স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাদক কারবারির ছুরিকাঘাতে খাইরুল ইসলাম নামে পুলিশ কনস্টেবল আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।শনিবার (৬ মে) আখাউড়া থানার উপপরিদর্শক নুপুর কুমার দাস বাদী হয়ে ৫৪ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় শুক্রবার (৫ মে) রাত থেকে রোববার (৭ মে) পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে শীর্ষ মাদককারবারিসহ ৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া মাদক কারবারিদের রোববার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, পুলিশ কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আমরা তিন দিনের সাড়াশি অভিযান চালিয়ে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীসহ ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের প্রত্যকের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল, ৭০ বোতল বিয়ার, চার কেজি গাঁজাসহ দেশীয় অনেক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই সব মাদককারবারি এলাকা ছেড়ে দিয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সংগঠনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠায় বিপ্লবকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো। এছাড়া তাকে কেন সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করা হবে না, আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে দফতর সেলে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেলা শহরের মৌলভীপাড়ায় বিএস ফিটনেস ক্লাবে গোপনে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের প্রতিবাদ করায় আটকে রেখে গৃহবধূসহ দুজনকে মারধর করার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ জিমের পরিচালক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লব, জিমের ফিটনেস ট্রেইনার মিতু আক্তার ও সাইমকে গ্রেফতার করে। ঘটনার দিন রাতেই ওই গৃহবধূর ভাসুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের এপিপি মাসুদুর রহমান (সোহাগ) গ্রেফতার তিনজনসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/৯ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আদর্শপরিপন্থি কার্যকলাপের অভিযোগ পাওয়ায় জেলা ছাত্রলীগের এক জরুরি সভায় বিপ্লবকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া ব্যক্তির দায়, দল বা সংগঠন নেবে না উল্লেখ করে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য বিপ্লবকে শোকজ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জুয়েল মিয়া
অমর একুশে বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে শাহনেওয়াজ শাহ্ এর দ্বিতীয় বই ‘কলম সৈনিক’। মোট ৫৫ টি কবিতা নিয়ে সাজানো হয়েছে বইটি। বইটির ক্যানভাসে লেখক কাব্যের মাধ্যমে সামাজিক প্রেক্ষাপট, মানব চরিত্র ও জীবনের আনুসঙ্গিক বিভিন্ন অসঙ্গতির চিত্র তুলে ধরেছেন। বইটির প্রচ্ছদ ডিজাইন করেছেন সজীব কুমার। নির্বাণ প্রাকশ থেকে প্রকাশ হওয়া বইটির মূল্য ধরা হয়েছে ২৪০ টাকা। বইমেলার ১৬ নম্বর গণপ্রকাশন এবং স্বনির্ভর প্রকাশনীর নিজস্ব স্টলে পাওয়া যাচ্ছে বইটি।
লেখক শাহনেওয়াজ শাহ্ লেখালেখি শুরু করেন ২০১৮ সালের শুরুর দিকে। কলেজে পড়ার সময় থেকেই তার লেখা প্রকাশ হতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর পড়াশোনার পাশাপাশি সাংবাদিকতাও শুরু করেন তিনি।বিভিন্ন পত্রিকায় ফিচারের পাশাপাশি বিভিন্ন কবিতা ও গল্পও লিখেন তিনি। লেখকের পূর্ব প্রকাশিত বই “বদলে যাবো, বদলে দিবো” ২০২১ সালে অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে। এই তরুণ লেখকের প্রকাশিতব্য বই “শেষ ঠিকানা”। তিনি ভবিষ্যতে আরো অনেক বই রচনা করার এবং সাহিত্য চর্চা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
