স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
অনলাইনে ইসলাম ধর্মের অবমাননার দায়ে দুই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। গত বছর দেশটিতে বিক্ষোভের পর থেকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে খবর ডয়চে ভেলের। ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননার দায়ে ইউসেফ মেহরদাদ ও সাদরোল্লাহ ফাজেলি নামে দুই ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের বিচার বিভাগ দেশটির বিচার বিভাগ সংক্রান্ত ওয়েবসাইট মিজান জানিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম ও নবি হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটাক্ষের অভিযোগ ছিল বিচার বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই ব্যক্তি একাধিক ধর্মবিরোধী অনলাইন প্লাটফর্ম পরিচালনা করছিলেন৷ এর মাধ্যমে তারা ইসলাম ধর্ম ও এর পবিত্র বিষয়গুলোকে অমর্যাদার পাশাপাশি নাস্তিকতার প্রচার চালাচ্ছিলেন বলে দাবি করা হয় বিবৃতিতে আরো বলা হয়, তাদের একজন কনটেন্ট প্রচারের কথা স্বীকার করেছেন৷ তবে এই ধরনের স্বীকারোক্তি সাধারণত জোরপূর্বক নেওয়া হয় বলে অভিযোগ অধিকার সংস্থাগুলোর শনিবার হাবিব চাব নামে সুইডিশ-ইরানিয়ান নাগরিকের ফাঁসি কার্যকর করেছে তেহরান৷ এই ঘটনাকে অমানবিক হিসেবে উল্লেখ করে উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে সুইডেন। চীনের পরই ইরান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকারী দেশ৷ দুইটি অধিকার সংস্থার গত মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে ইরানের কর্তৃপক্ষ ৫৮২ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে, যা ২০২১ সালের চেয়ে ৭৫ শতাংশ বেশি। নরওয়ে ভিত্তিক ‘ইরান হিউম্যান রাইটস’ এবং প্যারিসভিত্তিক ‘টুগেদার অ্যাগেইনস্ট দ্য ডেথ পেনাল্টি’ এপ্রিলে জানিয়েছে, চলতি বছর ১৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান।দৈনিক যুগান্তর থেকে নেওয়া।
বৈঠক শেষে মোদি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক। আমাদের আলোচনায় কানেক্টিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় নরেন্দ্র মোদির সরকারি বাসভবনে এ বৈঠকটি শুরু হয়।
এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সকালে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে রওনা হন তিনি। নয়াদিল্লিতে ৯-১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে এ সফর।
প্রধানমন্ত্রীর এ সফর নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকে কানেক্টিভিটি, তিস্তার পানি বণ্টন, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। বৈঠকে কৃষি গবেষণা খাতে সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও দুই দেশের নাগরিকদের লেনদেন সহজীকরণে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।
প্রসঙ্গত, ভারতে হতে যাওয়া এবারের জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ৯টি দেশকে অতিথি রাষ্ট্র হিসেবে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটি। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশগুলো হচ্ছে—মিসর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিংগাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ভারতের মধ্যে বিদ্যমান নানা সম্পর্কের ভিত্তিতে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ এর দুটি পৃথক অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের প্রস্তাব সম্পর্কে মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেছিলেন: ‘প্রকৃতপক্ষে, গুতেরেসের চিঠি (রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে) আবারও একটি নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার রূপরেখা তুলে ধরেছে এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, একদিন এই চুক্তিগুলির রাশিয়ান অংশ পূরণ করা সম্ভব হবে। দুর্ভাগ্যবশত, এ মুহুর্তে চুক্তিতে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়, কারণ রাশিয়ার দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না।
তার মতে, ডি ফ্যাক্টো চুক্তিটি কখনই কার্যকর হয়নি। ‘তবে, প্রেসিডেন্ট পুতিন স্পষ্ট করেছেন যে, রাশিয়া চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার সাথে সাথেই তা পুনরায় শুরু করতে প্রস্তুত,’ পেসকভ জোর দিয়ে বলেছিলেন।
শস্য চুক্তিটি, যা কৃষ্ণ সাগর জুড়ে ইউক্রেনীয় শস্যের নিরাপদ রপ্তানির জন্য সরবরাহ করেছিল এবং রাশিয়া থেকে কৃষি পণ্য এবং সার রপ্তানির শর্ত তৈরি করেছিল, ২২ জুলাই, ২০২২ এ ইস্তাম্বুলে সাক্ষরিত হয়েছিল। এরপর থেকে কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে।
১৭ জুলাই, রাশিয়া উদ্যোগে অংশগ্রহণ চালিয়ে যেতে অস্বীকার করেছিল, যেহেতু অন্যান্য পক্ষগুলি চুক্তির সেই অংশে তাদের বাধ্যবাধকতাগুলি পূরণ করেনি যা বিশ্ব বাজারে রাশিয়ান পণ্য সরবরাহের সাথে সম্পর্কিত। পুতিন আশ্বস্ত করেছেন যে, মস্কো শস্য চুক্তি পুনরায় শুরু করতে পারে যদি তাদেরকে দেয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি পূরণ করা হয়। সূত্র: তাস।
