স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
আদিত্ব্য কামাল,জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সারগাম মিউজিক স্টেশন এর শুভ উদ্ধোধন করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলা শহরের হালদার পাড়াস্থ আব্দুল হেকিম ম্যানশনের ৩য় তলায় এ মিউজিক স্টেশনের শুভ উদ্বোধন করা হয়।বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন এর সঙ্গীত পরিচালক আলী মোসাদ্দেক মাসুদ ও এম আর টেক্সটাইল এর সত্ত্বাধিকারী বিশিষ্ট গীতিকার কবি দেওয়ান মারুফ এর উপস্থিতিতে উদ্ধোধনের শুরুতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সফল সভাপতি মরহুম রিয়াজ উদ্দিন জামি’র মাগফেরাত কামনা করা হয়।এতে উপস্থিত ছিলেন, জনাব আতাউর রহমান শাহীন,সভাপতি-ফাইভ স্টার ক্লাব। ইব্রাহিম খান শাহাদত, সম্পাদক-সাপ্তাহিক কোরুলিয়া। আল আমিন শাহিন সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সংসদ। এম, এ, মতিন শানু, সম্পাদক-তিতাস বার্তা। মোছা: ইশরাত জাহান ইয়াছমিন, সভানেত্রী-আইন সহায়তা কেন্দ্র, আসক ফাউন্ডেশন। আদিত্ব্য কামাল, সম্পাদক জনতার খবর। আনোয়ার হোসেন সোহেল, জনপ্রিয়-গীতিকার ও সুরকার।
জনাব মোঃ হোসেন, সভাপতি-বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী। বাছির উদ্দিন, প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি-প্রতিশ্রুতি শিল্পী গোষ্ঠী। ফারুক আহমেদ পারুল, সাধারণ সম্পাদক শিল্পী সংসদ। জনাব আতাউর রহমান খান। জনাব জয়নাল আবেদিন, সাধারণ সম্পাদক-অংকুর সংগঠন। জনাব ফরিদ আহমেদ সাগর, প্রতিষ্ঠাতা-সাগর মিউজিক প্লাস। জনাব বাবুল মালাকার, সহ-সভাপতি-প্রতিশ্রুতি। শুদিপ্ত সাহা মিঠু, জনপ্রিয় তবলিস্ট। বায়জিদ বোস্তামি, গিটারিস্ট। উচ্ছ্বাস, কিবোর্ড। কন্ঠশিল্পী মোঃ শাহজাহান, সাগর, মনির। কন্ঠশিল্পী-সানজিদা শারমি ফ্লোরা। সামান্তা, নিবেদিতা রায় বর্মন প্রমূখ।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ১৬২ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল সহ দুই জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ গাড়ী জব্দ করা হয়। বৃহস্পতিবার ( ২১ ডিসেম্বর ) রাত ৭ টা ৪০ ঘটিকার সময় বিজয়নগর উপজেলার ০২নং চান্দুরা ইউপিস্থ চান্দুরা সাকিনে ঢাকা-সিলেটগামী মহাসড়কে জিলানী পেট্টোল পাম্প এর সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার থানার চারখাই ইউনিয়নের সাফা গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৮) এবং সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানার বারহাল ইউনিয়নের মাইজগ্রাম গ্রামের মরাই মিয়ার ছেলে মান্না আহম্মদ প্রকাশ সুমন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, জব্দকৃত পিকআপ গাড়ী থেকে ১৬২ (একশত বাষট্টি) বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। উক্ত আলামত ধৃত আসামীদ্বয়ের হেফাজতে উদ্ধার করা হয় এবং মাদক পরিহন কাজে ব্যবহৃত ০১ টি পিকআপ গাড়ী সাক্ষীদের উপস্থিতিতে জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার সামনে থেকে বাদীর সহায়তায় এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম আকাশ মিয়া( ৩২)। সদর উপজেলার দারমা পূর্বহাটি গ্রামের রুক মিয়ার ছেলে এবং আখাউড়া পৌরসভার রাধানগর টিএনটির পাশে আল মদিনা ফার্নিচারের দোকানের মালিক তিনি।
বৃহস্পতিবার ( ৪মে) দুপুর আনুমানিক আড়াইটার সময় থানা সংলগ্ন দুদু মিয়া হাউজিং এর সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়৷
এর আগে গত ১৫এপ্রিল বিকাল ৩ ঘটিকার সময় আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ এলাকায় দুলাল মিয়ার নাল জমির সামনে মোগড়া টু কর্নেল বাজার গামী পাকা রাস্তার ওপর গ্রেফতারকৃত আকাশ মিয়ার নেতৃত্ব একদল যুবক রফিকুল ইসলাম (৫৩) ও তার ছেলে নাহিদুল ইসলাম (২৩)কে পথরোধ করে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করে। রফিকুল ইসলাম সদর উপজেলার পূর্ব মেড্ডার ( তিতাস পাড়া) মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে। এঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আকাশ মিয়াকে প্রধান আসামী করে সাত জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
