স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আলোচিত আব্দুল হেকিম টাক্কা হত্যার প্রধান আসামী রাসেল মেম্বারকে ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। রবিবার (৩০এপ্রিল) আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক তাকজিল খলিফা কাজল ও যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রাহমান নাজিমের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উত্তর ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটিতে মো. রাসেল মেম্বারকে ৫নং যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটি ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়। সুশীল সমাজের লোকজন বলেন, সমাজের এসব চিহ্নিত কুখ্যাত অপরাধীদের যদি ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতা বানানো হয় তাহলে তারা দলকেও কলংকিত করবে এবং দলের সুনাম নষ্ট করবে। অপরাধীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয়দাতারা জনগণের কাছেও ঘৃণার পাত্র হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের আব্দুল হেকিম ওরফে টাক্কা (৩২) কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। রাতে ঢাকা নেওয়া পথে তার মৃত্যু হয়। সে ওই গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় দুপক্ষের নারী-পুরুষসহ অন্তত আটজন আহত হন। এ ঘটনায় আব্দুল হেকিম টাক্কার মা রুপশা বেগম ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার রাসেল মেম্বারসহ ১৪জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী আনোয়ারপুর- কল্যাণপুর ৯ নং ওয়ার্ড থেকে রাসেল আহমেদ সদস্য নির্বাচিত হয়। এরপর থেকে রাসেল নিজেকে ওই এলাকার সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করেন। সীমান্ত সংলগ্ন হওয়ায় এই এলাকার কিছু মানুষ মাদক কারবারের সাথে জড়িত। স্থানীয় মেম্বার হিসেবে প্রভাব খাঁটিয়ে রাসেল মাদক সাম্রাজ্য একক নিয়ন্ত্রণ করতে চাইত। আর এতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় আব্দুল হেকিম টাক্কা। নিহত টাক্কা মেম্বারকে মাসোহারা দিতে অস্বীকার করে। এরপর থেকে রাসেল মেম্বার টাক্কাকে বিভিন্ন সময় হুমকি ধমকিসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত তিন মাস আগে এক রাতে টাক্কাকে কল্যাণপুর গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে আটক করে। পরকীয়ার অভিযোগে ওই নারীসহ তাকে থানায় সোপর্দ করেন রাসেল মেম্বার।ওই ঘটনায় জেল হাজত থেকে ছাড়া পেয়ে টাক্কা বাড়িতে আসলে রাসেল মেম্বারসহ তার লোকজন বিভিন্ন সময় টাক্কাকে পরকীয়া সংক্রান্ত বিষয়ে অপমান অপদস্ত করে কথা বলতেন। আর রাসেল মেম্বারের সমস্ত অনৈতিক কর্মকান্ডে সহযোগী হলেন একই গ্রামের বাসিন্দা রনি। ঘটনার কিছু সময় আগে এই রনি নিহত টাক্কাকে ফোন করে বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে তাকে সাহস থাকলে গ্রামে আসার কথা বলে ডেকে এনে পরিকল্পনা মাফিক এই হত্যা কান্ড ঘটায়। গ্রেফতারের আগেই প্রধান আসামি রাসেল মেম্বারসহ পাঁচ আসামি হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়ে মামলার বাদী ও সাক্ষীদের হুমকি দিচ্ছে।
নিহত টাক্কার মা রোপসা বেগম রাসেল মেম্বার ও তার গংদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, রাসেল মেম্বার গ্রামের মাদক কারবারীদের কাছ থেকে প্রতি সপ্তাহে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করতো এবং মাদককারবারীদের টাকা দিতে বাধ্য করতো। রাসেল মেম্বার মাদক কারবারীদের থেকে চাঁদা তুলে মাদক ব্যবসার শেল্টারদাতা হিসেবে কাজ করতো। রাসেল মেম্বারের নেতৃত্বে তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমার ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে হত্যা করে। তাছাড়া কাশেম মেম্বারের পক্ষে নির্বাচনের সময় কাজ করার কারনে রাসেল মেম্বার টাক্কার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল।
স্থানীয় যুবলীগ সূত্রে জানা যায়, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে এবং জেলা যুবলীগের সম্মতিতে দলের সাংগঠনিক অবস্থা গতিশীল করতে আখাউড়া পৌর ও ওয়ার্ড যুবলীগের বর্তমান সকল কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে তিন মাস মেয়াদী আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়।