স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাহফিল থেকে ফেরার পথে বক্তার ওপর হামলাকারীদের মধ্যে ৪ জনকে আটক করেছে র্যাব-৯। বুধবার (৮মার্চ)জেলা শহরের পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন র্যাব-৯-এর অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।আটককৃতরা হলেন বিজয়নগর থানার শ্রীপুর গ্রামের জাকির হোসেন জাক্কু (৪৮), মাহবুবুল আল শিমুল(৩৩), চাওড়া গ্রামের সুমন (৩৫) ও কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার বিংলা বাড়ি গ্রামের মোঃ আমিরুল ইসলাম রিমন(২০)। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে র্যাব-৯-এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মুমিনুল হক বলেন, গত ৫ মার্চ রোববার রাত সোয়া বারোটার দিকে হযরত মাওলানা মুফতি শরীফুল ইসলাম নূরী বিজয়নগরের দৌলতবাড়ি দরবার শরীফের মাহফিল শেষ করে তার পরিচিত একজনসহ মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের রামধননগর রেল ক্রসিংয়ের উত্তর পাশে ফাঁকা রাস্তার পাশে পৌঁছামাত্র অজ্ঞাতনামা কয়েকজন তাকে হামলা করে তার জিহ্বা কেটে ফেলে। এ ঘটনায় আহতের চাচা মোঃ আব্দুল বাছির ভূঁইয়া (৫৫) বাদী হয়ে এজহার নামীয় ২ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৫ থেকে ৭ জনের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। র্যাবের ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে র্যাব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাবের একাধিক আভিযানিক দল ৭ মার্চ হত্যা চেষ্টার সাথে জড়িত ১ জন এজহারভুক্ত আসামীসহ ৪ জনকে আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ইসলামী বক্তা মাওলানা শরীফুল ইসলাম নূরীর দৌলত বাড়ি মাহফিলে বক্তব্যের কিছু অংশ আসামীদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয় নাই এবং সেই বক্তব্যে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। ভিকটিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। যার ফলশ্রুতিতে ফেরার পথে আসামিরা ভিকটিমের উপর অতর্কিত হামলা করে জিহ্বা কেটে ফেলে।
নিউজ ডেস্ক : উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। দলের নির্দেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসন থেকে পদত্যাগ করে আবার উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়িয়ে ফের সংসদ সদস্য হয়েছেন তিনি। বিএনপির এই দলছুট নেতা সম্প্রতি বেশ আলোচনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে।
আজ (রোববার) আবার আলোচনায় এসেছেন তিনি।তবে আজ আলোচনায় এসেছেন ভিন্ন কারণে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের তিন সংসদ সদস্যের সঙ্গে পাশাপাশি এক মঞ্চে ছিলেন উকিল আবদুস সাত্তার।তিনি বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রায় ৩০ সেকেন্ড তার মাইক্রোফোন ধরে রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।বক্তব্য শেষে আবদুস সাত্তার বললেন ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’, যেটি বিএনপির স্লোগান হিসেবেই পরিচিত।
উকিল আবদুস সাত্তার যখন বিশেষ অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন মাইক্রোফোন ধরেন মুখের কাছ থেকে কিছুটা দূরে। এ কারণে তার বক্তব্য স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল না। অসুস্থতার কারণে সে সময় তার শরীর কাঁপছিল।এ সময় পাশে বসা আইনমন্ত্রী নিজেই মাইক্রোফোনটি ধরে আবদুস সাত্তারের মুখের কাছে নিয়ে ধরেন। প্রায় ৩০ সেকেন্ড মাইক্রোফোন ধরে রাখেন মন্ত্রী।
প্রেস ক্লাবের নতুন অভিযাত্রায় শুভ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে রোববার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে প্রেস ক্লাবে পৌঁছান আইনমন্ত্রী। তিনি ফিতা কেটে প্রেস ক্লাবের উদ্বোধন করেন। প্রেস ক্লাবটির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসকের ভিজিট চাওয়ায় এক কর্মচারীকে অপহরণ করে তুলে নেওয়ার সময় প্রতিবাদ করলে জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পালের ওপর হামলা করেছেন দুর্বৃত্তরা। এসময় দুর্বৃত্তের হামলায় সাংবাদিক বিশ্বজিৎসহ তিনজনসহ আহত হন। শুক্রবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার রাধানগরের দাসপাড়ায় অবস্থিত একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।