স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানসিক রোগী এক যুবককে মারধর করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত ২১শে মার্চ বিকেল ৪টার সময় সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে ভুক্তভোগীর পিতা বাবুল ভূইয়া সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।অভিযোগকারী বাবুল ভূইয়া বলেন, ‘আমার ছেলে মিম ভূইয়া গত তিনমাস যাবৎ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পাগলের মতো দিনযাপন করছে। তাকে শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখতে হয়। মঙ্গলবার বিকেলে আলমগীর ও উজ্জ্বল ভূইয়ার নেতৃত্বে আমার মানসিক রোগী ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে তার মানসিক অবস্থার আরো অবনতি করেছে। আমার ছেলে প্রতিবেশী আলমগীর ভূইয়ার বাড়িতে গেলে আলমগীর ভূইয়া, উজ্জ্বল ভূইয়া, আবুল ভূইয়া, আবির ভূইয়া সহ আরও কয়েকজন তাকে জোরপূর্বকভাবে আটক করে বেধড়কভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তার শরীরে আঘাতের গুরুতর চিহ্ন দেখে তাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করি। আমার ছেলের পাশাপাশি আমাকেও তারা প্রচন্ড মারধর করে। তারা আমার ভিটি বাড়ি গ্রাস করার উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়। এলাকায় তারা মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে উজ্জ্বল ভূইয়া বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে মিম ভূইয়া আমার ভাইয়ের এক বছর বয়সী শিশু সন্তানকে নিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় তাকে আমরা ধরে ফেলি কিন্তু মারধর করিনি। বাবুল ভূইয়ার পরিবারের সাথে আমাদের যায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে, ৪-৫টা মামলা করেছি তাদের বিরুদ্ধে।এবিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এমরানুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্তশেষে অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বাসুদেব ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার বাছির খান বলেন, ‘যায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলমগীর ভূইয়া ও উজ্জ্বল ভূইয়া গংদের সাথে বাবুল ভূইয়ার বিরোধ চলছে। এর আগে কয়েকবার সালিসের মাধ্যমে তার যায়গার সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছিল গ্রামের সাহেব-সর্দাররা। পরবর্তীতে আলমগীর ভূইয়া গংদের পক্ষ এটা মানেনি। এখন তারা বাবুল ভূইয়ার কাছে যায়গা পাওনা আছে বলে দাবি করছে। ওইদিন বাবুল ভূইয়ার ছেলে মানসিক রোগী মিম ভূইয়াকে আলমগীর ভূইয়ারা মারধর করে এটা শুনেছি। উজ্জ্বল ভূইয়া মিম ভূইয়ার বিরুদ্ধে শিশু ছিনিয়ে নিয়ে আসার যেই অভিযোগটি করেছে তা সত্য নয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক
লহ্মীপুরে জেলা সদরে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া হাফিজ উল্যাহ ওরফে বাহাদুর মাঝি (৫৮) নামে এক বৃদ্ধকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এডভোকেট জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাহাদুর মাঝি ৪০ হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে গ্রেপ্তার হন। এরপর থেকেই তিনি কারাগারে রয়েছেন। রায়ের সময় তিনি আদালতের উপস্থিত ছিলেন। বাহাদুর মাঝি সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের পূর্ব চররমনী মোহন গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে। আদালত ও এজাহার সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়ের মধ্য চর রমনী মোহন গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেন সজিবের বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের ৮৫ হাজার ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। এসময় মনির, গ্রাম পুলিশ সদস্য মো. ইব্রাহিম ও যুবলীগ নেতা আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪ জনের বিরুদ্ধে র্যা বব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার (ডিএডি) মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বাহাদুর মাঝি ও আব্দুর রহমান নামে দুইজন পলাতক ছিলেন। পরে ৯ জানুয়ারি রাতে একই এলাকা থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবাসহ বাহাদুরকে গ্রেপ্তার করে । টেকনাফ সীমান্ত থেকে সমুদ্রপথে মাছ ধরার ট্রলারযোগে ইয়াবাগুলো নিয়ে আসেন তিনি। এ ঘটনায় পরদিন ১০ জানুয়ারি নোয়াখালী ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার (ডিএডি) মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে পৃথক আরও একটি মামলা দায়ের করেন। ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) লিটন চন্দ্র দত্ত আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন। প্রসঙ্গত, ইয়াবাকান্ডে প্রথম মামলায় চর রমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য(মেম্বার) মনির, ইউনিয়নের মো. ইব্রাহিম ও আমির হোসেন কারাগারে রয়েছে। সূত্রঃ বাসস
