স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। সোমবার (০৬ সোমবার) ভোররাতের এই ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশিরভাগ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে হাজার হাজার ভবন। ক্ষণে ক্ষণে উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ ও আহতদের। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা প্রায় দুই হাজারে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা দ্রুত গতিতে বেড়েই চলেছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। সাধারণ মানুষ হাসপাতাল ও ধসে পড়া ভবনগুলোর সামনে স্বজনদের খুঁজতে ভিড় করছেন। কোনও কোনও পরিবারে সকল সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তুরস্ক ও সিরিয়া এই দুই দেশেই বিপুল ক্ষতি হয়েছে। এখনও ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকে রয়েছেন বহু মানুষ। তাদেরকে উদ্ধারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট বাহিনী। সাধারণ মানুষও এতে হাত লাগিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে অনুমান করে বলেছে যে, এই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা দশ হাজার ছাড়াতে পারে। তুরস্ক প্রশাসন জানিয়েছে ভূমিকম্পে প্রায় তিন হাজার ভবন ধসে পড়েছে। তুরস্কের কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, গাজিয়ানটেপ, সানলিউরফা, দিয়ারবাকির, মালতায়া এবং আদানাসহ বিভিন্ন অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া সিরায়ার আলেপ্পো, হামা এবং লাত্তাকিয়াসহ কয়েকটি অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তুরস্ক ও সিরিয়া উভয় দেশ দুর্যোগ ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
দ্রুত উদ্ধারকাজের জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য কামনা করেছে তুরস্ক। এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন উদ্ধারকাজে সহযোগিতার জন্য বাহিনী প্রেরণ করেছে। সেনাবাহিনী নামিয়েছে তুরস্ক। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, ১৯৩৯ সালের ভূমিকম্পের চেয়ে এবারের ভূমিকম্প আরও ভয়ঙ্কর। সেই ভূমিকম্পে অন্তত ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এই বিপদ মোকাবেলা করবেন বলে বার্তা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
৩০ আগষ্ট অ্যাডিডাস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে একাউন্টে অর্থ পায়। প্রবাসী সাংবাদিক সজীব নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, নির্যাতিত সাংবাদিক সজীব হোসাইনের আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ হাজার ইউরো প্রদান করেছে মাল্টা সরকার। গত ২০ ডিসেম্বর এ নির্দেশ দিয়েছেন ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত (ইসিএইচআর)।
সজীব হোসাইন দুবাই মিশন ঘুরে লিভিয়া হয়ে ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মাল্টায় এসে পৌঁছান। সেখানে সে আশ্রয়ের আবেদন করেন সাংবাদিক হিসেবে। ওই সময় তার আবেদন গ্রহণ না করে মাল্টা ডিন্টেশন সেন্টারে ২২ মাস আটকে রাখে তার সঙ্গে থাকা মরক্কো, মিশর, বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে ডিন্টেশন সেন্টারে প্রায় ১৯০জন বাংলাদেশি নাগরিকের মধ্যে ২০২১ সালের ১৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকালে এনজিও প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত থেকে ডক্টর অ্যালেক্সিস গাল্যান্ড ও ডক্টর ক্লেয়ার ডেলমের সর্বোচ্চ চেষ্টায় সুরক্ষা পায় সে।
ইউরোপিয়ান মানবাধিকার আদালতে সজীব হোসাইনের প্রতিনিধিত্ব করেন ডক্টর এন.ফলজন আর সরকারের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ড. সি.সোলার ও ড. জে.ভেলা।
ইসিএইচআরের রায়ে বলা হয়, যথাযথ বিচারিক পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে আগামী ৩ মাসের মধ্যে তাকে ৫ হাজার ইউরো ক্ষতি পূরণ প্রদানে মাল্টা সরকারকে নির্দেশ দেন।
এ প্রসঙ্গে সজীব বলেন, আমি প্রথমে ধন্যবাদ জানাচ্ছি অ্যাডিডাস ফাউন্ডেশনের সকল আইনজীবীদের।। কারণ তারা যদি আমাকে আইনী সহযোগিতা না করত তাহলে অন্যদের মত আমাকেও আজ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হত। তাদের ঋণ আমি কোন দিন শোধ করতে পারব না। আজকের এই খুশির দিনে আমার পরিবারের পরে সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার মামাদের। তারা প্রতি মুহূর্ত আমাকে সহযোগিতা করেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক — ভারত সফররত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সে দেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রেসিডেন্ট জগত প্রকাশ নাড্ডা এবং জেনারেল সেক্রেটারি বিনোদ তড়ে’র সাথে পৃথক বৈঠকে মিলিত হয়েছে।সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আরমা দত্ত বিজেপি প্রেসিডেন্ট জে পি নাড্ডার বাসভবনে তার সাথে বৈঠক করেন। বিজেপির আমন্ত্রণে সফররত দলের নেতৃবৃন্দ এরপর বিজেপি’র সদর দপ্তরে পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি বিনোদ তড়ে’র সাথে আলোচনায় মিলিত হন। আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠকদ্বয়ে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক নানা বিষয়ের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা, জঙ্গিবাদ দমন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিশেষ গুরুত্বসহ আলোচিত হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রঃবাসস
বৈঠক শেষে মোদি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক। আমাদের আলোচনায় কানেক্টিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় নরেন্দ্র মোদির সরকারি বাসভবনে এ বৈঠকটি শুরু হয়।
এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সকালে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে রওনা হন তিনি। নয়াদিল্লিতে ৯-১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে এ সফর।
প্রধানমন্ত্রীর এ সফর নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকে কানেক্টিভিটি, তিস্তার পানি বণ্টন, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। বৈঠকে কৃষি গবেষণা খাতে সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও দুই দেশের নাগরিকদের লেনদেন সহজীকরণে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।
প্রসঙ্গত, ভারতে হতে যাওয়া এবারের জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ৯টি দেশকে অতিথি রাষ্ট্র হিসেবে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটি। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশগুলো হচ্ছে—মিসর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিংগাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ভারতের মধ্যে বিদ্যমান নানা সম্পর্কের ভিত্তিতে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ এর দুটি পৃথক অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।