স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পূর্বোত্তর ভারতের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুদিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও কাস্টমস, বন্দরের দাপ্তরিক কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে। আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন ‘ইন্দো-বাংলা এক্সপোর্টার-ইমপোর্টার কমিউনিকেশন সেন্টার’র সাধারণ সম্পাদক শিব শংকর দেবের বরাত দিয়ে ওই ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি বাংলাদেশের আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেতাদের আগেই জানানো হয়।
তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আগামীকাল শুক্রবারও পূর্বোত্তর ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
শনিবার সকালে ত্রিপুরায় মাছ রপ্তানির মধ্য দিয়ে ফের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হবে।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ইনচার্জ স্বপন কুমার দাস জানান, আমদানি বন্ধ থাকলেও ওই দুদিন বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন,মূলত বেকারত্বের হাত ধরেই আমাদের যুবশক্তি হতাশা এবং নিরাশায় ডুবে যাচ্ছে। যুবকদের উদ্যোগী করে তুলতে সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে। আমরা অতীতের অর্জন নিয়ে কথা বলছি, ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে কথা বলছি। কিন্তু বর্তমানের দুঃস্বপ্ন দ্রব্যমূল্য, মূল্যস্ফীতি, অপসংস্কৃতির ছোবল, সাম্প্রদায়িক মৌলবাদের আক্রমণ, সেখানে দাঁড়িয়ে বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলতে পারিনা। বাজেটে তরুণদের কর্মসংস্থানের কথা বলা হলেও সেই অঙ্কে রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁক। সেখানে কর্মসংস্থানের কোন সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা আমরা পাই না। কারণ বেসরকারী খাতে যখন বিনিয়োগ কমে যায় তখন কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়না।
শনিবার (৩জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে জেলা যুব মৈত্রীর ৬ষ্ঠ জেলা সম্মেলণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে। তবে তরুণদের স্মার্টভাবে গড়ে তুলতে না পারলে সেই স্মার্ট বাংলাদেশ কি করে সম্ভব। স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট প্রশাসন ও স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে তরুণ সমাজকে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে তুলতে হবে। কেবল বাজেটে নয়, সামগ্রিক ক্ষেত্রে তরুণদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে।
এর আগে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সভাপতি তৌহিদুর রহমান। এতে জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক এডঃ মোঃ নাসিরের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পুলিটব্যুরো সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, যুব মৈত্রীর চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ রুবেল, বিজয়নগর ওয়ার্কার পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রমূখ।
