স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে পরিষদের সদস্যরা আল মামুনের বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূতভাবে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদান ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন। আল মামুন সরকার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ১লা ডিসেম্বর। এরপর সোয়া ২ মাসের মধ্যে তার কর্মকান্ডে সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।সরাইল থেকে নির্বাচিত পরিষদের সদস্য পায়েল হোসেন মৃধা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভোট পেতে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের আর্থিক বরাদ্দ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ভোটের দাম হিসেবে এখন তাদের ৪ লাখ ও ৩ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছেন। যা নিয়মে নাই। চেয়ারম্যান তার ইচ্ছামতো সবকিছু করছেন। এর আগে গত ৯ই ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন পরিষদের ৮ সদস্য। তারা হচ্ছেন আখাউড়ার সাইফুল ইসলাম, সরাইলের পায়েল হোসেন মৃধা, নাসিরনগরের সামসুল কিবরিয়া, আশুগঞ্জের বিল্লাল মিয়া, বাঞ্ছারামপুরের আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগরের বাবুল আক্তার, সদর উপজেলার বাবুল মিয়া ও সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ।
গত ১লা জানুয়ারি পরিষদের দ্বিতীয় সভায় বরাদ্দ বিতরণ নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন চেয়ারম্যান। সদস্যদের লিখিত অভিযোগে বলা হয়, চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার পরিষদের প্রথম সভায় সদস্যদের কোনো লিখিত ভোটগ্রহণ ছাড়া তার অনুসারী তিন জন সদস্যকে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করেন। সদস্যদের পাশ কাটিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন নিজেই। এব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রকাশ্যেই বলেছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের পূর্বে ভোটার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের জন্য তিনি নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এটি প্রচলিত আইন ও বিধিবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০২২ অনুযায়ী জেলা পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে উপজেলা পরিষদ/পৌরসভা সমূহের উন্নয়ন কার্যক্রমের সুষ্ঠু সমন্বয় নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়রগণকে পদাধিকার বলে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা পরিষদের রাজস্ব ও এডিপি বরাদ্দ উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনুকূলে বিভাজন করার কোনো বিধান রাখা হয়নি। অথচ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার তার নিজ ক্ষমতাবলে সকল উপজেলা চেয়ারম্যানকে ৪ লাখ টাকা, পৌরসভার মেয়রদের ৪ লাখ টাকা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ৩ লাখ টাকা করে বরাদ্দের বিভাজন করেন। যা স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদিত রাজস্ব তহবিল ব্যবহার নীতিমালা, ২০২২ এবং এডিপি বরাদ্দের ব্যবহার নীতিমালা-২০২২ এর পরিপন্থি। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উন্নয়ন প্রকল্পের চাহিদা প্রদানের একটি ফরম ছাপিয়ে বণ্টন করেছেন। যার ছকে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য/চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যানের সুপারিশ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা উল্লেখ করা হয়েছে। এটি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদিত রাজস্ব তহবিল ব্যবহার নীতিমালা-২০২২ এবং এডিপি বরাদ্দের ব্যবহার নীতিমালা-২০২২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সম্প্রতি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদন গ্রহণ না করে প্রায় ৩ হাজার শীতবস্ত্র (কম্বল) ক্রয় করেছেন। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ০৯/১০ লাখ টাকা। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সভায়ও কোনো অনুমোদন গ্রহণ করা হয়নি। এসব অভিযোগ তুলে ধরে তারা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান। এ বিষয়ে অভিযোগকারী সদস্যদের একজন বিউটি কানিজ সাংবাদিকদের জানান, প্রথম সভাতে চেয়ারম্যান তার ইচ্ছামতো প্যানেল চেয়ারম্যান বানান। এরপর খুশিমতো প্রকল্প ও অর্থ বরাদ্দ দেন। কম্বলও নিজের মতো করে ক্রয় করেন। ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য সাইফুল ইসলাম, ২ নং ওয়ার্ড সদস্য বিল্লাল মিয়াও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ জানান।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার জানান, এধরনের কোনো কিছু ঘটেনি। নিয়ম-নীতির বাইরে কোনো কিছু করিনি। কার কি অভিযোগ সেটা আমি না দেখে বলতে পারবো না।
আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় মাটির নিচে পাওয়া গেছে ৬৮ রাউন্ড গুলি। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কাজলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ভাঙার সময় এই গুলি গুলোর সন্ধ্যান পাওয়া যায়। নবীনগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল আহমেদ জানান, কাজলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ভেঙে সেখানে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে৷ শুক্রবার সকালে ভবনটি ভাঙার সময় মাটির নিচে ৬৮ রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। এগুলো রাইফেলের গুলি। তবে এ গুলো দীর্ঘদিন আগের হওয়ায় মরিচা পড়ে গেছে। তিনি আরও জানান, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানিয়েছেন, এই স্কুলে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা থাকতেন। এতে ধারণা করা যাচ্ছে, এই গুলি গুলো সেই সময়ের।
আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্বশুর বাড়িতে শাহিনুর বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধূ বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে মধ্যপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। শাহিনুর বেগম সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের শান্তিনগর গ্রামের তাজুল ইসলামের মেয়ে ও দুবাই প্রবাসী ফারুক মিয়ার স্ত্রী।হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৮ বছর আগে শাহিনুরকে উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে মধ্যপাড়া এলাকার মৃত শাজাহান মিয়ার ছেলে দুবাই প্রবাসী ফারুক মিয়ার সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেন। তাদের সংসারে ফারিয়া (৬) ও ফাহিমা (৪) নামে দুইটি মেয়ে সন্তান আছে। গত নভেম্বর মাসে দেশে আসেন ফারুক। শাহীনুর ও সন্তানদেরকে নিয়ে ৪-৫ দিন শ্বশুর বাড়িতে বেড়ানোর পর আজকে বাড়িতে ফিরেন ফারুক। রাতে সবার অজান্তে শাহীনুর বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানের চিকিৎসক শাহীনুরকে মৃত ঘোষণা করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসেন জানান, এক গৃহবধূ বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারন জানার জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে আইয়ুব নূর (৬০) নামে এক মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। হামলায় অন্তত ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুরে গাবুইন্নাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার সময় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা আইয়ুব নূরের ছেলে আরিফ নূরকে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেওয়া হয়। নিহত আইয়ুব নূরের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা আছে। জানা যায়,আইয়ুব নুরের পরিবারের সবাই মাদক কারবারি। তার ছেলে আরিফ নূর ও তোফাজ্জল নূরের বিরুদ্ধেও বেশ কয়েকটি মামলা আছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা আরিফ নূরকে ধরতে আদমপুরের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় হাতকড়া পরানো অবস্থায় আরিফকে ছিনিয়ে নেন তার স্বজনসহ অন্যরা। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা চালান তারা।বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাজু আহমেদ জানান, আত্মরক্ষার্থে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে আইয়ুব নূর, সালমা বেগম ও ইমন নামে তিনজন আহত হন। আহতদের মধ্যে আইয়ুব নূর মারা যান। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।