স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
মাদকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলেছেন। সেভাবেই আমরা কাজ করছি। মাছ গিয়ে মাদক আসাটা অনাকাঙ্ক্ষিত। বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান বন্দর পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন। সীমান্ত হত্যা সম্পর্কে তিনি বলেন কোন একটা জীবন মেরে ফেলুক এটা কারোরই কাঙ্ক্ষিত না। তারাও (বিএসএফ) চায় না, আমরাও চাই না। সবাই চায় সীমান্ত হত্যা কতটা নীচে নামিয়ে আনা যায়।তিনি আরো বলেন ডিজি লেভেলের সম্মেলনে আমরা অনেক ধরনের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি। সেই আলোচনায় আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করছি। এগুলো (সীমান্ত হত্যা) আরো বেশি হতে পারতো। এগুলো আমরা কমিয়ে নিয়ে আসছি। তবে আমাদের চেস্টা থাকবে সীমান্ত হত্যা আরও কতটা নিচে নামিয়ে নিয়ে আসতে পারি।বিএসএফ এর বাঁধায় আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবন এবং কসবা রেলওয়ে স্টেশন এবং সালদা নদী সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন ইমিগ্রেশন ভবনের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। কসবা স্টেশন এবং সালদা নদী সেতুর বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেস্টা করছি। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর বিএসএফের সাথে যোগাযোগ করেছি। আশা করছি খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে। পরিদর্শন শেষে তিনি কসবায় যান।
আদিত্ব্য কামাল : কবি ও কবিতা বিষয়ক সংগঠন ‘কবির কলম’ এর ১৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকেল ৫ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া গভ: মডেল গার্লস হাই স্কুলের হলরুমে গুণিজন সংবর্ধনা, কবিতা আবৃত্তি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
‘কবির কলম’ সংগঠনের সভাপতি ছড়াকার তিতাস হুমায়ূন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপনের সঞ্চালনায়, এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ছড়াকার আসলাম সানি, বহুমাত্রিক লেখক ও বাংলা একাডেমীর পুরস্কার প্রাপ্ত কবি।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন, কবি জয়দুল হোসেন, সভাপতি সাহিত্য একাডেমী ব্রাহ্মণবাড়িয়া। প্রধান আলোচক ছিলেন, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক। বিশেষ আলোচক ছিলেন, কথা সাহিত্যিক আমির হোসেন, সভাপতি চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আবদুর রহিম, রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ও শিক্ষক। ফজিলাতুন নাহার সভাপতি, বাংলাদেশ নারী মুক্তি সংসদ। এড হুমায়ুন কবির, সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়াস্থ সমিতি। কেষ্ট কবি ইসমোনাক। জাকারিয়া জাকির সাংবাদিক ও সমাজ সেবক। কবি মাশরিকি শিপার। কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস। ফারুক আহমেদ ভুইয়া সিনিয়র সহ-সভাপতি উদিচি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা। মোস্তাক আহমেদ খোকন, সাধারণ সম্পাদক জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা। শফিকুল ইসলাম তৌছির বিশিষ্ট সমাজ সেবক। ফিরোজ মিয়া কলেজের প্রভাষক হানিফ, অংকুর শিশুকিশোর সংগঠন এর প্রতিষ্ঠাতা আনিসুর রহমান রিপন, কবি সৌমিক সাত্তার। কণ্ঠ শিল্পী সোহেল আহমেদ। সঙ্গীত শিল্পী ফরিদ আহমেদ সাগর। সংগীত শিল্পী সানজিদা শারমিন ফ্লোরা। সংগীত শিল্পী সাথি ইসলাম। জাকির হোসেন রাজা তবলা বাদক। আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রশিক্ষক সোহেল মিয়া। তরুন সংগঠক নাইমুর রহমান। জুয়েনা বিনোদীনি।
এছাড়াও সংগঠন এর সহ-সভাপতি আদিত্ব্য কামাল, সহ-সভাপতি কোহিনূর আক্তার প্রিয়া, ফাহিম মুনতাসীর, ইফতেখারুল ইসলাম সোহান, অন্তর। সদস্য মুরাদ আল হাসান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আবৃত্তি পরিবেশনে ছিলেন, সোনালি সকাল। নৃত্য পরিবেশনে ছিলেন, নৃত্যশিল্পী চন্দ্রিমা বনিক, নৃত্যশিল্পী অবন্তিকা সূত্রধর।
অনুষ্ঠানে গুঞ্জন পাঠাগার নবীনগর, এস এম নাজমুন কবির ইকবাল (ইসমোনাক) সরাইল, সাংবাদিক জাকারিয়া জাকির, শফিকুল ইসলাম তৌছির কে সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৩ ( সদর- বিজয়নগর) আসনের নৌকার প্রার্থী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পোস্টার ছেঁড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও এর কয়েকজন সমর্থককে জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর আউলিয়া বাজারে আক্কাস নামে একজনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান শাওন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আউলিয়া বাজারে ফিরোজুর রহমান ওলিওর সমর্থক আক্কাস ভূঞার নেতৃত্বে একটি পিকআপ ভ্যান থেকে নৌকার পোস্টার ছেঁড়া হয়। এটি দেখতে পেয়ে সেখানকার স্থানীয় লোকজন প্রশাসনকে খবর দিলে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থল গিয়ে আক্কাস ভূঞাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান শাওন বলেন, সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ১৮(১) ধারা অনুসারে ৭(২) ধারা লঙ্ঘন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিওর সমর্থকেরা। কাঁচি মার্কার সমর্থকরা একটি পিকআপ ভ্যানে চড়ে নৌকা প্রতীক প্রার্থীর পোস্টার ছেঁড়ায় আক্কাসকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ভবিষ্যতে আচরণবিধিমালা প্রতিপালনের বিষয়ে সতর্ক থাকবেন মর্মে জানান। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে বিজয়নগর উপজেলার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুল ইসলাম সহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আনিসুল হককে তৃতীয়বারের মতো এবং মোকতাদির চৌধুরীকে প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দলীয় নেতাকর্মী ও জেলার সাধারণ জনগণ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আনিসুল হক ২ লাখ ২১ হাজার ৪৬৭ ভোট পেয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের জয় লাভ করেন। এর আগে তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও নৌকা প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের ইতিহাসে টানা দুই মেয়াদে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকারী একমাত্র ব্যক্তিও তিনি। আনিসুল হকের বাবা উপমহাদেশের প্রখ্যাত আইনজীবী, গণপরিষদ ও সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্রধান কৌঁসুলি সিরাজুল হকও এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তাছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীও নতুন মন্ত্রিসভায় পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর ডাক পেয়েছেন। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩(সদর-বিজয়নগর) আসনে (নৌকা প্রতীক) ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হন। র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ১৯৫৫ সালের ১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম মো. আবদুর রউফ চৌধুরী। মোকতাদির চৌধুরী ঢাকা মাদরাসা-ই-আলীয়া থেকে ফাজিল পাস করার পর ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের ছাত্রদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রথম সাধারণ সম্পাদক। তিনি ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।১৯৭১ সালের মুজিব বাহিনীর অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করলে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে তার একটি পা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ১৯৭৩-৭৪ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গ্রন্থনাও প্রকাশনা সম্পাদক এবং ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠন হলে ২১ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন। ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলে তিনি দেশব্যাপী গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন ও প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবদান রাখেন। ১৯৭৫ সালের ২০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিলের নেতৃত্বদান ও ৪ নভেম্বর ঢাকার রাজপথে প্রথম প্রতিবাদ মিছিলের অন্যতম সংগঠক হিসেবে ভূমিকা রাখেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৬ সালের অক্টোবরে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় দুই বছর কারাবরণ করেন এবং ১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বরে মাসে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মুক্তি পান। ১৯৮৩ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন এবং ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালের একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের অফিসারদের নিয়ে গঠিত জনতার মঞ্চের অন্যতম সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন। ২০১০ সালের ২২ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চু মৃত্যুবরণ করলে এই আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বার, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।মোকতাদির চৌধুরী এমপি নবম জাতীয় সংসদে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, দশম জাতীয় সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং একাদশ জাতীয় সংসদে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক : রেইনবো প্রি স্কুলের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উদযাপিত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কমিউনিটি সেন্টারে এক জমকালো আয়োজনে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
