স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
শুভজিৎ পুততুন্ড, কলকাতা
মালদার তার চাচোলের বাসিন্দা ২২ বছর বয়সি সিমরান পারভীন বলেন, ‘ওখানকার পরিস্থিতি, পরিবেশ এখনও ভয়াবহ। স্টুডেন্টদের জন্য ওখানকার লোকালিটির জন্য ভয়াবহ ক্ষতি হয়ে গেল। আমাদের সর্বভারতীয় স্তরে সব পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। পানি নেই, খাবার নেই। এমন হয়েছে তিন দিন একটানা পানি আসেনি, যতটুকু ছিল তার মধ্যেই আমাদের থাকতে হয়েছে। শপিং মল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হতো। পরিবেশের মারাত্মকভাবে ক্ষতি হচ্ছে, আমরা নিজের চোখে দেখেছি কিভাবে গোটা পাহাড়ের জঙ্গল একসঙ্গে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন জানি না কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, আবার কবে ফিরতে পারব। ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি উৎকণ্ঠায় ছিলেন অভিভাবকরাও। আটকেপড়া ছাত্রী দিশারী বিশ্বাসের বাবা মৃদুল বিশ্বাস ও মা দোলা বিশ্বাস বলেন, দিনে ১৮ থেকে ২০ বার আমরা ফোনে যোগাযোগ করতাম। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আমলাদের ক্রমাগত ফোন করেছিলাম মেয়েকে ফিরিয়ে আনার জন্য। শুরুতে আমরা আতঙ্কে ছিলাম। তবে ভয় পেয়ে বসে থাকলে চলবে না, মেয়েকে মনে সাহস যুগিয়েছিলাম। এদিকে ফোনে মনে পড়ে আটকে থাকা কলকাতার চিকিৎসক আহেলি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এখনও দলাই লামা আর্মি ক্যাম্পে আটকে আছি। আমার মতো সাড়ে তিন হাজার মানুষ এখনও আটকে আছে। গতকাল থেকে বোমা-গুলির শব্দ শোনা না গেল বাইরে বেরনোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সব থেকে খারাপ অবস্থা রাজধানী ইম্ফলের। আর্মিও এসকর্ট করে আমাদের গাড়ি বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার রিস্ক নিতে চাইছে না।’
চিকিৎসক আহেলি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন মেঘালয়, নাগাল্যান্ড রাজ্য তাদের লোকজনকে এই পরিস্থিতির মধ্যেও নিয়ে গিয়েছে। কেরালা আজ তাদের সব লোককে বিশেষ উড়োজাহাজে করে নিয়ে যাবে। মিজোরাম ত্রিপুরার লোকজনকে গতকাল রাত থেকে ওদের রাজ্য সরকার উদ্ধার করছে। আমরা তামিলনাড়ু, রাজস্থান ও পশ্চিমবঙ্গের অনেকেই এখনও মণিপুরীদের সঙ্গেই আটকে আছি। কলকাতা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি কিন্তু এখনও যোগাযোগ করতে পারিনি। মণিপুর রাজ্য সরকার এতটাই বিধ্বস্ত যে, ওদের পক্ষে সাহায্য করা আর সম্ভব নয়। গতকাল থেকেই খাবার-দাবারের সংকট শুরু হয়েছে। আমাদের সকালে খাবার দেওয়ার পর আর্মিদের থেকে বলে দেওয়া হলো দুপুরে কী খাবার দিতে পারব এখনও ঠিক নেই। এত মানুষের খাবার একসঙ্গে জোগাড় করা সত্যিই কঠিন। এতদিন ওরা টাউনে গিয়ে বন্ধ দোকানগুলোর শাটার ভেঙে যা খাবার পাচ্ছিল আমাদের জন্য নিয়ে আসছিল। এখন সেটুকুও জোগাড় করা যাচ্ছে না। ভারতের উত্তর-পূর্বের গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য মণিপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতিদের তপশিলি জনজাতি গোষ্ঠীর মর্যাদার দাবি ঘিরে গত বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। রাজ্যটির বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় উত্তেজনা দেখা দেয় মেইতেই, কুকি, নাগাসহ একাধিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে। ১০ জেলায় ‘ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ’ কর্মসূচির কারণে বিভিন্ন জায়গায় যুবকদের মধ্যে সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় হাজার হাজার ঘরবাড়ি, গাড়ি ও দোকান। মন্দির, গির্জায় অগ্নিকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও আসাম রাইফেলসের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এর পরেই মণিপুরের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যটির ৮টি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে রাজ্য প্রশাসন। গুজব প্রতিরোধে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় । একইসঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশও জারি করেছে মণিপুরের বিজেপি সরকার। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৫৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা ১০০ জনের বেশি। ভারতের সেনাবাহিনী বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আসামের দুটি এয়ারফিল্ড থেকে লাগাতার কাজ করে যাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার সি১৭ গ্লোবমাস্টার এবং এএন৩২
সূত্র, সমকাল
বৈঠক শেষে মোদি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক। আমাদের আলোচনায় কানেক্টিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় নরেন্দ্র মোদির সরকারি বাসভবনে এ বৈঠকটি শুরু হয়।
এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সকালে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে রওনা হন তিনি। নয়াদিল্লিতে ৯-১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে এ সফর।