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সময় টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক মোস্তফা দানীশ ও রংপুর ব্যুরো প্রধান রতন সরকারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে সর্বস্তরের সাংবাদিক ও সুধীজনদের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি। এতে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সিনিয়র সহসভাপতি মো. জসীম উদ্দিন, সহসভাপতি নিয়াজ মুহাম্মদ খান বিটু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের আইসিটি সম্পাদক জালাল উদ্দিন রুমি প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সময় টেলিভিশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্যুরো চিফ উজ্জল চক্রবর্তী। এ সময় বক্তারা বলেন, ‘আইনমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আশ্বস্থ করা হয়েছিল এই আইন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না। তবে সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থেকে একটি চক্র সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার জন্য এই আইনের অপপ্রয়োগ করে চলছে। তারা দ্রুত সকল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ রপ্তানিমুখী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্ধর দিয়ে আবারো শুরু হচ্ছে মাছ রপ্তানী। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে বিদেশ থেকে মাছ, শুটকি, মাংস ও ফুড জাতীয় খাদ্য আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারী) থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবোরো মাছ রপ্তানী শুরু হবে। এতে করে বন্দরে পুনরায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে কর্ম চাঞ্চলতা ফিরে আসবে বলে আশা করছে ব্যবসায়ীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানীকারক এসোসিয়েশসের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জানান, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞার ফলে গেল বুধবার ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আগরতলায় মাছ রপ্তানী বন্ধ ছিল। এর আওতায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে মাছ রপ্তানীর বিষয়টি রাজ্য সরকারের নজরে এলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে টিঠি পাঠানো হয়।চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়, আগরতলা আইসিপিকে যেন এই তালিকার বাইরে রাখা হয়। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রীর সাথে কথা বলে নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে রাজ্যকে বাদ রাখার আহবান জানান। মন্ত্রীর আহবানের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আখাউড়া স্থলবন্দর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।এতে করে গত ৫ দিন বন্ধ থাকার পর আবারো সোমবার থেকে মাছ রপ্তানী শুরু হবে। এতে করে মাছ ব্যবসার সাথে জড়িত শত শত ব্যবসায়ী এই শ্রমিকরা তাদের কর্মসংস্থান ফিরে পাবে।আখাউড়া স্থলবন্দরেরর সুপারিন্টেনডেন্ট মোঃ সামাউল ইসলাম জানান, এই স্থলবন্দরটি রপ্তানি মুখি। বেশির ভাগই মাছ রপ্তানি হয়। কিন্তু ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া খাদ্য নিরাপত্তা জনিত কারন দেখিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত মাছ রপ্তানি বন্ধ রাখেন ভারতের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের আলোচনার মাধ্যমে ও রাজ্য সরকারের অনুরোধে ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ফেসাই) এই বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে পুনরায় মাছ রপ্তানির অনুমোদন দেই। মাছ রপ্তানি শুরু হলে বন্দরে রাজস্ব আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতি দিন ৫০ থেকে ৬০ টন মাছ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সহ আশেপাশের সাতটি রাজ্যে রপ্তানি হয়। প্রতি কেজি মাছের রপ্তানি মূল্য আড়াই মার্কিন ডলার। প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ডলারের মাছ রপ্তানি হয়।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পূর্বোত্তর ভারতের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুদিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও কাস্টমস, বন্দরের দাপ্তরিক কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে। আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন ‘ইন্দো-বাংলা এক্সপোর্টার-ইমপোর্টার কমিউনিকেশন সেন্টার’র সাধারণ সম্পাদক শিব শংকর দেবের বরাত দিয়ে ওই ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি বাংলাদেশের আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেতাদের আগেই জানানো হয়।
তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আগামীকাল শুক্রবারও পূর্বোত্তর ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
শনিবার সকালে ত্রিপুরায় মাছ রপ্তানির মধ্য দিয়ে ফের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হবে।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ইনচার্জ স্বপন কুমার দাস জানান, আমদানি বন্ধ থাকলেও ওই দুদিন বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
আদিত্ব্য কামাল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশিষ্ট কবি, চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার এর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি, কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন এর ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত ‘স্বদেশ-কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন সংখ্যার’-পাঠ উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতিসন্তান, বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কবি, ড. মারুফুল ইসলাম।চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, কবি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক জয়দুল হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রর প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার মো. আ. কুদ্দূস, ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কবি তৌহিদুল ইসলাম কনক। সভায় অনুভূতি ব্যক্ত করেন চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার এর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি, কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন।
সাময়িকীটির সম্পাদক, ঝিলমিল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ এর সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ এর সভাপতি কবি আবদুল মান্নান সরকার, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারি পরিচালক সাইফুল ইসলাম লিমন, উদিচি জেলা শাখার সভাপতি জহিরুল ইসলাম স্বপন, লেখক ও সাংবাদিক আল আমিন শাহীন, কবি আবুল কাশেম তালুকদার, নারী সংগঠক ফজিলাতুন্নাহার, মোঃ ফারুক আহমেদ ভুইয়া, কবি রোকেয়া রহমান কেয়া, কথাসাহিত্যিক মানিক রতন শর্মা, কবি সেলিম হোসাইন হাওলাদার, কবি এম এ হানিফ, কবি মোঃ আব্দুর রহিম, কবি ও সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন আহমেদ, কবি ও গল্পকার শৌমিক ছাত্তার, কবি ও গল্পকার রাশিদ উল্লাহ তুষার, কবি ও গল্পকার সাদমান শাহিদ, কবি মাশরেকি শিপার, কবি এড. হুমায়ন কবির ভূইয়া, আবৃত্তিশিল্পী হাবিবুর রহমান পারভেজ, কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়, কবি লিটন হোসাইন জিহাদ, কবি গাজী আবু হানিফ, কবি শারমিন সুলতানা, নিখিল চন্দ্র দেবনাথ, কবি শাহ মাহমুদা আক্তার, সাংবাদিক প্রবির চৌধুরী রিপন, সঙ্গিত শিল্পী আনিছুল হক রিপন, জামিনুর রহমান, নদীকর্মী খালেদা মুন্নি, ছড়াকার হুমায়ুন কবির। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ পুতুল বেগম। এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. মো আব্দুল মতিন সেলিম, মোস্তাক আহমেদ খোকন, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ হোসেন, শিব চরণ বিশ্বাস, এম এ সাহেদ, কবি রিপন দেব নাথ, এম নাইমুর রহমান, আব্দুল মতিন শীপন, মোজাম্মেল হক, কবি খোকন সেন, অমিতাভ চত্রবর্তী, মনির হোসেন, সাংবাদিক আদিত্ব্য কামাল, কবি কহিনূর আক্তার, কবি ঝর্না আক্তার, শরিফ উদ্দিন, শরিফ সরকার প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমার অনুজপ্রতিম প্রিয় কবি আমির হোসেন একজন আলোকিত মানুষ। সাহিত্যের নানান শাখায় তাঁর অবাধ বিচরণ। বহুগ্রন্থ প্রণেতা এই লেখকের দুই বাংলার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। লেখক ও পাঠক সৃষ্টিতে তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে তাঁর লেখনী প্রতিভা দিয়ে সমাজে আরো বেশি আলো ছড়াবেন বলে আমরা আশা প্রকাশ করি। অনুষ্ঠানে বক্তাগণ কথাসাহিত্যিক আমির হোসেনকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন এবং তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। সভায় অনুভূতি ব্যক্ত করেন কবি আমির হোসেন বলেন, আজকে আমাকে নিয়ে যত প্রশংসা, যত আলোচনা সবকিছু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রয়াত ও জীবীত সকল মুরুব্বীদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করলাম। আপনাদের দেয়া সম্মানের মর্যাদা দিতে অভিষ্যতে নিজেকে আরো বেশি করে সাহিত্য-সংস্কৃতিতে নিবেদিত রাখবো। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। তিনি তাঁকে নিয়ে সাময়িকী প্রকাশ ও অনুষ্ঠান আযোজন করায় এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ায় সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
উল্লেখ্য কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন সংখ্যাটি সম্পাদনা করেন তরুণ কবি ও সংগঠক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ ও ছড়াকার হুমায়ুন কবির। দুই বাংলার জনপ্রিয় ১১৫ জন লেখকের লেখা সমৃদ্ধ ১৮০ পৃষ্ঠার এই স্মরণিকাটির প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেন ইসরাফিল হাসান। আলোকচিত্রশিল্পী কাজী আরিফুজ্জামান ও স্বর্ণা (মোহর)। চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থগারের পক্ষে কথাসাহিত্যিক ইসহাক হাফিজ কর্তৃক প্রকাশিত ও ছাপাখানা-ঢাকা এটি মুদ্রিত হয়। সাময়িকীটি ঢাকা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন লাইব্রেরিতে পাওয়া যাবে। এর শুভেচ্ছা মূল্য রাখা হয়েছে ৩০০ টাকা মাত্র।