স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
আদিত্ব্য কামাল,জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :
জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধরাণ সম্পাদক, দৈনিক জনকণ্ঠ ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার খবর এর উপদেষ্টা রিয়াজ উদ্দিন জামি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।সোমবার (০৬ মার্চ) বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১১টায় ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তার ভাগিনা সাংবাদিক আশেক মান্নান হিমেল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গেল ফেব্রুয়ারি মাসের শেষার্ধে তিনি ফলোআপ চিকিৎসার জন্য যান রিয়াজ উদ্দিন জামি। সেখানে ফলোআপ চিকিৎসা গ্রহণকালেই তিনি এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।প্রসঙ্গত, গত ২৯ আগস্ট জামি রাজধানী ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বিভাগীয় প্রধান ও ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউসুফ আলী ও মেজর নাসিফ এর তত্বাবধানে তার চিকিৎসা কার্যক্রম চলে। এ সময় সিএমএইচ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার সকল শারীরিক পরীক্ষা-নীরিক্ষা রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন এবং জামিকে ১০টি রেডিওথেরাপী দেয়ার পরামর্শ দেন।চিকিৎসার প্রথম পর্যায়ে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনকালে তার ৫টি এমআরআই, ব্রেইন টেস্টসহ সিটি স্ক্যান, পিঠ, কোমড়, বক্ষ, কোমর ও মাথায় নানা ধরণের পরীক্ষা নীরিক্ষা চালানো হয়। এছাড়াও তার কোমড় ও লাঞ্চ থেকে লালা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।পরে সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের টাটা হাসপাতালে যান রিয়াজ উদ্দিন জামি। সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেন তিনি। পরবর্তীতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে তিনি ফলোআপ চিকিৎসার জন্য আবারও সেখানে যান রিয়াজ উদ্দিন জামি।
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ৩১ আগস্ট সন্ধ্যায় শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর-পূর্ব পাশে মাটির রাস্তায় বর্বর এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারীর নাম মোছা. নাছিমা আক্তার। তিনি শিবপুর কলেজ পাড়ার মলাই মিয়ার মেয়ে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠান। নাছিমা এখন ওই হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
এ ঘটনায় শিবপুর ইউনিয়নের আকুবপুর গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মোছা মিয়াকে প্রধান আসামি করে ১৬ জন নামের থানায় মামলা হয়েছে। তবে পুলিশ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে আভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
জানা যায়, স্ত্রী ও ৬ মেয়ে নিয়ে শিবপুর কলেজপাড়ায় নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছেন মলাই মিয়া। তিনি ও তার স্ত্রী বর্তমানে খুবই অসুস্থ। একটি জমি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে পরিবারটির সঙ্গে মোছা মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। শিবপুর ইউনিয়ন সদরে নাছিমাদের ১১ শতক জমি রয়েছে। ওই জমি ক্রয় করতে চান মোছা মিয়া। এজন্য নাছিমাকে প্রস্তাবও দিয়েছেন। কিন্তু নাছিমা জমি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হন মোছা মিয়। এর জেরেই তার ওপর হামলা চালানো হয়।
ভুক্তভোগী নাছিমা জানান, মোছা মিয়া এলাকায় অহসায় এতিমদের জমি জবরদখল, সন্ত্রাসসহ নানা অপকর্মে জড়িত। এখন সে আমাদের জমি কিনতে চাচ্ছেন। রাজি না হওয়ায় সে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়, যে কোনো মূল্যে ওই জমি দখল করবে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপর হামলা করা হয়েছে।
নাছিমা বলেন, হামলাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের সময় পড়ে থাকা আমার মোবাইল ফোনটি শিবপুর ফাঁড়ি পুলিশ নিয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাতে থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত আসামিদের ধরার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলেন মোছা মিয়া বলেন, ‘আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে ফাঁসাতে আসামি করা হয়েছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। আইনি প্রক্রিয়ায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে বুধবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একটি অনুষ্ঠানে শিবপুর গেলে নাছিমার মা হোছনে আরা তার কাছে বিষয়টি তুলে ধরে ন্যায়বিচার দাবি করেন। এ সময় নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামিম ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেন।