তরুণ লেখক, সাংবাদিক ও সংগঠক শাহনেওয়াজ শাহ্ এর জন্ম ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০০ খ্রিস্টাব্দে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ছতরপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা মোঃ বেনুজীর শাহ্ পেশায় একজন কৃষক ও মাতা উম্মে কুলসুম গৃহিণী। বর্তমানে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে সম্মান চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত। তিনি বেশ কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকাতে কাজ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাতীয় দৈনিক তৃতীয় মাত্রা, জাতীয় দৈনিক অগ্নিশিখা, জাতীয় দৈনিক পর্যবেক্ষণ, জাতীয় দৈনিক মতপ্রকাশ, দৈনিক ফুলতলা প্রতিদিন, স্থানীয় দৈনিক দিনদর্পন, পাক্ষিক আলোর সারথি, পাক্ষিক ভয়েস অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি বহুল প্রচারিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল দৈনিক প্রাণকণ্ঠ এর সম্পাদক ও প্রকাশক।
কবি ও লেখক শাহনেওয়াজ শাহ্ বলেন, বই সভ্যতার প্রতিক। নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ ও বিকশিত করতে বই পড়ার বিকল্প নেই। একজন লেখক হয়ে উঠার পূর্ব শর্তই হচ্ছে প্রচুর বই পড়তে হবে। একটি কবিতার মাধ্যমে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। একটি গল্পের মাধ্যমে একটি জীবন পরিবর্তন করা সম্ভব। পাঠকদের প্রতি বই মেলায় আসার, দেখার ও বই কিনার আহ্বান রইল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো.জুয়েল মিয়া বলেন, বহুগুণে গুণান্বিত তরুণ লেখক ও কবি শাহনেওয়াজ শাহ্ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তার লেখায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহের প্রতিধ্বনি শুনা যায়। সমাজের অন্যায়, অনিয়ম ও অবিচারের বিরুদ্ধে তার লেখা দেশরক্ষায় নিয়োজিত সৈনিকের অস্ত্রের মতো চলমান থাকুক। তার প্রতি বিপ্লবী ভালোবাসা রইল।
র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেন, র্যাবের শ্লোগান হচ্ছে ‘বাংলাদেশ আমার অহংকার’। আমরা এটাকে ধারণ করি, লালন করি এবং এটাকে আমরা পালন করি৷ বাংলাদেশ যেহেতু আমার অহংকার এবং আমরা এই দেশের সন্তান, এই দেশ আমাদের ও এই দেশের জনগণ আমাদের। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধু দেশকে ভালবেসেছেন। আমরা তারই অনুসারী, আমরা দেশকে ভালবাসি-মানুষকে ভালবাসি। মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া দায়িত্ব আমাদের।
দৈনিক পত্রিকা রিপোর্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে চাচাতো ভাই আশরাফুল ইসলামের (৩৫) ছুরিকাঘাতে মোঃ নিয়ামুল (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের নলগরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ঘাতক আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। নিহত নিয়ামুল নলগরিয়া গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে। গ্রেফতার আশরাফুল ইসলাম একই বাড়ির আবদুল মোতালেবের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, আশরাফুল ইসলাম ও নিয়ামুল উভয়ই মাদক ব্যবসা করতেন। মাদক ব্যবসা নিয়েই তাদের মধ্যে বিরোধ ছিলো। এই বিরোধের জেরে বুধবার বিকেল চারটার দিকে আশরাফুল ইসলাম নিয়ামুলকে তার বাড়ির সামনে ডেকে নিয়ে যান। পরে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে নিয়ামুলকে ছুরিকাঘাত করেন আশরাফুল।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ামুলকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, আশরাফুল ইসলাম ও নিয়ামুল উভয়ই মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে আশরাফুল নিয়ামুলকে ছুরিকাঘাত করলে হাসপাতালে নেওয়ার পর নিয়ামুল মারা যান। আমরা ঘাতক আশরাফুলকে গ্রেফতার করেছি। নিয়ামুলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
নিহত জাকির হোসেন উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের সোনামোড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে।
শনিবার বিকাল ৫টার সময় তার আপন ছোট দুই ভাই আক্তার হোসেন (৩৭) ও মুক্তার হোসেন (৩৪) ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে জমি নিয়ে তাদের ভাইদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জেরে ছোট দুই ভাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে জাকির অজ্ঞান হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ডা. তাবরুজ নাঈম সিয়াম যুগান্তরকে জানান, নিহত জাকির হোসেনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
বিজয়নগর থানার ওসি মো. রাজু আহম্মেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ভাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।