স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির অধীনস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর বিএনপির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (২৩মে) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান শাহিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান এই কমিটি অনুমোদন দেয়। নজির উদ্দিন আহমেদ- কে সভাপতি, মোঃ ফারুক মিয়া কে ( কাউন্সিলর) সিনিয়র সহ- সভাপতি, আলহাজ্ব মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক, রাশেদ কবির আকন্দকে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মোঃ জসীম উদ্দিন কে সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাকসুদুর রহমান বিপ্লবকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়েছে।নেতৃবৃন্দ আশা করেন উক্ত কমিটির নেতৃত্বে চলমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সহ মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ৩ আসনের জননন্দিত নেতা কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিঃ খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল এর হাতকে আরো বেশী শক্তিশালী করবে।
জুয়েল মিয়া,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় আদালতের নির্দেশে মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে মালামাল ক্রোক করেছে থানা পুলিশ। বুধবার ( ২৪মে) বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কুড়িপাইকা গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী জয়নাল হাজারী এর বাড়ি থেকে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে একটি ফ্রিজ, সোফা সেট, খাটসহ বিভিন্ন মালামাল ক্রোক করে পুলিশ। আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। মাদক কারবারি জয়নাল মিয়া ওই গ্রামের মৃত মাহফুজ মিয়ার ছেলে। জানা যায়, জয়নাল মিয়া দীর্ঘদিন ধরেই আত্মগোপনে রয়েছেন। আদালতে তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদকের মামলা বিচারাধীন থাকলেও এসব মামলার ধার্য তারিখে গ্রেফতার এড়াতে অনুপস্থিত থাকেন তিনি। ২০২২ সালের একটি মাদক মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জয়নাল মিয়ার অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশ দেন। জয়নালের বিরুদ্ধে থানায় ১৯টি মাদক মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি।
পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ জাহিদুলের স্বজনদের।
এ ঘটনায় সোমবার সকালে ওই ভণ্ড কবিরাজ ইস্রাফিল শেখকে (৩৬) আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। আটক হওয়া ইস্রাফিল গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জাক শেখের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৫ দিন আগে উপজেলার বাঁশগাড়ি এলাকার রামচন্দ্রপুর বাজারের ব্যবসায়ী দুলাল শিকদার ও মামুন শিকদারের দোকানে চুরি হয়। এ ঘটনায় পাশের দোকানদার জাহিদুলকে সন্দেহজনকভাবে দায়ী করা হয়। এতে তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি।
রোববার সকালে ১০টার দিকে রামচন্দ্রপুর বাজারের পাশে একটি মাদ্রাসা মাঠে রুটিপড়া খাওয়ার আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত সন্দেহভাজন অর্ধশত মানুষকে কথিত কবিরাজের দেওয়া একটি করে রুটিপড়া খাওয়ান দোকানদার দুলাল ও মামুন; কিন্তু জাহিদুলকে একসঙ্গে দুটি রুটি ও একটি ডিম খাওয়ানো হলে মুহূর্তের মধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এ সময় স্থানীয়রা জাহিদুলকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে কবিরাজ ইস্রাফিল শেখকে তার নিজ এলাকা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে আটক করেন। এ সময় তার কাছ থেকে ডিমপড়া ও রুটিপড়া বাবদ গ্রহণ করা ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আহত জাহিদুলের বোন লিলি বেগম বলেন, তার ভাইয়ের সঙ্গে বাজারের দোকানের জমি নিয়ে দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে রুটির সঙ্গে অন্য কিছু মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি নাজমুল হাসান জানান, এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। কথিত কবিরাজের কাণ্ডে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কবিরাজকে ইতোমধ্যে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
জীবনের শেষ নির্বাচন হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর) আসনে ফিরোজুর রহমান ওলিও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। সোমবার (২২ মে) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এমপি হওয়ার ইচ্ছার কথা জানান তিনি। ফিরোজুর রহমান ওলিও বলেন, কৈশোর জীবনে ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের আন্দোলন সংগ্রামে চোঙ্গা হাতে নিয়ে মিছিল করেছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে খুব কাছ থেকে দেখার ও সান্নিধ্য পাওয়ার সুযোগ আমার হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উন্নয়ন রাজনীতির সঙ্গে আামি সম্পৃক্ত। মানুষের সেবা করার মাঝেই আমি সুখ পেয়েছি।কোনো বাঁধা বিঘ্ন, ভয়ভীতিকে আমি তোয়াক্কা করিনি, আমি গণমানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা পেয়েছি, যা আমার জীবনের অনন্য প্রেরণা। তিনি আরও বলেন, এই জনপদের কাছে আমার ঋণ রয়েছে। জীবনের শেষ সময়ে মনের একটি ইচ্ছা জানাতে এখানে উপস্থিত হয়েছি। আমার জীবনের শেষ নির্বাচন হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
তিনি আরও বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ বারে ২৬ বৎসর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। এরি ধারায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী আমাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেন এবং আমি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর এই ভালোবাসার জন্য আমি এবং আমার পরিবার চিরঋণী।