বিক্ষোভ শেষে সমাবেশে বক্তারা বলেন, আজকের মধ্যে (২৭ আগস্ট) গত ১৮ জুন জারি করা অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস শাখার চিঠি প্রত্যাহার এবং পূর্বের ন্যায় পার্ট অব পে ৭৫% মাইলেজ যোগে পেনশন ও আনুতোষিক নির্ধারণের সুস্পষ্ট আদেশ জারী করতে হবে। তা না হলে “মাইলেজ নামের বেতন ও পেনশন কমানোর প্রতিবাদে সর্বস্তরের রানিং স্টাফরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করবে।
শাহাদাত হোসেন সোহেল
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্হানে ট্রেনে আগুন দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে নাশকতা কারীরা। আর এই নেক্কারজনক হামলা ও নাশকতার ঘটনার শিকার হচ্ছে ট্রেনে চড়া সাধারন যাত্রী কিংবা ভুক্তভোগীরা। আর তাই দেশের বিভিন্ন স্থানে ও ট্রেনে নাশকতামূলক অগ্নিকাণ্ড মোকাবেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো সচেতনতামূলক এক প্রশিক্ষন কর্মশালা ও মহড়া। বাংলাদেশ রেলওয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার আয়োজনে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহন ও বাস্তবায়নে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাশের নেতৃত্বে গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন প্লাটফর্ম চত্বরে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশাররফ হোসেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাস, রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্হিত ছিলেন। এসময় উপ- সহকারী পরিচালক নিউটন দাশ তার বক্তব্যে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্হানে ট্রেনে অগ্নি সংযোগ করে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালিত করা হচ্ছে। এতে জীবন মানের যেমন হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতি, নষ্ট হচ্ছে বিপুল রাষ্ট্রীয় সম্পদ। তাই ট্রেনে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার কথা চিন্তা করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডিজি মহোদয়ের নির্দেশনায় সেসময় যারা ট্রেনে দায়িত্বরত কর্মীরা থাকেন কোন কারনে ট্রেনে আগুন লাগলে তারা যেন তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সে বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের আজকের এই কার্যক্রম। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ছোট কিংবা বড় হোক সবসময় আপনারা আমাদের সার্ভিসের সহযোগিতা নেবেন। তিনি আরো বলেন, চলন্ত ট্রেনে রেলওয়ের দায়িত্বরত যেসব কর্মকর্তারা রয়েছেন ট্রেন ছাড়ার পূর্বে কিংবা ট্রেন ছাড়ার পর অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের ব্যবহার সম্বন্ধে তারা যাত্রীদেরকে ব্রীফ করলে যাত্রীরা এতে আরো বেশি সচেতন হতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি ।এ ব্যাপারে তিনি সকলের সহযোগীতাও কামনা করেন।
জুয়েল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ মোড়াইল খাঁ বাড়ির উদ্বেগে ৪ মার্চ ২০২৩ রোজ শনিবার বাদ আছর হইতে একটি ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল এর আয়োজন করা হয়েছে এসময় শাবন খাঁ সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন হযরত মাওলানা ইসলাম উদ্দিন ফারুকী সাহেব ও এসময় প্রধান আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হযরত মাওলানা কামাল উদ্দিন কাসেমী সাহেব, আরো উপস্থিতি ছিলেন আমন্ত্রিত মেহমান হিসেবে, দিন ও ধর্ম বিষয়ক অনেক কথা ও বক্তব্য রাখেন,এসময় দহ্মিণ মোড়াইল ও আশেপাশের এলাকার অনেক মানুষ উপস্থিতি ছিলেন এসময় দহ্মিণ মোড়াইল খাঁ বাড়ির কৃতি সন্তান জামান খাঁ বলেন আমাদের বংশের আমেরিকা প্রবাসী আমাদের চাচাতো রজব খাঁ, মামুন খাঁ,অভি খাঁ ও বাপ্পী খাঁ আর্থিক সহযোগিতায় আমরা এই ওয়াজ মাহফিল এর আয়োজন করতে পেরেছি ও আমাদের বংশের সবার অক্লান্ত পরিশ্রম ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আজকে আমরা এই ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল করতে সফল হয়েছি, খাঁ বাড়ির আরেক কৃতি সন্তান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সহ-সভাপতি আমির সোহেল বলেন আমাদের বংশের মৃত পূর্ব পুরুষের আত্মার মাগফিরাত কামনার জন্য এই প্রথম বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল আমরা করেছি,আমরা চেষ্টা করবো আগামীতে প্রত্যেক বছর এই ওয়াজ মাহফিল করার জন্য ।