স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকের বাড়ির ২য় তলার বারান্দার স্টিলের গ্রিল রড দিয়ে ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে মোবাইল, ল্যাপটপ, ক্যামেরাসহ দুই লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবুর বাড়িতে এই চুরি হয়। চোরের দল দোতলা ভবনের বারান্দার গ্রিল ভেঙে ল্যাপটপ, দুটি ক্যামেরা ও দুটি মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে বলে জানা যায়।মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলার আখাউড়া পৌরশহরের রাধানগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে চুরির ঘটনাটি তাদের নজরে আসে। সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যরা জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে দোতলার এক কক্ষের বারান্দার গ্রিল ভেঙে দুর্বৃত্তরা ভিতরে প্রবেশ করে। পরে তারা ঘরে থাকা সমস্ত মালামাল প্রথমে তছনছ করে সংবাদপত্রের কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুটি ক্যামেরা ও দুটি দামি মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিস চুরি করে নিয়ে যায়। এই রুমে কেউ ঘুমায় না।
সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু জানান, রাত দেড়টার পর কোন এক সময় আমার বাসার বারান্দার গ্রীল কেটে চোরের দল ঘরে প্রবেশ করে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ক্যামেরা এবং চার্জার এবং কিছু টাকা নিয়ে গেছে। চোরেরা ব্যাগ থেকে অন্যান্য কাগজপত্র রেখে ল্যাপটপটি নিয়ে গেছে। বিষয়টি আমার কাছে পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। আমার সাংবাদিকতায় ব্যাঘাত ঘটনানোর জন্য এ চুরির ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সদ্য সাবেক সভাপতি
মোঃ জুয়েল মিয়া বলেন, সাংবাদিকের কলমের সাথে না পেরে, কাপুরুষের মতো চোর-সন্ত্রাস পিছনে লেলিয়ে দেওয়া, সামনে না পেরে পিছন থেকে হামলা করার নীলনকশা যদি কেউ করে থাকে সেটা দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্যতম সাহসী ও প্রতিবাদী সাংবাদিক। যদি কেউ সাংবাদিকের কলম, মোবাইল, ল্যাপটপ,ক্যামেরা ও ডকুমেন্টে হাত দেয় তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকদের কলিজায় হাত দিয়েছে বলে আমি মনে করি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসন গুরুত্বের সহিত চোরদের খোঁজে বের করার পাশাপাশি তাদের শেল্টারদাতা ও নির্দেশদাতাদের নামসহ পরিচয় প্রকাশ করতে আহ্বান করছি। নতুবা জেলার সাংবাদিকরা অচিরেই আন্দোলনে যাবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি বিষয়টা জানি। ওসিকে আমি একদম কড়াভাবে বলে দিয়েছি যেকোনোমূল্যে হোক ক্যামেরা এবং ল্যাপটপ যেন উদ্ধার করে। চুরির পিছনে যদি অন্যকোনো কারণ থাকে, কোনো ইন্দনদাতা এবং অসৎ উদ্দেশ্য থাকে সব খুঁজে বের করতে বলেছি। পুলিশ কাজ করতেছে৷
সালমান হোসাইন
বীমা শিল্পের উন্নয়ন ও বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে (১ মার্চ) দেশে ৫ম বারের মতো উৎযাপিত হলো জাতীয় বীমা দিবস ২০২৪। বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রতি বছর দেশজুড়ে পালিত হয়ে আসছে দিবসটি। বরাবরের মতো
এ বছরেও দিবসটি উদযাপনে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ।ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় বীমা দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।১ মার্চ ২০২৪ শুক্রবার সকালে “করবো বীমা গড়বো দেশ স্মার্ট হবে বাংলাদেশ”এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে দিবসটি উপলক্ষে সকালে জেলা প্রশাসকের অফিস প্রাঙ্গণ থেকে জেলা প্রশাসক জনাব হাবিবুর রহমান নেতৃত্বে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের কাউতলী মোড় প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের অফিস প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জনাব হাবিবুর রহমান,উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব সাইফুল ইসলাম ও জনাব জয়নাল আবেদীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন), প্রমুখ।শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনাব মিজানুর রহমান, ইনচার্জ জীবন বীমা কর্পরেশন ও সভাপতি জেলা জীবন বীমা। বক্তব্য রাখেন জনাব নাজমুল ইসলাম, ইনচার্জ সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের কোম্পানী লিমিটেড সহ আরও অন্যান্য বীমা কোম্পানির ইনচার্জ গণ।বীমা শিল্পের উন্নয়ন ও বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২০ সালের ১ মার্চ প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী জাতীয় বীমা দিবস পালিত হয়। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বীমা দিবসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।প্রতি বছর জাতীয় বীমা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে দেশের সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করে সরকার। শুরুতে দিবসটি ‘খ’ শ্রেণীতে পালনের জন্য অনুমোদন দেয় হয়।২০২১ সালের ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘জাতীয় বীমা দিবস’কে ‘ক’ শ্রেণীর দিবস হিসেবে ঘোষণা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি দাবি জানান বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)’র প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন।পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি দিবসটিকে ‘ক’ শ্রেণীতে উন্নীতকরণের আবেদন জানায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ।জাতীয় বীমা দিবস এখন ‘ক’শ্রেণীতে ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সভায় জাতীয় বীমা দিবসকে ‘খ’ শ্রেণী থেকে ‘ক’ শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে দিবসটিকে ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছেন কারাবন্দিরা। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটকে ও হাজতখানায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ৬৯ জন কারাবন্দিকে নিয়ে একটি প্রিজনভ্যান জেলা কারাগার থেকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের ফটকে যায়। কারাবন্দিরা ভ্যান থেকে নামার সময় নানা অশালীন ভাষায় আইনজীবীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এসময় তাদের বেশ উগ্র আচরণ করতে দেখা যায়। পরে পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে হাজতখানায় প্রবেশ করান। হাজতেও তারা স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে বুধবার (৮ফেব্রুয়ারি) জানা যায়, জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এ তিন দিন ধরে বাদী ও বিবাদী নিজেরাই যুক্তি-পাল্টাযুক্তি উপস্থাপনের মাধ্যমে শুনানি করছেন। এর ভিত্তিতে আদেশও দিচ্ছেন ওই দুই আদালতের বিচারক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা দাবি পূরণ না হওয়ায়
ফের সব আদালত বর্জন শুরু করেছেন। । আগে থেকেই তাঁরা জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন করে আসছিলেন। নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এ গত বুধবার ৬৩টি মামলার শুনানি ধার্য ছিল। কোনো আইনজীবী আদালতের এজলাসে উপস্থিত না থাকায় দুটি মামলার বিচারপ্রার্থীরা নিজেরাই শুনানি করেন। দুটি মামলাই উভয় পক্ষের সম্মতিতে সম্পূর্ণ নিষ্পত্তি হয়ে যায়।
একটি হলো বাদী মদিনা বেগম তাঁর প্রতিবেশী খায়ের মিয়ার বিরুদ্ধে হয়রানির যে মামলা করেছিলেন তা উঠিয়ে নেন। অন্যটি ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট সেতু আক্তার নামের এক নারী তাঁর স্বামী তারেকের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা উঠিয়ে নেন।
এর আগের দিন মঙ্গলবারও এ রকম কিছু মামলার শুনানি হয়েছে। সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়ার এনায়েত নারী নির্যাতন মামলার আসামি। নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এ ওই দিন তাঁর মামলার শুনানি হয়। এনায়েতের দুলাভাই হাবিবুর রহমান আদালতে শ্যালকের হয়ে শুনানি করেন। যুক্তি উপস্থাপন শেষে এনায়েতকে জামিন দেন বিচারক
জামিন পেয়ে খুশি এনায়েত বলেন, ‘আগে জানতাম না উকিল (আইনজীবী) ছাড়া বিচারকের সঙ্গে কথা বলা যায়। আমি আর আমার দুলাভাইয়ের কথা শুনে স্যার (বিচারক) জামিন দেওয়ায় খুব খুশি হইছি। আমি ন্যায়বিচার পাইছি। এক টাকাও আলাদা কোনো খরচ লাগেনি।’
মঙ্গলবার ওই আদালতে তিনটি মামলার শুনানি হয়। দুটি মামলায় আসামিপক্ষকে জামিন এবং আরেকটি মামলায় আসামির প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। প্রতিটি মামলায়ই বাদী ও বিবাদী পক্ষ নিজেরাই শুনানি করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার; নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ এবং জেলা জজের নাজির মুমিনুলের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করছেন আইনজীবীরা। একই দাবিতে ৫ জানুয়ারি থেকে পর্যায়ক্রমে সব আদালত বর্জন করে আসছিলেন জেলা বারের আইনজীবীরা। এক পর্যায়ে জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর আদালত বর্জন অব্যাহত রেখে বাকি সব আদালতের কার্যক্রমে অংশ নেন আইনজীবীরা। দাবি আদায় না হওয়ায় গতকাল থেকে আবার সব আদালত বর্জন কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা।