স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন অক্ষম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনার পর একনজর দেখতে ভিড় করছে স্থানীয়রা। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের কুসুমবাড়ি গ্রামে মোঃ মীর জাহান মিয়ার বাড়িতে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রিজ, চাউল, আসবাদপত্রসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে ছাই হলেও কিন্তু অক্ষত থাকে পবিত্র কোরআন শরীফ।
স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ অলৌকিক ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বেশ আলোচিত হয়েছে। অনেকে ছবিটিকে ফেসবুক পেজে শেয়ার এবং ছবি তুলে সংরক্ষণ করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুনের লেলিহান শিখা যখন উপরে উঠতে শুরু করে তখন কিছু বুঝে উঠার আগেই মুহুর্তের মধ্যে ঘরের আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ, আলমারি, চেয়ার টেবিল, চালের ড্রাম, স্বর্ণ, নগদ টাকা, ইলেট্রনিক্স সামগ্রি ও অন্যান্য মালামালসহ সম্পূর্ণ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কিন্তু এতে অক্ষত থাকে আল্লাহর পবিত্র কোরআন শরীফ। কোরআন শরিফের চারদিকে কিছুটা ক্ষতি হলেও পুরো কোরআন শরিফের অক্ষরগুলো অক্ষত থেকে যায়।
বাড়ির মালিক মীর জাহান মিয়া বলেন, এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রিজ, চাউল,
আসবাদপত্রসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে অন্ত:ত ৭ লাখ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়। কোরআন শরীফটি অক্ষত অবস্থায় থাকে। এটা মহান আল্লাহ তা’আলার অশেষ মেহেরবানী। আখাউড়া ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা লিডার মোঃমনিম সারোয়ার বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে এসে প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এই ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আদিত্ব্য কামাল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশিষ্ট কবি, চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার এর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি, কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন এর ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত ‘স্বদেশ-কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন সংখ্যার’-পাঠ উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতিসন্তান, বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কবি, ড. মারুফুল ইসলাম।চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, কবি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক জয়দুল হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রর প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার মো. আ. কুদ্দূস, ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কবি তৌহিদুল ইসলাম কনক। সভায় অনুভূতি ব্যক্ত করেন চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার এর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি, কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন।
সাময়িকীটির সম্পাদক, ঝিলমিল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ এর সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ এর সভাপতি কবি আবদুল মান্নান সরকার, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারি পরিচালক সাইফুল ইসলাম লিমন, উদিচি জেলা শাখার সভাপতি জহিরুল ইসলাম স্বপন, লেখক ও সাংবাদিক আল আমিন শাহীন, কবি আবুল কাশেম তালুকদার, নারী সংগঠক ফজিলাতুন্নাহার, মোঃ ফারুক আহমেদ ভুইয়া, কবি রোকেয়া রহমান কেয়া, কথাসাহিত্যিক মানিক রতন শর্মা, কবি সেলিম হোসাইন হাওলাদার, কবি এম এ হানিফ, কবি মোঃ আব্দুর রহিম, কবি ও সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন আহমেদ, কবি ও গল্পকার শৌমিক ছাত্তার, কবি ও গল্পকার রাশিদ উল্লাহ তুষার, কবি ও গল্পকার সাদমান শাহিদ, কবি মাশরেকি শিপার, কবি এড. হুমায়ন কবির ভূইয়া, আবৃত্তিশিল্পী হাবিবুর রহমান পারভেজ, কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়, কবি লিটন হোসাইন জিহাদ, কবি গাজী আবু হানিফ, কবি শারমিন সুলতানা, নিখিল চন্দ্র দেবনাথ, কবি শাহ মাহমুদা আক্তার, সাংবাদিক প্রবির চৌধুরী রিপন, সঙ্গিত শিল্পী আনিছুল হক রিপন, জামিনুর রহমান, নদীকর্মী খালেদা মুন্নি, ছড়াকার হুমায়ুন কবির। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ পুতুল বেগম। এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. মো আব্দুল মতিন সেলিম, মোস্তাক আহমেদ খোকন, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ হোসেন, শিব চরণ বিশ্বাস, এম এ সাহেদ, কবি রিপন দেব নাথ, এম নাইমুর রহমান, আব্দুল মতিন শীপন, মোজাম্মেল হক, কবি খোকন সেন, অমিতাভ চত্রবর্তী, মনির হোসেন, সাংবাদিক আদিত্ব্য কামাল, কবি কহিনূর আক্তার, কবি ঝর্না আক্তার, শরিফ উদ্দিন, শরিফ সরকার প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমার অনুজপ্রতিম প্রিয় কবি আমির হোসেন একজন আলোকিত মানুষ। সাহিত্যের নানান শাখায় তাঁর অবাধ বিচরণ। বহুগ্রন্থ প্রণেতা এই লেখকের দুই বাংলার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। লেখক ও পাঠক সৃষ্টিতে তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে তাঁর লেখনী প্রতিভা দিয়ে সমাজে আরো বেশি আলো ছড়াবেন বলে আমরা আশা প্রকাশ করি। অনুষ্ঠানে বক্তাগণ কথাসাহিত্যিক আমির হোসেনকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন এবং তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। সভায় অনুভূতি ব্যক্ত করেন কবি আমির হোসেন বলেন, আজকে আমাকে নিয়ে যত প্রশংসা, যত আলোচনা সবকিছু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রয়াত ও জীবীত সকল মুরুব্বীদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করলাম। আপনাদের দেয়া সম্মানের মর্যাদা দিতে অভিষ্যতে নিজেকে আরো বেশি করে সাহিত্য-সংস্কৃতিতে নিবেদিত রাখবো। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। তিনি তাঁকে নিয়ে সাময়িকী প্রকাশ ও অনুষ্ঠান আযোজন করায় এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ায় সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
উল্লেখ্য কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন সংখ্যাটি সম্পাদনা করেন তরুণ কবি ও সংগঠক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ ও ছড়াকার হুমায়ুন কবির। দুই বাংলার জনপ্রিয় ১১৫ জন লেখকের লেখা সমৃদ্ধ ১৮০ পৃষ্ঠার এই স্মরণিকাটির প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেন ইসরাফিল হাসান। আলোকচিত্রশিল্পী কাজী আরিফুজ্জামান ও স্বর্ণা (মোহর)। চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থগারের পক্ষে কথাসাহিত্যিক ইসহাক হাফিজ কর্তৃক প্রকাশিত ও ছাপাখানা-ঢাকা এটি মুদ্রিত হয়। সাময়িকীটি ঢাকা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন লাইব্রেরিতে পাওয়া যাবে। এর শুভেচ্ছা মূল্য রাখা হয়েছে ৩০০ টাকা মাত্র।
আদিত্ব্য কামাল,জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : জতীয় মানবাধিকার সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার উদ্যোগে শতাধিক অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেংকের পাড়স্থ পৌর কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ খোকনের উপস্থাপনায় ও জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এড. তানভীর ভূঁইয়া সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবি সমিতি।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব মো. হেলাল উদ্দিন সহ-সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগ, আলহাজ্ব হযরত মাওলানা নুরুজ্জামান পরিচালক হযরত শাহজালাল দারুল সুন্নাহ মাদ্রাসা মনতলা, এড. মাহবুবুল আলম খোকন সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা আওয়ামীলীগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জনাব ইস্কান্দার আলী সহ-সভাপতি জেলা নাগরিক কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জনাব আবদুস সালাম সহ-সভাপতি জেলা নাগরিক কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জনাব আব্দুল মান্নান সরকার সাবেক সাধারণ সম্পাদক দি-আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি সাংবাদিক জাকারিয়া জাকির, জনাব মো. তাজুল ইসলাম সদস্য জেলা নাগরিক কমিটি, এড. শেখ জাহাঙ্গীর আলম, সভাপতি পিস ভিশন বাংলাদেশ, ফরেষ্ট রেইঞ্জার জনাব মো. বশির আহমেদ, রুমানা আক্তার শ্যামলী সভানেত্রী জেলা জাতীয় মহিলা পার্টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদিত্ব্য কামাল সম্পাদক জনতার খবর প্রমূখ।
ভোলা,হাসান লিটন
চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচায় কুইজ প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৯ অক্টোবর) বেলা ১২টায় চরআইচা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হল রুমে কুইজ প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় চরআইচা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.শহিদউল্ল্যাহ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ আইচা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাঈদ আহমেদ( পিপিএম) ও দক্ষিণ আইচা থানার এস আই নেছার উদ্দিন, এস আই সবুজ কর, এস আই শহিদুল্লাহ সহ উপস্থিত ছিলেন উক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ। কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রায় ২শ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে এরমধ্যে ১৫ জন শিক্ষার্থী বিজয় হন। বিজয়ী শিক্ষার্থীদেরকে পুরস্কার বিতরণের শেষে উপস্থিত শিক্ষার্থীদেরকে মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, যৌতুক সহ সচেতনতামূলক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন আইনি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন বক্তারা।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আলোচিত আব্দুল হেকিম টাক্কা হত্যার প্রধান আসামী রাসেল মেম্বারকে ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। রবিবার (৩০এপ্রিল) আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক তাকজিল খলিফা কাজল ও যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রাহমান নাজিমের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উত্তর ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটিতে মো. রাসেল মেম্বারকে ৫নং যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটি ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়। সুশীল সমাজের লোকজন বলেন, সমাজের এসব চিহ্নিত কুখ্যাত অপরাধীদের যদি ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতা বানানো হয় তাহলে তারা দলকেও কলংকিত করবে এবং দলের সুনাম নষ্ট করবে। অপরাধীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয়দাতারা জনগণের কাছেও ঘৃণার পাত্র হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের আব্দুল হেকিম ওরফে টাক্কা (৩২) কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। রাতে ঢাকা নেওয়া পথে তার মৃত্যু হয়। সে ওই গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় দুপক্ষের নারী-পুরুষসহ অন্তত আটজন আহত হন। এ ঘটনায় আব্দুল হেকিম টাক্কার মা রুপশা বেগম ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার রাসেল মেম্বারসহ ১৪জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী আনোয়ারপুর- কল্যাণপুর ৯ নং ওয়ার্ড থেকে রাসেল আহমেদ সদস্য নির্বাচিত হয়। এরপর থেকে রাসেল নিজেকে ওই এলাকার সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করেন। সীমান্ত সংলগ্ন হওয়ায় এই এলাকার কিছু মানুষ মাদক কারবারের সাথে জড়িত। স্থানীয় মেম্বার হিসেবে প্রভাব খাঁটিয়ে রাসেল মাদক সাম্রাজ্য একক নিয়ন্ত্রণ করতে চাইত। আর এতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় আব্দুল হেকিম টাক্কা। নিহত টাক্কা মেম্বারকে মাসোহারা দিতে অস্বীকার করে। এরপর থেকে রাসেল মেম্বার টাক্কাকে বিভিন্ন সময় হুমকি ধমকিসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত তিন মাস আগে এক রাতে টাক্কাকে কল্যাণপুর গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে আটক করে। পরকীয়ার অভিযোগে ওই নারীসহ তাকে থানায় সোপর্দ করেন রাসেল মেম্বার।ওই ঘটনায় জেল হাজত থেকে ছাড়া পেয়ে টাক্কা বাড়িতে আসলে রাসেল মেম্বারসহ তার লোকজন বিভিন্ন সময় টাক্কাকে পরকীয়া সংক্রান্ত বিষয়ে অপমান অপদস্ত করে কথা বলতেন। আর রাসেল মেম্বারের সমস্ত অনৈতিক কর্মকান্ডে সহযোগী হলেন একই গ্রামের বাসিন্দা রনি। ঘটনার কিছু সময় আগে এই রনি নিহত টাক্কাকে ফোন করে বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে তাকে সাহস থাকলে গ্রামে আসার কথা বলে ডেকে এনে পরিকল্পনা মাফিক এই হত্যা কান্ড ঘটায়। গ্রেফতারের আগেই প্রধান আসামি রাসেল মেম্বারসহ পাঁচ আসামি হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়ে মামলার বাদী ও সাক্ষীদের হুমকি দিচ্ছে।
নিহত টাক্কার মা রোপসা বেগম রাসেল মেম্বার ও তার গংদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, রাসেল মেম্বার গ্রামের মাদক কারবারীদের কাছ থেকে প্রতি সপ্তাহে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করতো এবং মাদককারবারীদের টাকা দিতে বাধ্য করতো। রাসেল মেম্বার মাদক কারবারীদের থেকে চাঁদা তুলে মাদক ব্যবসার শেল্টারদাতা হিসেবে কাজ করতো। রাসেল মেম্বারের নেতৃত্বে তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমার ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে হত্যা করে। তাছাড়া কাশেম মেম্বারের পক্ষে নির্বাচনের সময় কাজ করার কারনে রাসেল মেম্বার টাক্কার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল।
স্থানীয় যুবলীগ সূত্রে জানা যায়, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে এবং জেলা যুবলীগের সম্মতিতে দলের সাংগঠনিক অবস্থা গতিশীল করতে আখাউড়া পৌর ও ওয়ার্ড যুবলীগের বর্তমান সকল কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে তিন মাস মেয়াদী আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়।আখাউড়ায় নবগঠিত যুবলীগের কমিটি গুলোতে সমাজের বিভিন্ন অবক্ষয় ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের এবং ধর্ষণে অভিযুক্ত লোককে যুবলীগের নেতা বানানোর বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক পৌরমেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, অপরাধী যেই দলের হোক এদের কোনো দল নাই, অপরাধীর বিচার হবে। মানুষের ত্রুটি বিচ্যুতি থাকবেই। অপরাধ করলে ত্যাগ করা যাবেনা,বিচার হবে। আমার দলের লোক অপরাধ করলে সবচেয়ে বেশি শাস্তি হওয়া উচিত। কারন তার থেকে মানুষ শিক্ষা নিবে।
আদিত্ব্য কামাল,জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হালাল বেকারি অ্যান্ড সুইটস নামে একটি বেকারির পাউরুটিতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ পটাশিয়াম ব্রোমেটের উপস্থিতি পাওয়ায় উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে জেলা নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি সিদ্ধান্ত মোতাবেক হালাল বেকারিকে পাউরুটি তৈরি বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা ফারহান ইসলাম।
তিনি বলেন, নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত বছরের নভেম্বর মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের পাঁচটি বেকারি থেকে পাউরুটির নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়৷ এরমধ্যে কাউতুলীর হালাল বেকারি অ্যান্ড সুইটস নামের একটি বেকারির পাউরুটিতে নমুনা পরীক্ষায় মানব স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ পটাশিয়াম ব্রোমেটের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। এ ঘটনায় জেলা নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি সিদ্ধান্ত মোতাবেক হালাল বেকারির বিরুদ্ধে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে নিয়মিত মামলা হয়। পাশাপাশি হালাল বেকারিকে পাউরুটি তৈরি বন্ধ রাখতে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।