মামলার বাদী মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি একজন ফার্ণিচার ও গাছ ব্যবসায়ী। মোগড়া বাজারের তারেক মিয়ার ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী জমশেদ আমার দোকানের কর্মচারী ছিলো৷ বিগত আনুমানিক ৩ মাস আগে জমশেদ আমার দোকানে কাজ করে দেওয়ার কথা বলে অগ্রীম ৬০ হাজার টাকা কাজ না করে আমার কাছ থেকে নিয়ে পালিয়ে আসে৷ তারপর গ্রেফতারকৃত আসামী আকাশ মিয়া ও তার ভাই বাছির মিয়ার মালিকানাধীন রাধানগর টিএনটির পাশে অবস্থিত আল মদিনা ফার্নিচারের দোকানে গোপনে কাজ করে। পরে আকাশ ও বাছিরকে জিজ্ঞেস করলে তারা জানান জমশেদ এখন তাদের দোকানে কাজ না করে মোগড়া বাজারের তারেক মিয়ার ফার্নিচারের দোকানে কাজ করে। ঘটনার দিন মোগড়া এলাকার ফরহাদ মিয়ার গাছের বাগান দেখা শেষ করে আসার সময় রুবেল নামে একজন ফোন দিয়ে বলে জমশেদ কর্নেল বাজারে আছে। রুবেলের কথা বিশ্বাস করে মোটরসাইকেল যোগে কর্নেল বাজার যাওয়ার সময় আকাশ, বাছির, সুমন, রুবেল, শামীম, জমশেদ, মোশাররফ সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন পথরোধ করে মোটরসাইকেল থেকে আমাকে ও আমার ছেলেকে টানা হেচড়া করে নামিয়ে কাঠের রুল দিয়ে পিটিয়ে বাম কাধের কলারের হাড় ভেঙ্গে ৩টুকরা করে ফেলে৷ আমার বাম হাত ভেঙ্গে ফেলে। ১৮হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল আকাশ মিয়া ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে৷ আমার ছেলেকে কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে আমার ছেলের কাছ থেকে ২২হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল সুমন মিয়া ছিনিয়ে নিয়ে যায়। গাছ ক্রয় করার জন্য আনা নগদ ৭০হাজার টাকা সুমন মিয়া আমার ছেলের পকেট থেকে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। আশেপাশের লোকজন, পথচারী ও যাত্রীরা ঘটনা দেখে আমাদেরকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তিনটি মোটরসাইকেলে উঠে দ্রুত কর্নেল বাজারের দিকে চলে যায়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার পরদিন মোগড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেনের বাড়িতে সালিশ হয়। সালিশে ১৫দিনের মধ্যে (২৭এপ্রিল) মোট ১লাখ ৪০ হাজার টাকা রফিকুল ইসলাম কে ফেরত দেওয়ার রায় হয়। এখন পর্যন্ত কোনো টাকা পরিশোধ করেনি তারা। আকাশ ও তার ভাই বাছির সহ বাকিদের ভাড়াটিয়া গুন্ডা হিসেবে জমশেদ নিয়েছে ।রহস্যজনক কারনে মামলার প্রধান আসামী আকাশ মিয়াকে সালিশে উপস্থিত করা হয়নি। আসামীরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে, টাকা পরিশোধ না করে উল্টো হুমকি দিচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আসাদুল ইসলাম বলেন, মামলার বাদীর সহায়তায় প্রধান আসামী আকাশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাঁকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা পেলেন মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন এর সহ-সভাপতি সাংবাদিক এইচ এম জাকারিয়া জাকির।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকাল ৫ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া গভ: মডেল গার্লস হাই স্কুল হলরুমে কবি ও কবিতা বিষয় সংগঠন ‘কবির কলম’ এর ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে তাকে এ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন, কবি জয়দুল হোসেন, সভাপতি সাহিত্য একাডেমী ব্রাহ্মণবাড়িয়া। প্রধান আলোচক ছিলেন, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক। বিশেষ আলোচক ছিলেন, কথা সাহিত্যিক আমির হোসেন, সভাপতি চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আবদুর রহিম, রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ও শিক্ষক। ফজিলাতুন নাহার সভাপতি, বাংলাদেশ নারী মুক্তি সংসদ। এড হুমায়ুন কবির, সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়াস্থ সমিতি। কেষ্ট কবি ইসমোনাক। জাকারিয়া জাকির সাংবাদিক ও সমাজ সেবক। কবি মাশরিকি শিপার। কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস। ফারুক আহমেদ ভুইয়া সিনিয়র সহ-সভাপতি উদিচি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা। মোস্তাক আহমেদ খোকন, সাধারণ সম্পাদক জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা। শফিকুল ইসলাম তৌছির বিশিষ্ট সমাজ সেবক। ফিরোজ মিয়া কলেজের প্রভাষক হানিফ, অংকুর শিশুকিশোর সংগঠন এর প্রতিষ্ঠাতা আনিসুর রহমান রিপন, কবি সৌমিক সাত্তার। কণ্ঠ শিল্পী সোহেল আহমেদ। সঙ্গীত শিল্পী ফরিদ আহমেদ সাগর। সংগীত শিল্পী সানজিদা শারমিন ফ্লোরা। সংগীত শিল্পী সাথি ইসলাম। জাকির হোসেন রাজা তবলা বাদক। আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রশিক্ষক সোহেল মিয়া। তরুন সংগঠক নাইমুর রহমান। জুয়েনা বিনোদীনি।