আহত সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল উপজেলার রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দৈনিক কালেরকন্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। এসময় সাংবাদিক বিশ্বজিৎকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন তার দুই চাচাতো ভাই আনন্দ পাল (২৮) ও প্রসেনজিৎ পাল (২৮)। উপজেলার দেবগ্রামের মাহফুজ ভূঁইয়ার ছেলে সুমন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সাংবাদিক বিশ্বজিতের ওপর হামলা চালানো হয়।স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা সাড়ে পাঁচটার দিকে দেবগ্রামের বাসিন্দা সুমন ভূঁইয়া স্ত্রীসহ ছয় মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসক দেখাতে চিকিৎসক দেখাতে রাধানগরের দাসপাড়ার দি কমফোর্ট এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। ওই ক্লিনিকে থাকা চিকিৎসক কাজী মাজহারুল ইসলামের কাছে শিশু সন্তানকে নিয়ে যান সুমন।চিকিৎসক থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে চেম্বার থেকে বের হন সুমন। সেসময় ক্লিনিকের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে সালমা আক্তার সুমনের কাছে চিকিৎসকের ৪০০ টাকা ভিজিট চান। এতে ক্ষিপ্ত হন সুমন। এক পর্যায়ে সালমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা শুরু করে সুমন। পরে ঘটনাস্থলে এগিয়ে ক্লিনিকের একজন আশিষ সাহার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।চিকিৎসক দেখানের ভিজিট না দিয়েই ক্লিনিকের মালিককে ভয় ও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান সুমন। বিকেলে ছয়টার দিকে ওই ক্লিনিকে চিকিৎসক দেখাতে যান সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল। বিকেল সাড়ে ছয়টার দিকে সুমন সঙ্গে ২০-২৫জন লোক নিয়ে ওই ক্লিনিকে যান। সুমনের নেতৃত্বে লোকজন ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক সালমা তুলে নিতে এগিয়ে যায়। তখন ঘটনার প্রতিবাদ করে বাঁধা দিতে গেলে সুমনের নেতৃত্বে লোকজন সাংবাদিক বিশ্বজিতের ওপর হামলা চালায়।সাংবাদিক বিশ্বজিৎকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে শান্ত পাল ও আনন্দ পালকে তারা মারধর করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। হামলায় বিশ্বজিৎ মাথাসহ সারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা পৌনে আটটার দিকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।আহত সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বলেন, ক্লিনিক থেকে একটি মেয়েকে তারা তুলে নিতে আসে। আমি তখন নিজেকে ওই মেয়ের অভিভাবক হিসেবে পরিচয় দেই। তারা আমাকে তখন বলে তুই গার্ডিয়ান, দাঁড়া। এই বলে তারা আমার ওপর হামলা করে। রাধানগর মোড়ে থাকা আমার দুই ভাই ঘটনা শুনে আমাকে বাঁচাতে আসে। তাদের ওপরও সন্ত্রাসী কায়দায় তারা হামলা চালিয়েছে।আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখে এসেছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের তিনটি টহল দল বের হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
নিহত জাকির হোসেন উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের সোনামোড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে।
শনিবার বিকাল ৫টার সময় তার আপন ছোট দুই ভাই আক্তার হোসেন (৩৭) ও মুক্তার হোসেন (৩৪) ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে জমি নিয়ে তাদের ভাইদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জেরে ছোট দুই ভাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে জাকির অজ্ঞান হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ডা. তাবরুজ নাঈম সিয়াম যুগান্তরকে জানান, নিহত জাকির হোসেনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
বিজয়নগর থানার ওসি মো. রাজু আহম্মেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ভাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার নিজ নির্বাচনী এলাকা আখাউড়ার অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, আমরা কোনো প্রতিহিংসার জন্য নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করব না, বাঙ্গালী ও নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্য এই কমিশন গঠন করা হবে।
অনুষ্ঠানের পূর্বে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের স্মরণে স্থানীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আইনমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশকে বিনাশ করার জন্য ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। ঘাতকেরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে তাদের ষড়যন্ত্র ও জিঘাংসাকে বাস্তবায়ন করার জন্য এই দিনটিকেই বেছে নিয়েছিল। কিন্তু আমাদের সৌভাগ্য ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও বাংলাদেশকে তারা ব্যর্থ করে দিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।
তিনি বলেন, শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, তার পরিবারে ১৭ জনকে নিমর্মভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে হত্যা করা। ষড়যন্ত্রকারি খুনিরা জানতো বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হলে বাংলাদেশকে হত্যা করা যাবে।
মন্ত্রী বলেন, যারা বাংলাদেশকে চায়নি, সেই একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বিদেশে না থাকলে তাদেরকে আমরা জীবিত পেতাম না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দুজন খুনীর একজন যক্তরাষ্ট্রে, একজন কানাডায় অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের যিনি আছেন তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে জোর আলোচনা চলছে। তবে কানাডার আইনে আছে যে, সে দেশে অবস্থানকারি কারো অন্য দেশে মৃত্যুদণ্ড হলে তাকে ফেরত দেয়না। যতক্ষণ পর্যন্ত বাকি খুনিদের দেশে ফেরত এনে বিচারের রায় পরিপূর্ণ কার্যকর না করা যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁদেরকে ফেরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
তিনি আরও বলেন, যড়যন্ত্রকারিরা কিন্ত বসে নেই। বিএনপি – জামায়াতে ষড়যন্ত্রকারিরা রয়েছেন। তারা মিথ্যা বলেন। সত্যের কাছ দিয়ে হাটেন না। বিএনপি এত মিথ্যাবাদী তারা নিজেরা খুন করে অন্যের উপর দায় ছাপায়। তাই ষড়যন্ত্র কারিদের হাত থেকে দেশকে রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মনির হোসেন বাবুল ও একেএম আতাউড় রহমান নাজিম, ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলুসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ, দর্শন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন।
আদিত্য কামাল
গ্যাস সংকট সহ নানা কারনে প্রায় ১০ মাস বন্ধ থাকার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায় ইউরিয়া সার উৎপাদন শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে কারখানাটিতে ইউরিয়া সার উৎপাদন শুরু হয়। তবে উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রতিদিন প্রায় ১১শ মেট্টিক টন সার উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।কারখানা সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি বছরের পহেলা মার্চ থেকে সংস্কার কাজ করতে৮০ দিনের জন্য আশুগঞ্জ সারকারখানা থেকে উৎপাদন বন্ধ করা হয়। সংস্কার কাজ শেষকরে ২০ মে কারখানাটিতে উৎপাদন শুরু করার কথা থাকলেও গ্যাস সরবরাহ না পাওয়ায়কারখানাটি সংস্কার করেও উৎপাদনে ফিরে আসতে পারছিল না।আশুগঞ্জ সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুনীল চন্দ্র দাস জানান, সকল জটিলতা শেষ করে প্রায় ১০ মাস পর কারখানাটি উৎপাদনে ফিরেছে। কোন যন্ত্রাংশে সমস্যা আছে কিনা তা দেখা হচ্ছে। যেখানেই সমস্য পাওয়া যাবে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিক করার ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঠিক কতটুকু সার উৎপাদন হবে তা এখনই সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।প্রসঙ্গত, এই কারখানায় উৎপাদিত সার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ,কুমিল্লাসহ ৮টি জেলার ইউরিয়া সারের চাহিদা মিটিয়ে থাকে।