জুয়েল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের মাসিক সভা থেকে ৮ সদস্যকে বের করে দিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার। ইচ্ছেমতো প্যানেল চেয়ারম্যান বানানো এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও অর্থ বণ্টনের রেজুলেশনে স্বাক্ষর না করায় তাদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়। গতকাল পরিষদের তৃতীয় মাসিক সভায় এ ঘটনা ঘটে। পরিষদের সদস্যরা অভিযোগ করেন, সভার শুরুতে দ্বিতীয় সভায় স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নেয়া সিদ্ধান্তের রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার তাদের বলেন । এতে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান তাদের সভা থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় দেড়টায়। এরপর মিনিট ১৫ সভায় অংশগ্রহণ ছিল ৮ সদস্যের। এ সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে ওই সদস্যদের মন্ত্রণালয়ে করা অভিযোগের নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণের কথা বলেন। এ নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে তার তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। এরপরই সদস্যরা সভা ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন। এদিকে সভাকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষদে এক ইন্সপেক্টর ও ২ সাব-ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে মোট ১৫/২০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ জানান, মিটিংয়ে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান আমাদের বলেন আমরা নাকি উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রদের অপমান করার জন্যে লজ্জাকর ইতিহাস তেরি করেছি।এটি নিন্দনীয় কাজ হয়েছে বলে তিনি আমাদেরকে এ ব্যাপারে নিন্দা জানাতে বলেন। এ সময় আমরা নিন্দার বিষয়টি বাদ দিয়ে চেয়ারম্যানকে আমাদের কথা শুনতে বলি। তখন চেয়ারম্যান বলেন, কথা বলতে চাইলে আগে রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেন, না হলে বেরিয়ে যান। আপনাদের মিটিংয়ে অ্যাটেন্ড করার দরকার নেই। যেহেতু আমাদের কথা বলতে দেবে না, আর ইতিপূর্বে প্যানেল চেয়ারম্যান ও বরাদ্দে বণ্টনের বিষয়ে চেয়ারম্যানের ইচ্ছেমতো নেয়া রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে বলা হচ্ছে, আমরা সেটি না করে বেরিয়ে আসি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলা থেকে নির্বাচিত পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া বলেন, মিটিংয়ে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান বিগত মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমাদের স্বাক্ষর দিতে বলেন। আমাদের কোনো কথা শুনতে চাইছিলেন না। এ নিয়ে তার সঙ্গে আমাদের বাকবিতণ্ডা হয়। চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের নিন্দা প্রস্তাব দিতে বলেন। আমরা এরও প্রতিবাদ করি। এছাড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার তার নিজ ক্ষমতা বলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রদের ৪ লাখ টাকা করে এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ৩ লাখ টাকা করে বরাদ্দ বিভাজন করেন। শুধু তাই নয়, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উন্নয়ন প্রকল্পের চাহিদা প্রদানের একটি ফরম ছাপিয়ে বণ্টন করেছেন। এ ছাড়া কোনো অনুমোদন ছাড়াই ৮/১০ লাখ টাকায় ৩ হাজার কম্বল ক্রয় করেন। এর আগে গত ৯ই ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব বরাবর চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন পরিষদের ৮ সদস্য। তারা হচ্ছেন- আখাউড়ার সাইফুল ইসলাম, সরাইলের পায়েল হোসেন মৃধা, নাসিরনগরের সামসুল কিবরিয়া, আশুগঞ্জের বিল্লাল মিয়া, বাঞ্ছারামপুরের আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগরের বাবুল আক্তার, সদর উপজেলার বাবুল মিয়া ও সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ।এতে অভিযোগ করা হয়, গত ১লা জানুয়ারি পরিষদের দ্বিতীয় সভায় বরাদ্দ বিতরণ নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন চেয়ারম্যান। পরিষদের প্রথম সভায় সকল সদস্যদের মতামত বা ভোটগ্রহণ ছাড়া তার অনুসারী ৩ সদস্যকে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। তাছাড়া সদস্যদের পাশ কাটিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন নিজেই। এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রকাশ্যেই বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচনের ভোটার উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। এটিপ্রচলিত আইন ও বিধিবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন উল্লেখ করে সদস্যরা তাদের অভিযোগে বলেন, জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০২২ অনুযায়ী জেলা পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে উপজেলা পরিষদ/পৌরসভা সমূহের উন্নয়ন কার্যক্রমের সুষ্ঠু সমন্বয় নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়রগণকে পদাধিকার বলে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু জেলা পরিষদের রাজস্ব ও এডিপি বরাদ্দ স্থানীয় সরকারের ওই সকল চেয়ারম্যান ও মেয়রের অনুকূলে বিভাজন করার কোনো বিধান রাখা হয়নি।
আদিত্য কামাল
বঙ্গাব্দ বর্ষপঞ্জি অনুসারে এখন কার্তিক মাস চলছে। কার্তিক-অগ্রহায়ণ এ দুই মাস হেমন্তকাল। এক অপরূপ রূপের ঋতু হেমন্ত। যে ঋতুর সঙ্গে মানুষের হাসি-কান্না জড়িয়ে আছে। শরৎকাল শেষ হলেই হেমন্তের আগমন। ছয় ঋতুর মধ্যে চতুর্থ ঋতু হলো হেমন্ত যা কার্তিক অগ্রহায়ণ মাসের সমন্বয়ে গঠিত হয়। হেমন্তের শেষে শুরু হয় শীতকাল, তাই হেমন্ত কে বলা হয় শীতের পূর্বাভাস। এখন চলছে হেমন্তকাল। যখন দুপুরে রোদের তেজ কমে ধীরপায়ে বিকেলের পথ ধরে সন্ধ্যা নামে, তখন আমাদের শৈশবে গ্রামবাংলায় আমরা দেখেছি উত্তর থেকে ঝিরিঝিরি বাতাস বয়ে আসছে। কাকভোরে এবং বিকেলের পর বাতাসে দেখা যায় হিম হিম ভাব, সন্ধ্যার পরেই একটা নির্জীব ছায়ার মতো রং ঘিরে ফেলে, পাতায় জমা ধুলোর মতো চারপাশটা মলিন ছায়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়, ভেজা একটা কুয়াশার চাদর, প্রকৃতি ও মনকে জড়িয়ে ধরে নিবিড়ভাবে।
বাংলার প্রকৃতিতে এখন বিরাজ করছে সুমঙ্গলা হেমন্ত। ঋতুর রানী শরতের প্রস্থানের পরই হিমবায়ুর পালকি চড়ে হালকা কুয়াশার আঁচল টেনে আগমন হয়েছে তার। প্রকৃতিতে ফুটে উঠেছে সুন্দর রূপবিভা। হরিদ্রাভ সাজবরণ করেছে পত্রপল্লব। কাঁচা সোনার রঙ লেগেছে দিগন্তবিস্তৃত ফসলের মাঠে। মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে ধান কাটার ধুম। ধানের ম-ম গন্ধে ভরে উঠছে চারদিকে।
ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলায় বাংলার প্রকৃতি ও জীবন। বঙ্গাব্দ বর্ষপঞ্জি অনুসারে বর্তমানে কার্তিক মাস চলছে। কার্তিক-অগ্রহায়ণ এ দুই মাস বাংলাদেশে হেমন্তকাল। এক অপরূপ রূপের ঋতু হেমন্ত। যে ঋতুর সঙ্গে মানুষের হাসি-কান্না জড়িয়ে আছে।
হেমন্ত ঋতুর রয়েছে অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্য। সকালের শিশির ভেজা ঘাস আর হালকা কুয়াশায় প্রকৃতিতে বেজে ওঠে শীতের আগমনী বার্তা। মাঠের পাকা সোনালি ধান, কৃষকের ধান ঘরে তোলার দৃশ্য, কৃষক-কৃষাণির আনন্দ সবই হেমন্তের রূপের অণুষঙ্গ। বৈচিত্র্য রূপের সাজে প্রকৃতিতে হেমন্ত বিরাজ করে। হেমন্ত ঋতুতে চলে শীত-গরমের খেলা। হেমন্তের শুরুর দিকে এক অনুভূতি আর শেষ হেমন্তে অন্য অনুভূতি। ভোরের আকাশে হালকা কুয়াশা, শিশিরে ভেজা মাঠ-ঘাট তারপর ক্রমেই ধরণী উত্তপ্ত হতে থাকে। সৌন্দর্য এবং বৈশিষ্ট্য লালিমায় বাংলার অপরূপ রূপের ঋতু হেমন্ত।
