স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রবল বর্ষণের কারনে চীনের রাজধানী বেইজিংসহ উত্তরাঞ্চলের আরো একটি শহরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় ডকসুরি শুক্রবার থেকে চীনের উত্তরাঞ্চল জুড়ে বয়ে যাচ্ছে। এটি টাইফুন হিসেবে ফিলিপাইনে আঘাত হানার পর দক্ষিণাঞ্চীয় ফুজিয়ান প্রদেশে প্রবেশ করে।বেইজিংসহ এর আশেপাশের এলাকায় প্রবল বৃষ্টির কারনে কর্মকর্তারা বন্যা, ভূমিধস, নদীর পানি উপচে পড়াসহ কাদাধসের মতো সম্ভাব্য বিপদজনক পরিস্থিতির বিষয়ে সতর্ক করেছেন।দেশটির সরকারি সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, বেইজিংয়ের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে ২৭ হাজার এবং প্রতিবেশী হেবেই প্রদেশের রাজধানী শিজিয়াজুয়াং থেকে ২০ হাজার লোককে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।এদিকে বেইজিংসহ চীনের উত্তরাঞ্চলের লাখ লাখ লোক সর্বোচ্চ সতর্কতা রেড এলার্টের মধ্যে রয়েছে। অন্তত সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টির আশংকা করা হচ্ছে।রোববার বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের পর এ প্রথম এ ধরনের সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।উল্লেখ্য দেশটিতে ২০২১ সালের প্রবল বন্যার পর থেকে কর্তৃপক্ষ তীব্র বর্ষণের বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। মধ্য চীনের ওই বন্যায় তিনশ’র বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছিল।সূত্র বাসস
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পূর্বোত্তর ভারতের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুদিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও কাস্টমস, বন্দরের দাপ্তরিক কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে। আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন ‘ইন্দো-বাংলা এক্সপোর্টার-ইমপোর্টার কমিউনিকেশন সেন্টার’র সাধারণ সম্পাদক শিব শংকর দেবের বরাত দিয়ে ওই ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি বাংলাদেশের আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেতাদের আগেই জানানো হয়।
তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আগামীকাল শুক্রবারও পূর্বোত্তর ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
শনিবার সকালে ত্রিপুরায় মাছ রপ্তানির মধ্য দিয়ে ফের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হবে।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ইনচার্জ স্বপন কুমার দাস জানান, আমদানি বন্ধ থাকলেও ওই দুদিন বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
সরকারি সুবিধা ও পৃষ্ঠপোষকতায় ছাড়মূল্যে রাশিয়া থেকে কেনা তেল শোধন করে বেশি দামে বিক্রি করছে ভারতীয় দুই সংস্থা। সংবাদমাধ্যমের খবর উদ্ধৃত করে এ দাবি করছেন রাজ্যসভার সদস্য ও সাবেক আইএএস কর্মকর্তা জহর সরকার। বিষয়টি নিয়ে জানতে চেয়ে পেট্রোলিয়াম এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছেন তিনি। তবে এখনো চিঠির জবাব পাননি। রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বড় ক্রেতা এখন ভারত। আট দিন আগে সংবাদমাধ্যম ইটি নাও জানায়, ভারত এখন ইউরোপে সবচেয়ে বেশি পরিশোধিত তেল রপ্তানি করছে। এর মধ্য দিয়ে সৌদি আরবকে পেছনে ফেলেছে ভারত। কেপলারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত প্রতিদিন ৩ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল পরিশোধিত তেল ইউরোপে রপ্তানি করবে। এটা ইইউর জন্য নিঃসন্দেহে ভালো খবর। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে ইইউ দিনে ভারত থেকে ১ লাখ ৫৪ হাজার ব্যারেল পরিশোধিত তেল নিত। সেটা এখন দুই লাখ ব্যারেল বাড়ছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া থেকে সরাসরি তেল কেনা নিয়ে ইইউর দেশগুলো অসুবিধায় পড়েছে। ভারত থেকে বাড়তি তেল পাওয়ায় এ অসুবিধা অনেকটাই দূর হবে।ভারতের রাজ্যসভার সংসদ সদস্য ও সাবেক আইএএস কর্মকর্তা জহর সরকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে চিঠি লিখে বলেছেন, ‘দ্য ওয়্যারে ৪ মে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মুম্বাইয়ের একটি রহস্যময় সংস্থা প্রচুর পরিমাণে তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করছে। এদিকে এফটি ডটকম বলছে, মুম্বাইয়ের গ্যাটিক শিপ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গত বছর ৫৪টি তেল ট্যাংকার কেনে। রাশিয়া থেকে যে ৮ হাজার ৩০০ লাখ ব্যারেল তেল ভারতে এসেছে, তার অর্ধেকই এনেছে এই সংস্থা। চিঠিতে জহর সরকার লিখেছেন, ‘এক বছরের মধ্যে কী করে এই সংস্থার বাণিজ্য রকেটের গতিতে বাড়ল, সেটা এক রহস্য।’ তাঁর কথা, ‘ভারত ও রাশিয়াকে কেন্দ্র করে এ বিপুল বাণিজ্য সরকারি সাহায্য ও পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া সম্ভব নয়। চিঠিতে এসব প্রশ্ন তুলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে জহর সরকার লিখেছেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আপনার মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করছি। সেই সঙ্গে অপেক্ষা করছি রহস্যময় সুবিধা পাওয়া এ সংস্থার পরিচয় সরকার কবে জানায়, তার জন্যও। সোমবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, ২০২২ সালের মার্চ থেকে ৬১টি তেলের পুরোনো ট্যাংকার কেনে গ্যাটিক শিপ ম্যানেজমেন্ট। লন্ডনের মেরিটাইম মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ফার্ম ভেসেলস ভ্যালুর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর থেকে তারা এসব ট্যাংকার কেনে।জহর সরকার পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে আরেকটি বিষয় জানতে চেয়েছেন। চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লিখেছেন, ‘গুজরাটের দুটি শোধনাগার রাশিয়া থেকে তেল কিনে শোধন করার পর তা বিক্রি করে বিপুল মুনাফা করছে।’ কারা এই ব্যবসায়ী-শিল্পপতি, যাঁরা রাশিয়ার তেল বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন এক মাসেও উত্তর মেলেনি। আপনি ক্ষুরধার জবাব ও প্রতিক্রিয়া দেওয়ার জন্য বিখ্যাত। আশা করি, আপনি আমার এ প্রশ্নের জবাব দেবেন।
সূত্র,প্রথম আলো
ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। সোমবার (০৬ সোমবার) ভোররাতের এই ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশিরভাগ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে হাজার হাজার ভবন। ক্ষণে ক্ষণে উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ ও আহতদের। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা প্রায় দুই হাজারে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা দ্রুত গতিতে বেড়েই চলেছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। সাধারণ মানুষ হাসপাতাল ও ধসে পড়া ভবনগুলোর সামনে স্বজনদের খুঁজতে ভিড় করছেন। কোনও কোনও পরিবারে সকল সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তুরস্ক ও সিরিয়া এই দুই দেশেই বিপুল ক্ষতি হয়েছে। এখনও ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকে রয়েছেন বহু মানুষ। তাদেরকে উদ্ধারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট বাহিনী। সাধারণ মানুষও এতে হাত লাগিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে অনুমান করে বলেছে যে, এই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা দশ হাজার ছাড়াতে পারে। তুরস্ক প্রশাসন জানিয়েছে ভূমিকম্পে প্রায় তিন হাজার ভবন ধসে পড়েছে। তুরস্কের কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, গাজিয়ানটেপ, সানলিউরফা, দিয়ারবাকির, মালতায়া এবং আদানাসহ বিভিন্ন অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া সিরায়ার আলেপ্পো, হামা এবং লাত্তাকিয়াসহ কয়েকটি অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তুরস্ক ও সিরিয়া উভয় দেশ দুর্যোগ ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
দ্রুত উদ্ধারকাজের জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য কামনা করেছে তুরস্ক। এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন উদ্ধারকাজে সহযোগিতার জন্য বাহিনী প্রেরণ করেছে। সেনাবাহিনী নামিয়েছে তুরস্ক। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, ১৯৩৯ সালের ভূমিকম্পের চেয়ে এবারের ভূমিকম্প আরও ভয়ঙ্কর। সেই ভূমিকম্পে অন্তত ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এই বিপদ মোকাবেলা করবেন বলে বার্তা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের প্রস্তাব সম্পর্কে মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেছিলেন: ‘প্রকৃতপক্ষে, গুতেরেসের চিঠি (রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে) আবারও একটি নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার রূপরেখা তুলে ধরেছে এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, একদিন এই চুক্তিগুলির রাশিয়ান অংশ পূরণ করা সম্ভব হবে। দুর্ভাগ্যবশত, এ মুহুর্তে চুক্তিতে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়, কারণ রাশিয়ার দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না।
তার মতে, ডি ফ্যাক্টো চুক্তিটি কখনই কার্যকর হয়নি। ‘তবে, প্রেসিডেন্ট পুতিন স্পষ্ট করেছেন যে, রাশিয়া চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার সাথে সাথেই তা পুনরায় শুরু করতে প্রস্তুত,’ পেসকভ জোর দিয়ে বলেছিলেন।
শস্য চুক্তিটি, যা কৃষ্ণ সাগর জুড়ে ইউক্রেনীয় শস্যের নিরাপদ রপ্তানির জন্য সরবরাহ করেছিল এবং রাশিয়া থেকে কৃষি পণ্য এবং সার রপ্তানির শর্ত তৈরি করেছিল, ২২ জুলাই, ২০২২ এ ইস্তাম্বুলে সাক্ষরিত হয়েছিল। এরপর থেকে কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে।
১৭ জুলাই, রাশিয়া উদ্যোগে অংশগ্রহণ চালিয়ে যেতে অস্বীকার করেছিল, যেহেতু অন্যান্য পক্ষগুলি চুক্তির সেই অংশে তাদের বাধ্যবাধকতাগুলি পূরণ করেনি যা বিশ্ব বাজারে রাশিয়ান পণ্য সরবরাহের সাথে সম্পর্কিত। পুতিন আশ্বস্ত করেছেন যে, মস্কো শস্য চুক্তি পুনরায় শুরু করতে পারে যদি তাদেরকে দেয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি পূরণ করা হয়। সূত্র: তাস।