিন ধরে একে অপরের ওপর হামলা চালাচ্ছে। শহরের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে গত দুই দিনে ছাত্রদলের ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে আজকের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এতে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল হক সাইদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সিরাজুল ইসলাম সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এতে বক্তব্য দ্রত সরকারকে পদত্যাগ আহবান জানান।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন,মূলত বেকারত্বের হাত ধরেই আমাদের যুবশক্তি হতাশা এবং নিরাশায় ডুবে যাচ্ছে। যুবকদের উদ্যোগী করে তুলতে সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে। আমরা অতীতের অর্জন নিয়ে কথা বলছি, ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে কথা বলছি। কিন্তু বর্তমানের দুঃস্বপ্ন দ্রব্যমূল্য, মূল্যস্ফীতি, অপসংস্কৃতির ছোবল, সাম্প্রদায়িক মৌলবাদের আক্রমণ, সেখানে দাঁড়িয়ে বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলতে পারিনা। বাজেটে তরুণদের কর্মসংস্থানের কথা বলা হলেও সেই অঙ্কে রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁক। সেখানে কর্মসংস্থানের কোন সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা আমরা পাই না। কারণ বেসরকারী খাতে যখন বিনিয়োগ কমে যায় তখন কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়না।
শনিবার (৩জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে জেলা যুব মৈত্রীর ৬ষ্ঠ জেলা সম্মেলণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে। তবে তরুণদের স্মার্টভাবে গড়ে তুলতে না পারলে সেই স্মার্ট বাংলাদেশ কি করে সম্ভব। স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট প্রশাসন ও স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে তরুণ সমাজকে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে তুলতে হবে। কেবল বাজেটে নয়, সামগ্রিক ক্ষেত্রে তরুণদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে।
এর আগে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সভাপতি তৌহিদুর রহমান। এতে জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক এডঃ মোঃ নাসিরের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পুলিটব্যুরো সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, যুব মৈত্রীর চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ রুবেল, বিজয়নগর ওয়ার্কার পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রমূখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ-সদস্য বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ও তার স্ত্রীর নগদ অর্থ বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে শেয়ারহোল্ডার ও শেয়ার। শূন্য থেকে ৬৫ লাখ টাকার মালিক সংগ্রামের স্ত্রী, স্বর্ণ রয়েছে ১০০ তোলা। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন সংগ্রাম।২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামা অনুযায়ী ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৭৩ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮৯ টাকা। তার স্ত্রীর কোনো নগদ টাকা ছিল না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় সংগ্রাম উল্লেখ করেছেন, তার নগদ ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫৫০ টাকা আছে এবং তার স্ত্রীর আছে ৬৫ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা।২০১৮ সালে সংগ্রামের বন্ড ও ঋণপত্রের শেয়ার ছিল এক কোটি ৪৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৮৯ টাকা এবং তার স্ত্রীর নামে ছিল দেড় লাখ টাকার শেয়ার। কিন্তু এবারের হলফনামা অনুযায়ী সংগ্রামের শেয়ারহোল্ডিং চার কোটি ও শেয়ার এক কোটি ৪২ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৭ টাকা হয়েছে। তার স্ত্রীর শেয়ারহোল্ডিং দেড় লাখের স্থলে গত পাঁচ বছরে দাঁড়িয়েছে মোট এক কোটি ৩০ লাখ টাকায়। এছাড়া ২০১৮ সালে সংগ্রামের স্ত্রীর কোনো স্বর্ণালংকার না থাকলেও গত পাঁচ বছরে ১০০ তোলা স্বর্ণালংকারের মালিক হয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় সংগ্রামের অন্য বিনিয়োগ ছিল ৯ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টাকা।এবারের হলফনামায় তার অন্য মূলধন ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৯ টাকা ও অন্য বিনিয়োগ ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টাকা। এছাড়া ২০১৮ সালে সংসদ-সদস্য বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের দায় ছিল ৭৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮১৮ টাকা। এবার নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় তার মার্জিন লোন ২২ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৭ টাকা এবং অফিস ভাড়া বাবদ দায় ৩৭ লাখ ৪২ হাজার ৮৯৮ টাকা।