স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ জাহিদুলের স্বজনদের।
এ ঘটনায় সোমবার সকালে ওই ভণ্ড কবিরাজ ইস্রাফিল শেখকে (৩৬) আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। আটক হওয়া ইস্রাফিল গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জাক শেখের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৫ দিন আগে উপজেলার বাঁশগাড়ি এলাকার রামচন্দ্রপুর বাজারের ব্যবসায়ী দুলাল শিকদার ও মামুন শিকদারের দোকানে চুরি হয়। এ ঘটনায় পাশের দোকানদার জাহিদুলকে সন্দেহজনকভাবে দায়ী করা হয়। এতে তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি।
রোববার সকালে ১০টার দিকে রামচন্দ্রপুর বাজারের পাশে একটি মাদ্রাসা মাঠে রুটিপড়া খাওয়ার আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত সন্দেহভাজন অর্ধশত মানুষকে কথিত কবিরাজের দেওয়া একটি করে রুটিপড়া খাওয়ান দোকানদার দুলাল ও মামুন; কিন্তু জাহিদুলকে একসঙ্গে দুটি রুটি ও একটি ডিম খাওয়ানো হলে মুহূর্তের মধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এ সময় স্থানীয়রা জাহিদুলকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে কবিরাজ ইস্রাফিল শেখকে তার নিজ এলাকা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে আটক করেন। এ সময় তার কাছ থেকে ডিমপড়া ও রুটিপড়া বাবদ গ্রহণ করা ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আহত জাহিদুলের বোন লিলি বেগম বলেন, তার ভাইয়ের সঙ্গে বাজারের দোকানের জমি নিয়ে দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে রুটির সঙ্গে অন্য কিছু মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি নাজমুল হাসান জানান, এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। কথিত কবিরাজের কাণ্ডে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কবিরাজকে ইতোমধ্যে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অস্ত্র ও গুলিসহ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম মোঃ ইউসুফ ( ২৮)। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কালাইশ্রীপাড়ার মৃত শহীদের ছেলে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, বুধবার (১৭মে) সন্ধ্যা অনুমান ৯.১০ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদর মডেল থানাধীন কালাইশ্রীপাড়াস্থ ১০৩৬ নং বাসার ৪র্থ তলায় জনৈক ইউসুফের নিকট অস্ত্র গুলি রয়েছে। উক্ত সংবাদের সত্যতা যাচাই ও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার নিমিত্তে ০১নং শহর ফাঁড়ীর আইসি পুলিশ পরিদর্শক শিহাবুর রহমান এবং এএসআই পলাশ সহ থানার অফিসার ও ফোর্সকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।পরবর্তীতে আসামী মোঃ ইউসুফ(২৮), পিতা-মৃত শহীদের বাহির করে দেওয়া মোতাবেক ০২ রাউন্ড গুলিসহ একটি দেশীয় তৈরি রিভলবার উদ্ধার পূর্বক সাক্ষীদের উপস্থিতিতে জব্দ করা হয়। উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের কমিটি স্থগিত করার পাশাপাশি নিয়মবহির্ভূতভাবে সদ্যগঠিত পৌর ও ৫টি ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ২০মে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ এর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়৷ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়,‘বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ একটি সুশৃঙ্খল ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। এই সংগঠনের ভাবমূর্তি বজায় রাখা প্রত্যেক নেতাকর্মীর সাংগঠনিক ও নৈতিক দায়িত্ব। গত ৩০/০৪/২০১৩ইং তারিখে কেন্দ্রের অনুমতি ব্যতীত গঠনতন্ত্রবিরোধী, ভিত্তিহীন, অনৈতিক ও নিয়মবহির্ভূতভাবে আখাউড়া উপজেলার অন্তর্গত আখাউড়া পৌরসভা, আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন, আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন, মোগড়া ইউনিয়ন ও ধরখার ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। উপরিউক্ত পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়ন কমিটিসমূহের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, জেলা যুবলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অবগত নয় ।এমতাবস্থায়, গঠনতন্ত্রের ২৩ ধারা মোতাবেক যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে আখাউড়া উপজেলার অন্তর্গত গত ৩০/০৪/২০১৩ইং তারিখে নিয়মবহির্ভূতভাবে গঠিত আখাউড়া পৌরসভা, আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন, আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন, মোগড়া ইউনিয়ন ও ধরখার ইউনিয়ন কমিটি গঠনতন্ত্র বিরোধী, বৈধ নয় এবং উক্ত কমিটিসমূহ বিলুপ্ত করে পূর্বের কমিটিসমূহ পূনর্বহাল করা হলো। উক্ত কমিটিসমূহকে কেন্দ্র ও জেলা ঘোষিত সকল সাংগঠনিক কর্মসূচি পালনের জন্য আদিষ্ট হয়ে নির্দেশ প্রদান করা হলো। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় ইতোপূর্বে গত ০২/০৫/২০১৩ইং তারিখে শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও যুগ্ম-আহ্বায়কবৃন্দকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়। উক্ত কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় গঠনতন্ত্রের ২৩ (ঘ) ধারা মোতাবেক যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশক্রমে আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।উল্লেখ, গত ৩০এপ্রিল আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক তাকজিল খলিফা কাজল, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, আতাউর রাহমান নাজিমের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পৌর যুবলীগের কমিটিতে গৃহবধূকে ধর্ষণে অভিযুক্ত শিপন আহমেদকে ৩নং যুগ্ম আহ্বায়ক এবং উত্তর ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটিতে মো. রাসেল মেম্বারকে ৫নং যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটি ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড় উঠে। সুশীল সমাজের লোকজন বলেন, সমাজের এসব চিহ্নিত কুখ্যাত অপরাধীদের যদি ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতা বানানো হয় তাহলে তারা দলকেও কলংকিত করবে এবং দলের সুনাম নষ্ট করবে অপরাধীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে দল থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তারা জনগণের কাছেও ঘৃণার পাত্র হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবলীগ নেতা বলেন, যুবলীগের কমিটিতে দলের ত্যাগী ও ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিদের যথাযথ সম্মান ও পদবি দেওয়ার পাশাপাশি বিতর্কিত লোকজনকে যুবলীগের কমিটি থেকে বহিষ্কারের দাবি সকলের।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকসেবীর ছুরিকাঘাতে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ইকরাম আহমেদ (৩০) কে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার( ২৪মে) বিকেলে পৌর এলাকার মুন্সেফপাড়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রিদোয়ান আনসারী রিমোর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইকরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মাসুদ মিয়ার ছেলে। তবে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ফরিদুল হুদা সড়কের বি-বাড়িয়া টাওয়ারে বসবাস করতেন। মাসুদ মিয়া গ্রামীণ জেনারেল হাসপাতালের মালিক। ঘাতক রায়হান ঢাকার মগবাজারের জিয়াউল হক জিয়ার ছেলে।
একাধিক সূত্র জানায়, ছাত্রলীগ নেতা রিমোর মামাতো ভাই রায়হান কয়েকদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অবস্থান করছিল। বেলা সাড়ে পাঁচটার দিকে বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা রিমোর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে রায়হান ও ইকরামের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে ইকরামকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে রায়হান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ইকরামকে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।পুলিশ ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে ঘাতক রায়হানকে গ্রেপ্তার করেছে। রায়হান মাদকসেবী বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন জানান, মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে তর্কের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে ঘাতক রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।