রূপসী হেমন্ত ধূসর কুয়াশায় নয়ন ঢেকে ফসল ফলাবার নিঃসঙ্গ সাধনায় থাকে নিমগ্ন। ক্ষেতে-খামারে রাশি রাশি ভরা ভরা সোনার ধান উঠতে থাকে। চারদিকে অন্তহীন কর্মব্যস্ততা। আজও তিতাস-তিস্তা করতোয়া থেকে শুরু করে পদ্মা-যমুনার তীরে তীরে যেসব সোনালি ফসল সোনা ছড়ায় সেও তো হেমন্তেরই দিনে। নবান্নের উৎসব হয়। প্রাচুর্যময়ী হেমন্তের ফুলের বাহার নেই, সৌন্দর্যের জৌলুস নেই, রূপ-সজ্জারও নেই প্রাচুর্য; আছে মমতাময়ী নারীর এক অনির্বচনীয় কল্যাণী রূপশ্রী। সে আমাদের ঘর সোনার ধানে ভরে দিয়ে শিশিরের মতো নিঃশব্দ চরণে বিদায় গ্রহণ করে। অলক্ষ্যে চেয়ে চেয়ে দেখে। আর প্রতীক্ষায় থাকে কখন শীত আসবে।
হেমন্ত শীতের পথ-প্রদর্শক। হেমন্তে ঘরে ঘরে সোনার ফসল ওঠে। ধান ভানার গান ভেসে বেড়ায় বাতাসে, ঢেঁকির তালে মুখরিত হয় বাড়ির আঙিনা। নবান্ন আর পিঠেপুলির উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা হয় সবাই। সকালের সোনালি রোদে সোনালি ধান ঝলমল করে হেসে ওঠে। ধূসর বর্ণের হেমন্তে তাই আছে পরিপূর্ণতা, রিক্ততার লেশমাত্র তাতে নেই। আর এই দান কুয়াশা আর বিষণ্ণতার পোশাক পরা শান্ত সৌম্য হেমন্তের।
হেমন্তের উচ্ছ্বাস নেই, চপলতা নেই। সে যতটা পারে কেবল দিয়েই যায়। ধরিত্রীর অন্তরঙ্গ সহচরী হেমন্তের তাই নিজের জন্য কোনো প্রত্যাশা নেই। দানেই তার আনন্দ।
জ্যোৎস্না রাত্রির মতো সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তেও শরতের প্রকৃতি অনন্য রূপ নেয়। মূলত শরৎ এসেই যেন মেলে ধরে অফুরন্ত সৌন্দর্যের ভাণ্ডার। কিন্তু ঋতুরঙ্গশালায় শরতের স্থায়িত্ব ক্ষণিকের কেননা শরতের প্রথম দিকে অনেকটা সময়ই বর্ষার বর্ষণে সিক্ত থাকে। আবার হেমন্ত শিশিরভেজা পায়ে কিছুটা আগেই শরতের দরজায় কড়া নাড়ে। আর শিউলি ফোটে না, ঝরে না। নদীতীরে কাশের গুচ্ছ উদাস হাওয়ায় মাতে না, কাশও ঝরে পড়ে। সাঁঝের পর হালকা কুয়াশায় জোনাকিরা জ্বলে-নেভে। সেই আলো-আঁধারি কুয়াশা গায়ে মেখে হেমন্ত আসে। বড় কুণ্ঠাজড়িত পদক্ষেপ তার। সে না এলে ঋতুমঞ্চে শীত আর বসন্তের আসা হবে না। কেবল সেজন্যেই যেন সে আসে। নবান্নের উৎসব হয়। হেমন্ত অলক্ষ্যে চেয়ে চেয়ে দেখে। আর প্রতীক্ষায় থাকে কখন শীত আসবে। কোনোরকম আত্মঘোষণা ছাড়াই সে আসে আর সারাটা ক্ষণ লুকিয়ে থাকে। তারই কল্যাণস্পর্শে ভরে ওঠে গৃহস্থের আঙিনা অথচ সে-ই যেন চরম উপেক্ষিত। তবু তার মুখে স্নিগ্ধ প্রসন্ন হাসি।
হেমন্ত অন্নদাত্রী, হেমন্ত লক্ষ্মী। ধরিত্রীর বুকে যেদিন প্রথম ফসল ঘরে উঠল, আদিম মানব-মানবী হলো আনন্দে আত্মহারা, সেদিন তা হেমন্তই অলক্ষ্যে দাঁড়িয়ে ছিল। আজও তিস্তা-করতোয়া থেকে শুরু করে পদ্মা-যমুনার তীরে তীরে যেসব সোনালি ফসল সোনা ছড়ায় সেও তো হেমন্তেরই দিনে।
তাই ফসল ফলাবার নিরলস সাধনায় মগ্ন থেকে হেমন্ত। সে যেন কল্যাণদাত্রী জননী। হেমন্ত শরতের পরিণতি আর শীতের পথ-প্রদর্শক। হেমন্তে ঘরে ঘরে সোনার ফসল ওঠে। ধান ভানার গান ভেসে বেড়ায় বাতাসে, ঢেঁকির তালে মুখরিত হয় বাড়ির আঙিনা। নবান্ন আর পিঠেপুলির উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা হয় সবাই। সকালের সোনালি রোদে সোনালি ধান ঝলমল করে হেসে ওঠে। ধূসর বর্ণের হেমন্তে তাই আছে পরিপূর্ণতা, রিক্ততার লেশমাত্র তাতে নেই। আর এই দান কুয়াশা আর বিষণ্ণতার পোশাক পরা শান্ত সৌম্য হেমন্তের।