আখাউড়ায় নবগঠিত যুবলীগের কমিটি গুলোতে সমাজের বিভিন্ন অবক্ষয় ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের এবং ধর্ষণে অভিযুক্ত লোককে যুবলীগের নেতা বানানোর বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক পৌরমেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, অপরাধী যেই দলের হোক এদের কোনো দল নাই, অপরাধীর বিচার হবে। মানুষের ত্রুটি বিচ্যুতি থাকবেই। অপরাধ করলে ত্যাগ করা যাবেনা,বিচার হবে। আমার দলের লোক অপরাধ করলে সবচেয়ে বেশি শাস্তি হওয়া উচিত। কারন তার থেকে মানুষ শিক্ষা নিবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে জায়ান নামে দুই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে শহরতলীর ঘাটুরা খন্দকার বাড়ী এলাকা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। শিশু জায়ান ওই এলাকার আলামিন মিয়ার ছেলে। শিশু জায়ানের পিতা আলামিন মিয়া জানান, শনিবার দুপুরে পরিবারের সদস্যদের সাথেই ছিল জায়ান। দুপুরে রান্নার কাজ করার সময় সবার অগোচরে শিশু জায়ান বাড়ীর পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। পরে বিকেলে অনেক খুজাখুজির পর পুকুর থেকে তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
লহ্মীপুরে জেলা সদরে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া হাফিজ উল্যাহ ওরফে বাহাদুর মাঝি (৫৮) নামে এক বৃদ্ধকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এডভোকেট জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাহাদুর মাঝি ৪০ হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে গ্রেপ্তার হন। এরপর থেকেই তিনি কারাগারে রয়েছেন। রায়ের সময় তিনি আদালতের উপস্থিত ছিলেন। বাহাদুর মাঝি সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের পূর্ব চররমনী মোহন গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে। আদালত ও এজাহার সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়ের মধ্য চর রমনী মোহন গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেন সজিবের বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের ৮৫ হাজার ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। এসময় মনির, গ্রাম পুলিশ সদস্য মো. ইব্রাহিম ও যুবলীগ নেতা আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪ জনের বিরুদ্ধে র্যা বব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার (ডিএডি) মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বাহাদুর মাঝি ও আব্দুর রহমান নামে দুইজন পলাতক ছিলেন। পরে ৯ জানুয়ারি রাতে একই এলাকা থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবাসহ বাহাদুরকে গ্রেপ্তার করে । টেকনাফ সীমান্ত থেকে সমুদ্রপথে মাছ ধরার ট্রলারযোগে ইয়াবাগুলো নিয়ে আসেন তিনি। এ ঘটনায় পরদিন ১০ জানুয়ারি নোয়াখালী ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার (ডিএডি) মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে পৃথক আরও একটি মামলা দায়ের করেন। ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) লিটন চন্দ্র দত্ত আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন। প্রসঙ্গত, ইয়াবাকান্ডে প্রথম মামলায় চর রমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য(মেম্বার) মনির, ইউনিয়নের মো. ইব্রাহিম ও আমির হোসেন কারাগারে রয়েছে। সূত্রঃ বাসস
নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ সাংবাদিক সমিতি (কুভিকসাস) এর পালাবাদল হয়েছে। ১৩ জানুয়ারি সদ্য বিদায়ী সভাপতি আশিক ইরান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়। নতুন কমিটির সভাপতি আবু সুফিয়ান রাসেল এবং সাধারণ সম্পাদক সাফায়েত উল্লাহ মিয়াজী। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ সাংবাদিক সমিতি-কুভিকসাস এর কার্যনির্বাহী কমিটি-২০২৪ গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ধারা-৪ এর উপধারা (ঙ) অনুযায়ী সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নোক্ত ১১ সদস্যকে আগামী এক বছরের জন্য অনুমোদন দেয়া হলো। সভাপতি আবু সুফিয়ান রাসেল, সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম সুমন, সাধারণ সম্পাদক সাফায়েত উল্লাহ মিয়াজী,যুগ্ম-সাধারণ আব্দুল্লাহ আল মারুফ,সাংগঠনিক সম্পাদক পুতুল আক্তার রলি,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব মাহমুদ,দফতর সম্পাদক মাকছুদুর রহমান। নির্বাহী সদস্য:আল আমিন কিবরিয়া, হাসিবুল ইসলাম সজিব,সাইমুম ইসলাম অপি, সদস্য তাহমিনা আক্তার তুলি।২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ কমিটি দায়িত্ব পালন করবেন। প্রসঙ্গত ২০১৬ সালের ২০ মার্চ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ সাংবাদিক সমিতি( কুভিকসাস) প্রতিষ্ঠা লাভ করে। “বিবেকবান সাংবাদিক তৈরির প্রত্যয়” এই স্লোগানকে সামনে রেখে কলেজের ডিগ্রি শাখার প্রশাসনিক ভবনের নিচতলার কার্যালয় থেকে পরিচালিত হয় সংগঠনটি। কলেজ অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ এ সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক। অধ্যক্ষ কর্তৃক নির্বাচিত দুইজন শিক্ষা কর্মকর্তা কুভিকসাসের উপদেষ্টা হিসাবপ দায়িত্বে আছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক -আদিত্য কামাল