আবদুল মতিন শিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেন্টাল সার্জন ডা. মেজবাহ উদ্দিন, সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন ও হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সালমা বারী, দৈনিক কুরুলিয়া পত্রিকার সম্পাদক ইব্রাহিম খান সাদাত, পাইকপাড়া জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ কবির আখন্দ, এবং সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, শিশুদের মানসিক বিকাশ এবং মেধায় সৃজনশীলতা গঠনে রেইনবো প্রি স্কুল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তারা আরও বলেন, কর্মজীবী বাবা-মায়েরা প্রাথমিক স্তরে শিশুদের প্রস্তুত করতে অনেক সময় হিমশিম খেতে হয়, তবে রেইনবো প্রি স্কুল আনন্দের মাধ্যমে খেলার ছলে শিশুদের পাঠদান করে থাকে। বক্তারা স্কুলটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
অনুষ্ঠানটি শুরু হয় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেইনবো প্রি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক শারমিন আক্তার। অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মো. নূরল আমিন এবং আশামনি।
এ সময় স্কুলের শিক্ষার্থীরা নাচ, গান, আবৃত্তি, রাফেল ড্র এবং জাদু প্রদর্শনের মাধ্যমে অতিথিদের মুগ্ধ করেন। পুরনো শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা স্বরূপ ড্রেস, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট দেওয়া হয় এবং নতুন শিক্ষার্থীদের মেডেল পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়। এছাড়া, শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের ২০ জন শিক্ষকের সম্মাননা প্রদান করা হয়। বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় রেইনবো প্রি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শারমিন আক্তারের বাবা মো. দুলাল মিয়া ও মা জোসনা বেগমকে।
অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে বেকিং সুন্দরী খাদিজা আক্তারের স্পনসর করা একটি কেক কেটে।
নিউজ ডেস্ক : বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (১১ মার্চ) সকাল ৯ টা থেকে সারাদিন ব্যাপী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর রিসোর্টে বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠীর আয়োজনে এ বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়।এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এম আর টেক্সটাইল সত্ত্বাধিকারী বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মিজান আনসারী। বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র উপদেষ্টা ও জনতার খবর এর নির্বাহী সম্পাদক জাকারিয়া জাকির। বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র উপদেষ্টা ও সাপ্তাহিক অগ্রধাপ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক শেখ ফরিদ। বিশিষ্ট কবি নূর মোহাম্মদ হাজারী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী কল্যাণ পরিষদের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিকুল ইসলাম তৌছির। রেডক্রিসেন্ট সদস্য জেলা জাতীয় পার্টির নেতা শেখ মাহবুব। জেলা জাতীয় পার্টির নেতা আনিস খাঁন। পিস ভিশন বাংলাদেশ এর সভাপতি এড. শেখ জাহাঙ্গীর। ফটো সাংবাদিক হারুনুর রশিদ। বিশিষ্ট জুয়েলারি ব্যবসায়ী যদুভাই। সান ফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্মকর্তা মো. তারেক। পৌর কমিউনিটি সেন্টারের পরিচালক বিল্লাল মিয়া ও নূরুল ইসলাম। সাহিত্য একাডেমীর পরিচালক তোফাজ্জল হোসেন জীবন। হাদিজা আক্তার রিমা, সদর উপজেলা সভাপতি জাতীয় মাহিলা পার্টি। সাবেক পোষ্ট অফিস কর্মকর্তা হারেছা বেগম। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও শিপ্পানুরাগী মিজানুর রহমান। সাবেক নারী সংগঠক ও নারী নেত্রী রোকেয়া খাঁন। নারী সংগঠক তাসনিয়া কাইয়ূম জ্যোতি। মো. সুমন মিয়া। শামীম আহমেদ প্রমূখ।এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন, অংকুর শিশু কিশোর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী জয়নাল আবেদীন। বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী পীরজাদা শাহাজাদা। বিশিষ্ট বাউল শিল্পী কাকলী। বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী সাথী সরকার। বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী একা ও কন্ঠ শিল্পী তুলি। এবং সবশেষে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী মোহাম্মদ হোসেন।যন্ত্র সঙ্গীতে ছিলেন, বিশিষ্ট গিটারিষ্ট ও সারগাম মিউজিক স্টেশনের সত্ত্বাধিকারী বিপু মন্সী। কিবোর্ডে সোহেল। অক্টোপ্যাডে রাহিম। তবলায় জাকির হোসেন রাজা। এবং জীপসীতে ছিলেন সামসুল আলম বাবু।
মুখাভিনয়ে ছিলেন, রেডক্রিসেন্ট সদস্য জেলা জাতীয় পার্টির নেতা শেখ মাহবুব।আনন্দ আয়োজনে বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র যারা উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন, মোস্তাক আহমেদ খোকন প্রধান উপদেষ্টা। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন। সাধারণ সম্পাদক আনিস খাঁন। সহ-সভাপতি সামসুল আলম বাবু। সহ-সভাপতি জাকির হোসেন রাজা। সাংগঠনিক সম্পাদক আদিত্ব্য কামাল। নারী বিষয়ক সম্পাদক রোমানা আক্তার শ্যামলী। ক্রীড়া সম্পাদক সাথী সরকার।সহযোগীয়তায় ছিলেন, ব্রাদার্স লিঃ এর সত্ত্বাধিকারী আসিফ ইকবাল।এবং বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র অন্যতম সদস্য নারী নেত্রী অনু পারভিন।
সার্বিক পরিচালনায় ও উপস্থাপনায় ছিলেন, আদিত্ব্য কামাল সম্পাদক জনতার খবর।