এভাবে হেমন্তে বাংলার প্রকৃতি ভিন্ন ভিন্ন রূপ নেয়। শরৎ যদি হয় উচ্ছ্বলতার ও আনন্দের, হেমন্ত তবে বিষণ্ণতার। দুজনেই সাধ্যমতো উপহার দেয়। শরৎ সাজায় প্রকৃতিকে, হেমন্ত ভরিয়ে তোলে গৃহ-ভাণ্ডার। একজনের দানের আভাস বড় বেশি স্পষ্ট। যেখানে উজ্জ্বলতা আছে, আছে উচ্ছলতা। অন্যজন ভরিয়ে তোলে গৃহকোণ। প্রকৃতি তখন ধূসর, মলিন। এ ঋতু চক্রের মহিমায় বাংলাদেশ চিরকাল অপূর্ব সুখ, সৌন্দর্য ও শান্তির নিকেতন।
হেমন্ত এলে পাল্টে যায় প্রকৃতি ও মানুষ। গ্রামের পরিবেশে আনন্দ বিরাজ করে। গ্রাম্য মেলা, ঘরে ঘরে পিঠা-পায়েস বানানোর আয়োজন, ঢেঁকির শব্দ সব মিলিয়ে এক অন্যরকম প্রকৃতিকে বরণ করে নেয় হেমন্তে। এ ঋতুতে ফোটে গন্ধরাজ, মল্লিকা, শিউলি, কামিনী, হিমঝুরি, দেব কাঞ্চন, রাজ অশোক, ছাতিম, বকফুল। সকালের শিশির ভেজা ঘাস আর হালকা কুয়াশায় প্রস্তুত হয় প্রকৃতি, খেজুরের রস সংগ্রহে প্রস্তুত হতে দেখা যায় গাছিদেরও তোলা শুরু হয় নতুন আলু।
শুধু জননী জন্মভূমি রূপেই নয়, রূপসী বাংলার এই ষড়ঋতু নানা বর্ণ-গন্ধ গানের সমারোহে নিত্য-আবর্তিত হয়ে চলে। কিন্তু শহরবাসী ও শহরমুখী বাঙালি আজ আর অন্তরে অনুভব করে না তার সাদর নিমন্ত্রণ। ঋতু-পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে প্রকৃতি যখন বিবাহের কন্যার মতো অপরূপ সাজে সেজে উঠবে বাঙালি তখন শুনবে কলকারখানার যন্ত্র-ঘর্ঘর-ধ্বনি কিংবা কম্পিউটারে অঙ্ক মেলাতে ব্যস্ত থাকবে সওদাগরি অফিসে।
আদিত্য কামাল
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর এর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে খান ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের উদ্যোগে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাত ৯ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেংকের পাড়স্থ পৌর কমিউনিটি সেন্টারের ২য় তলায় খান ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর কার্যালয়ে এ কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।খান ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর সত্ত্বাধিকারী সূফিগুরু শাহাজাদা খান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগে সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন। এড. মাহবুবুল আলম খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা আওয়ামীলীগ। সাধু মিয়া সহ-সভাপতি পৌর আওয়ামীলীগ। মো. শফিকুল ইসলাম তৌছির, সাধারণ সম্পাদক শহর সেচ্ছাসেবক লীগ।মো. কামাল মিয়া শহর আওয়ামীলীগ নেতা। মো. বিল্লাল মিয়া, পরিচালক পৌর কমিউনিটি সেন্টার। শরীফ আহমেদ খাঁন, সাধারণ সম্পাদক পিস ভিশন বাংলাদেশ। উম্মে হানি সেতু, সহ-সভাপতি জেলা যুব মহিলা লীগ। তাহমিনা হক পান্না, সহ-সভাপতি জেলা যুব মহিলা লীগ। অনু পারভিন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জেলা যুব মহিলা লীগ। আদিত্ব্য কামাল, সম্পাদক জনতার খবর। মো. মনির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক। মোহাম্মদ হোসেন, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী। মো. সোহেল খাঁন ইটালি প্রবাসী প্রমূখ।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন,বিএনপি আন্দোলন করতে পারে। এটা রাজনৈতিক দলের অধিকার। কিন্তু কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করে নয়। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে পৌঁছে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগ দিতে মন্ত্রী ঢাকা থেকে ট্রেনে করে আসেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘রাতেও আদালত বসছে’- এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আমি ওনাকে অনেক ভালো জানতাম। কিন্তু তিনি জনগণকে বিভ্রান্ত করতে অনেক কথাই বলে থাকেন।’ এ সময় আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।