প্রধানমন্ত্রীর এ সফর নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকে কানেক্টিভিটি, তিস্তার পানি বণ্টন, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। বৈঠকে কৃষি গবেষণা খাতে সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও দুই দেশের নাগরিকদের লেনদেন সহজীকরণে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।
প্রসঙ্গত, ভারতে হতে যাওয়া এবারের জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ৯টি দেশকে অতিথি রাষ্ট্র হিসেবে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটি। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশগুলো হচ্ছে—মিসর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিংগাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ভারতের মধ্যে বিদ্যমান নানা সম্পর্কের ভিত্তিতে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ এর দুটি পৃথক অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
ওয়াশিংটন, ৮ মে: বাস স্টপে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষকে ধাক্কা মারল একটি গাড়ি। সেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে সাতজনের। জখম বহু। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার দক্ষিণ টেক্সাসের ব্রাউন্সভাইল শহরে। পুলিশ এটিকে দুর্ঘটনা বলে জানালেও প্রত্যক্ষদর্শীরা তা মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি ওই গাড়ির চালক ইচ্ছাকৃতভাবেই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই গাড়ির চালককে। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার দক্ষিণ টেক্সাসের ব্রাউন্সভাইল শহরে একটি উদ্বাস্তু সহায়তা কেন্দ্রের বাইরে ফুটপাতের উপর বাস স্টপে দাঁড়িয়েছিলেন বহু মানুষ। অভিযোগ, তখনই দ্রুত গতিতে একটি গাড়ি এসে বাস স্ট্যান্ডে থাকা সাধারণ মানুষদের সজোরে ধাক্কা মারে। সেই ঘটনার জেরে মৃত্যু হয় সাতজনের। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
৩০ আগষ্ট অ্যাডিডাস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে একাউন্টে অর্থ পায়। প্রবাসী সাংবাদিক সজীব নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, নির্যাতিত সাংবাদিক সজীব হোসাইনের আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ হাজার ইউরো প্রদান করেছে মাল্টা সরকার। গত ২০ ডিসেম্বর এ নির্দেশ দিয়েছেন ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত (ইসিএইচআর)।
সজীব হোসাইন দুবাই মিশন ঘুরে লিভিয়া হয়ে ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মাল্টায় এসে পৌঁছান। সেখানে সে আশ্রয়ের আবেদন করেন সাংবাদিক হিসেবে। ওই সময় তার আবেদন গ্রহণ না করে মাল্টা ডিন্টেশন সেন্টারে ২২ মাস আটকে রাখে তার সঙ্গে থাকা মরক্কো, মিশর, বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে ডিন্টেশন সেন্টারে প্রায় ১৯০জন বাংলাদেশি নাগরিকের মধ্যে ২০২১ সালের ১৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকালে এনজিও প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত থেকে ডক্টর অ্যালেক্সিস গাল্যান্ড ও ডক্টর ক্লেয়ার ডেলমের সর্বোচ্চ চেষ্টায় সুরক্ষা পায় সে।
ইউরোপিয়ান মানবাধিকার আদালতে সজীব হোসাইনের প্রতিনিধিত্ব করেন ডক্টর এন.ফলজন আর সরকারের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ড. সি.সোলার ও ড. জে.ভেলা।
ইসিএইচআরের রায়ে বলা হয়, যথাযথ বিচারিক পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে আগামী ৩ মাসের মধ্যে তাকে ৫ হাজার ইউরো ক্ষতি পূরণ প্রদানে মাল্টা সরকারকে নির্দেশ দেন।
এ প্রসঙ্গে সজীব বলেন, আমি প্রথমে ধন্যবাদ জানাচ্ছি অ্যাডিডাস ফাউন্ডেশনের সকল আইনজীবীদের।। কারণ তারা যদি আমাকে আইনী সহযোগিতা না করত তাহলে অন্যদের মত আমাকেও আজ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হত। তাদের ঋণ আমি কোন দিন শোধ করতে পারব না। আজকের এই খুশির দিনে আমার পরিবারের পরে সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার মামাদের। তারা প্রতি মুহূর্ত আমাকে সহযোগিতা করেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক — ভারত সফররত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সে দেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রেসিডেন্ট জগত প্রকাশ নাড্ডা এবং জেনারেল সেক্রেটারি বিনোদ তড়ে’র সাথে পৃথক বৈঠকে মিলিত হয়েছে।সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আরমা দত্ত বিজেপি প্রেসিডেন্ট জে পি নাড্ডার বাসভবনে তার সাথে বৈঠক করেন। বিজেপির আমন্ত্রণে সফররত দলের নেতৃবৃন্দ এরপর বিজেপি’র সদর দপ্তরে পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি বিনোদ তড়ে’র সাথে আলোচনায় মিলিত হন। আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠকদ্বয়ে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক নানা বিষয়ের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা, জঙ্গিবাদ দমন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিশেষ গুরুত্বসহ আলোচিত হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রঃবাসস