এছাড়াও সংগঠন এর সহ-সভাপতি আদিত্ব্য কামাল, সহ-সভাপতি কোহিনূর আক্তার প্রিয়া, ফাহিম মুনতাসীর, ইফতেখারুল ইসলাম সোহান, অন্তর। সদস্য মুরাদ আল হাসান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আবৃত্তি পরিবেশনে ছিলেন, সোনালি সকাল। নৃত্য পরিবেশনে ছিলেন, নৃত্যশিল্পী চন্দ্রিমা বনিক, নৃত্যশিল্পী অবন্তিকা সূত্রধর।
অনুষ্ঠানে গুঞ্জন পাঠাগার নবীনগর, এস এম নাজমুন কবির ইকবাল (ইসমোনাক) সরাইল, সাংবাদিক এইচ এম জাকারিয়া জাকির, শফিকুল ইসলাম তৌছির কে সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়।
শীত মানেই নানা রকম মুখরোচক খাবারের স্বাদ। আর এই মৌসুমকে ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উৎপাদিত হচ্ছে সুস্বাদু রসালো গুড় “লালী”।মহিষ দিয়ে চলছে আঁখ মাড়াইয়ের কাজ। মাড়াই শেষে যে রস মিলবে তা দিয়ে তৈরী হবে সুস্বাদু রসালো গুড়। যা লালী নামে পরিচিত। সুমিষ্ট এই লালী ছাড়া পিঠা, পুলির স্বাদ যেন অনেকটাই ফিঁকে ভোজন বিলাসীরদের জন্য।লালীগুড়ের জন্য প্রসিদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী বিজয়নগর উপজেলা। শীত মৌসুমে উপজেলার বিষ্ণুপুর, দুলালপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার বিশেষ এই রসালো গুড় উৎপাদনে। আাঁখের রস চুলায় ৩/৪ ঘন্টা জ¦াল দিয়ে তৈরী করা হয় লালী গুড়। ১ কানি জমির আঁখ দিয়ে ১৭/১৮ মন লালী তৈরী হয়। মৌসুমী এই পেশার সাথে উপজেলার ১০/১২ জন উদ্যোক্তা জড়িত রয়েছে। আর তাদের সাথে কাজ করেন শতাধিক কৃষক। স্বাদে ও গুণে অনন্য হওয়ায় প্রতিদিন ভোজন বিলাসীরা ছুঁটে আসছেন লালীগুড় কিনতে। প্রতিকেজী লালী বিক্রী হচ্ছে ১৪০/১৫০ টাকা দরে। সে সাথে আঁখের রসের স্বাদ গ্রহন করতে ভীড় করছে ভ্রমন পিপাসুরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ আশপাশ জেলা ও উপজেলাতেও রয়েছে এর চাহিদা। এ পেশার সাথে জড়িতরা জানান, বাব-দাদার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই যুগ যুগ ধরে আমরা আখের লালি তৈরী করে আসছি। তবে দিন দিন আমাদের গ্রামে আখ চাষ কমে যাওয়ায় লালীর চাহিদা থাকলেও উৎপাদন কারীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তাই আগের মত তেমন তৈরী করা যাচ্ছে না। তবে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বার্তি আয়ের জন্য বছরে ৪ মাস এই লালী তৈরীর কাজ করে থাকি। প্রতিদিন ৭০-৮০ লিটার লালী উৎপাদন করা হয়। আমাদের বাজারে নিয়ে যেতে হয় না। এখান থেকেই পাইকার ও বিভিন্ন দূর দূরান্তের লোকজন কিনে নিয়ে যায়। প্রতি মৌসুমে তাদের পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হলেও এতে লাভ হয় দেড় লক্ষ টাকা।লালী কিনতে আসা কয়েক ক্রেতা বলেন, বাজারের লালীতে প্রায় সময়ই ভেজাল মেশানো থাকে। যা ক্ষতিকারক কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এখানকার লালী নির্ভেজাল এবং প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত হয়। ফলে এর চাহিদা অনেক বেশি।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা আখ থেকে তৈরি লালির জন্য বিখ্যাত। অনেকটা সুস্বাদু ও নিরাপদ বিধায় জেলা ছাড়াও বাহিরে থেকে মানুষ এসে ক্রয় করে নিয়ে যায়। কৃষকরা এখানে বেশির ভাগ স্থানীয় জাতের আবাদ করে যার ফলে আখের রসের পরিমান কম হয়। আমরা বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইন্সটিউটের সাথে যোগাযোগ করেছি যাতে নতুন জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণের জন্য যেন কৃষকরা লাভবান হয়। আমরা আশা করছি আগামী বছর থেকে সে সহযোগিতা পাবো। সে থেকে রসের পরিমান বাড়বে কৃষকরা অধিক লাভবান হবে। আমরা আশা করছি এবছর প্রায় ২ কোটি টাকার মত লালি বিক্রি হবে।