স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিউজ ডেস্ক : বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (১১ মার্চ) সকাল ৯ টা থেকে সারাদিন ব্যাপী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর রিসোর্টে বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠীর আয়োজনে এ বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়।এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এম আর টেক্সটাইল সত্ত্বাধিকারী বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মিজান আনসারী। বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র উপদেষ্টা ও জনতার খবর এর নির্বাহী সম্পাদক জাকারিয়া জাকির। বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র উপদেষ্টা ও সাপ্তাহিক অগ্রধাপ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক শেখ ফরিদ। বিশিষ্ট কবি নূর মোহাম্মদ হাজারী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী কল্যাণ পরিষদের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিকুল ইসলাম তৌছির। রেডক্রিসেন্ট সদস্য জেলা জাতীয় পার্টির নেতা শেখ মাহবুব। জেলা জাতীয় পার্টির নেতা আনিস খাঁন। পিস ভিশন বাংলাদেশ এর সভাপতি এড. শেখ জাহাঙ্গীর। ফটো সাংবাদিক হারুনুর রশিদ। বিশিষ্ট জুয়েলারি ব্যবসায়ী যদুভাই। সান ফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্মকর্তা মো. তারেক। পৌর কমিউনিটি সেন্টারের পরিচালক বিল্লাল মিয়া ও নূরুল ইসলাম। সাহিত্য একাডেমীর পরিচালক তোফাজ্জল হোসেন জীবন। হাদিজা আক্তার রিমা, সদর উপজেলা সভাপতি জাতীয় মাহিলা পার্টি। সাবেক পোষ্ট অফিস কর্মকর্তা হারেছা বেগম। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও শিপ্পানুরাগী মিজানুর রহমান। সাবেক নারী সংগঠক ও নারী নেত্রী রোকেয়া খাঁন। নারী সংগঠক তাসনিয়া কাইয়ূম জ্যোতি। মো. সুমন মিয়া। শামীম আহমেদ প্রমূখ।এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন, অংকুর শিশু কিশোর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী জয়নাল আবেদীন। বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী পীরজাদা শাহাজাদা। বিশিষ্ট বাউল শিল্পী কাকলী। বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী সাথী সরকার। বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী একা ও কন্ঠ শিল্পী তুলি। এবং সবশেষে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী মোহাম্মদ হোসেন।যন্ত্র সঙ্গীতে ছিলেন, বিশিষ্ট গিটারিষ্ট ও সারগাম মিউজিক স্টেশনের সত্ত্বাধিকারী বিপু মন্সী। কিবোর্ডে সোহেল। অক্টোপ্যাডে রাহিম। তবলায় জাকির হোসেন রাজা। এবং জীপসীতে ছিলেন সামসুল আলম বাবু।
মুখাভিনয়ে ছিলেন, রেডক্রিসেন্ট সদস্য জেলা জাতীয় পার্টির নেতা শেখ মাহবুব।আনন্দ আয়োজনে বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র যারা উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন, মোস্তাক আহমেদ খোকন প্রধান উপদেষ্টা। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন। সাধারণ সম্পাদক আনিস খাঁন। সহ-সভাপতি সামসুল আলম বাবু। সহ-সভাপতি জাকির হোসেন রাজা। সাংগঠনিক সম্পাদক আদিত্ব্য কামাল। নারী বিষয়ক সম্পাদক রোমানা আক্তার শ্যামলী। ক্রীড়া সম্পাদক সাথী সরকার।সহযোগীয়তায় ছিলেন, ব্রাদার্স লিঃ এর সত্ত্বাধিকারী আসিফ ইকবাল।এবং বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র অন্যতম সদস্য নারী নেত্রী অনু পারভিন।
সার্বিক পরিচালনায় ও উপস্থাপনায় ছিলেন, আদিত্ব্য কামাল সম্পাদক জনতার খবর।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, সকালের দিকে এক ব্যক্তি অতিথি হোটেল থেকে খাবার নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই খাবার মাংসে পঁচা দুর্গন্ধ পান। ওই ব্যক্তি বিষয়টি জানিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে হোটেলে অভিযান চালিয়ে ফ্রিজের ভিতরে পঁচা মাংস ও ইদুর পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় হোটেল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু সাধারণ মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির কথাই ভাবেননি; ভেবেছেন মানুষের
অর্থনৈতিক মুক্তির কথাও। আর তাই ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই তিনি বীমা খাত সংস্কারে হাত দেন।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। এরকম একটি খাত হল বীমা শিল্প, যা তার নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখেছিল। বাংলাদেশি জনগণের মঙ্গল ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য তার গভীর দৃষ্টিভঙ্গি এবং নিষ্ঠা বীমা খাতের অগ্রগতি ও বিবর্তনে একটি অমোঘ চিহ্ন রেখে গেছে। তার রূপান্তরমূলক উদ্যোগ এবং অটল প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে, বঙ্গবন্ধু বীমা শিল্পকে গঠন ও অগ্রসর করার পথে অগ্রসর হন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় এবং সকল নাগরিকের জন্য অপরিহার্য আর্থিক নিরাপত্তা প্রদানে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়ে আমরা যখন বীমা শিল্পের উপর বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিভঙ্গির গভীর প্রভাবের দিকে তাকাই, তখন এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে তার স্থায়ী উত্তরাধিকার এই অত্যাবশ্যক খাতকে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করে চলেছে, নিশ্চিত করে যে তার দূরদর্শী নীতিগুলি এর বিবর্তনের দিকনির্দেশনা চালিয়ে যাচ্ছে।
বীমা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর সুস্পষ্ট দৃষ্টি ছিল। তিনি সমাজের সকল স্তরের কাছে পৌঁছানোর জন্য বীমা পরিষেবাগুলির আধুনিকীকরণ, নিয়ন্ত্রণ এবং সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তার দৃষ্টিভঙ্গি শুধুমাত্র অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর নয় বরং সামাজিক কল্যাণের দিকেও মনোযোগী ছিল, যার লক্ষ্য ছিল প্রয়োজনের সময়ে নাগরিকদের জন্য একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রদান করা। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর দেশ গঠনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির অন্যান্য কর্মকাণ্ডের সাথে সাথে বীমা খাতের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি বীমা পেশার মাধ্যমে তার সংগ্রামী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। তাই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীমা খাতের বিশেষ অবদান রয়েছে। বঙ্গবন্ধু প্রথম উপলব্ধি করেন, দেশের উন্নয়ন করতে হলে বীমার উন্নয়ন করতে হবে।একটি দেশের বীমা খাত যতো শক্তিশালী সে দেশের অর্থনীতি ততো শক্তিশালী –এটা প্রথম বুঝতে পেরেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর তাই তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বীমা খাতের উন্নয়নে সংস্কারে আর সুশাসনে হাত দেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বীমা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কিছু নতুন পদক্ষেপ গ্রহন করেন। বাংলাদেশ সরকার ২৯টি পাকিস্তানি কোম্পানিকে তদারকি করার জন্য ১৯৭২ সালের ৩ জানুয়ারি The Banglades (Taking over of control and management industrial and commercial concern) Order,1972 নামে একটি অধ্যাদেশ জারী করে উক্ত অধ্যাদেশের ২(১) এর বিধান মোতাবেক প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়।
১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ Bangladesh Insurance ( Emergency Provision) Order,1972 জারি করা হয়। এ Act এর বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের বীমা আইন হিসাবে ১৯৩৮ সালের বীমা আইনটিকে মূলভিত্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের ৮ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশ নং(৯৫) অনুযায়ী দেশের বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয়করণ করা হয়। উক্ত আদেশে দেশের ৭৫টি বীমা প্রতিষ্ঠানকে প্রথমে ৫টি সংস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অতপর ১৯৭৩ সালের ১৪ মে বীমা কর্পোরেশন অধ্যাদেশ ১৯৭৩ (Insurance Corporation Ordinance 1973) মাধ্যমে উক্ত পাচঁটি বীমা সংস্থাকে দুটি সংস্থার অধীনে আনা হয়। একটি হলো জীবন বীমা কর্পোরেশন এবং অন্যটি হলো সাধারন বীমা কর্পোরেশন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীমা পেশার আড়ালে স্বাধীনতা সংগ্রামের কাজ করে গেছেন। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুই প্রথম বীমা খাতের সংস্কারে হাত দেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার বীমা খাতের উন্নয়নে যুগান্তকারি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বীমা খাতের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বর্তমান সরকার বীমা আইন পাস করেছে, বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করেছে। এছাড়াও বীমা খাতের উন্নয়নে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দেশের বীমা খাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর এই অবদান জাতীয় পর্যায়ে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ‘জাতীয় বীমা দিবস’ পালনের উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সুপারিশক্রমে প্রতিবছর ১ মার্চ কে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করে সরকার। বীমা খাতে বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর ১ মার্চ ‘জাতীয় বীমা দিবস’ পালন করে আসছে সরকার। কারণ ১৯৬০ সালের এই দিনটিতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলফা ইন্স্যুরেন্সে যোগদান করেন। আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫২ সালে, পাকিস্তানের করাচিতে। ঢাকায় এর শাখা স্থাপন করে ১৯৫৯ সালের অক্টোবরে। আলফা ইন্স্যুরেন্সে যোগদানের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতাদের কোম্পানিটির বিভিন্ন শাখায় ম্যানেজার পদে চাকরি দেন। বীমা পেশার আড়ালে বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে বীমার গুরুত্ব অনেক।
শুরু থেকেই বীমা খাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিল। বাংলাদেশে বীমা শিল্পের অগ্রগতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান উল্লেখযোগ্য এবং স্থায়ী। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব, নিয়ন্ত্রক কাঠামো এবং জনসচেতনতার প্রচার বীমা খাত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তার উদ্যোগের উত্তরাধিকার জাতিকে উপকৃত করে চলেছে, নিশ্চিত করে যে নাগরিকদের বীমা পরিষেবার মাধ্যমে আর্থিক সুরক্ষার গুরুত্ব রয়েছে। সালমান হোসাইন,ইউনিট ম্যানেজার সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ৭২ এর সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন হবে এবং বাংলাদেশ চলবে এই সিদ্ধান্ত সংসদে গ্রহণ করা হয়৷ সেই মোতাবেক বাংলাদেশ চলছে এবং আগামী নির্বাচন হবে। এখানে কোনো নির্দলীয় সরকার, কেয়ারটেকার সরকার থাকবেনা। গত তিনবারের মতো এবারও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরও বলেন, দেশে আইনের শাসন নাই এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ১৯৭৫সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে তার পরিবারসহ হত্যা করা হয়৷ ২৬শে সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ সালে এই হত্যাকান্ডে যারা জড়িত ছিল তাদেরকে বিচার করতে পারবেনা বলে আইন পাশ করে খন্দকার মোসতাক ও জিয়াউর রহমান। সেটা আইনের শাসন মনে করে বিএনপি৷ আমরা মনে করি আইনের ঊর্ধ্বে কেউনা। আইন যা লেখা আছে সেইভাবেই জনগণকে পালন করতে হয়। আমরা মনে করি সেটাই আইনের শাসন এবং এখন এই আইনের শাসন এই দেশে আছে। নৈরাজ্য নাই। হত্যার বিচার হয়না এমন কথা এখন কেউ আর বলতে পারবেনা। বিএনপি জিয়াউর রহমানের হত্যার বিচার করতে পারে নাই৷ তাদের আবার আইনের শাসনের কথা। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর দেয়া সংবিধানের অধীনে চলে। বাংলাদেশ সংবিধান নিয়ে বিএনপি তারপরে জাতীয়পার্টির স্বৈরশাসনের সময় অনেক ফুটবল খেলেছে। এই ফুটবল খেলা বন্ধ করেছে জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন বাংলাদেশে সাংবিধানিক পন্থায় নির্বাচন হবে। কেয়ারটেকার সরকারের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হলে কেয়ারটেকার সরকারের কোনো বৈধতা নেই, এটা বেআইনী বলে হাইকোর্ট রায় দিলো। সুপ্রিমকোর্ট মানে আপিল বিভাগ এই কেয়ারটেকার সরকার অবৈধ বলে রায় দেয়। এই রায়ের পরে সংসদে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরমেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জনি মিয়া ও আওয়াল মিয়া রাতে তালশহর বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাজার সংলগ্ন সেতু অতিক্রম করতেই কয়েকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করে। এসময় ছুরিকাঘাতে জনি মিয়ার পায়ের রগ কেটে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পায়। এসময় আওয়ালকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় প্রেরণ করেন। তারা ঢাকায় যাওয়ার পথে রাত ২টার দিকে নরসিংদীতে জনি মিয়া মারা যান।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ জানান, পায়ে ও পেটে ছুরির আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কারণে জনির মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের লিখিত অভিযোগের প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।