স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থেকে ১০৭ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ একটি ট্রাক ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে বিজিবি। সোমবার (১৩ মার্চ) ভোর রাতে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সেজামুড়া দক্ষিণপাড়ার মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের বাড়ির সামনে থেকে অভিযান চালিয়ে এসব জব্দ করা হয়। এসময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ আরমান আরিফ এবং মুকুন্দপুর বিজিবি ক্যাম্পের নায়ক মোহাম্মদ ইউছুফ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির বিশেষ টহল দল বিজয়নগর উপজেলার সেজামুড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে। এসময় মাদক বহনকারী একটি ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। মাদক চোরাচালান রোধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
মাদকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলেছেন। সেভাবেই আমরা কাজ করছি। মাছ গিয়ে মাদক আসাটা অনাকাঙ্ক্ষিত। বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান বন্দর পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন। সীমান্ত হত্যা সম্পর্কে তিনি বলেন কোন একটা জীবন মেরে ফেলুক এটা কারোরই কাঙ্ক্ষিত না। তারাও (বিএসএফ) চায় না, আমরাও চাই না। সবাই চায় সীমান্ত হত্যা কতটা নীচে নামিয়ে আনা যায়।তিনি আরো বলেন ডিজি লেভেলের সম্মেলনে আমরা অনেক ধরনের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি। সেই আলোচনায় আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করছি। এগুলো (সীমান্ত হত্যা) আরো বেশি হতে পারতো। এগুলো আমরা কমিয়ে নিয়ে আসছি। তবে আমাদের চেস্টা থাকবে সীমান্ত হত্যা আরও কতটা নিচে নামিয়ে নিয়ে আসতে পারি।বিএসএফ এর বাঁধায় আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবন এবং কসবা রেলওয়ে স্টেশন এবং সালদা নদী সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন ইমিগ্রেশন ভবনের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। কসবা স্টেশন এবং সালদা নদী সেতুর বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেস্টা করছি। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর বিএসএফের সাথে যোগাযোগ করেছি। আশা করছি খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে। পরিদর্শন শেষে তিনি কসবায় যান।
শেখ মো. কামাল উদ্দিন, কসবা : স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার জনতা ব্যংক পিএলসি, কসবা শাখা কর্তৃক কসবা মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এবং কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে। বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন কসবা পৌরসভার জননন্দিত মেয়র মোঃ গোলাম হাক্কানী। উক্ত কর্মসূচীতে জনতা ব্যাংক পিএলসি, কসবা শাখার ব্যবস্থাপক এখলাছ খান, সাবেক ব্যবস্থাপক মোঃ আবুল কাসেম, কসবা মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দাতা সদস্য মোঃ আলী আজম, প্রিন্সিপাল মোঃ তছলিম মিয়া, কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিনসহ অন্যান্য শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা ছাড়া) হত্যাকান্ডের পর তিনি চরম প্রতিকূল পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হওয়া প্রতিটি মিছিল-সমাবেশে অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
১৯৭৮ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা ও ১৯৮৯ সালে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। স্বৈরাচারি এরশাদ সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা শারিরিকভাবে তৎকালীন সরকারের ক্যাডার বাহিনীর দ্বার বিভিন্নভাবে নাজেহাল হন।
তিনি ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলেন। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও জেলা তথ্য অফিস ভাংচুর ও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছবি ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করলে তাঁকে প্রধান আসামী করে দ্রুত বিচার আইনে দুটি মামলা হয়।
ওয়ান ইলেভেনের সময় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। বড় ছেলে আশিকুল আলম বাবলু (প্রয়াত) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের ভিপি ছিলেন। এছাড়াও বাবলু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
মিনারা বেগম ২০২৩ সালে জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় “সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী” ক্যাটাগরিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জয়িতা সম্মানে ভ‚ষিত হন। তিনি বর্তমানে জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যনের দায়িত্ব পালন করছেন।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণ অধিকার পরিষদের আলোচনা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪টার সময় জেলাশহরের কাউতলীতে অবস্থিত নওমী চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ অনুষ্ঠান হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে উক্ত অনুষ্ঠানে জেলা ছাত্র, যুব, শ্রমিক এবং প্রবাসী অধিকার পরিষদ সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সদস্য সচিব মোহাম্মদ আতাউল্লাহ। জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি কাজী রাজীউর রহমান তানভীরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহিল আহমেদ এর সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য আশরাফুল হাসান তপু, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফোরকান বিন ফরিদ, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.জুয়েল মিয়া, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফোরকান উদ্দিন মুন্না, জেলা ছাত্র অধিকারের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আহমেদ, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাবেক সদস্য সচিব মো.সুজন আকবর, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান উবায়দুল্লাহ, শ্রমিক অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন,শাহাদাত নুর লিটন, সবুজ খান জয়, ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ইব্রাহিম সহ অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী। এসময় বক্তারা মাহে রমজানের তাৎপর্য ও দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেন।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর- বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন,‘বাজারে দুধও পাওয়া যায় মদও পাওয়া যায়। আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম আপনারা কোনটা নিবেন। আমার পরামর্শ থাকবে আপনারা দুধ কিনবেন।’ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টায় জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল বাজারে নির্বাচনী পথসভায় র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমি ১৩ বছরে কি করতে পেরেছি সেটা আপনারা জানেন। ভোটের বেলায় বিষয়টি আপনারা বিবেচনা করবেন। এ সময় মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক মো. হেলাল উদ্দিন, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসিমা মুকাই আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের ঢাকায় একাধিক মদের বার রয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে ফেসবুক লাইভে মদ ব্যবসাকে হালাল বলে উল্লেখ করেন তিনি। এই আসনটিতে মোকতাদির চৌধুরীর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি ধরা হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিওকে। সম্প্রতি মদ ব্যববসাকে হালাল আখ্যা দিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হন ফিরোজুর রহমান। এ অবস্থায় আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেই ‘মদ নাকি দুধ কিনবেন’- সে সিদ্ধান্ত ভোটারদের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন মোকতাদির চৌধুরী।