ট্রেন যাত্রীদের জানমাল রক্ষা ও রেলপথে নাশকতা রোধে সার্বিক নিরাপত্তা ও নজরদারি জোরদার করেছে র্যাব-৯। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এলিট ফোর্স সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রেললাইন কেটে ফেলা সহ ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটছে। এমন পরিস্থিতিতে ট্রেনের নাশকতা রোধ ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাব-৯ এর আওতাধীন এলাকা সিলেটসহ সিলেট বিভাগের অন্যান্য জেলা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রেলস্টেশনগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।এছাড়া রেলস্টেশনগুলোতে নিয়মিতভাবে রোবাষ্ট পেট্রোল পরিচালনা করা হচ্ছে। নাশকতাকারী ও দুষ্কৃতিকারীরা যেন কোন দাহ্য পদার্থ, নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য কিংবা অবৈধ মালামাল (মাদক, আগ্নেয়াস্ত্র) ইত্যাদি বহন করতে না পারে সেজন্য র্যাব-৯ এর আওতাধীন স্টেশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিভিন্ন সময় ধারাবাহিকভাবে চেকপোস্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপত্তার অংশ হিসেবে রেল স্টেশন এবং বিভিন্ন ট্রেনে র্যাব-৯ এর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কর্তৃক বিভিন্ন সময় সুইপিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।পাশাপাশি যে কোন ধরনের নাশকতা ও অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্টেশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অত্যন্ত সর্তকতার সাথে র্যাব-৯ কর্তৃক সাদা পোষাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও, বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার সাথে সমন্বয় ও তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে ট্রেন যাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাব-৯ কাজ করে যাচ্ছে। যে কোন সহিংসতা বা নাশকতার বিরুদ্ধে র্যাব কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর ।
মোঃ হাসান লিটন
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণে মো. তারেক (২৩) নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে চাচা হাফেজ গংদের বিরুদ্ধে। গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড হানিফ মিস্ত্রি’র বাড়িতে প্রতিবন্ধী যুবককে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আহত যুবক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রতিবন্ধী যুবক তারেক ওই বাড়ির মোহাম্মদ সিদ্দিকের ছেলে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবক তারেক জানান, রসুলপুর ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড আমাদের নিজ বাড়িতে এ-র আগে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার মা ও চাচীর সাথে ঝগড়া বিবাদ হলে তার ফয়সাল করার জন্য গত শনিবার সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ গন্যমান্য ব্যক্তিরা আমাদের বাড়ির উঠানে বসেন। এরপর সালিসি শেষের একপর্যায়ে আমার চাচা মো. হাফেজ উত্তেজিত হয়ে আমার গালে থাপ্পর মারেন। কেন আমাকে থাপ্পড় মারলো তা জিজ্ঞেস করা মাত্রই আমার অন্য চাচা ইয়াছিন, অলু, এবং ফুফু ছফুরা, ও রাসেদা একাত্রিত হয়ে ফের আমাকে বেধড়ক মারধর করে। আমি মাটিতে পড়ে গেলে আমার মা আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের কাছে রওনা হলে পথিমধ্যে তারা আমাকে ও আমার মাকে বাধা দেয়। এরপর ঘটনার একদিন পর শারীরিক অবস্থা বেগতিক দেখে তাদের ভয়ে পালিয়ে রোববার বিকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হই। বর্তমানে আমি চিকিৎসাধীন রয়েছি। এসব সততা নিশ্চিত করে আহত যুবকের মা বিনু বেগম জানান, আমার প্রতিবন্ধী ছেলেকে মারধর করার সময় আমি বাধা দেওয়ায় আমাকেও দেবর হাফেজ মারধর করে। এবং আমার ছেলেকে চিকিৎসার জন্য নিলে আমাকে দেখিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। বর্তমানে আমার ছেলেকে পালিয়ে নিয়ে এসে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। আমি এর সঠিক বিচার চাচ্ছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাফেজ গংদের সাথে কথা বললে তারা জানান, ভাতিজা তারেক আমাদের সাথে অন্যায় করায় তাকে একটা থাপ্পর মারছি। তাবে বড় ভাই সিদ্দিকের স্ত্রী বিনু বেগমকে মারধরের কথা অস্বীকার করেন তারা। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রফিক বলেন,প্রতিবন্ধী যুবককে মারধর করা তাদের অন্যায় হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠ সমাধান করে দিবো। শশীভূষণ থানার(ওসি) মু. এনামুল হক বলেন, প্রতিবন্ধী যুবকে মারধর করে অন্যায় করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।