মুখলেছুর রহমান অভি:সৌদি আরব পূর্বাঞ্চল কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, আল জুবাইল প্রাদেশিক বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতী সন্তান, সাবেক ছাত্রনেতা হেলাল উদ্দিন ভুইয়ার জন্মদিন উপলক্ষে প্রবাসীদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় স্থানীয় সার্ক হোটেলে আখাউড়া উপজেলা প্রবাসী যুবদলের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম রাজিবের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে জন্মদিন পালন করা হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরব পূর্বাঞ্চল কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন শামীম, সহ সভাপতি শেখ আব্দুল মান্নান, আল জুবাইল প্রাদেশিক বিএনপির সভাপতি সোহেল আরমান, পূর্বাঞ্চল কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সহ সভাপতি জালাল উদ্দীন মোল্লা,নুরুল হক পাটুয়ারি, নাসির সরদার, আব্দুস ছালাম, মহসিন খান,কাজি নাজমুল, আমিনুল ইসলাম রাব্বি,নাজমুল হাসান সোহাগ , সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক সহ আল জুবাইল প্রাদেশিক বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে নেতৃবৃন্দ কেক কাটেন ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে হেলাল উদ্দিন ভুইয়া বলেন, বিএনপি পরিবারের সদস্য হতে পেরে আমি গর্বিত। তিনি বলেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার ফেরত পাওয়া এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কে মুক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশ বিদেশে জনমত গঠন করতে হবে।
সরকারি সুবিধা ও পৃষ্ঠপোষকতায় ছাড়মূল্যে রাশিয়া থেকে কেনা তেল শোধন করে বেশি দামে বিক্রি করছে ভারতীয় দুই সংস্থা। সংবাদমাধ্যমের খবর উদ্ধৃত করে এ দাবি করছেন রাজ্যসভার সদস্য ও সাবেক আইএএস কর্মকর্তা জহর সরকার। বিষয়টি নিয়ে জানতে চেয়ে পেট্রোলিয়াম এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছেন তিনি। তবে এখনো চিঠির জবাব পাননি। রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বড় ক্রেতা এখন ভারত। আট দিন আগে সংবাদমাধ্যম ইটি নাও জানায়, ভারত এখন ইউরোপে সবচেয়ে বেশি পরিশোধিত তেল রপ্তানি করছে। এর মধ্য দিয়ে সৌদি আরবকে পেছনে ফেলেছে ভারত। কেপলারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত প্রতিদিন ৩ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল পরিশোধিত তেল ইউরোপে রপ্তানি করবে। এটা ইইউর জন্য নিঃসন্দেহে ভালো খবর। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে ইইউ দিনে ভারত থেকে ১ লাখ ৫৪ হাজার ব্যারেল পরিশোধিত তেল নিত। সেটা এখন দুই লাখ ব্যারেল বাড়ছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া থেকে সরাসরি তেল কেনা নিয়ে ইইউর দেশগুলো অসুবিধায় পড়েছে। ভারত থেকে বাড়তি তেল পাওয়ায় এ অসুবিধা অনেকটাই দূর হবে।ভারতের রাজ্যসভার সংসদ সদস্য ও সাবেক আইএএস কর্মকর্তা জহর সরকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে চিঠি লিখে বলেছেন, ‘দ্য ওয়্যারে ৪ মে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মুম্বাইয়ের একটি রহস্যময় সংস্থা প্রচুর পরিমাণে তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করছে। এদিকে এফটি ডটকম বলছে, মুম্বাইয়ের গ্যাটিক শিপ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গত বছর ৫৪টি তেল ট্যাংকার কেনে। রাশিয়া থেকে যে ৮ হাজার ৩০০ লাখ ব্যারেল তেল ভারতে এসেছে, তার অর্ধেকই এনেছে এই সংস্থা। চিঠিতে জহর সরকার লিখেছেন, ‘এক বছরের মধ্যে কী করে এই সংস্থার বাণিজ্য রকেটের গতিতে বাড়ল, সেটা এক রহস্য।’ তাঁর কথা, ‘ভারত ও রাশিয়াকে কেন্দ্র করে এ বিপুল বাণিজ্য সরকারি সাহায্য ও পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া সম্ভব নয়। চিঠিতে এসব প্রশ্ন তুলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে জহর সরকার লিখেছেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আপনার মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করছি। সেই সঙ্গে অপেক্ষা করছি রহস্যময় সুবিধা পাওয়া এ সংস্থার পরিচয় সরকার কবে জানায়, তার জন্যও। সোমবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, ২০২২ সালের মার্চ থেকে ৬১টি তেলের পুরোনো ট্যাংকার কেনে গ্যাটিক শিপ ম্যানেজমেন্ট। লন্ডনের মেরিটাইম মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ফার্ম ভেসেলস ভ্যালুর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর থেকে তারা এসব ট্যাংকার কেনে।জহর সরকার পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে আরেকটি বিষয় জানতে চেয়েছেন। চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লিখেছেন, ‘গুজরাটের দুটি শোধনাগার রাশিয়া থেকে তেল কিনে শোধন করার পর তা বিক্রি করে বিপুল মুনাফা করছে।’ কারা এই ব্যবসায়ী-শিল্পপতি, যাঁরা রাশিয়ার তেল বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন এক মাসেও উত্তর মেলেনি। আপনি ক্ষুরধার জবাব ও প্রতিক্রিয়া দেওয়ার জন্য বিখ্যাত। আশা করি, আপনি আমার এ প্রশ্নের জবাব দেবেন।
সূত্র,প্রথম আলো